জাতীয়
শিশুশ্রমে যুক্ত না হতে শিশুদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে: স্পীকার

শিশুরা যেন শিশুশ্রমে যুক্ত না হয়ে স্কুলে যেতে পারে, এজন্য আর্থিক প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানী প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউনিসেফ আয়োজিত ‘ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
স্পিকার বলেন, শিশুরা আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ, তাই তাদের প্রয়োজনগুলো আমাদেরকে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, মীনা কার্টুন শিশু শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন শিশু অধিকার বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে। তিনি বলেন, ইউনিসেফ শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে চলছে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিই মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসের সার্থকতা।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন করেছেন।
শিরীন শারমিন বলেন, শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ ও সেবাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গণমাধ্যমের বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট শিশু অধিকার নিশ্চিতে নীতি নির্ধারকের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের রিপ্রেজেনটেটিভ শেলডন ইয়েট। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ মো. জাফর ইকবাল, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত বিদ্যা সিনহা মীম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং পাঠশালা ইন্সটিটিউটের প্রভাষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতারসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে প্রিন্ট ও অনলাইন জার্নালিজম, ভিডিও জার্নালিজম এবং ফটোজার্নালিজমের বিচারক ও নোমিনি পাওয়া সাংবাদিকরা, ইউনিসেফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি হাবের শিশুরা, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শোক ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল।
রবিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার পরে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিছিল শুরু হয়। চারশ বছরের পুরনো এই ইমামবাড়ায় ভোর থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারও মুসলিম জড়ো হতে থাকেন।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই কালো পোশাক পরিধান করেছেন, যা শোক প্রকাশের প্রতীক। অনেকের হাতে প্রতীকী ছুরি, আলাম, নিশান, বেস্তা ও বইলালাম- যা কারবালার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিবেশ ছিল ভারাক্রান্ত ও আবেগঘন। ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনিতে রাজধানীর বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। শোকযাত্রাটি আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মিছিলে অংশ নিতে আসা মহব্বত বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। ইমাম হোসেন ও তার পরিবারকে যেভাবে কারবালার প্রান্তরে শহীদ করা হয়েছিল, সেটি আমরা কখনো ভুলতে পারি না। প্রতিবছর আমি এই মিছিলে অংশগ্রহণ করি, যেন নিজেকে তাদের সেই ত্যাগের সঙ্গে একাত্ম করতে পারি।
তাজিয়া মিছিল নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। হোসেনি দালান ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, সোয়াট, অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্য।
পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। হিজরি ৬১ সালের ১০ মুহাররম কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (আ.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতিবছর আশুরার দিন তাজিয়া মিছিল আয়োজন করে থাকেন শিয়া মুসলিমরা।
জাতীয়
ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস

পবিত্র আশুরা আজ। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। ফলে মাঝারি বা সহনীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকার বায়ু।
বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১২ নম্বরে।
রোববার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা কামপালার স্কোর ১৭২ অর্থাৎ সেখানকারবাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা।
অন্যদিকে, ১২ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এই শহরটির দূষণ স্কোর ৯০ অর্থাৎ এখানকার বাতাস মাঝারি বা সহনীয় অবস্থানে রয়েছে।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
জাতীয়
আজ পবিত্র আশুরা

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে শোকের এ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল এ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র। হজরত আলীর মৃত্যুর পর খলিফা হন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন।
তবে ইয়াজিদের কাছে বায়াত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন (রা.)। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন তিনি। পরে কারবালা ময়দানে সঙ্গীদের নিয়ে যাত্রাবিরতি করেন। ইমাম হোসেন (রা.) ও তার অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ বিন আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।
আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। পানির অভাবে কাফেলার নারী-শিশুরা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তার ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হোসেনকে হত্যা করে।
ইসলাম ধর্মমতে, ১০ মহররম আশুরার দিনেই কেয়ামত হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন।
কারবালার শোকাবহ স্মরণ ছাড়াও মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম গুরুত্বপূর্ণ দিন। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে এ দিনে মাতম করেন। আজ রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল হবে।
আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। তিনি সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।
জাতীয়
শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন যে, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে এবং খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। আজ শনিবার (৫ জুলাই) যশোর সার্কিট হাউজে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশে খাদ্য মজুদ বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
বাজারে চালের মূল্য কেন কমছে না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বোরো উৎপাদন ভালো হয়েছে, খাদ্য মজুতও সন্তোষজনক। শিগগিরই চালের বাজার সহনীয় হয়ে আসবে। তিনি উল্লেখ করেন, চালের দাম বাড়াতে বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলার উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
জাতীয়
পবিত্র আশুরা জুলুমের বিপরীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহস জোগাবে: প্রধান উপদেষ্টা

পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস যোগাবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার (৫ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস তার বাণীতে বলেন, “পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, ইসলাম সত্য, ন্যায় এবং শান্তির ধর্ম। ইসলামের এই সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহচরবৃন্দ বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।”
কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ একটি দিন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী সৃষ্টিসহ নানা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এদিনে সংঘটিত হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে দুটি রোজা রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এই মহিমান্বিত দিনটির তাৎপর্য ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সকলের প্রতি বেশি বেশি নেক আমল করার আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস। একইসঙ্গে সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পবিত্র আশুরার এই দিনে তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।