পুঁজিবাজার
আরও ৯০ কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে পাঠাতে চায় ডিএসই, আটকে দিলো বিএসইসি

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি নতুন করে তালিকাভুক্ত আরও ৯০টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। পরবর্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ডিএসইর এ সিদ্ধান্তকে আটকে দেয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ডিএসইর রেগুলেসন অনুযায়ী অনেকগুলো কোম্পানি ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়ে জেড ক্যাটাগরিতে যাওয়ার যোগ্য। তার পরিপেক্ষিতে সেসব কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের জন্য বিএসইসির অনুমতি চায় ডিএসই। কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ডিএসইর এ সিদ্ধান্ত আটকে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
জানতে চাইলে এবিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ডিএসইর চেয়ারম্যান হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু অর্থসংবাদকে বলেন, বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়। ডিএসইর ম্যানেজমেন্ট টিম বেশকিছু কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের জন্য তালিকা উত্থাপন করে। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে এই মুহূর্তে এমন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য বলেছি। সেই সঙ্গে কোনো কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন বা যেকোনো সিদ্ধান্তের আগে ম্যানেজমেন্ট টিম যেনো বোর্ডকে অভিহিত করে তা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাটাগরি পরিবর্তনের জন্য ৯০ কোম্পানির তালিকা বিএসইসিতে পাঠানোর বিষয়টা আমার সঠিক জানা নেই। তবে আমার মনে হয় অনেক আগে ডিএসইর তদন্ত টিম এই সমস্ত কোম্পানিগুলোকে তদন্ত করেছিলো আর সেই প্রতিবেদন বিএসইসিতে পাঠিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্তে সম্মতি দেবে না। বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরাও একমত। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেছেন আমরা সম্মিলিতভাবে বাজারকে স্বাভাবিক করবো, এই মুহূর্তে কোনো কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে না।
এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ফেরাতে কোম্পানিগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেয় নিয়ন্ত্রক বিএসইসি। নির্দেশনা বলা হয়, কোন কোম্পানি লভ্যাংশ প্রদান ও এজিএম করতে ব্যর্থ হলে তাকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। এ নির্দেশনা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। এদিনই ২২ কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এরপর গত ০৪ মার্চ নতুন করে আরও ৬টি কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এর ফলে জেড ক্যাটাগরির প্রভাব পড়তে থাকে বাজারে। এরপর থেকে ধারাবাহিক পতন হতে থাকে শেয়ারবাজারে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
সাবেক সচিব খাইরুলের ছেলের ৫৪ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলামের ছেলে মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির একটি বিও হিসাবের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এ শেয়ারে ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা রয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন দুদকের উপ সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এর আগে দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার এসব শেয়ার অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সস্পত্তি জামানত হিসেবে মর্টগেজ দিয়ে বেসিক ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, খাইরুল ইসলাম তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একাত্ম সচিব-১ হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অসদাচারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার অনুসারে প্রতিজন ঋণগ্রহীতাকে গৃহঋণ বাবদ সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিধান থাকলেও নিজের নাবালক দুই সন্তান রওশন শিপারিন মেঘমালা ও মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের প্রত্যেকের নামে দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। মোরসালিন ইসলাম সৌরদীপের শেয়ারগুলো জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ করা প্রয়োজন। এই শেয়ারের মূল্য ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে থাকা ১৪টি কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৩ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এছাড়া ফৌজিয়া ইসলামের নামে ইজারা ও বায়না দলিলে বান্দরবানের লামা উপজেলায় ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
জানা যায়, ফ্রিজ হওয়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ১৪টি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। ব্যাংক হিসাবগুলোতে আছে এক কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৫ টাকা। আর শেয়ারের মূল্য ৩ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ টাকা। জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে ঢাকার গুলশানে জমিসহ একটি ফ্ল্যাট, চট্টগ্রামের হালিশহরে চার তলা পাকা বাড়ির তিনভাগের একভাগ অংশ রয়েছে। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলায় ইজারা ও বায়না দলিল মূলে ৫৩ দলিলে প্রায় ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি রয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং তার স্বামী মো. তাজুল ইসলাম কর্তৃক অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা তদন্তকালে তার নামে ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায়। যা তিনি যেকোনো সময় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়।
এর আগে ১৩ এপ্রিল সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নামে থাকা ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের ২৮ বিঘা জমি, কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় থাকা দুইটি বাণিজ্যিক স্পেস, একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া তার নিজ ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৫০টি ব্যাংক হিসাব ও শেয়ারে জমাকৃত ২৮ কোটি টাকা ফ্রিজ করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিলো বিকন ফার্মা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিকন ফার্মাসিটিক্যালস ‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করছে’। সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিক প্রত্রিকায় এমন খবর প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটি চিঠি পাঠায়। এতে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে কোম্পানিটি।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি ডিএসইর চিঠির জবাবে জানায় আমরা ডিএসইতে পাবলিকলি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। আমরা ধারাবাহিকভাবে আর্থিক প্রতিবেদন এবং মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করি। এছাড়াও আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা কেীশল এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রকাশের একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করা হয়েছে।
বিকন মেডিকেয়ারের কাছে পণ্য বিক্রির বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই ধরনের লেনদেনগুলি আমাদের কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত সহযোগীতার অংশ এবং এক্সচেঞ্জর প্রযোজ্য নিয়ামের সম্পূর্ণ সম্মতিতে পরিচালিত হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৪৮ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ২৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৮৫টি শেয়ার ৭৩ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ম্যারিকোর ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসিআই লিমিটেডের ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির ৪ কোটি টাকা ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এস্কয়ার নিটের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এস্কয়ার নিট কম্পোজিট পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২৮ এপ্রিল বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম