লাইফস্টাইল
তীব্র গরমে যেভাবে ঠান্ডা থাকতে পারেন
গ্রীষ্মকাল অনেকের কাছে পছন্দের হতে পারে, কিন্তু তাপপ্রবাহ আমাদের শরীরের জন্য অনেক সময় ক্ষতির কারণও হতে পারে। বাংলাদেশে এই মূহুর্তে চলছে গ্রীষ্মের খরতাপ, স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে চলছে হাসফাঁস অবস্থা। আপাতত আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও নেই তীব্র গরম কমার কোন খবর। আর এই গরমে রোগ-বালাই এড়িয়ে সুস্থ থাকা বেশ কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা এ সময়ে সুস্থ থাকার জন্য নানা পরামর্শ দেন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স জানিয়েছেন যে কিভাবে তাপকে পরাস্ত করে গ্রীষ্মেও ঠান্ডা থাকা যায়। আমরা অনেকেই হয়তো সূর্য্যের আলো পছন্দ করি, কিন্তু অতি উচ্চ তাপমাত্রা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তাপপ্রবাহ কারো কারো জন্য একটু বেশি ক্লান্তিকর এবং হিট ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও থাকে অনেকের। যাদের শারীরিক ওজন বেশি, বয়স্ক কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক, নিয়মিত কোন রোগের ওষুধ সেবন করছেন কিংবা যারা কোন দীর্ঘমেয়াদি অসুখে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
গরমে করনীয়
যাদের আগে থেকেই কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে যেমন হৃদরোগ বা বক্ষব্যাধী রয়েছে, এই গরম আবহাওয়ায় তাদের শরীরে উপসর্গ আরো খারাপ হতে পারে, ফলে তাদের সচেতন থাকাটা জরুরী। কারণ গরম আবহওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে আমাদের হৃদপিন্ড ও শ্বাসযন্ত্রের কাজ বেড়ে যায়। এই চরম আবহাওয়ায় আপনার নিজেকে এবং অন্যদের নিরাপদে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আপনি যখন বাইরে থাকেন কিংবা বাইরে বের হওয়ার চিন্তা করছেন বা জনসমাগম রয়েছে এমন কোথাও রয়েছেন তখন নিজেকে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন। এটা জানা জরুরী যে সব এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থাই একটানা বিরামহীনভাবে চালানোর জন্য অনুমোদিত। কিন্তু আপনার যদি কোন ধরণের সন্দেহ থাকে তাহলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই সেটি পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।
তীব্র গরমে ঠান্ডা থাকার ৮ উপায়
পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ করুন
গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায় কারণ ঘামের জন্য আপনার দেহ থেকে যে তরল বের হয়ে যায় তার ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পানের দরকার হয়। যে কারোরই পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে তবে বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু এবং নবজাতকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। পানিশূন্যতা দূর করার জন্য পানি পান করাটাই সবচেয়ে ভাল উপায়। এছাড়া কম চর্বিযুক্ত দুধ, চা এবং কফিও খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
হালকা ও তাজা খাবার
হালকা এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে হাওয়ার চেষ্টা করুন। দেহে পানিশূন্যতা দূর করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া। যেমন স্ট্রবেরি, তরমুজ, শশা, লাউ ইত্যাদি।
যথাসময়ে আহার
ব্যস্ত জীবনে সবসময় খাওয়া আর ঘুমের সময় ঠিক রাখা অনেকের জন্য কেবল কঠিনই নয়, কারো কারো জন্য সেটি প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন সুস্থতার জন্য সেটি জরুরী। আর অন্য যেকোন সময়ের মত গরমেও ঠিক সময়ে খাওয়া এবং ঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন।
হালকা, ঢিলেঢালা এবং অনুজ্জ্বল কাপড়
এ সময়ে সম্ভব হলে হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন কাপড় পরার চেষ্টা করুন। গরমে আরাম পেতে সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে।
নির্দিষ্ট সময়ে ছায়ায় থাকুন
দিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্য্যের তাপ বেশি থাকে, যেমন সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন। শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করুন।
নিয়মিত খবর রাখুন
আবহাওয়ার খবরাখবর নিয়মিত রাখুন, এতে সরাসরি আপনার শরীরে শীতল অনুভূতি আসবে না তা সত্যি। কিন্তু মনে রাখবেন, পূর্বাভাস জানলে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারবেন আপনি। এছাড়া গরম আবহাওয়ার কারণে বায়ু দূষণ বেড়ে যায়। তাই আপনার পরিবারে যদি কেউ শ্বাসযন্ত্রের কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তার বাইরে থাকার পরিমাণ কমিয়ে দিন।
ছাতা ভুলবেন না
বাড়ির বাইরে যাওয়ার দরকার হলে ছাতা ব্যবহার করুন। যেখানে সম্ভব সানগ্লাস বা হ্যাট পড়ুন। আর সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন, এতে আপনার ত্বক সরাসরি রোদে পোড়ার হাত থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে।
শোবার ঘরটি ঠান্ডা রাখুন
আপনার শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন, যাতে আপনার ঘুমে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে, খেয়াল রাখুন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন। এছাড়া ঘরের মেঝে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতে পারেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
তালের ক্ষীর বানানোর সবচেয়ে সহজ উপায়
বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাকা তাল। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এই ফল দিয়ে তৈরি করা যায় অনেক রকম মজাদার খাবার। বিশেষ করে তালের বিভিন্ন পিঠা আমরা খেয়ে থাকি। আপনি কি জানেন যে তাল দিয়ে সুস্বাদু ক্ষীরও তৈরি করা যায়? অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় তালের ক্ষীর। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক তালের ক্ষীর তৈরির সহজ রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
তালের ক্বাথ- ২ কাপ
নারিকেল- ১ কাপ
পোলাও চালের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
চিনি- ২ কাপ
লবণ- এক চিমটি।
প্রথমে তাল থেকে ভালোভাবে ক্বাথ বের করে নিন। যেন তাতে তালের আঁশ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ আঁশ থেকে গেলে খাওয়ার সময় তা মুখে আটকে যেতে পারে। তাই ভালোভাবে চেলে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে একটি পরিষ্কার হাঁড়িতে করে চুলায় জ্বাল দিন। দ্রুত হাতে নাড়তে হবে নয়তো তালের ক্ষীর রান্নার পাত্রের সঙ্গে লেগে যেতে পারে। ক্ষীর পর্যাপ্ত ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে। এই ক্ষীর ঠান্ডা করে খেলে বেশি সুস্বাদু লাগে। রুটি কিংবা ভাতের সঙ্গেও বেশ মজাদার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকেই সকালে ওঠার পর পেট ফাঁপা অনুভব করেন। এতে পুরো দিনটাই নষ্ট হতে পারে। এই সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের কারণে বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি এই সমস্যা দূর করার জন্য মুঠো মুঠো গ্যাসের ওষুধ খান তাহলে তখন হয়তো কিছুটা আরাম পাবেন তবে এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বাসা বাঁধতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়-
লেবু দিয়ে গরম পানি
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে আপনার দিনটি শুরু করতে পারেন। একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী প্রতিকার। লেবুর রয়েছে হজমের রসকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা, যা গ্যাস এবং পেট ফাঁপা উপশম করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ছেঁকে নিন। ভালো করে নেড়ে নিয়ে সকালে খালি পেটে প্রথমে পান করুন। লেবু হজমের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং একটি হালকা মূত্রবর্ধক প্রভাব রয়েছে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্যাস এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পানির উষ্ণতা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
জিরা চা
জিরা আমাদের রান্নাঘরের একটি প্রধান উপকরণ। এর পাচক উপকারিতা সুপরিচিত। জিরা চা কার্যকরভাবে পেট ফাঁপা এবং গ্যাস কমাতে পারে। এক চা চামচ জিরা নিয়ে শুকনো প্যানে হালকাভাবে ভাজুন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে ভাজা জিরা দিন। এটি ৫-৭ মিনিটের জন্য সেদ্ধ হতে দিন। এবার ছেঁকে নিয়ে পান করুন। জিরার বীজে এমন যৌগ রয়েছে যা হজমের এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং গ্যাস কমায়। চায়ের উষ্ণতাও পেটকে প্রশান্তি দেয়।
আদা ও তুলসিপাতা
আদা এবং তুলসিপাতা হজমের সুবিধার জন্য পরিচিত। এগুলো গ্যাস এবং পেট ফাঁপার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার। এক টুকরো আদা পাতলা করে কেটে নিন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে আদার টুকরো ও ৫-৬টি তুলসি পাতা দিন। দশ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং হজমকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে তুলসি পাচনতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে। এই সমন্বয় গ্যাস কমাতে এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
লটকন খাওয়ার ৮ উপকারিতা
বাজারে লটকন পাওয়া যাচ্ছে। কাঁঠালের চেয়েও দ্বিগুণ ক্যালরি আছে লটকনে। আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম আছে। এই ফলে আছে প্রচুর ভিটামিন-সি। বর্ষাকালে লটকন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে মরণঘাতী ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে এ ফল।
লটকন খাওয়ার ৮ উপকারিতা
১. লটকনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম আছে। গবেষকরা বলছেন, লটকনে থাকা বিভিন্ন উপাদান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২.যাদের ওজন বেশি, যাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ রয়েছে, তারা লটকন খেতে পারেন। কেননা, এ ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩.ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এ ফল উপকারী। ডায়াবেটিসের কারণে যারা বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন না, তারা লটকন খেতে পারবেন। কেননা, এ ফলে ক্যালরি ও ফ্যাট কম পরিমাণে থাকে।
৪. প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে লটকন খেলে ভিটামিন-সি’র ঘাটতি পূরণ হয়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. লটকনে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। আয়রনের অভাবে মূলত অ্যানিমিয়া হয়। লটকনে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া তথা রক্তস্বল্পতা দূর করে।
৬. বিভিন্ন কারণে যাদের চোখ লাল হয়ে যায়, তারা লটকন খেলে উপকার পাবেন। লটকনে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান চোখ লাল হওয়া থেকে শুরু করে চুলকানি সারাতেও সহায়তা করে।
৭. বেরিবেরি রোগ, শারীরিক দুর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট ও পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো ছোট-বড় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে লটকন।
৮. খাবারের অরুচি দূর করে রুচি বাড়াতেও লটকনের ভূমিকা রয়েছে। জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও সক্ষম এ ফল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
মাঙ্কিপক্স চিনবেন যেসব লক্ষণ দেখে
আফ্রিকার পর এবার ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। সুইডেনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়, যা ক্রমেই মহামারীতে রূপ নিতে পারে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ভাইরাসের বাহক কেবল বানরই নয়, ইঁদুরও। মাঙ্কিপক্স মূলত ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১১০০ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে স্মলপক্সের মিল আছে। তবে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বেশির ভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মাঙ্কিপক্স চিনবেন যেসব লক্ষণ দেখে
সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর (১০১.৩° ফারেনহাইট), মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, ফোলা লসিকা গ্রন্থি এবং ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। লসিকা গ্রন্থির ফোলাভাব মাঙ্কিপক্সের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত লক্ষণ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দুটি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে- ক্ল্যাড-১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড-২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। এই রোগে প্রতি ১০০ আক্রান্ত রোগীর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়।
প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোসকা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা। মাঙ্কিপক্স রোগের জন্য এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহৃত টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব ফল খেতে পারবেন
ডায়াবেটিসে খাবারের ব্যাপারে অনেক সতর্কতা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যেহেতু ডায়াবেটিসে মিষ্টি খাওয়া নিষেধ, তাই স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় এই সমস্যায় ফল খাওয়া যাবে না। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেও ডায়াবেটিস রোগীরাও ফল খেতে পারেন।
আপেল: আপেল ফাইবার এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যার কারণে এটি দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায় না।
নাশপাতি: কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফলগুলোর মধ্যে নাশপাতিও অন্তর্ভুক্ত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নাশপাতি খেলে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কমলালেবু: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে। এর গ্লাইসেমিক সূচকও কম। এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায় ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
জাম: জামে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। যে কারণে এটি রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়ায়। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভীষণ উপকারী।
কিউই: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম এবং এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিউই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
পেয়ারা: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে।এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। যে কারণে এটি দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায় না।
উল্লেখ্য, আমরা যে খাবার গ্রহণ করি, তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বলে একটি সূচক আছে; যার ইনডেক্স যত বেশি থাকে, তা ততই শরীরের জন্য খারাপ। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তিন প্রকারের হয়-নিম্ন, সহনীয় ও উচ্চ।