আন্তর্জাতিক
বিশ্বের ধনী ১০ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকা: শীর্ষে ফেডারেল রিজার্ভ

যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কাজ হলো মুদ্রা সরবরাহ ও সুদের হার ব্যবস্থাপনা। রাষ্ট্রের হয়ে এই কাজ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখে এসব প্রতিষ্ঠান।
সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতেই সম্পদ থাকে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে সোনার মজুত, বৈদেশিক মুদ্রা ও সরকারি বন্ড।
বিশ্বের অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ থেকে বোঝা যায়, তার প্রভাব কতখানি। এই তালিকায় যে ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তারা সবাই বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের অর্থনীতি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের যেকোনো কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে।
দেখা নেওয়া যাক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনগুলো। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
১. ফেডারেল রিজার্ভ
তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলার। আর্থিক খাতের মানুষজন এই ব্যাংককে ডাকেন ‘ফেড’ নামে। ১৯১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা নজরদারি ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যে কত বড়, ফেডারেল রিজার্ভের হাতে থাকা বিশাল সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। একই সঙ্গে এটাও দেখায় যে মার্কিন অর্থনীতি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
২. ব্যাংক অব জাপান
এটি জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। এই ব্যাংকের হাতে থাকা সম্পদের আর্থিক মূল্য ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব জাপানের প্রতিষ্ঠা ১৮৮২ সালে। বাজারে মুদ্রা ছাড়া, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা ও মুদ্রানীতি পরিচালনা করা এই ব্যাংকের মূল কাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক অব জাপানের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কারণে যে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, সেই অর্থের ব্যবস্থাপনার দিকটি বাস্তবায়ন করছে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক অব জাপানকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সে কারণে তাদের সম্পদ বেড়েছে।
৩. পিপলস ব্যাংক অব চায়না
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৪৮ সালে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, বাজারে মুদ্রা ছাড়া এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের ব্যবস্থাপনা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানতম কাজ।
সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সম্পদ বিপুলভাবে বেড়েছে। এর কারণ হলো, একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থেকে চীন এখন বিশাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।
৪. ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েশে বুন্ডেসব্যাংক। ফোর্বসের তালিকায় জার্মানি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সব মিলিয়ে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার সম্পদের মালিক জার্মানির এই ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৫৭ সালে। ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালু করার পেছনে এই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জার্মানির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা বুন্ডেসব্যাংকের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে বুন্ডেসব্যাংক।
৫. ব্যাংক অব ফ্রান্স
ইউরোপের আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮০০ সালে। বিশ্বে যত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রাচীনতম ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক অব ফ্রান্স।
ফ্রান্সের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ব্যাংক অব ফ্রান্সের মূল দায়িত্ব। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যখন মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তখন তাতে অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৬. ব্যাংক অব ইতালি
ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি ডলার। ব্যাংক অব ইতালির প্রতিষ্ঠা ১৮৯৩ সালে। ইতালির জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা ছাড়া ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিসংক্রান্ত সিদ্ধান্তেও অংশগ্রহণ করে এই ব্যাংক।
৭. ব্যাংক অব স্পেন
স্পেনের এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ১৭৮২ সালে। অনেক পুরোনো এই ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার। এটি স্পেনের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়নসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।
৮. ব্যাংক অব ইংল্যান্ড
বিশ্বে যতগুলো পুরোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তাদের অন্যতম ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটির প্রতিষ্ঠা ১৬৯৪ সালে। নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংক হলেও এটি মূলত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাজ্যের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। বাজারে মুদ্রাও ছাড়ে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৯. সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক
এটি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের হাতে যে সম্পদ আছে, তার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলার। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯০৭ সালে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ব্যবস্থাপনা এই ব্যাংকের মূল দায়িত্ব।
সুইজারল্যান্ডের মুদ্রা ফ্রাঙ্কের মূল্যমান যাতে না বেড়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যেই বাজারে হস্তক্ষেপ করে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সে কারণে তাদের একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে।
১০. রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি। তাদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৮১ হাজার কোটি ডলার। ১৯৩৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়াও নিজের দেশের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে এবং বাজারে মুদ্রা ছাড়ে।
চীনের মতো ভারতের অর্থনীতিও এখন অনেক বড় হয়েছে। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ভারত। ফলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
এসএম

