জাতীয়
ঢাকা উত্তর সিটিতে অস্থায়ী ৯ পশুর হাট
ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসতে যাচ্ছে ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট। এছাড়া উত্তর সিটির গাবতলী স্থায়ী হাটেও কেনা-বেচা হবে কোরবানির পশু।
কোরবানির ঈদের আগে রাজধানীতে পশুর হাটকেন্দ্রিক একটি উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ও ছাগলসহ নানা পশু রাজধানীর হাটগুলোয় বিক্রির জন্য তোলা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে পশুর হাটগুলো। এমন সব আয়োজনে আরও মাত্রা যোগ করতে এবারের ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে বসতে যাচ্ছে হাট।
যে ৯ স্থানে বসবে হাট
গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও এবার আরও ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সেই লক্ষ্যে তারা হাটগুলোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এবারের অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন এবং আশপাশের জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়া রাহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের জায়গা এবং খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পাড়ার খালি জায়গা।
কোন হাটের মূল্য কত?
উত্তর সিটির আওতাধীন এলাকায় অস্থায়ী প্রতিটি হাটের সরকারি ইজারা মূল্যের ১০ শতাংশ টাকা পরিচ্ছন্নতা ফি বাবদ পরিশোধ করতে হবে। ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গার (ভাটারা সুতিভোলা) হাটের সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ। পাশাপাশি অফেরতযোগ্য শিডিউল মূল্য ধরা হয়েছে ৭৪ হাজার ৬০০ টাকা।
কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০০ টাকা আর শিডিউল মূল্য ২৮ হাজার ১০০ টাকা।
উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউ বাজার এলাকার খালি জায়গার হাটের মূল্য ধরা হয়েছে ৬ কোটি টাকা এবং শিডিউল মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার ৬০০ টাকা।
বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন এবং আশপাশের জায়গার হাটের দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ দুই হাজার ৭২৭ টাকা আর শিডিউল মূল্য ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা।
মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গার হাটের দাম ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা এবং শিডিউল মূল্য ২৮ হাজার ২০০ টাকা।
মোহাম্মদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ২ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং শিডিউল মূল্য ৪৪ হাজার ৬০০ টাকা।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের দাম ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং শিডিউল মূল্য ১২ হাজার ৮০০ টাকা।
৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়া রাহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের জায়গার হাটের দাম ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শিডিউল মূল্য ৩ হাজার ৯০০ টাকা।
খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পাড়ার খালি জায়গার হাটের দাম ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকা এবং শিডিউল মূল্য ৬ হাজার ৭০০ টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা এই নয়টি হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। তবে কর্তৃপক্ষ যেকোনো হাট বাতিল বা সংযোজন করতে পারে।
তিনি আরও জানান, পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য উৎসাহিত করতেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিক্রেতার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা তোলা, পাঠানো ও স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটার তালিকা হালনাগাদে ইসির প্রস্তুতি
আগামী বছর বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে (ইটিআই) আগাম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলেছে সংস্থাটি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরুর পূর্বেই প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ সকল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে এবং তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের জন্য নির্দেশিকা এবং তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষক নির্দেশিকা মুদ্রণের জন্য চূড়ান্ত করতে হবে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক৷ এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো। আগামী বছর মার্চের পর থেকে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের নৌ ধর্মঘট শুরু
এমভি আল-বাখেরা জাহাজে নিহত সাত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এমভি আল-বাখেরা জাহাজে নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সব নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এজন্য বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ঘোষিত ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর সূচনালগ্ন থেকে মালবাহী, তৈল-গ্যাসবাহী, বালুবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে বেসিক ইউনিয়ন ও শাখার নেতারাসহ সব নৌযান শ্রমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন।
তবে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আপাতত সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হয়েছে সিসিটিভি ভিডিও
সচিবালয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করতে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে স্থাপিত সিসিটিভি থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সচিবালয়ের স্পর্শকাতর স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সরকার খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
সচিবালয়ে সিসিটিভি রয়েছে কি না, কিংবা ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ের নিরাপত্তার জন্য একজন এসপি, একজন অ্যাডিশনাল এসপি ও একজন এএসপিসহ সাড়ে পাঁচশরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। এছাড়া সচিবালয়ে সাতটি টাওয়ার রয়েছে, সেগুলোতেও গার্ড থাকেন।
ব্রিফিংয়ে সরকারের নানান উদ্যোগের কথা জানাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক সেনাবাহিনী
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বা কেপিআইভুক্ত স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের বনানী অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এসব স্থানের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে সচিবালয়ে আগুনের ঘটনার বিষয়ে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে, সেখানে আগুন লাগার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চাপ নেওয়ার জন্যই সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অনেক ঘটনা ঘটছে তবে অবনতি হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনশীল রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজারে সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে আছে। ফলে সেখানে সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। এছাড়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কাজ করছে।
বান্দরবানে ত্রিপুরাদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটেছে বলেও জানান কর্নেল ইন্তেখাব।
এ সেনা কর্মকর্তা জানান, সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবে, এটা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রামে বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজ জব্দ
চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানটি জব্দ করা হয়।
এর আগে সকালে বিমানটি দুবাই থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে একটি আসনের নিচ থেকে দুই কেজির বেশি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ সময় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকার আতিয়া সামিয়া নামের এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি স্বর্ণ দোকানের বিক্রয়কর্মী বলে জানিয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এর আগে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় শাহজালালে বিমান জব্দ করা হলেও শাহ আমানতে এবারই প্রথম।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে এসে সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটে তল্লাশি চালায় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা। তল্লাশির সময় ৯-জে নম্বর যাত্রী আসনের নিচে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। জব্দ করা ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম। যেগুলোর বাজার দর প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিমানের আসনের নিচে যেভাবে স্বর্ণের বারগুলো রাখা হয়েছিল, সেগুলো বিমানের কারও সহায়তা ছাড়া রাখা সম্ভব না। তাই তদন্তের স্বার্থে কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। বিমানটি জব্দ করা হলেও সেটি বৃহস্পতিবার সকালে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রী নামিয়ে বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, স্বর্ণ উদ্ধার করা বিমানটি জব্দ করা হয়েছে, যেন বাংলাদেশ বিমানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়। তারা মনে করছেন, বিমানের আসনের নিচে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা যাত্রীর পক্ষে সম্ভব না। এটাতে বিমানে কেউ জড়িত কি-না, বিমানের ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহসহ তল্লাশি বা নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে কাগজ-কলমে বিমানটি জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রী পরিবহন চলবে।