আন্তর্জাতিক
এশিয়ার মুদ্রা শক্তিশালী করতে সমন্বিত পদক্ষেপের ইঙ্গিত

ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের বিপরীতে চলতি বছরে এশিয়ার বেশির ভাগ মুদ্রাই দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, এভাবে পরিস্থিতির শিগগিরই উন্নতি হবে না। বরং পূর্বাভাস পরিস্থিতির আরো অবনতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রধান অর্থনীতিগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক বিবৃতি থেকে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। খবর নিক্কেই এশিয়া।
বিরল এক সতর্ক বার্তায় গতকাল যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা ব্যবস্থার নীতিনির্ধারকরা ইয়েন ও ওনের পতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর এ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
সেখানে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে জাপানের ইয়েন ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওনের সাম্প্রতিক দ্রুত অবমূল্যায়নের বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। বিদ্যমান জি-২০ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশগুলো ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
টোকিও ও সিউলের উদ্বেগের প্রতি ওয়াশিংটনের সম্মতি মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপের কাছাকাছি একটি পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন কিছু বিশ্লেষক। ইউবিএস সুমি ট্রাস্ট ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের জাপান অংশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা দাইজু আওকি বলেন, ‘বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে সরকারি হস্তক্ষেপের ঝুঁকি স্পষ্টতই বেড়েছে।’
বর্তমান অবস্থায় হস্তক্ষেপের পূর্বাভাস না দিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু জাপান সরকারের একক হস্তক্ষেপ ইয়েনের ওপর অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলবে না। তবে যদি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পারে, এ প্রভাব অনেক বড় হবে।’
এদিকে যৌথ বিবৃতি ও হস্তক্ষেপ বিষয়ে সতর্কতার পর গতকাল বিনিময় হারে উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। এদিন বাজারে ১ ডলারের বিনিময়ে ১৫৩ ইয়েন পাওয়া যায়। এর আগে মঙ্গলবার ছিল ১৫৪ দশমিক ৭৮ ইয়েন, যা ৩৪ বছরের মধে সর্বনিম্ন বিনিময় হার। তার পরও ডলারের বিপরীতে বেশি প্রভাবিত এশিয়ান মুদ্রাগুলোর একটি ইয়েন। কুইক ফ্যাক্টসেট অনুসারে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতি বছরে ডলারের কাছে ৮ শতাংশের বেশি বিনিময় হার হারিয়েছে ইয়েন। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ওনের বিনিময় হার প্রায় ৬ শতাংশ এবং তাইওয়ান ডলার ও ইন্দোনেশীয় রুপিয়া উভয়ই প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে।
তবে ডলারের বিপরীতে এশিয়ার মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থানের ওপর দেশটির নীতি সুদহারবিষয়ক সিদ্ধান্ত প্রভাব রাখবে। সম্প্রতি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদহার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর অর্থ হলো এশিয়ার মুদ্রার তুলনায় ডলার আরো অনেক দিন শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সম্প্রতি নীতি সুদহারের লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ২৪ থেকে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা জাপানের দশমিক ১ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ২ দশমিক ৫ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে অনেক বেশি।
বিনিয়োগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্কোর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কর্মকর্তা ডেভিড চাও বলেন, ‘এখানে বড় বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি আবার ত্বরান্বিত হয়েছে। শ্রমবাজারের পুনরায় সংকোচন ও মূল্যসংকোচন কিছু ঝুঁকি নিয়ে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
১ ডলারের বিপরীতে ১৫৪ ইয়েনের বিনিময় হার সম্ভাব্য সরকারি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে আসছে। কারণ এটি গত বছরের প্রাথমিক পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক দুর্বল অবস্থা দেখাচ্ছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার ওনের বিনিময় হার দেড় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মিডডে ট্রেডিংয়ে ১ ডলারের বিপরীতে ১ হাজার ৪০০ ওনে ছুঁয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ওইদিন মৌখিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও ব্যাংক অব কোরিয়ার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বৈদেশিক মুদ্রার হারের গতিবিধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অতিরিক্ত অস্থিরতা আমাদের অর্থনীতির জন্য কাম্য নয়।’
এদিকে মঙ্গলবার চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ১ ডলারের বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়ার ১৬ হাজার ২০০ রুপিয়ার হওয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থানীয় মুদ্রাকে সমর্থন করার পদক্ষেপ নেয়। প্রতিবেশী মালয়েশিয়ারও মুদ্রার বিনিময় হার পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ১ ডলারের বিপরীতে ৪ দশমিক ৭৯৬৫ রিঙ্গিত বিনিময় হার ছিল ২৫ বছরের সর্বনিম্ন। মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা নিজস্ব মুদ্রার দুর্বলতা কাটানোর জন্য চেষ্টা করছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আর্থিক বাজার সুশৃঙ্খল রাখতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে গতকাল ভারতে ১ ডলারের বিপরীতে় ৮৩ দশমিক ৭৩৯ রুপি বিনিময় হার ছিল রেকর্ড সর্বনিম্ন। গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মুদ্রাকে শক্তিশালী করতে হস্তক্ষেপ করেছিল।

