কর্পোরেট সংবাদ
তিন উৎসবে রঙ্গিন এনআরবিসি ব্যাংক

বাংলা নববর্ষ বরণ, ঈদ পুনর্মিলনী এবং নিজেদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ১২ বছরে পদার্পন বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এই তিন উৎসব উপলক্ষে প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগ এবং সারাদেশের সকল শাখা-উপশাখায় মতবিনিময় সভা ও ওয়ান ডিস পার্টির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এছাড়া ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম এফসিসিএ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক ওলিউর রহমান, এ এম সাইদুর রহমান, লকিয়ত উল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান এয়ার চিফ মার্শাল (অব:) আবু এসরার, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ড. রাদ মজিব লালন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়াসহ ব্যাংকের উদ্যোক্তা এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়াও বাংলা পঞ্জিকার ১৪৩১ বর্ষকে বরণ এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওয়ান ডিস পার্টিতে ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে এসে সহকর্মীদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠেন।
অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে গড়ে তোলা অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সমগ্র জাতি উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ এবং বাংলানববর্ষ উদযাপন করেছে। এনআরবিসি ব্যাংক আজ ১২ বছর পদার্পন করেছে। এ উপলক্ষে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এনআরবিসি ব্যাংক গ্রামের উন্নয়নে যেভাবে ভূমিকা পালন করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা বিশ্বাস করি এনআরবিসি ব্যাংকের জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড সরকারের দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষকে সহজ করবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। একেবারে পিছিয়ে থাকা মানুষটিকে এগিয়ে নিতে আমরা ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা সরকারের গ্রামকে শহরায়ন কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি। আজ আমরা বাংলা নববর্ষ, ঈদপুনর্মিলনী ও ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এই তিন উৎসব এক সঙ্গে উদযাপন করছি। এনআরবিসি ব্যাংকের মাধ্যমে উৎসবের মত রঙিন করতে চায় গ্রাম-বাংলার প্রতিটি মানুষের জীবনযাত্রাকে।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু বলেন, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ১১ বছর পার করে ১২ বছরেই বিভিন্ন আর্থিক সূচকে শীর্ষে উঠে এসে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করছে এনআরবিসি ব্যাংক। নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন ও শাখা-উপশাখা সম্প্রসারণে সবার শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক। কোন কোন ক্ষেত্রে আগের প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক। ব্যাংকটি গ্রামের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম এফসিসিএ বলেন, আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন ছিল উপশাখা ব্যাংকিং। উপশাখার মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক গ্রাম র্পন্ত ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে পেরেছি। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনাজামানতে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মানুষ এনআরবিসি ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠেছেন। এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম-বাংলার গণমানুষের ব্যাংক। যেখানে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব আমরা সেখানে বিনিয়োগ করছি। ব্যাংকিং সেবাকে মানুষের দৌঁড়গোড়ায় পৌছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আমরা রিয়েলটাইম ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ফিনটেকের উপর জোর দিয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিবছর ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল ৫৩ জন প্রবাসী উদ্যোক্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় এনআরবিসি ব্যাংক। বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় ওই বছরের ১৮ এপ্রিল। আলোচ্য সময় ব্যাংকের আর্থিক সূচকগুলো অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৭ সালে আমানত ছিল ৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে তা প্রায় ৪গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। এভাবে ঋণ বিতরণ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। ২০১৭ সালে ঋণ ছিল ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, আর ২০২৩ সাল শেষে হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। ব্যাংকের কর্মীর সংখ্যা ৬১৭ জন থেকে ৬গুণ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২ জন। ২০১৭ সালে শাখার সংখ্যা ছিল মাত্র ৬১টি। ২০২৩ সাল শেষে শাখা-উপশাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০টি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
পাঠাওয়ের ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

দশম বছরে পদার্পণ করছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। আর এই উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে পাঠাওয়ের সাথে তৈরি হওয়া বিভিন্ন গল্পগুলো নিয়ে, এবারের অমর একুশে বইমেলায় রোববার থেকে পাওয়া যাচ্ছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি।
দশ বছরের পথচলায়, পাঠাওয়ের সাথে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনো ফুডম্যান কিংবা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে। এতসব গল্পের ভীড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাও-এর সাথে যারা কাজ করছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তারাও প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ কিছু বলার মতো গল্প।
এই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলোকে মলাটবদ্ধ করে পাঠকদের হাতে তুলে দিতেই এবারের অমর একুশে বইমেলায় নিয়ে এসেছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি। দশ বছরের পথচলায় যেই পাঠাও ইউনিভার্স গড়ে উঠেছে, সেই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলো নিয়ে এবারের এই সংকলন। বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বনামধন্য প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মোড়ক উন্মোচনের সময় সম্মানিত অতিথি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শফিকুল আলম বক্তব্য দেয়ার সময় বলেন, “আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে কর্পোরেট হাউজ হিসেবে পাঠাও-এর ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। স্টোরিগুলো খুবই ভালো। আমি মনে করি পাঠাও সামনের বছরগুলোতে পাঠাও-এর সাথে যুক্ত সবার যদি প্রতিদিনের ডায়রি এন্ট্রি নিতে এনকারেজ করেন এবং সংগ্রহ করেন,, তাহলে মনে হবে পাঠাও-এর প্রতিদিনের গল্পগুলোই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।”
পাঠাওয়ের সিইও, ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও এই বছর দশ বছরে পদার্পণ করছে। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশ ব্যাপী ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। পাঠাও-এর গল্প শুধু পাঠাও-এর গল্প বা শুধু সেবার গল্প না। পাঠাও-এর গল্প হলো আমাদের সাথে যুক্ত সকল মানুষ, যারা সেবা গ্রহণ করছে এবং সেইসাথে সেবা প্রদান করার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং জীবনের মানকে উন্নত করছে, তাদের কথা। অগ্রযাত্রার অগ্রদূত-এর গল্পগুলো হলো পাঠাও-এর সাথে আমরা যারা যুক্ত আছি, তাদের সবার গল্প।”
একুশে বইমেলার স্টুডেন্ট ওয়েজ প্রকাশনীর ১০ নম্বর স্টল ছাড়াও পাঠাও শপ, বুকওর্ম, রকমারি, বাতিঘর, পিবিএস-সহ বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও দেশজুড়ে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে এই বইটি।
দারুণ কিছু সত্য গল্পের সংকলন ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাঠাও-এর পক্ষ থেকে সবাইকে সংগ্রহ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের আরডিএসের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বগুড়া, রাজশাহী ও রংপুর জোনের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের (আরডিএস) সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার হোটেল মম-ইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সদস্য-সন্তানদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকৌশল, বিশেষায়িত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের ১৯১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ব্যাংকের রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম, সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ার উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল ওয়াহেদ এবং বগুড়া ইমাম ও ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান এ.এফ.এম. আনিছুর রহমান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া জোনপ্রধান শহীদুল্লাহ মজুমদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জোনপ্রধান মোহাম্মদ নুরুল করিম ও রংপুর জোনপ্রধান এ.কে.এম শাফিয়ার রহমান।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পূর্বে বৃত্তিপ্রাপ্ত পেশাজীবীদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থী রনি আহমেদ ও মোছা. দিলরুবা আলিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রাতুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আশ্রাফুল ইসলাম, দিলীপ কুমার দাস ও মোসা. আসমা বেগম, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মোসা. নুরে জান্নাত টুম্পা ও মো. আবুল খায়ের, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের লাভলি আক্তার বানু, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মাহবুবুর রহমান ও নেসকো বগুড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. রেদোয়ান হোসেন। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, সদস্য অভিভাবক এবং ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও ৩টি জোনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছে । ব্যাংকের উন্নয়নের বাধা অপসারিত হয়েছে এবং আগামী দিনে ব্যাংক আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আরো প্রসারিত হবে। তিনি জাতীয় উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য উদীয়মান শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের গণমানুষের ব্যাংক। আমানত-বিনিয়োগ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ, আমদানি-রপ্তানিসহ সকল ব্যবসায়িক সূচকে দেশের শীর্ষ অবস্থানের পাশাপাশি শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবিরাম সহযোগীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি। পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক বিকাশ ও নারীর ক্ষমতায়নে এ প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে ব্যাংকের ৫১৭টি অপারেটিং ইউনিটের অধীনে দেশের ৬৪ জেলার ৩৪ হাজারের বেশি গ্রামে ১৮ লাখ সদস্যের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। ব্যাংক ২০১২ সাল থেকে সহায়ক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যখাত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে ২৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যার সরাসরি সুবিধাভোগী ১ কোটি ৯ লক্ষ মানুষ। এ সময়ে শুধু শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৯১ কোটি টাকা যার সুবিধাভোগী ৪ লাখ ৮০ হাজার জন। প্রকল্পের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গ্র্যাজুয়েশন ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাসামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়া এ কর্মসূচির আওতায় শিশুদের জন্য সারা দেশে ৬৮০টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তব পরিচালনা করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পছন্দের অ্যাকাউন্টে ভাতা গ্রহণ করছেন গর্ভবতী মায়েরা

অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন যত্ন এবং নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকারের মাতৃত্বকালীন ভাতা জিটুপি (গভার্নমেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে পৌঁছে যাচ্ছে উপকারভোগীদের পছন্দের এমএফএস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে। ৩৬ মাসব্যাপী এই ভাতা কর্মসূচির আওতায় থাকা ১৬ লাখ উপকারভোগীর সকলেই তাদের পছন্দের মাধ্যমে ভাতা গ্রহণ করছেন। ঘরে বসেই সহজে, দ্রুত ও নিরাপদে সরকারি ভাতা গ্রহণ এবং তা ব্যবহারের সুযোগ থাকায় বেশিরভাগ মায়েরাই আস্থা রাখছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের উপর।
গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নির্দেশকের উন্নয়ন, বয়সের তুলনায় কম উচ্চতার বা খর্বাকায় শিশু এবং কম ওজনের শিশু জন্ম সংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের ভাতা প্রদান করে আসছে। এক্ষেত্রে, মায়েদের পছন্দের উপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে যেন তারা নিজেদের পছন্দের অ্যাকাউন্টে ভাতা গ্রহণ করার মাধ্যমে সময় বাঁচাতে পারেন এবং নিজের ও নবজাতকের যত্নে মনোনিবেশ করতে পারেন।
ঘরে বসেই নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ভাতার অর্থ গ্রহণ করছেন অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের একটি বড় অংশ। তারা, খুব সহজে এবং নিরাপদে সেই অর্থ নিকটবর্তী এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করার পাশাপাশি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল লেনদেনও করতে পারছেন। পুষ্টিকর খাবার কেনা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, নবজাতকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভাতার এই অর্থ গর্ভকাল ও এর পরবর্তী সময়ে ঝুঁকি ও অভিঘাত কমিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
উল্লেখ্য, নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের সহায়তা প্রদানের জন্য অসচ্ছল মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা কর্মসূচি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিদ্যমান কর্মসূচিসমূহের মধ্যে অন্যতম। এখন অসচ্ছল গর্ভবতী মা প্রথম ও দ্বিতীয় (সর্বোচ্চ দুজন) সন্তানের জন্য মাতৃত্বকালীন মাসিক ভাতা পান। প্রতি মাসে ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য পুষ্টি, শিশুর মনোসামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বিষয়েও নিয়মিত উঠান বৈঠকও আয়োজন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিজনেস রিভিউ মিটিং

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের ‘বিজনেস রিভিউ মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং এন্ড রিকোভারি ডিভিশনের প্রধান মিজানুর রহমান, জেনারেল সার্ভিসেস ডিভিশনের প্রধান মো. আবদুস সালাম, পাবলিক এ্যাফেয়ার্স এন্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান নাজিম আনওয়ার, কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান শামছুল করিম মজুমদার ও মার্কেটিং এন্ড বিজনেস ডেভোলপমেন্ট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. খায়রুল হাসান সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।
কুমিল্লা অঞ্চলের ২১টি শাখার ম্যানেজার ও অপারেশন ম্যানেজার, ১৯ টি উপ-শাখার ইনচার্জ, জেনারেল ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ ইনচার্জসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এতে অংশগ্রহণ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে ইফাদ মটরসের চুক্তি

দেশব্যাপী ইফাদ গ্রুপের ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সুবিধার পরিধি সুবিস্তৃত করতে সিটি ব্যাংক এবং ইফাদ গ্রুপের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির আওতায়, সারাদেশে রয়েল এনফিল্ড মটর-সাইকেল ডিস্ট্রিবিউশনে সিটি ব্যাংক ইফাদ গ্রুপকে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সুবিধা দেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং ইফাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় সিটি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং নুরুল্লাহ চৌধুরী, হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং মোহাম্মদ মাহমুদ গণি, হেড অব করপোরেট এন্ড ইনস্টিটিউশনাল লায়াবিলিটি তাহসিন হক এবং ইফাদ গ্রুপের চিফ ফিনানশিয়াল অফিসার, সোহাদ্বীপ কে দাসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি