পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সম্পৃক্ততা পেলো গোয়েন্দা সংস্থা, গ্রেপ্তার-৩

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের নামে বিভিন্ন সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলো থেকে বিভিন্নভাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়। এছাড়া উকিল নোটিশ বাহিনী গড়ে তোলার মাধ্যমে আইপিওতে আসা কোম্পানিকে রিট করা হবে বলে প্রথম ধাপে উকিল নোটিশ পাঠায়। এরপরে চাঁদা দাবি করেন সংগঠনের নেতারা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে কারসাজি ও গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়। এবিষয়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
চাঁদাবাজি করা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নামে বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ পুজিবাজার বিনিযোগকারী ঐক্য পরিষদ, এছাড়া পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন, আইসিবি ইনভেস্টর ফাউন্ডেশন, চিটাগাং ইনভেস্টর ফোরাম ইত্যাদি। যেগুলোর পক্ষে দু-চারজন ব্যক্তি সাধারন বিনিয়োগকারীদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ আছে। অথচ ওইসব সংগঠনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
জানা গেছে, বিনিয়োগকারী সংগঠনগুলো থেকে বিভিন্নভাবে কোম্পানিকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়। এরমধ্যে অন্যতম-বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের ভালো সর্ম্পক্য,তার কাছে অভিযোগ দিলে আইপিও বাতিল হয়ে যাবে; রাস্তায় নেমে বদনাম করা হবে; অনেক গণমাধ্যম তাদেরকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে, ফলে কোম্পানির নামে খারাপ সংবাদ ছড়াবে ইত্যাদি ভয় দেখানো হয়। এছাড়া উকিল নোটিশ বাহিনী গড়ে উঠেছে। যারা আইপিওতে আসা কোম্পানিকে রিট করা হবে বলে প্রথম ধাপে উকিল নোটিশ পাঠায়। এরপরে চাঁদা চেয়ে দেন দরবার করে ওইসব নামসর্বস্ব সংগঠনের নেতারা।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- (১) মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), (২)নুরুল হক হারুন (৫২), এবং (৩)আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন উর রশিদ বলেন, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের পুঁজিবাজার, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিভিন্ন শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজিকারী এবং গুজব রটনাকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিনিয়োগকারীদের নামে বিভিন্ন সংগঠন করে কোম্পানিতে চাঁদাবাজি করতো। চক্রটির লক্ষ্য ছিলো বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা। এসব সংগঠনগুলোর বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর কেউ চাঁদাবাজি করতে গেলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা। দেশের অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করে থাকেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রাম এ গোপনীয় গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা, ভূয়া এবং প্রতারণা মূলক তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধীর জন্য সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছে। সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে আসছে। এ বিষয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় মামলায় তদন্ত করে মামলা সংশ্লিষ্ট ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামী মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮-১০ টি গ্রুপ চালায়। অন-লাইনে তার অনেক ফলোয়ার রয়েছে। বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১১টি মামলা রয়েছে।
আসামী নুরুল হক হারুন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ- সভাপতি পদে আছে। বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নামে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে চাঁদাবাজি করে তিনি।
এছাড়া, আসামী আব্দুল কাইয়ুম রয়েল ক্যাপিটাল নামক ব্রোকারেজ হাউজের সাথে যুক্ত। হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে তিনি।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে। গ্রুপ গুলোতে আসামীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও পুজি বাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার নামে মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন প্রকার প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন (মূল্য সংবেদনশীল তথ্য) আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয় (যা বেশিরভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা)। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে। তালিকাভুক্ত কোম্পানীতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে ঐসব কোম্পানী সম্পর্কে অন-লাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানীর অফিস গুলোতেও হামলা করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা শেয়ারবাজারে বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে এবং এসব করার জন্য গোপনীয় হোয়াটস্যাপ/টেলিগ্রাম গ্রুপ ব্যবহার করে। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নিদিষ্ট ফি প্রদান করে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে প্রফিট হলে লভ্যাংশ অংশ দিতে হয়। লোকসান হলে তারা দায়িত্ব নেয় না।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন অনুযায়ী যেকোন শেয়ারের মূল্য নিয়ে তথ্য আদান- প্রদান সম্পন্ন অবৈধ।
গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসাইনের (নূর নূরানী ছদ্মবেশ নাম ধারণ করে আছে) নামে বিস্ফোরক দ্রব্য দমণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১১টি মামলা রয়েছে। নুরুল হক হারুন, বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিক হয়ে কোম্পানি গুলোতে চাঁদা বাজি করে।
উল্লেখ্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদা কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে নিয়মিত ভাবে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো নিয়মিত মনিটরিং এবং সাইবার পেট্রোলিং পরিচালিত হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উস্কানি দিয়ে কেউ যাতে স্বার্থ হাসিল করতে না পারে সে বিষয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।
এসএম

পুঁজিবাজার
ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে ৮৫ ব্রোকারেজ হাউজকে সময়সীমা বেধে দিলো বিএসইসি

পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ৮৫টি ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে নির্ধারিত নতুন সময়ের মধ্যে উল্লিখিত ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করতে হবে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোর পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সুপারিশের আলোকেই বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৬১ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিএসই ও সিএসইর ২৯১টি ডুয়েল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে ২৪টি ট্রেক হোল্ডার সফলতার সাথে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও সিএসইর ৮২টি সিঙ্গেল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে ৪২টি ট্রেক হোল্ডার সফলতার সাথে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে। ডিএসই ও সিএসইর সুপারিশের প্রেক্ষিতে যেসব ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করতে পারেনি সেগুলোর জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
ডিএসইর সুপারিশে পুঁজিবাজারে সদস্যভুক্ত ট্রেক হোল্ডার বা ব্রোকারেজ হাউজের মধ্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৬টি, ১৫ আগস্টের মধ্যে ১০টি, ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩১টি ব্রোকারেজ হাউজকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া, সিএসইর সুপারিশে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৭টি এবং ৩০ আগস্টের মধ্যে ২১টি ব্রোকারেজ হাউজকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ১৩ জুলাই, বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
একই সভায়, গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) এবং ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনীরিক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
কাফি
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ০৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। এদিন কোম্পানিটির ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এরপর লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবস ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। ব্র্যাক ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ০৮ লাখ টাকার।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে-আল-হাজ্ টেক্সটাইল ৫৬ লাখ টাকার এবং রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
ইসলামিক ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮১ টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৮০ পয়সা বা ৯.০৯ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফারইস্ট ফাইন্যান্সের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়সা বা ৭.৬৯। আর ৪ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪.৬৬ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বে লিজিংয়ের ৪.৪৪ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের ৩.৭৪ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৩.৩৫ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৩.২৮ শতাংশ,সি এন্ড এ টেক্সটাইলের ৩.১৩ শতাংশ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ৩.০৮ শতাংশ এবং লিগ্যাসি ফুটওয়ারের ৩.০১ শতাংশ কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৪ টির দর বেড়েছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) কোম্পানিটির দর আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে ডিএসইর দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান করে নিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্দোবাংলা ফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা২০ পয়সা বা ৯.৪৫ শতাংশ। আর ৭০ পয়সা বা ৮.৩৩ শতাংশ দর বৃদ্ধি হওয়ায় শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে সিএপিএম ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৭.১৪ শতাংশ, প্রাইম ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৬.৪৫শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৬.৩৮ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৬.২৭ শতাংশ,জিএসপি ইস্পাতের ৬.১৮শতাংশ ,গ্লোবাল হ্যাভি কেমিক্যালের ৬.০৯ শতাংশ ও প্রাইম ব্যাংকের ৬.০৬ শতাংশ দর বেড়েছে।
কাফি