ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সহকারী ক্যাশিয়ার পদে চাকরি দেবে পল্লী বিদ্যুৎ

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৮ এপ্রিল থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২০ মে পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা ডাকযোগ বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
একনজরে সহকারী ক্যাশিয়ার পদের বিজ্ঞপ্তি
প্রতিষ্ঠানের নাম: ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩
পদের সংখ্যা: ০১টি
লোকবল নিয়োগ: ০৩ জন
পদের নাম: সহকারী ক্যাশিয়ার
পদের সংখ্যা: ০৩টি (কম/বেশি হতে পারে)
বেতন: ১৮,৩০০-৪৬,২৪০ টাকা এবং নিয়মানুযায়ী অন্যান্য ভাতাদি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
চাকরির ধরন: স্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: শুধু নারী
কর্মস্থল: ময়মনসিংহ
বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
আবেদন ফি: সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার/জেনারেল ম্যানেজার ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর অনুকূলে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক হতে ২০০ টাকা মূল্যমানের পে- অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করতে হবে।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মে ২০২৪
এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হয়েছেন যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার পর সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
একে একে ২১টি হল সংসদের ফল ঘোষণা করছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
আলবেরুনী হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত আহমেদ শাকিল। জিএস হয়েছেন মোনতাসির বিল্লাহ খান। এজিএস সাদমান হাসান খান।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বুবলী আহমেদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস হয়েছে সুমাইয়া খানম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), এজিএস প্রার্থী নেই।
শহীদ সালাম–বরকত সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মারুফ হোসেন। জিএস হয়েছেন মাসুদ রানা, এজিএস আবরার আজিম ভুঁইয়া।
১০ নম্বর (ছাত্র) হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ মিয়া। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
১৫ নম্বর (ছাত্রী) হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শারমীন খাতুন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস মেহনাজ মোহনা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা আক্তার।
বেগম সুফিয়া কামাল হল সংসদে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না, সেজন্য নির্বাচন হয়নি। অনেক পদ শূন্য থেকেছে। ভিপি হয়েছেন জান্নাতুন নাঈম জেরিন, জিএস হয়েছেন রুবিনা জাহান তিথি।
বীর প্রতীক তারামন হল সংস্দের ভিপি ফারজানা আক্তার উর্মি, জিএস প্রিয়াঙ্কা কর্মকার প্রিয়া, এজিএস কুদরাতি লাবণ্য।
বিস্তারিত আসছে…
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচন: আরও এক কমিশনারের পদত্যাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গতকাল পদত্যাগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার পদত্যাগ করেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন আরেক নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে পদত্যাগের সময় মাফরুহি সাত্তার বলেছিলেন, নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি, যা প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু হয়। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
তবে এর মাঝেই জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। আজ দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই দিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। টানা তিন দিন ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার সময় জানায় নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন নিয়ে নানা নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়। এর আগে নির্বাচন বয়কট করেছে ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রোববার বন্ধ ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আগামীকাল রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও অফিস বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনকেন্দ্রিক টানা চার দিন কার্যক্রম চলার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিস যথারীতি চালু হবে। তবে পূর্বনির্ধারিত সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আজ শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে ভোট গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশন আশা করছে, শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
তবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম যথারীতি চলবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কার্যালয় খোলা থাকবে এবং ভর্তির কাজে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিসে উপস্থিত থাকবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভিপি প্রার্থী আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ইবি শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস

সম্প্রতি ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর ফল ঘোষণার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইমুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন। এক পর্যায়ে সেটি ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এবিষয়ে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সমাজ কল্যাণ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহান হাসান সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন।
তবে তাদের পোস্ট করা ২৬ সেকেন্ডের মূল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ‘তুমিও জানো আমিও জানি, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ স্লোগান নেন। পাশাপাশা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ নিয়েও ব্যঙ্গ করেন। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কাঁটছাট করে শুধু ‘প্লিজ কেউ ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশ প্রচার করা হয়।
আবিদ ভাইয়ের ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ মন্তব্য করা নিয়ে সোহান হাসান সাকিব লিখেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের করা একটি ভিডিয়োর কিছু অংশকে অনেকেই সমালোচনাসহ প্রচার করছেন, যেখানে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভাইয়ের ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশটুকু ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন মনে করে এই পোস্ট।
তিনি আরও বলেন, এই ভিডিওটি আমরা করেছি সহপাঠীদের মধ্যে আড্ডার ছলে। এটি সেন্স অব হিউমার থেকে করা। এইটা জাস্ট একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। এটি উদেশ্যমূলকভাবে কাউকে আঘাতের জন্য করা হয়নি। ভিডিয়োটিতে আবিদ ভাইয়ের কথার পাশাপাশি সাদিক কায়েম ভাইকে নিয়েও মন্তব্য ছিল। কিন্তু ভিডিওটির একটি অংশ পোস্ট করে আবিদ ভাইয়ের বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করে একটি নেগেটিভিটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভিডিওটি ছিল কেবলই হলের একটি রুমে বসে বন্ধুদের মাঝে আড্ডার অংশ। এটি কোনো রাজনৈতিক বৈঠক বা উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা ছিল না। এছাড়া এটি কেবলই ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে, অনেকে এটিকে জুলাই আন্দোলনে আবিদ ভাইয়ের সেই বিখ্যাত আহ্বানকে অবমূল্যায়নের কথা বলছেন, এটি কোনোভাবেই তেমন উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি। বরং বিষয়টির এমন অর্থ নিয়ে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন এটি আমাদের মর্মাহত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই যোদ্ধা আবিদ ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তার হৃদয়গ্রাহী আহ্বান— “প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না” আন্দোলনের কঠিন মুহূর্তে হাজারো শিক্ষার্থীর মনোবল ধরে রেখেছিল, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আমরাও আন্দোলনের মাঠে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।
তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, মজার ছলে করা আমাদের এই ভিডিওটি এভাবে মানুষকে কষ্ট দেবে, বিশেষ করে আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের, এটি কখনোই ভাবতে পারিনি। আবিদ ভাইসহ যারা আমাদের এই কর্মকাণ্ডে ব্যথিত হয়েছেন সবার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আবিদ ও সাদিক ভাইসহ সকলের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. মাহমুদুল হাসান বলেন, কয়েকজন বন্ধুরা মিলে মজার ছলে ভিডিও করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। অথচ একই ভিডিওতে সাদিক কায়েমকে নিয়েও ট্রল করেছেন। ইস্যু ক্রিয়েট করার জন্য একটা মহল কাটছাঁট করে ভিডিও ছড়িয়ে ভাইরাল করেছে। ভিডিওতে থাকা কয়েকজন আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া শহরে পুলিশের মার খেয়েছে। তবে তাদেরকে আন্দোলন বিরোধী হিসেবে মুখোমুখি দাঁড় করা হচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছে এবং আবিদ ভাইয়ের কাছে ক্ষমার জন্য যোগাযোগ করছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন- ওমর ফারুক (ইইই ২০-২১ সেশন), নাহিদ হাসান (আল কুরআন ২০-২১), নাইমুর রহমান (অর্থনীতি ২১-২২), সোহান (সমাজ কল্যাণ ১৭-১৮), রোকনুজ্জামান রোকন (মার্কেটিং ১৯-২০), মোজাম্মেল (দাওয়াহ ২১-২২), আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ (আল হাদিস ২০-২১)। তারা সবাই ইবি শাখা ছাত্র শিবিরের হল ও ফ্যাকাল্টির নেতাকর্মী।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সন্ধ্যা সাতটায় জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নাটকীয়তার ইতি টানলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় জাকসু ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এর আগে প্রক্টর ও জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম জানান দুপুর আড়াইটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিহ হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতাও কম। তবে সবাই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আশা করছি আর দেরি হবে না। আড়াইটার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার লুৎফুল এলাহীও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুরে ফলাফল হতে পারে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আজ (শুক্রবার) রাতের মধ্যেই আমরা যেন ফল ঘোষণা করতে পারি, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হলেও তা এখনো চলমান। জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।