জাতীয়
ফের বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম
দুই মাসের ব্যবধানে আবার বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। মে মাস থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
এবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করেছে।
জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যৌথ অভিযানে ১৫৫ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
যৌথ বাহিনীর অভিযানের এখন পর্যন্ত ১৫৫টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার পরও অস্ত্রগুলো নিজেদের হেফাজতে রাখার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রিভলভার রয়েছে আটটি, পিস্তল ৪৬টি, রাইফেল ১১টি, শটগান ১৮টি, পাইপগান পাঁচটি, শুটারগান ১৯টি, এলজি ১৩টি, বন্দুক ২৪টি, একে-৪৭ একটি, গ্যাসগান একটি, চাইনিজ রাইফেল একটি, এয়ারগান একটি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার একটি, এসএমজি তিনটি এবং এসবিবিএল উদ্ধার হয়েছে তিনটি।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধার তালিকার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি লাইসেন্স স্থগিত করা অস্ত্রও রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে এসব অস্ত্র থানায় জমা দিতে বলা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর ছিল সেই অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রাত থেকে লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আবুল হাসানকে টেকনাফ থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যার মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে আসামি করে মামলা করা হয়। নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা মোছা. পারভীন আক্তার বাদী হয়ে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় অন্যদের মধ্যে পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদকেও আসামি করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যানজট সমস্যার সমাধান খুঁজতে বললেন ড. ইউনূস
ঢাকার দুই কোটি মানুষের যানজট সমস্যার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে ডিএমপিকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই সিটি ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের যানজট কমাতে হবে। অবিলম্বে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে যানজটবিরোধী কিছু পাইলট স্কিম গ্রহণ করতে হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ দু-তিনটি সড়কের ছোট স্টেশনগুলোতে বাস থামানোর সময়কে দুই মিনিটের কম সীমাবদ্ধ করা এবং পরে শহরের অন্যান্য রাস্তার বিষয়েও বিবেচনা করা।
বৈঠকে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ ও তাদের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ট্রাফিক করিডোরের জন্য কিছু ঘরোয়া সমাধান খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। তাদের স্থানীয় দক্ষতা ব্যবহার করে সিগন্যালিং সিস্টেম ঠিক করতে বলা হয়।
বৈঠকে বুয়েটের পরিবহন ও ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন একটি প্রেজেন্টেশন দেন। তিনি বলেন, শুধু ঢাকা শহরে যানজটে প্রতি বছর দেশের অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খ নাজমুল হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করার পর ট্রাফিক পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ মোতায়েন আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল হাফিজ, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান এবং ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. বদর আবদেল আতি। তারা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ করেছেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন।
টেলিফোন আলাপে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য মো. তৌহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করেন।
তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে কাজ করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দায়িত্ব ছাড়ার পর উপদেষ্টাদের সম্পদ বাড়বে না: ধর্ম উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হাসান বলেছেন, নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর কোনো উপদেষ্টার সম্পদ একটুও বাড়বে না। এজন্য উপদেষ্টাদের জন্য সম্পদ বিবরণীর ফরম তৈরি করা হয়েছে, সবাই সেখানে হিসাব দেবেন। দায়িত্ব ছাড়ার পর আমাদের সম্পদ একটুও বাড়বে না বলে কথা দিচ্ছি।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সাম্য ও সম্প্রীতির আদর্শ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিজেদের (উপদেষ্টাদের) সম্পদের হিসাব দিচ্ছি। ক্যাবিনেটে আমাদের জন্য সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার ফরম তৈরি করা হয়েছে। আমরা হিসাব দিচ্ছি। আমি আশাবাদী, আমরা যেদিন দায়িত্ব থেকে সরে যাবো, আমার যে সম্পদ বিবরণী ছিল, তার থেকে এক টাকাও বাড়বে না। কারণ আমরা একটি আগ্ৰহের জায়গা থেকে কাজ করছি। এই দায়িত্বে আসার আগে আমার অনেক আয় ছিল। এখন সেগুলো নেই। আমার জীবনের সোনালী অধ্যায় এই সময়, আমি রাষ্ট্রের সেবা করছি।
তিনি বলেন, এখন হিউম্যান ল, হিউম্যান রাইটসসহ কত আইন তৈরি হয়েছে বিশ্বে। কিন্তু ১৪০০ বছর আগে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন সব মানুষ সমান। কোনো বৈষম্য করা যাবে না। তিনি আমাদের জন্য উত্তম চারিত্রিক নিদর্শন রেখে গেছেন। হিউম্যান রাইটস নিশ্চিত করেছেন আমাদের প্রিয় নবী।
আ ফ ম খালিদ হাসান বলেন, অনেক দার্শনিক সুন্দর কথা বলে গেছেন। কিন্তু একমাত্র রাসুল (সা.) যা বলেছেন তা প্র্যাকটিকালি করে দেখিয়েছেন। আমরা যদি রাসুলের আদর্শ মেনে চলি, মুদ্রাপাচার, লুটপাট হবে না। আমরা সবাই বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি। আমরা অর্থনৈতিক ও নির্বাচন বিষয়ে সংস্কার করে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে, কিছু সংস্কার সূচনা করে, টেকসই অর্থনৈতিক সংস্কার করে একটু সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবো। সে নির্বাচনে প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। যারা নির্বাচিত হবে তাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেবো। মানুষ এত বছর ভোট দিতে পারেনি।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বনবী যুদ্ধের ময়দানে সতর্ক করে দিতেন, কোনো নারী-শিশু যেন মারা না যায়। তিনি ঘোষণা দিতেন, গির্জা, মন্দির এবং কোনো স্থাপনায় যেন হামলা না হয়। নারীর কোনো মর্যাদা ছিল না। তিনি এসেই ঘোষণা দিয়েছেন, মায়ের পদতলে জান্নাত। তার আদর্শ আমরা লালন ও পালন করবো। অনেক ব্যক্তি আছে, যাদের দাড়ি, টুপিসহ সুন্নতি পোশাক রয়েছে। অথচ তারা লুটপাট-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এটা আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। মোহাম্মদ (সা.) বলে গেছেন, হারাম একফোটা রক্ত, কিংবা মাংস জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
কাফি