লাইফস্টাইল
শসা খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা
শসা আমাদের সবার বাড়িতেই কম বেশি থাকে। আমরা সালাদেই বেশি খেয়ে থাকি। তবে রোজকার রুটিনে শসা রাখলে পেতে পারেন অনেক উপকার।
ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। এসবের সবটাই শসায় রয়েছে। আরও অনেক গুণ লুকিয়ে আছে এতে। জেনে নিন শসা খেলে কী হয়-
১. যারা ওজন কমাতে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তারা নিয়মিত শসা খান। তারা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
২. চোখের জ্যোতি বাড়াতে এটি কাজ করে। সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।
৩. এতে থাকা খনিজ সিলিকা যা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪. শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে শসা খেলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না। সকালটা সতেজ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ভিমরুলে কামড়ালে যা করবেন
ভিমরুল ছোট পতঙ্গ হলেও খুবই ভয়ংকর। যারা ভিমরুলের হুলের খোঁচা খেয়েছেন কেবল তারাই জানেন এর ব্যথা কতটা তীব্র হয়। এটির কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। তাই ভিমরুল দেখা মাত্রই সবার সতর্ক হওয়া জরুরি।
ভিমরুলের কামড়ে বড়দের তুলনায় শিশুদের প্রতিক্রিয়া হয় বেশি। এ জন্য যেসব বিষয় সতর্ক হতে হবে তা হলো—
১. ভিমরুল হুল ফুটিয়ে থাকলে তা তুলে ফেলুন। এরা সাধারণত ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে ধরে থাকে। তাই সরানোর জন্য ধীরে ধীরে এদের ওপরে এবং পাশে আঙুল বুলান, তার পর আচমকা ঠেলে ফেলে দিন।
২. খামচে বা চিমটি কেটে মৌমাছি অথবা ভিমরুলকে তোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এর ফলে বিষের থলি থেকে সমস্ত বিষ বেরিয়ে পড়বে এবং হুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। তাই খামচে তোলার পরিবর্তে ঠেলে ফেলে দিন।
৩. হুল ফোটানোর পর সেই স্থানটিতে গরম লেগে জ্বালা করে এবং লাল হয়ে ফুলে যায়। তাই প্রভাবিত স্থানে সবার আগে বরফ লাগান।
৪. কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
৬. ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি অ্যান্টি হিস্টামিন ওষুধ খান। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল তো রয়েছেই।
৭. হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। আবার প্রভাবিত স্থান চুলকাতে পারে, চাকা হয়ে ফুলে যেতেও পারে। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায়ও আছে। যাদের অবস্থা গুরুতর নয় এবং ওষুধ খেতে চাইছেন না, তারা এই উপায় অবলম্বনে স্বস্তি পেতে পারেন—
১. ভিমরুলে কামড়ালে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল লাগিয়ে নিলে জ্বালা কমবে। তুলসি পাতার রস, ইউক্যালিপটাস তেল লাগালে স্বস্তি পাবেন। আবার অ্যালোভেরা জেলও শীতলতা প্রদান করতে পারে। অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্যথা, চুলকানি, ফোলা ও জ্বালা ভাব কম করে।
২. বেকিং সোডা ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তার পর ওই পেস্টটি প্রভাবিত স্থানে লাগান। বেকিং সোডা না-থাকলে শুধু অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগাতে পারেন। এই ভিনিগার বিষের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় ভিজিয়ে এই ভিনিগার ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
চুল পড়ার সমাধানে কেন পেঁয়াজ ব্যবহার করবেন?
পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা থাকলেও মাথায় তা ব্যবহার করতে অনীহা অনেকের। পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধই এর কারণ। তবে গন্ধ এড়াতে বিভিন্ন কন্ডিশনার, শ্যাম্পু ও তেলে পেঁয়াজের নির্যাস দিয়ে চাইলেই এটা ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পেঁয়াজের রস ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- নতুন করে চুল গজানো বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধে। এ ছাড়া এটি চুলের গঠনগত প্রোটিন কেরাটিনের মান ভালো করে। পেঁয়াজের তীব্র গন্ধের জন্য এটি ব্যবহারে অনীহা থাকলেও ইদানীং পেঁয়াজের নির্যাস ব্যবহার করছে বিভিন্ন প্রসাধনী সংস্থা। তাদের প্রসাধনীতে আলাদা করে সুগন্ধি মেশানো হয়। তাই পেঁয়াজের উগ্র গন্ধ অস্বস্তিতে ফেলে না ততটা। কিন্তু এমন কী রয়েছে এর মধ্যে?
