পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়লেও দরপতন অব্যাহত
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল) সব মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একইসাথে কমেছে বাজার মূলধন। তবে আলোচ্যে সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে বেড়েছে লেনদেন।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৮৫২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। আর সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৬ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ১৬৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও কমেছে। শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ এক সপ্তাহে ১০ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৩২৭টির, বিপরীতে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমআই

পুঁজিবাজার
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস বেড়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৬০ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৩৭ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৫৩ টাকা ৫৪ পয়সা।
পুঁজিবাজার
প্রথমার্ধে আইপিডিসির মুনাফা বৃদ্ধি ৪৫ শতাংশ

দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়কালে ১৫ কোটি টাকার নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। বিনিয়োগ আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে।
আইপিডিসির অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে দেখা গেছে, ২০২৫ এর জানুয়ারি থেকে জুন-এ তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ পয়সা, যা ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ছিল ২৫ পয়সা।
ছয় মাসে মোট সুদ আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯ শতাংশ বা ৪৬৪ কোটি ৩ও লক্ষ টাকা। তবে, একইসময়ে সুদের ব্যয় ২২.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ কোটি টাকায়। এর মূলে ছিল আমানতের উচ্চ-খরচ ও গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক নীতিগত সুদহার বৃদ্ধি এবং অস্থিতিশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। তবে, সুদের খরচ ২২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৬৯০ মিলিয়ন টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, ট্রেজারি বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে আয় ১৫৮.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। তবে, আমানতের উচ্চ-খরচের কারণে পরিচালন আয় ৪.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ১০ লক্ষ টাকায়। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১১.৪ শতাংশ বেশি।
সম্পদের দক্ষ ব্যবহার, নিয়ন্ত্রিত নিয়োগ এবং পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আইপিডিসি পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, যা ৫.০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ কোটি ১০ লক্ষ টাকায়। ফলে, বছরের প্রথমার্ধে পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি টাকায়, যা গত বছরের তুলনায় ৩.২ শতাংশ বেশি দেখাচ্ছে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে, ২০২৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ১৯.৫ শতাংশ বেশি।
ফলে, কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি টাকায়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫.৩ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, প্রান্তিক ভিত্তিতে (এপ্রিল–জুন ২০২৫) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায়, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে আমাদের পারফর্ম্যান্স একটি স্থিতিশীল ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার আমাদের চেষ্টাকে তুলে ধরেছে। প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ ও ব্যয় বৃদ্ধির মাঝেও আমাদের ট্রেজারি দক্ষতা, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা এই সাফল্য এনে দিয়েছে বলে আমি মনে করি।
২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আইপিডিসির ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮,৪৩৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, যা গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ বেশি। এ সময়ে, ট্রেজারি বিনিয়োগ পোর্টফোলিও ৩৬.৪ শতাংশ বেড়েছে, যদিও ঋণ ও অগ্রিম বাবদ ২.৭ শতাংশ বেড়েছে। গ্রাহকদের আস্থা যদিও আর্থিক খাতের কিছু অংশে গ্রাহকের আস্থা কিছুটা কম ছিল, তবুও ২০২৫ সালের জুন শেষে গ্রাহক আমানত বৃদ্ধি পেয়ে ৫৬,৬৪৬ মিলিয়ন টাকা হয়েছে, যা ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য ৯.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
পুঁজিবাজার
ইউসিবির ইপিএস কমেছে ৮১ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সোমবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৪৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ৮২ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৬ টাকা ৪৬ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৫ টাকা ৭৪ পয়সা।
পুঁজিবাজার
সিটি ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে ১৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সিটি ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ।
সোমবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৮৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৭৪ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৪২ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ৪৭ পয়সা।
পুঁজিবাজার
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ২৮৩তম বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ আগস্ট।
এসএম