রাজনীতি
আন্দোলনের শক্তি বিএনপির নেই: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের শক্তি তাদের (বিএনপি) নেই। আন্দোলনে জনগণ লাগে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে।
বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। একেকজনের একেক কথা। বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রিমোট কন্ট্রোল নেতাকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। সাহস থাকলে রাজপথে আসুন। লন্ডনে বসে আন্দোলন হবে না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে।
বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরমও নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পেছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছেন কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এত প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।
কাফি

রাজনীতি
ঐক্যের মাধ্যমে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পতাকাকে আমরা উড্ডীয়মান রাখব তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এখন থেকেই ঐক্যের মাধ্যমে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে আগামী নির্বাচনের দিকে। এই সম্মেলনে একটি সুন্দর নেতৃত্ব আসবে, সেই নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা আগামী নির্বাচনে ঘরে ঘরে যাব। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরামর্শ দিয়েছেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে প্রত্যেক ঘরে যেতে হবে। জেনারেশনের কাছে পৌঁছতে হবে। বিশেষ করে আমাদের মা-বোন যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগ স্বীকার করেছে, সম্মেলনের কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নেতৃত্বে আমরা এই দলকে একত্রিত করব, একত্রিত রাখব।
তিনি আরও বলেন, আজকে সবাই একমঞ্চে। আমরা একমঞ্চে মিলিত হয়েছি। রামগঞ্জে আমরা ঐক্যের বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এখানে কোনো পক্ষ-বিপক্ষ নেই। কোনো মতভেদ নাই। সুদৃঢ় ঐক্যের জায়গায় জেলা বিএনপির নেতৃত্বে রামগঞ্জ পৌর ও উপজেলা বিএনপি এবং সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা আজ আমরা এক ছায়াতলে। একটা ছাতার নিচে, একটি মঞ্চে প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে এক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে একত্রিত হয়েছি।
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী।
রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ কামরুল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম ও প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশীদ হারু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী প্রমুখ।
রাজনীতি
দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ: মঈন খান

বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন যে বিলাতে অত্যন্ত বিশ্ববিখ্যাত নামি একটি পত্রিকা একটি রিপোর্ট করেছে এবং সেখানে তারা উল্লেখ করেছে যে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। ২৩৪ বিলিয়ন ডলার একটা টাকা দুই টাকা না। বিলাতের ওই সাংবাদিক কিন্তু এ পাচারের ব্যাপারে শুধু বাংলাদেশকে দোষী করেননি, বিলাতকেও দোষী করেছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বিমা পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুল মঈন খান বলেন, এই যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার আমরা পত্রিকায় পড়েছি, এখন আসলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের মানুষ যারা গ্রামগঞ্জে আছে তাকে কীভাবে বুঝাবেন? যদি আমি বলি যে, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করে নিয়ে গেছে, সে কি বলবে? এ অঙ্কটা সে কি কিছু বুঝবে, কত টাকা? বাংলাদেশের যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের উপলব্ধির জন্য আমি একটু সহজ বাংলায় বলি। তারা যে পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে বিগত ১৫ বছরে, এই টাকা দিয়ে ১০০টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেতো।
শহুরে জনগণের বোঝার জন্য তিনি বলেন, যে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, সেই টাকা বাংলাদেশের ৫ বছরের ৫টি বাজেটের সমতুল্য। এগুলো কার টাকা লোপাট করেছে? এ দেশের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের টাকা, তাদের নিজের টাকা না।
গণতন্ত্রই আমাদের সর্বশেষ মুখ্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রটাই কিন্তু আমাদের সর্বশেষ মুখ্য নয়। আমাদের মুখ্য হচ্ছে অন্য কিছু, যেটা গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমরা অর্জন করতে পারি। অর্থাৎ, গণতন্ত্র হচ্ছে আমাদের মেকানিজম। সেই মেকানিজমের মধ্যদিয়ে আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের যে জীবনধারণ পদ্ধতি সেটাকে সুন্দর করে তুলতে চাই, সেটাই হচ্ছে আমাদের মুখ্য। আমরা একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই যেখানে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় তারা এখানে বসবাস করবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ব্যাংক-বিমা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক খাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।
রাজনীতি
অন্তর্বর্তী সরকারের সব ব্যর্থতার দায় এনসিপিকে নিতে হচ্ছে: হাসনাত

অন্তর্বর্তী সরকারের সব ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতার দায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’র তৃতীয় সংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের দায় নিয়েই এনসিপির যাত্রা শুরু উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, মানুষ এনসিপির কাছে নতুনত্ব প্রত্যাশা করেছে। মিডিয়া, মিলিটারির যে অংশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, অনেকটা একাই। আমরা মিডিয়ার চোখে চোখ রেখে কথা বলেছি। আমরা সত্যকে সত্য বলি, মিথ্যাকে মিথ্যা বলি।’
মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে এনসিপির নেতাদের চরিত্র হনন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন এনসিপির এ নেতা। এ সময় ৫ আগস্ট কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক ও পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টে আমরা কক্সবাজারে গিয়েছি। মিডিয়াতে বলা হলো, আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে মিটিং করেছি। তবে, আমরা মিডিয়া বিরোধী নই, কিন্তু মিডিয়ায় বস্তুনিষ্ঠতা চাই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে রাজনীতি বন্দি হয়ে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকতে হবে।
গঠনের পর থেকে এনসিপির অর্জন কম নয় দাবি করে হাসনাত আরও বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, আমাদের সীমাবদ্ধতা আমরা পর্যাযালোচনা করি। ভুল স্বীকার করতে পারি। আপনারা পরামর্শ দেবেন, আমরা সংশোধন করে বাংলাদেশপন্থি রাজনীতি করবো।
রাজনীতি
একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দলও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে: ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। কিন্তু এই দল হলো ফিনিক্স পাখির মতো, এ দলকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। আমরা সেই দল যারা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি৷ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গড়ে উঠেছি।
সম্মেলন সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকের সম্মেলন সাধারণ কোনো সম্মেলন নয়। ১৫ বছর পরে বিএনপির অজস্র নেতাকর্মীর ত্যাগের পরে যে সুযোগ এসেছে সেটি কাজে লাগানোর সম্মেলন।’ এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যে নেতার নামে স্লোগান হবে, সেই নেতা মাইনাস হবেন।’
রাজনীতি
ভারত সীমান্তে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনকে ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর বাংলাদেশের দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় জালিয়াতির মামলা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরনখোলা থানার রাজের গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গেদে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক মো. জুবায়ের হোসেনকে আটক করে বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, বিগত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন জুবায়ের। কিন্তু ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন সিল জালিয়াতি করে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে না গিয়েও ভুয়া এন্ট্রি দেখিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক আটক হয়। এরপর দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ তুহিন হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে তাকে থানায় সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর বলেন, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।