আন্তর্জাতিক
প্রথম দেশ হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া

প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার কাবুলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনভের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মুত্তাকি রাশিয়ার এই স্বীকৃতিকে ‘ইতিবাচক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সম্মানের নতুন অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটিকে অন্য দেশগুলোর জন্য ‘উদাহরণ’ বলে দাবি করেন।
তালেবানরা ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিনিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে আসছে, যদিও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বাড়ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি, কৃষি, পরিবহন ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে। এ ছাড়া, রাশিয়া আফগানিস্তানকে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য অব্যাহত রাখবে।
তালেবানের ক্ষমতায় আসার পরও রাশিয়া আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস খোলা রেখেছিল। ২০২২ সালে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে তালেবানের সঙ্গে তেল, গ্যাস ও গম সরবরাহ চুক্তি করে।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রাশিয়া তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের সঙ্গে পূর্ণ অংশীদারত্বের পথ তৈরি করে। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালিবানকে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
তালিবানের শাসনকালে নারীদের ওপর কড়াকড়ি বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, তালিবানের কঠোর বিধিনিষেধ ‘লিঙ্গ বৈষম্য’ এবং ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’।
২০২১ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বর্তমানে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিলেও রাশিয়া একমাত্র দেশ যা তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক
আবুধাবিতে ৮০ কোটি টাকা লটারি জিতলেন বাংলাদেশি যুবক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রতে ২৫ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮০ কোটি টাকা। জনপ্রিয় এই র্যাফেল ড্রয়ের ভাগ্যবান বিজয়ী নাম মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ বেলাল। খবর গালফ নিউজের।
র্যাফেল ড্রর পর শো’র উপস্থাপক রিচার্ড ও বুশরা ওই প্রবাসীকে কল করেন। তবে তারা বিজয়ীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।
আয়োজকরা জানান, গত ২৪ জুন ০৬১০০৮০ নম্বরের টিকিট কিনে এ পুরস্কার জিতেছেন বেলাল।
র্যাফেল ড্রয়ের আয়োজক বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষ বেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে, গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক মোবারক গারিব রাশিক সালেম আল ধাহেরি ২৭৫ সিরিজের ড্রতে ২০ মিলিয়ন দিরহামের গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছিলেন। অন্যদিকে, সাপ্তাহিক ই-ড্রতে ১ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ চৌধুরী নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি।
আন্তর্জাতিক
শুল্ক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে দুই দেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে বিমান কেনা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, তুলা ও তেল আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বুধবার এএফপিকে বলেন, আমরা পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছি। সরকার উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আশাবাদী, বলেও মনে করছেন তিনি।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা বলেন, বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন সময় সকালে সাড়ে ১১টায় এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুল্ক কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)-এর মধ্যে বৈঠক ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিত এধরনের বৈঠক হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প থেকে আসে, এবং এই খাতটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, বিশেষ করে গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে সরকারের পতনের পর।
ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা কটন বা তুলাজাত পণ্যের ওপর আগে থেকেই থাকা ১৬ শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি। তবে তিনি শুল্ক কার্যকর করার সময় ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন, যেমনটি তিনি অন্যান্য বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের ক্ষেত্রেও করেছেন, যদিও একটি প্রাথমিক ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে সেখান থেকে আমদানি হয়েছে ২.২১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণে গম, ১৪টি বোয়িং বিমান, তুলা এবং আরও তেল ও গ্যাস কেনার পরিকল্পনা করেছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
তিনি প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোর সুনির্দিষ্ট সময় বা পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি। তবে বলেছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮টি বৈঠক ও দলিল আদান-প্রদান করেছে।
আন্তর্জাতিক
গাজায় একদিনে আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাছাড়া আহত হয়েছেন ৫৮১ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রানচেস্কা আলবানিজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাণিজ্য ও আর্থিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব তারা পর্যালোচনা করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ১৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৯২ জন।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি জানিয়েছে এবং এখন তিনি হামাসকে এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ এর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ১৩০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা ও আরও কিছু এনজিও। যেসব সংস্থা বিতর্কিত এই সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধের দাবি করেছে তার মধ্যে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ও অ্যামনেস্টির মতো সংস্থাও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক
মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে এবং সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। ফলে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি মে মাসে মোট ৭১.৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড করেছে। এর আগে এপ্রিল মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬০.৩ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির বাণিজ্য বিভাগের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, মে মাসে আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই কমে গেছে। মার্কিন আমদানি ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫০.৫ বিলিয়ন ডলারে। ভোক্তা পণ্যের আমদানি ৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে, বিশেষ করে পোশাক ও খেলনা আমদানিতে পতন দেখা গেছে। তবে গাড়ি ও যন্ত্রাংশের আমদানি বেড়েছে।
অন্যদিকে রপ্তানি ৪.০ শতাংশ কমে ২৭৯.০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। শিল্প কাঁচামাল এবং উপকরণ রপ্তানিতেই বেশি পতন দেখা গেছে।
যদিও ট্রাম্প এপ্রিল মাসে কিছু কঠোর শুল্ক থেকে সরে আসেন, তবে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর দ্বিগুণ হারে শুল্ক আরোপ করেন।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ সেই সময় তীব্র রূপ নেয়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিশ্চয়তার কারণে পণ্য প্রেরণ বন্ধ রাখে। একে অনেকেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি হিসেবে দেখেছেন।
পরবর্তীতে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কিছুটা সমঝোতায় পৌঁছায় ও অস্থায়ীভাবে শুল্ক কমায়।