ব্যাংক
ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক
এসবের মধ্যেই এবার ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, একীভূতকরণ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে অর্থ তুলে নিচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে গত ১৫ই এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিকদের ডেকে জানায় আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেয়া হবে না।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই করেছে। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে। যদিও এর আগে গভর্নর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ৮ থেকে ১০টি ব্যাংক একীভূত করা হবে।
আর্থিক খাতের দুরবস্থা কাটাতে কয়েক ব্যাংক বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের জন্য দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ঠা এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালা অনুসরণ না করে কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এভাবে চাপিয়ে দেয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে অস্বস্তি শুরু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. তাজুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। ‘ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এর আগে ব্যাংকটিতে থাকা নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দেন। ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তাজুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে তাজুল ইসলাম কমার্স ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রমালিকানাধীন কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, জনতা ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। সেই সূত্রে তাজুল ইসলামের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের সখ্য গড়ে ওঠে। জনতা ব্যাংক থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কমার্স ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ পান।
এদিকে এমডি পদত্যাগ করলেও এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান এখনো বহাল রয়েছেন। ফলে ব্যাংকটি সংকট থেকে বের হতে পারছে না।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এস আলম গ্রুপের দখলে ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটিকে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ পুনঃগঠন করে দেয়। নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আতাউল রহমান মেঘনা ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহসিন মিয়া, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট শেখ আশ্বফুজ্জামান।
এছাড়া দুজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন-অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ। তিনি বর্তমানে সরকারের প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে আছেন এবং জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা। তিনি জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ।
কমার্স ব্যাংকের ৫১ শতাংশ শেয়ারের অংশীদার সরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৬ সাল থেকে এ ব্যাংকের পুরো নিয়ন্ত্রণ বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের হাতে ছিল। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ব্যাংকটিতে চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নিয়োগ দেয় এই গ্রুপ। তাদের মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আটকা পড়েছে ব্যাংকটির ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এদিকে কমার্স ব্যাংক থেকে কৌশলে অন্য ব্যাংকে টাকা নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি এস আলম গ্রুপ। তারা ব্যাংকটিতে প্রায় ৬০০ জনবলও নিয়োগ দিয়েছে। এর বেশির ভাগই গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকার। সার্বিকভাবে আধা সরকারি এই ব্যাংকের কার্যক্রম থমকে আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
একীভূত হচ্ছে না পদ্মা ব্যাংক-এক্সিম ব্যাংক
বেসরকারি খাতের আলোচিত পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে না এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক)। বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সাথে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন।
তিনি বলেন, ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন তারল্য সহায়তা। ইতিমধ্যে ব্যাংকটিকে এক হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রয়োজনে আরো সহায়তা দেয়া হবে।
আর্থিক অবস্থা দুর্বল হলেও সবল ব্যাংকের তকমা লাগিয়ে পদ্মা ব্যাংকের সাথে একীভূত হওয়ার চুক্তি করেছিল এক্সিম ব্যাংক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি উঠে আসে। এমনকি দুর্নীতিতে নুয়ে পড়া ব্যাংকে তৈরি হয়েছে বড় আকারের তারল্য সংকট।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে বৈঠকে বসেন এক্সিম ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদদের সদস্যরা। তারা ব্যাংকের নানা সমস্যা তুলে ধরেন গভর্নরের কাছে। চান তারল্য সহায়তা।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা নেব, যেটা আমাদের দুইমাসের জন্য হয়ে যাবে। পদ্মার সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে এখনো কিছু বলেনি। আমি বলেছি, আগামী ৬ মাস পর্যন্ত যতক্ষণ ব্যাংককে সুস্থ্য না হবে ততক্ষণ একীভূত হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইতিমধ্যে এক হাজার কোটি টাকা তারল্য দেয়া হয়েছে এক্সিম ব্যাংকে। আরো সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতিসুদ আরো বাড়ানো হবে বলেও জানান মুখপাত্র।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, এক্সিম ব্যাংক কিন্তু এর আগে এক হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে। কাজেই তারা পায়নি এটা বলা যাবে না। ভবিষ্যতে তারা যে গ্যারিন্টির জন্য যে আবেদন করেছে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক খতিয়ে দেখছে।
এর আগে গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ এক্সিম ব্যাংকের নতুন পর্ষদ গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও, এখন পর্যন্ত সাবেক পর্ষদের আগ্রাসী ঋণ বিতরণের তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি নতুন পর্ষদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সাতক্ষীরায় এসবিএসি ব্যাংকে আগুন
সাতক্ষীরায় এসবিএসি ব্যাংকে ফ্রিজ বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সুলতানপুরে ব্যাংকটির ভবনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান বলেন, ব্যাংকের ভেতরে থাকা একটি ফ্রিজ বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস সেখানে এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ব্যাংকের ভল্ট ও অন্যান্য জিনিসপত্র অক্ষত রয়েছে।
এসবিএসি ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার ম্যানেজার জিএম আব্দুল কাদের বলেন, ভবনের পেছনের বাড়ি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে বাড়ির লোকজন সিকিউরিটি গার্ড মামুন গাজী ও ইউনুস আলীকে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে সিকিউরিটি গার্ডরা আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিচেনে থাকা একটি ফ্রিজ পুড়ে গেছে। তবে ভেতরে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নাসিরুজ্জামানকে প্রত্যাহার
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাবেক সচিব মো. নাসিরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কৃষি ব্যাংক আদেশ ১৯৭৩-এর ৮(২) ধরা অনুযায়ী তাকে প্রত্যহার করা হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবার) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
উপ-সচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আদেশ, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর-২৭)-এর ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সরকারের সাবেক সচিব মো. নাজিরুজ্জামানকে এই আইনের ৮(২) ধরা অনুযায়ী ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্ত্রীসহ ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডির ব্যাংক হিসাব স্থগিত
ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাজনিন আকতারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ইউনিয়ন ব্যাংকের অনেক গ্রাহক হিসাব থেকে টাকা তুলতে না পারলেও মোক্কামেল হক বেতনের পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন।
তথ্যানুসারে, ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ২ ও ৩ অক্টোবর ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি ২ লাখ টাকা ও ৫ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর হিসাবে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। একই দিন মাসের বেতনের ১০ লাখ ৮ হাজার ২৪২ টাকা জমা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই হিসাবে জমা হয় ৪২ লাখ টাকা। এরপর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা, ২ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকা এবং ৩ অক্টোবর ৫০ লাখ ও ৫৩ লাখ টাকা তোলেন।
ইউনিয়ন ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিরা ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের কেওয়াইসি, হিসাব খোলার ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ হিসাব বিবরণী এবং পাঁচ লাখ টাকা ও তার ওপরে যেকোনো অঙ্কের টাকার লেনদেন ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।