আন্তর্জাতিক
ভারতের ভিসা প্রসেসিং ফি বাড়ছে

ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি বাড়াচ্ছে ভারত। নতুন ফি নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এই বর্ধিত ভিসা ফি আগামী ১০ আগস্ট থেকে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক)। এর আগে ভারতের ভিসার জন্য আবেদন ফি ছিল ৮০০ টাকা।
আইভ্যাক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিগত বছরগুলোতে উপকরণ ও পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) জমা দেওয়া আবেদনের জন্য ভিসা প্রসেসিং ফি আগামী ১০ আগস্ট থেকে থেকে সংশোধন করে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হবে। এই প্রসেসিং ফি ভিসা আবেদন পরিচালনার সুবিধার্থে আইভিএসি কর্তৃক আরোপিত একটি সার্ভিস চার্জ।
আইভ্যাক আরও জানায়, ২০১৮ সালের পর ভিসা প্রসেসিং ফি এই প্রথম সংশোধন করা হলো এবং সেবার মান ও অবকাঠামোগত উন্নতি অব্যাহত রাখতে এটি প্রয়োজনীয়। বিদ্যমান নীতি অনুসারে, ভারত সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কোনও ভিসা ফি নেয় না এবং সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা বিনামূল্যেই থাকবে।
আন্তর্জাতিক
১০১ বছর বয়সেও রোগমুক্ত জীবনযাপন করছেন তুরস্কের এই নারী

কোনো রোগ বা স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াই দিব্যি জীবনযাপন করছেন দক্ষিণ তুরস্কের ১০১ বছর বয়সের এক নারী। তার নাম আয়শে উগুর। ছোটবেলা থেকেই প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। তৈরি করা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার নয় বরং সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে তাড়াতাড়ি জেগে ওঠার অভ্যাস অনুসরণ করেছেন এই নারী।
জানা গেছে, আয়শে উগুর তার খাদ্যাভ্যাসের ওপর খুব গুরুত্ব আরোপ করেন এবং কৃত্রিম ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকেন। এছাড়া দুধ, মধু, গুড়, জ্যাম, ডিম, মাখন ও দইয়ের মতো প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়ে নিজেকে পুষ্ট রাখেন। ১০১ বছর বয়সেও তিনি দাবি করেন যে তার কোনো রোগ নেই। তিনি নিজেই বাসায় খাবার প্রস্তুত করেন; নিজেই দই তৈরি করেন এবং প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল খান।
তিনি বলেন, “আমি সকালের নাস্তা করি। যেটা খেতে ইচ্ছা করে, সেটাই তৈরি করি। দুপুর পর্যন্ত বাসা থেকে বের হই না, কিন্তু তারপর বাইরে ছায়ায় বসি কারণ আবহাওয়া খুব গরম। আমি গরম সইতে পারি না। আমি সবসময় প্রাকৃতিকভাবে খেয়েছি। যেসব ফলমূল ও সবজি খাই, তা আমার নিজের বাগান থেকেই আসে।”
শৈশব ও যৌবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আয়শে উগুর বলেন, “আগের দিনগুলো এখনকার চেয়ে ভালো ছিল। আমাদের ছোট খামার ও মুরগি ছিল। আমরা নিজেরাই আমাদের পণ্যের জোগান দিতাম। কিন্তু এখন সেসব দিনের অনেক কিছু আর অবশিষ্ট নেই।”
নিজের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় পণ্যও গ্রহণ করেন এবং পুষ্টির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে সবসময় মধু ও গুড় থাকে। আমি মাংস ভেজে ফ্রিজে রেখে দেই; যখন দরকার হয়, বের করে খাই। আমি নিজেই জ্যাম তৈরি করি। আমার বাসায় সবসময় ভাজা ও সেদ্ধ মাংস থাকে। আলহামদুলিল্লাহ, আমার যা কিছু দরকার, সবই আছে। আমার কোনো রোগ নেই। আমার ডায়াবেটিস নেই, কোলেস্টেরল নেই, উচ্চ রক্তচাপ নেই। আমি যা খাই তা আমার কোনো ক্ষতি করে না। আমার ঘুম নিয়মিত। যতটা পারি, ডিম, দুধ ও দই খাই। আমি ভালোভাবে নিজেকে পরিচালনা করছি। আমি যা পারি, তাই খাই।”
আয়শে উগুর আরও বলেন, তিনি কখনোই তার নামাজ বাদ দেন না এবং রমজানে রোজা পালন করেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় তাসবিহ ব্যবহার করি ও দোয়া করি। আমি কখনো ইবাদত বাদ দিই না। ঘুমানোর আগে ও ঘুম থেকে উঠেই আমি দোয়া করি।”
তিনি তার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে পারিবারিক সম্পর্ক, একতা ও সৌহার্দ্যের গুরুত্বের কথা বলেন।
তার ছোট ছেলে, ৫৫ বছর বয়সী নিসান উগুর বলেন, “আমরা প্রতি সপ্তাহে মায়ের কাছে যাই। কখনো তাকে একা রাখি না। তার যেকোনো প্রয়োজন আমরা পূরণ করি। তিনি যা দরকার বলেন, আমরা কিনে আনি। আমি প্রতি সপ্তাহে গ্রামে যাই মাকে দেখতে। তিনি এখন ১০১ বছর বয়সী। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এই বয়সে পৌঁছেছেন কারণ তিনি সবসময় প্রাকৃতিক ও অর্গানিক খাবার খেয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্যের বয়স ৭৫ বছর, আর আমি সবচেয়ে ছোট – ৫৫ বছর বয়সী। আমার মা সবসময় প্রাকৃতিক খাবার খেয়েছেন। তিনি সব সময় স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্ক ছিলেন। বর্তমানে তার কোনো অসুস্থতা নেই। তার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপ নেই।”
আন্তর্জাতিক
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে জরিমানা বসালেন ট্রাম্প

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বারবার বললেও এবার কড়া বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ‘জরিমানা’ বসানো হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প, যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
ট্রাম্প বুধবার (৩০ জুলাই) তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্ত জানান। তিনি লেখেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, তাদের শুল্কহার বিশ্বের সর্বোচ্চের মধ্যে একটি এবং তারা সবচেয়ে জটিল ও বিরক্তিকর অমুদ্রিত বাণিজ্য বাধাগুলো তৈরি করে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারত বহু বছর ধরে তাদের সামরিক সরঞ্জামের বড় অংশ এবং জ্বালানি রাশিয়া থেকে কিনছে-এমন এক সময়ে, যখন ‘বিশ্ব চায় রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করুক।’
ট্রাম্প বলেন, ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশ, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে কম ব্যবসা করেছে। তাই ১ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও জ্বালানি বাণিজ্যের জন্য অতিরিক্ত জরিমানাও কার্যকর হবে।
চলতি বছরের এপ্রিলে প্রথমবার ভারতের ওপর উচ্চ শুল্কারোপের ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু আলোচনার সুযোগ দিতে সেটি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়। তবে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় এবার পূর্ণহারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, দেশে দেশে সুনামি সতর্কতা

রাশিয়ার কামচাটকা উপকূলের কাছে শক্তিশালী ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অঞ্চলে ঢেউয়ের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম হবে।
ফিলিপাইনের ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি সংস্থা বলেছে, আজ বুধবার দুপুরে এক মিটারেরও কম উচ্চতার সুনামি ঢেউ উপকূলে আঘাত করবে। তাই ফিলিপাইনের ২০টির বেশি প্রদেশের বাসিন্দাদের সমুদ্রের কাছাকাছি না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূ-তত্ত্ব সংস্থা পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার পাশাপাশি সমুদ্রতট থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো জরুরি উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
জাপান, হাওয়াই ও যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কামচাটকায় ৩ থেকে ৪ মিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ দেখা গেছে, আর জাপানের হোক্কাইডো শহরে ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ আঘাত করেছে।
হাওয়াইয়ের গভর্নর জশ গ্রিন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সবাইকে সুনামি সতর্কতা মানতে বলেছেন।
কামচাটকায় ভূমিকম্পের কারণে কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং আরও শক্তিশালী কম্পনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুনামি সতর্কতা চীন, গুইম, পেরু ও ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপেও দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার কুচিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই আটক হয়েছেন ১৫ জন বাংলাদেশি। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, তারা কুয়ালালামপুর থেকে একটি ফ্লাইটে করে সারাওয়াক প্রদেশের কুচিংয়ে পৌঁছানোর পরই এ অভিযান চালানো হয়।
প্রাথমিক যাচাইয়ে দেখা গেছে, আটক ব্যক্তিদের মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে প্রবেশের কোনো রেকর্ড নেই। পাসপোর্ট পরীক্ষা করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আরও জানান, তাদের পাসপোর্টে ব্যবহৃত হয়েছে ভুয়া ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, দালালদের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। প্রতিজনের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
আটকদের সবাইকে সেমুজা ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইনের আওতায় তদন্ত শুরু করেছে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ২৫ জুলাই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাত ঘণ্টাব্যাপী বিশেষ অভিযানে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (AKSEM) জানিয়েছে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইটের যাত্রীদের টার্গেট করে ওইদিন টার্মিনাল-১-এ এ অভিযান চালানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে নিরাপত্তা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।