পুঁজিবাজার
সোনালী লাইফের পর্ষদ বরখাস্ত, নতুন প্রশাসক নিয়োগ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।
গত ১৮ এপ্রিল আইডিআরএ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আইডিআরএ জানায়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড বা স্থগিত করা হয়েছে। একইসাথে বিমা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌসকে (অব:) কোম্পানিটিতে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বীমা আইন ২০১০ এর ধারা-৯৫(১) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে আইডিআরএ।
জানা যায়, অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন, অস্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল সিস্টেমের অনুপস্থিতি, ক্যাশ চেকে বড় অংকের লেনদেন, এফডিআর জামানত রেখে বিপুল পরিমান ব্যাংক ঋণ গ্রহণ এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ব্যাংক সিগনেটরিরা প্রায় সকলেই একই পরিবারের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে বীমাকারী এমনভাবে কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যাতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে কোম্পানি ও বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও কয়েকজন পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান “হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোম্পানি”-কে নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রমাণাদি পায় আইডিআরএ।
ফলে বীমাকারী ও বিপুল সংখ্যক বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার্থে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদকে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে কোম্পানিটিতে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইডিআরএ জানিয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক বিমা আইন ২০১০–এর ৯৬ (১) ধারা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছে শিগগিরই একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন। পাশাপাশি বিমা আইনের ৯৫ (৩) ধারা অনুসারে বিমা পলিসি ইস্যুসহ সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
নিয়োজিত নতুন প্রশাসক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্ধারিত মাসিক সম্মানী ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভাতা পাবেন। এ ছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি যোগ্য দেশি বা বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে যা জানালো তদন্ত কমিটি
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার জন্য নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় আইডিআরএ। কোম্পানিটি তাদের প্রতিবেদনে সোনালী লাইফের একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেছে।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সোনালী লাইফ কোনো টাকা গ্রহণ না করেই তাদের পরিচালকের নামে মোট ৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ইস্যু করে। যার মাধ্যমে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করা হয়। এছাড়া কোম্পানি পরিচালকেরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর করে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পরিবারের ৭ জন সদস্যকে কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছে। এতে নানান উপায়ে এসব পরিচালক কোম্পানির নামে টাকা আত্মসাৎ করতে থাকে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অর্থ আত্মসাৎ, ইম্পেরয়িাল ভবনে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ, চেয়ারম্যানের নিজস্ব মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ অর্থ প্রদানসহ নানান দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোম্পানি। যার কিছু বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বীকার করেছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা।
এছাড়া কোম্পানির ঘোষিত ডিভিডেন্ডে অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড বাবদ বিবিধ খাত থেকে রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের নূর এ হাফজাকে অবৈধভাবে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ, অবৈধভাবে বেতন প্রদান, অপ্রয়োজনীয় নানাবিধ ব্যয় দেখিয়ে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিদ্যমান পর্ষদ বছরে গড়ে ২২ কোটি বা মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা পেটি ক্যাশ হিসেবে ব্যয় করেছে এবং এর এককালীন বড় অংকের লেনদেন ক্যাশ চেকে হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অর্থ তসরূপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

পুঁজিবাজার
হতাশ চার্টার্ড লাইফের বিনিয়োগকারীরা, জালিয়াতির অভিযোগ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির বিরুদ্ধে ঠকানোর অভিযোগ তুলেছে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। প্রাতিষ্ঠানটি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গোঁজামিল দিয়ে লোকসান দেখিয়ে ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিকেই বিমা কোম্পানিটির আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাইফ ফান্ড বা জীবনবিমা তহবিলের আকার বাড়লেও বছর শেষে শেয়ারপ্রতি লোকসান ও নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে আবারও মুনাফা বিনিয়োগকারীদের মনে সন্দেহ ও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটিকে লভ্যাংশ না দেওয়ার জন্য জালিয়াতি ও বিনিয়োগকারীদের ঠকানো হয়েছে বলে দাবি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্ত চেয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বীমা খাতের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফের সমাপ্ত ২০২৪ হিসাববছরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে লাইফ ফান্ডের আকার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আবার চলতি ২০২৫ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকেও কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। অথচ এরমধ্যে ২০২৪ হিসাববছরের শেষ প্রান্তিক বা বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান দেখানো হয়েছে। যার ফলে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটিকে লভ্যাংশ না দেওয়ার জন্য জালিয়াতি ও বিনিয়োগকারীদের ঠকানো হয়েছে বলে দাবি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছে, আমাদের ঠকানো হয়েছে। বছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যয়ের তুলনায় অধিক আয় হয়েছে। জীবনবিমা তহবিলের আকার বেড়েছে। কিন্ত বছর শেষে ইপিএস লোকসান দেখানো হয়েছে লভ্যাংশ না দেওয়ার জন্য। এমন জালিয়াতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য হতাশার। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিৎ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এবিষয়ে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির কোম্পানি সচিব জিএম রাশেদ এসিএস অর্থসংবাদকে বলেন, জীবনবিমা তহবিলের আকার ক্রমেই বাড়তে থাকে এ স্বাভাবিক, তবে সেই হিসাবে ইপিএস হিসাব করা হয় না। বছরে একবারই ইপিএস হিসাব করা হয় সেটি এক্সপেরিয়েন্স ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে। সেই অনুযায়ী গত বছরের সাথে তুলনা করে এ বছরে লোকসান হয়েছে।
