অর্থনীতি
ফরিদপুরে ২০০ কোটি টাকার ভুট্টা উৎপাদন
পদ্মা নদীর ফরিদপুরের চরাঞ্চলকে শত শত একর জমি পড়ে থাকত অনাবাদি, চাষ হতো না তেমন কোনো ফসল। তবে পশুখাদ্যের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগে চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষ শুরু হলেও সম্প্রতি বছরগুলোয় ভুট্টার আবাদ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তথ্যমতে, গত রবি মৌসুমে ফরিদপুরে ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। শস্যটি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। আর খরিপ-১ মৌসুমে ৪৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এরই মধ্যে তা দুই হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। আবাদ এখনো চলমান। আবাদের অধিকাংশই পদ্মা নদীর চরাঞ্চলকেন্দ্রিক বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলার চরগুলোয় বছরের প্রায় সাত-আট মাস পানি থাকে না। উঁচু এলাকায় বেড়ে ৯-১০ মাস পর্যন্ত গড়ায়। ফলে জমিভেদে এখন বছরে দুই-তিনবার ভুট্টার আবাদ হচ্ছে চরাঞ্চলে। এতেই বাড়ছে ১২০ দিনের ফসলটির আবাদ ও উৎপাদন।
কৃষকরা জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ১০ টনের বেশি ভুট্টা উৎপাদন হয়। মণপ্রতি বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। হেক্টরপ্রতি চাষাবাদ খরচ ১০-১২ হাজার টাকা হলেও গড়ে ৪০-৪৫ হাজার টাকার ভুট্টা উৎপাদন হয়। এতে অন্য ফসলের তুলনায় যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্বাভাবিক হয়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রম
সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান থাকার জের ধরে গত ছয় দিন ধরে বন্ধ ছিল সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি। গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ হওয়ায় স্বাভাবিক হয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রম।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ শুরু হওয়ায়সঞ্চয়পত্র বিক্রির কাজ ব্যহত হয়। তবে গতকাল থেকে সার্ভার চালু হয়েছে। এখন সঞ্চয়পত্র বিক্রি বা ভাঙানোর কাজ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
তবে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সার্ভার চালু হলেও কমেছে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে হাতেগোনা কয়েকজন গ্রাহকের দেখা মিলেছে। সেবা বন্ধ থাকাকালীন যারা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তারা এখন ফর্মসহ কাগজ জমা দিতে আসছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্ভার ডাউন হবার পর অনেক গ্রাহক এসেও ফিরে গেছেন। এখন অনেকেই হয়তো জানেন না সার্ভার সচল রয়েছে। এ কারণে গ্রাহকের ভিড় কিছুটা কম থাকতে পারে।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল থেকেই পুরোপুরি সচল রয়েছে সার্ভার। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় অনেকেই আসেনি, কেউ হয়তো দুপুরে আসবেন। তবে কাজ চলমান আছে। রোববার থেকে ভিড় বাড়তে পারে গ্রাহকদের।
এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অধিদপ্তরের সার্ভার ডাউন হয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কাজ বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রাহকদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পাঁচ শতাংশই থাকছে
হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট আগের অবস্থায় পাঁচ শতাংশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদেশ জারি করবে এনবিআর।
এছাড়া ওষুধ ও আইএসপি ভ্যাটের হার কমতে পারে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। এর মধ্যে রেস্তোরাঁয় খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ও আইএসপির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পাঠানো পত্র এনবিআর গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে এ খাতে ভ্যাট হার পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় ভ্যাটের আওতাসহ রাজস্ব বৃদ্ধি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমিতির বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেছে এনবিআর।
একই সঙ্গে আরও কয়েকটি পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত ভ্যাটও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেস্তোরাঁ খাতের ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করবে এনবিআর
রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট হার পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পাঠানো পত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট হার পুনঃবিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায়, ভ্যাটের আওতাসহ রাজস্ব বৃদ্ধি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমিতির বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেছে এনবিআর।
একই সঙ্গে আরও কয়েকটি পণ্য ও সেবার ওপর আরোপিত ভ্যাটও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটির অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে।
গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবায় বিভিন্ন হারে নতুন ভ্যাট আরোপ করা হয়। তারপর থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোনার দাম বাড়লো, ভরি ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা
দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর মুনাফার হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২.২৫ শতাংশ থেকে ১২.৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সুপারিশে নির্ধারণ করা মুনাফার হারই কার্যকর করা হবে। ১ জানুয়ারি বা তার পরে যারা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন তাদের জন্য নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। আর যারা আগে সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন, তারা আগের নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন।
এ বিষয়ে এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়,জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অধীন পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবের সুদের হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫ বছর ও ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের সুদের হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উল্লিখিত ৫টি সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার বছরে দুইবার পুনঃনির্ধারণ করা হবে। বিনিয়োগকারী ইস্যুকালীন বিদ্যমান মুনাফার হার, বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদের জন্য প্রাপ্য হবেন অর্থাৎ যে মেয়াদের জন্য তা ইস্যু করা হয়েছিল সে মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত একই হারে মুনাফা প্রাপ্য হবেন।
অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণিকে সমতা প্রদানের লক্ষ্যে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগকারীদের পূর্বের তিনটি ধাপের পরিবর্তে নতুন দুটি ধাপে (৭.৫০ লাখ টাকা ও এর নিম্নে এবং ৭.৫০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে) ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া পূর্বের ন্যায় বিনিয়োগের মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়নের ক্ষেত্রে বছরভিত্তিক হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে।
কাফি