স্বাস্থ্য
তাপপ্রবাহে অতি উচ্চঝুঁকিতে বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে শিশুরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।
ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে শিশুদের জন্য। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস। তবে অন্যান্য যে কোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।
মাসের এখনও বাকি সপ্তাহখানেক, এরই মধ্যে কয়েক দফায় হিট অ্যালার্ট জারি হয়েছে দেশে। মাসের মাঝামাঝি এসে প্রতিদিন মরুর দেশগুলোর তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা।
টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, গত এক দশক থেকেই এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২। তবে এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে থাকছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের ওপর অসহনীয় গরমের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জলবায়ুর ক্রমবর্ধমান বিরূপ পরিবর্তনে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফও।
তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য সম্মুখসারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশিতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠান্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন পান করতে দিন। হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কোনকিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে হবে।
প্রতিবেশীদের প্রতিও খেয়াল রাখার পরামর্শ
তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চঝুঁকিতেও তারাই বেশি থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ক্যানসার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু
দূরারোগ্য থাকছে না ক্যানসার। আর প্রাণ যাবে না এই ব্যাধীতে। এমনটিই আশার আলো দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যানসারের সম্ভাব্য প্রতিষেধক আবিষ্কারের পর প্রথমবারের মতো তা পরীক্ষামূলকভাবে রোগীর দেহে প্রয়োগ করা শুরু করেছেন তারা।
গবেষকরা জানান, টিকাটি মূলত ফুসফুস ক্যানসারের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। যাকে বলা হচ্ছে, এমআরএন টিকা। এর মধ্যে হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষার ‘যুগান্তকারী’ সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বে যত মানুষ মারা যায়, তার মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। প্রতি বছর প্রায় ১৮ লাখ মানুষ মারা যায় এই ব্যাধীতে। ফুসফুসের ক্যানসারে টিউমার ছড়িয়ে পড়া রোগীদের বাঁচার হার একেবারেই কম।
গবেষকরা জানান, তারা পরীক্ষামূলকভাবে যে টিকা দিচ্ছেন, সেটি ক্যানসার কোষকে আক্রমণ করবে এবং এর ফিরে আসাও প্রতিরোধ করবে। বহুল আলোচিত এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে বিএনটি-ওয়ান ওয়ান সিক্স। এটি তৈরি করছে জার্মান ওষুধ প্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক।
গবেষকরা আরও জানান, এই টিকার লক্ষ্য, ক্যানসারের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তোলা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা
দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য আটটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. বন্যাকবলিত এলাকার সকল সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম চালু রাখতে হবে।
২. প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে।
৩. বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডায়রিয়া, সর্প দংশনসহ বন্যা সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যথাপোযুক্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, এন্টি ভেনম ইত্যাদি মজুদ রাখতে হবে।
৪. বন্যাদুর্গত হাসপাতালসমূহে যন্ত্রপাতিসমূহ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য উচু স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. জরুরি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ অ্যাম্বুল্যান্সসমূহ প্রস্তুত রাখতে হবে।
৬. বন্যাদুর্গত জেলাসমূহের সকল চিকিৎসক, নার্সসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর অনুমতি ব্যতিরেকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
৭. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বন্যাদুর্গত এলাকার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তাগণকে অনুরোধ করা হলো।
৮. বন্যা মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক গঠিত কন্ট্রোল রুমের সাথে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ডে এমপক্স শনাক্ত
আফ্রিকার একটি দেশ থেকে থাইল্যান্ডে আসা ইউরোপীয় এক নাগরিকের শরীরে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপীয় ওই নাগরিক গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে আসেন বলে বুধবার দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমপক্সের কোন ধরনে ইউরোপীয় ওই নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন তা জানার জন্য পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাপরিচালক থংচাই কিরাতিহাত্তায়কর্ন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গত ১৪ আগস্ট আফ্রিকার একটি দেশ থেকে থাইল্যান্ডে আসেন ৬৬ বছর বয়সী ইউরোপীয় ওই নাগরিক। এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরনে আক্রান্ত হিসেবে ধরে নিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরন ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে মানুষের মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এমপক্সের এই ধরনের কারণে বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে ইউরোপের দেশ সুইডেনে এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরনে আক্রান্ত একজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়।
আফ্রিকায় এমপক্সের এই ধরনের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের সাথে সুইডেনে শনাক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে এমপক্সের ক্ল্যাড-১ ধরনে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় সুইডেনে।
থংচাই কিরাতিহাত্তায়কর্ন বলেন, তিনি (ইউরোপীয় নাগরিক) ফ্লাইট থেকে নামার পর অল্প সময়ের জন্য অন্যদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসেন এবং পরের দিন ১৫ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে যান তিনি।
ওই ব্যক্তি এমপক্সের অতি-সংক্রামক ক্ল্যাড-১ ধরনে আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে পরীক্ষার ফল পাওয়া যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। থংচাই বলেন, ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন সন্দেহে দেশে অন্য আরও ৪৩ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এই মহাপরিচালক এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তি আফ্রিকার কোন দেশ থেকে এসেছেন তা জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর আগে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ট্রানজিট নিয়েছিলেন। ইউরোপীয় ওই ব্যক্তির ট্রানজিট নেওয়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশের নামও জানাননি থংচাই।
২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডে এমপক্সের ক্ল্যাড-২ ধরনে আক্রান্ত অন্তত ৮০০ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশটিতে এখন পর্যন্ত এমপক্সের অতি-সংক্রামক ধরন ক্ল্যাড-১ কিংবা ক্ল্যাড-১বি শনাক্ত করা যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
চিকিৎসাসেবায় অবহেলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা জারি
চিকিৎসাসেবায় অবহেলা করলে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। আজ রবিবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, ভর্তি রোগীদের চিকিৎসাসেবার ব্যয় সরকার বহনের ঘোষণা দিয়েছে। এরপরও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) বিরুদ্ধে এ সেবার বিপরীতে টাকা নেওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। এই কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবশ্যিকভাবে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবে না, প্রত্যেক ডাক্তারকে রোগী দেখার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে, সাক্ষাতের সময় ব্যতীত কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতর এবং রোগীর কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।
একইসঙ্গে এ আদেশ পরিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
মাঙ্কিপক্স চিনবেন যেসব লক্ষণ দেখে
আফ্রিকার পর এবার ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। সুইডেনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়, যা ক্রমেই মহামারীতে রূপ নিতে পারে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ভাইরাসের বাহক কেবল বানরই নয়, ইঁদুরও। মাঙ্কিপক্স মূলত ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১১০০ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে স্মলপক্সের মিল আছে। তবে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বেশির ভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মাঙ্কিপক্স চিনবেন যেসব লক্ষণ দেখে
সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর (১০১.৩° ফারেনহাইট), মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, ফোলা লসিকা গ্রন্থি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। লসিকা গ্রন্থির ফোলাভাব মাঙ্কিপক্সের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত লক্ষণ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দুটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে- ক্ল্যাড-১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। এই রোগে প্রতি ১০০ আক্রান্ত রোগীর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়।
প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোসকা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা। মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
এমআই