নতুন চুল গজাতে কীভাবে কাজ করে পেঁয়াজের রস?
১) সালফার রয়েছে পেঁয়াজের রসে। এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। ফলিকল থেকে বিশেষভাবে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
২) চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে মাথার ত্বকে কোনো রকম সংক্রমণ হলে। পেঁয়াজের রস ব্যবহারে কোনো রকম ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাক মাথার ত্বকে বাসা বাঁধতে পারে না।
৩) পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ভালো রক্ত চলাচলের ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায় চুলের ফলিকলে।
পেঁয়াজ থেকে রস বের করবেন কীভাবে?
পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিন ব্লেন্ডার বা মিক্সিতে। তারপর সেই পেঁয়াজ বাটা ঢেলে দিন পাতলা সুতির কাপড়ে। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ছাঁকনিও। এরপর রস বের করতে হবে ছেঁকে।
পেঁয়াজের রস কীভাবে মাখবেন?
মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে মাথায় আগে করতে হবে শ্যাম্পু। তবে পেঁয়াজের রস ভিজে চুলে মাখা যাবে না। চুল ভালো করে আগে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর তুলো পেঁয়াজের রসে ভিজিয়ে তা মেখে নিন মাথার ত্বকে। পেঁয়াজের রস অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা মেখে রাখুন মাথায়। পেঁয়াজের গন্ধ এবং ঝাঁঝ সহ্য করতে পারলে রেখে দিতে পারেন সারা রাত। পরের দিন মাথায় শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার মাখলেই শেষ হবে কাজ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
হৃদরোগের ঝুঁকি? জেনে নিন কারণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা
হৃদরোগ জীবনযাপনের পরিবর্তন এবং সক্রিয় স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য। সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, জাতি এবং লিঙ্গ। তবে এই কারণগুলো চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এদিকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে খারাপ খাদ্য, ব্যায়ামের অভাব, ধূমপান, অত্যধিক মানসিক চাপ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে করণীয়
স্বাস্থ্যকর ডায়েট: ফল, সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবারের দিকে মনোযোগ দিন। এ ধরনের খাবার আপনাকে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মাঝারি-তীব্র ব্যায়ামের লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা হৃদরোগ সহ আরও অনেক রোগ থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে। পাশাপাশি কাজে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবেন। কারণ এই অভ্যাস আমাদের শরীরকে সচল রাখতে কাজ করে।
ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই পরিহার করুন। পাশাপাশি অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে তাও বাদ দিন।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন: ধ্যান, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাসের মতো স্ট্রেস-কমানোর কৌশলগুলো চর্চা করুন। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগসহ অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকাই সহজ হবে।
রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন: নিয়মিত চেকআপ এবং ওষুধ এই এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই এদিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
ব্লাড সুগার মনিটর করুন: আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যকর রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। যে কারণে দূরে থাকবে হৃদরোগ সহ আরও অনেক অসুখ।
কখন মেডিকেল এটেনশন চাইতে হবে
আপনি যদি এই উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনটি অনুভব করেন, বিশেষ করে যদি সেগুলো অব্যাহত থাকে বা ঘন ঘন হয়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা অপরিহার্য। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা উল্লেখযোগ্যভাবে ফলাফল আনতে পারে এবং জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৬ করণীয়
বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে শুধু ঘাড় নয়, পিঠ ও কোমরেও ব্যথা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক জায়গায় বসে থাকলে ঘাড়ের পেশিগুলো স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তাই ঘাড়ের পেশিগুলো সচল রাখতে কাজ করতে করতেই ঘাড় কাত করে রাখুন। এতে ঘাড়ের ব্যথা অনেকটাই আপনার থেকে দূরে থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাড় ব্যথার সমস্যায় যেন পড়তে না হয় সে কারণে কিছু বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন। যেমন, যাই করেন না কেন একভাবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় থাকবেন না। টেবিলের ওপর ঝুঁকে কাজ করার অভ্যাসে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তাই এ অভ্যাস থাকলে এখনই তা এড়িয়ে চলুন। ঘাড় ব্যথা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শক্ত বিছানায় ঘুমাতে চেষ্টা করুন।
ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৬ করণীয়
১. ঘাড় ব্যথা শুরু হলেই প্রথমে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে পড়ুন।
২. গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে সেই ভেজা হালকা গরম তোয়ালে ঘাড় ব্যথার স্থানে সেঁক দিন।
৩. সরিষা তেলে রসুন ও কালোজিরা দিয়ে চুলায় গরম করে নিন। কুসুম গরম থাকতেই সে তেল দিয়ে ঘাড় ও পিঠ ব্যথা স্থানে মালিশ করুন।
৪. এরপর পেশীগুলোতে রক্ত চলাচলের জন্য ১ মিনিটের মতো হালকা ব্যায়াম করুন।
৫. সোজা হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এতে করে ঘাড় ব্যথা দ্রুত কমতে শুরু করবে।
৬. কম্পিউটারের সামনে অনেক সময় বসে থাকলে ঘাড় ব্যথা বাড়ে। দীর্ঘ সময় সামনের দিকে না তাকিয়ে কাজের ফাঁকে মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখতে পারেন। কমপক্ষে পাঁচ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে থাকুন। তাহলে ঘাড়ের ব্যথাকে জয় করতে পারবেন অনেকটাই।
দীর্ঘসময় টানা কাজ করার অভ্যাসে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। কখনও কখনও এই ঘাড় ব্যথাই মারাত্মক রোগের সংকেত দেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
খালি পেটে খেজুর খাবেন যে ১০ কারণে
খেজুর এমন একটি খাবার, শরীরের যত্ন নিতে যার উপর সারা বছর ভরসা রাখা যায়। প্রতিদিন খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিস্ময়কর এই ফলটিতে রয়েছে অনেক গুণ। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফল খেতে হয়। শরীরের ভালো কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ফলের মধ্যে। তেমনই একটি বিস্ময়কর ফল হলো খেজুর। খেজুরের পুষ্টিগুণ নারী-পুরুষ উভইয়ের জন্যই উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। তাই খেজুর সবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে খেজুর খেলে মিলবে বেশি উপকার। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
মস্তিষ্ক সতেজ থাকে
মস্তিষ্ক ভালো রেখে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন খেজুর খেতে হবে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি খেলে অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
খেজুরের মধ্যে পটাসিয়াম থাকে। তাই এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। খেজুর স্ট্রোক, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগ থেকেও রক্ষা করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খান।
হাড় মজবুত হবে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ থাকে। তাই আপনার হাড় আরও মজবুত করতে চাইলে প্রতিদিন খান খেজুর। খেজুর খেলে আপনার হাড় ভালো থাকবে। এমন কি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
হাঁটুর ব্যথা দূর হবে
অনেক সময় হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যায়। প্রতিদিন খেজুর খেলে এর উপকার পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান খেজুরে পাওয়া যায়, যা হাড়কে মজবুত রাখে।
চোখের সমস্যা দূর করে
ভিটামিন ‘এ’ চোখের কর্নিয়াকে সতেজ করে। আর খেজুর ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে চোখের সমস্যা অনেক উপকার পাওয়া যায়। খেজুরে লুটেনিন ও জেক্সানথিনও রয়েছে, যেগুলো চোখকে সুরক্ষিত রাখে।
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর ভিটামিন থাকে। এটি শরীরে ভিটামিন এবং খনিজগুলোর ঘাটতি দূর করে। তাই যাদের দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে, তারা খেজুর খান।
গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারী
খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য বেশ উপকারী। খেজুরে উপস্থিত আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া এটি শিশুর জন্মগত রোগও নিরাময় করে।
ব্রণ থেকে মুক্তি মেলে
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি৫, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা ব্রণের সমস্যা দূর করে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
ত্বক টান টান হয়
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকের শিথিলতা দূর হয়। ত্বক ভেতর থেকে সতেজ এবং সজীব হয়ে ওঠে।