এবিষয়ে সোমবার (৩০ জুন) রাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম অর্থসংবাদকে বলেন, কমিশন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কোনো ধরনের জালিয়াতির প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে, সমাপ্ত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ হিসাববছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১১ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে আয় ছিলো ১৬ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সায়। লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ জুলাই।
এরআগে, হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) শেষে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিল ছিলো ৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৫০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার বেড়েছে ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির জীবন বীমা তহবিলের আকার বাড়ে ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে জীবন বীমা তহবিলের আকার বাড়ে ১১ কোটি ০৪ লাখ টাকা। সব প্রান্তিকে আয় বাড়লেও বছর শেষে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসানে কোম্পানিটি।
এদিকে, সব প্রান্তিকে আয় বাড়লেও বছর শেষে লোকসান দেখানো প্রতিষ্ঠানটির নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২৫’-মার্চ’২৫) আবারও আয় বেড়েছে। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার দাড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, আগের হিসাববছরের একই সময় শেষে যা ছিল ৫৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির জীবন বীমা তহবিলের আকার বেড়েছে ৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৭ কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৫২ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৭ টাকা থেকে ৫৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে উঠা-নামা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৬ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩০তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি উত্তোলন করেছে চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। উত্তোলিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে কোম্পানিটি। উল্লেখ্য, কোম্পানিটিকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আইন পরিপালনের স্বার্থে পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫-এর ৩(২)(পি) বিধি পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়।
এসএম
পুঁজিবাজার
শেয়ারপ্রতি সাড়ে ৫২ টাকা লভ্যাংশ দেবে বার্জার পেইন্টস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানির বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৫২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। অর্থাৎ প্রতি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা ৫২ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ পাবেন।
আজ সোমবার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচারলনা পরিষদের বৈঠকে গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছর কোম্পানিট ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭২ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৬৯ টাকা ৯২ পয়সা।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৫৮ টাকা ৯৪ পয়সা, যা আগের বছর ১৩৯ টাকা ৬৪ পয়সা ছিল।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৩৩ টাকা ৪২ পয়সা।
আগামী ২৫ আগস্ট, সোমবার সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ জুলাই।
এসএম
পুঁজিবাজার
মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার

সারাদেশে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে পালিত হবে। এ উপলক্ষে দেশের সব ব্যাংকে সাধারণ লেনদেন বন্ধ থাকবে। একই কারণে বন্ধ থাকবে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) লেনদেন কার্যক্রমও।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারের প্রায় সব লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ফলে ব্যাংক বন্ধ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারের কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়। বুধবার (২ জুলাই) পুঁজিবাজারের লেনদেন যথা নিয়মে চলবে।
তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও নির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ শাখা সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে, যেখানে শুধু প্রশাসনিক ও হিসাব সংক্রান্ত কাজ চলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, প্রতি বছরের ১ জুলাই ব্যাংকখাতে ‘অর্ধবার্ষিক সমাপনী হিসাব’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এ দিনটিকে অর্ধবছরের আর্থিক হিসাব-নিকাশের জন্য নির্ধারিত সময় হিসেবে ধরা হয়। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রতিটি শাখা থেকে হিসাব একত্র করে একটি অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১ জুলাই এবং ৩১ ডিসেম্বরকে ব্যাংক হলিডে হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাৎসরিক হিসাব চূড়ান্তকরণের জন্য পালন করা হয়।
এই দুটি তারিখে—একটি অর্থবছরের শুরু এবং অপরটি বর্ষপূর্তির দিন—দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক গ্রাহকসংশ্লিষ্ট সব ধরনের লেনদেন বন্ধ রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কোনো ধরনের লেনদেন বা গ্রাহকসেবা কার্যক্রম চলবে না। তবে এটিএমের মাধ্যমে সীমিত সেবা চালু থাকবে।
পুঁজিবাজার
মেঘনা সিমেন্টের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্ট মিলস পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে দ্য বাংলাদেশ রেটিং এজেন্সি লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদে ‘বিবিবি-’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-৪’রেটিং হয়েছে।
কোম্পানির ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও ৩১ মার্চ,২০২৫ অর্থবছরের সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ২০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ কোটি ০৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো। এদিন কোম্পানিটির ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এরপর লেনদেন হয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে-বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার এবং এস ই এম এল লেকার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি