শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের এই বাণিজ্য সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরার বিকল্প নেই। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনার (দক্ষিণ এশিয়া) ক্যাথরিন গ্যালাঘের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদল এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ এ বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানায়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কানাডা, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে পণ্য রফতানির যথেষ্ট সুযোগ পাওয়া গেলেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এসময় জমি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের যথেষ্ট সরবরাহসহ বাংলাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও অন্যান্য সুবিধার কথা তুলে ধরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনসহ বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনার (দক্ষিণ এশিয়া) ক্যাথরিন গ্যালাঘের। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জিডিপিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের খাতভিক্তিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে বলে জানান তিনি। কৃষি এবং শিক্ষা খাতে দুদেশের মধ্যে ভালো কাজ হয়েছে এবং অন্যান্য খাতেও কাজ হচ্ছে বলে জানান ক্যাথরিন গ্যালাঘের।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে শিগগিরই যৌথভাবে সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয় এসময়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, মহাসচিব মো. আলমগীর। অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পোবকে, ট্রেড কমিশনার জন সাউথওয়েল, ডেনিস ইটন, সেকেন্ড সেক্রেটারি জশয়া গ্যাকুটান, সিনিয়র ডিরেক্টর মিনহাজ চৌধুরী প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭.৭২ শতাংশ
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই মাসে ছিল ৩ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং উক্ত সময় আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার যা আগের বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
ডিসেম্বর মাসে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি আয়ের চিত্র
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ থেকে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ২৬৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২১৭ মিলিয়ন।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে যা গত বছর ছিল ৫২৩ মিলিয়ন ডলার।
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।
পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং আয় হয়েছে ৪১৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের ১২২ মিলিয়নের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
চামড়ার জুতা রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে এবং ৩৫৩২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৭০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু চামড়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের ১৮২ মিলিয়ন ডলারের বিপরীতে এ খাত আয় করেছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার।
কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, যা ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এই উদীয়মান খাত আয় করেছে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।
হোম টেক্সটাইল খাতে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৪১১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৮১ মিলিয়ন ডলার।
যা বলছেন রপ্তানিকারকরা
স্নোটেক্সট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, মূলত বিশ্বব্যাপী পোশাক ক্রেতারা চীন থেকে তাদের ক্রয় স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে। এবং তারা সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে। অন্যদিকে, ক্রেতারাও তাদের কাজের আদেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করছে, এটি বৃদ্ধির আরেকটি কারণ
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, কাজের আদেশ প্রবাহ ভালো হওয়ায় আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো নতুন মজুরি জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। যদি মজুরি বৃদ্ধি নির্মাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যবসা করার খরচ বাড়ায় তবে এটি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বৈশ্বিক বাজারে ক্রিসমাস ডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, নিউ ইয়ারে পোশাকপণ্যের চাহিদা বাড়ে। ফলে এ সময়ে বেশি পণ্যের জাহাজীকরণ হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে রপ্তানি বাড়ে। তবে আশার কথা হলো এবছর কাজের আদেশ বেশি আছে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যার জন্য দরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে একদিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর ইসলাম শাহীন।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ার ফলে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে বন্দরের অভ্যন্তরে। কাঁচাপণ্য দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, বড়দিন উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল। আমরা সকল প্রকার পাসপোর্ট যাচাই-পূর্বক দুই দেশে ভ্রমণের সহযোগিতা করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতীয় জাহাজ
ভারতীয় ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮০০টি সিদ্ধ চালের বস্তা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে ব্লেজ পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি তানাইস ড্রিম।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজটি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
তিনি জানান, উন্মুক্ত দরপত্রের চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি করা ২৪ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি তানাইস ড্রিম নামে জাহাজটি অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া বন্দর থেকে গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে রওনা দেয়। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে বুধবার বিকেল ৩টায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার দিকে ‘অন বোট’ করার কথা রয়েছে। কুয়াশার ওপর নির্ভর করে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের ৭নং বা ৯নং জেটিতে চালগুলো খালাস করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পরিবেশবান্ধব কারখানার সনদ পেলো আরও ২ প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশে নতুন করে সবুজ কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আরও দুটি তৈরি পোশাক কারখানা। এতে দেশের পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩২টিতে। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিএমইএ জানায়, এখন পর্যন্ত দেশের পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২৩২টি কারখানা লিড সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে লিড প্লাটিনাম ৯২টি, লিড গোল্ড ১২৬টি, লিড সিলভার ১০টি ও সার্টিফায়েড ৪টি।
সবুজ কারখানার নতুন সনদ পাওয়া কারখানা দুটি হলো আমির শার্টস লিমিটেড ও কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেড। আমির শার্টস ৬৬ পয়েন্ট ও কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ৭০ পয়েন্ট নিয়ে গোল্ড রেটিং পেয়েছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে হলে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।
মূলত ভবন নির্মাণের পর কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও প্রতিষ্ঠানটিতে আবেদন করা যায়। লিড সনদের জন্য ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ হলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ পাওয়া যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বিজয় দিবসে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কার্যক্রম।
তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে এই বন্দরে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এদিন যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। সেইসঙ্গে বন্ধ থাকবে বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম। তবে দুইদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূইয়া বলেন, মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।