কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত ও নির্ভুল

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’-তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা। যেমন- নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে। সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো। টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার। ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে।
সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক বগুড়া জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বগুড়া জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার শেরপুরস্থ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান এ কে এম মাহবুব মোরশেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বগুড়া জোনপ্রধান শহীদুল্লাহ মজুমদার এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে বগুড়া জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সেবাপ্রদানে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। ব্যাংকের উন্নয়নের বাধা অপসারিত হয়েছে এবং আগামী দিনে ব্যাংক আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকের অন্তর্ভুক্তিমুলক কার্যক্রম আরো প্রসারিত হবে। তিনি যথাযথ নিয়মাচার পরিপালন ও জ্ঞানসমৃদ্ধভাবে সেবা প্রদান করার জন্য এজেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের গণমানুষের ব্যাংক। প্রান্তিক মানুষের আর্থিক অন্তভুক্তি ও উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মূল ব্যাংকিংয়ের মতো ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংও বিভিন্ন ব্যবসায়িক সূচকে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ কার্যক্রম আরো বহুমুখী করা হবে।
সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করা হয়, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক দেশের ৪৭৩টি উপজেলায় ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকসংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। দেশের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং আমানতের ৩৯ শতাংশ এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ৫৬ শতাংশ এককভাবে ধারণ করছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং। শুধু ২০২৪ সালে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২২৭৭ কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট এবং ১৭ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পাঠাওয়ের ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

দশম বছরে পদার্পণ করছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। আর এই উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে পাঠাওয়ের সাথে তৈরি হওয়া বিভিন্ন গল্পগুলো নিয়ে, এবারের অমর একুশে বইমেলায় রোববার থেকে পাওয়া যাচ্ছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি।
দশ বছরের পথচলায়, পাঠাওয়ের সাথে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনো ফুডম্যান কিংবা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে। এতসব গল্পের ভীড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাও-এর সাথে যারা কাজ করছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তারাও প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ কিছু বলার মতো গল্প।
এই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলোকে মলাটবদ্ধ করে পাঠকদের হাতে তুলে দিতেই এবারের অমর একুশে বইমেলায় নিয়ে এসেছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি। দশ বছরের পথচলায় যেই পাঠাও ইউনিভার্স গড়ে উঠেছে, সেই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলো নিয়ে এবারের এই সংকলন। বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বনামধন্য প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মোড়ক উন্মোচনের সময় সম্মানিত অতিথি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শফিকুল আলম বক্তব্য দেয়ার সময় বলেন, “আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে কর্পোরেট হাউজ হিসেবে পাঠাও-এর ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। স্টোরিগুলো খুবই ভালো। আমি মনে করি পাঠাও সামনের বছরগুলোতে পাঠাও-এর সাথে যুক্ত সবার যদি প্রতিদিনের ডায়রি এন্ট্রি নিতে এনকারেজ করেন এবং সংগ্রহ করেন,, তাহলে মনে হবে পাঠাও-এর প্রতিদিনের গল্পগুলোই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।”
পাঠাওয়ের সিইও, ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও এই বছর দশ বছরে পদার্পণ করছে। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশ ব্যাপী ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। পাঠাও-এর গল্প শুধু পাঠাও-এর গল্প বা শুধু সেবার গল্প না। পাঠাও-এর গল্প হলো আমাদের সাথে যুক্ত সকল মানুষ, যারা সেবা গ্রহণ করছে এবং সেইসাথে সেবা প্রদান করার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং জীবনের মানকে উন্নত করছে, তাদের কথা। অগ্রযাত্রার অগ্রদূত-এর গল্পগুলো হলো পাঠাও-এর সাথে আমরা যারা যুক্ত আছি, তাদের সবার গল্প।”
একুশে বইমেলার স্টুডেন্ট ওয়েজ প্রকাশনীর ১০ নম্বর স্টল ছাড়াও পাঠাও শপ, বুকওর্ম, রকমারি, বাতিঘর, পিবিএস-সহ বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও দেশজুড়ে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে এই বইটি।
দারুণ কিছু সত্য গল্পের সংকলন ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাঠাও-এর পক্ষ থেকে সবাইকে সংগ্রহ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের আরডিএসের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বগুড়া, রাজশাহী ও রংপুর জোনের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের (আরডিএস) সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার হোটেল মম-ইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সদস্য-সন্তানদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকৌশল, বিশেষায়িত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের ১৯১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ব্যাংকের রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হোসনে আরা বেগম, সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়ার উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল ওয়াহেদ এবং বগুড়া ইমাম ও ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান এ.এফ.এম. আনিছুর রহমান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া জোনপ্রধান শহীদুল্লাহ মজুমদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জোনপ্রধান মোহাম্মদ নুরুল করিম ও রংপুর জোনপ্রধান এ.কে.এম শাফিয়ার রহমান।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পূর্বে বৃত্তিপ্রাপ্ত পেশাজীবীদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থী রনি আহমেদ ও মোছা. দিলরুবা আলিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রাতুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. আশ্রাফুল ইসলাম, দিলীপ কুমার দাস ও মোসা. আসমা বেগম, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মোসা. নুরে জান্নাত টুম্পা ও মো. আবুল খায়ের, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের লাভলি আক্তার বানু, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মাহবুবুর রহমান ও নেসকো বগুড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. রেদোয়ান হোসেন। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, সদস্য অভিভাবক এবং ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও ৩টি জোনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছে । ব্যাংকের উন্নয়নের বাধা অপসারিত হয়েছে এবং আগামী দিনে ব্যাংক আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আরো প্রসারিত হবে। তিনি জাতীয় উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য উদীয়মান শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের গণমানুষের ব্যাংক। আমানত-বিনিয়োগ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ, আমদানি-রপ্তানিসহ সকল ব্যবসায়িক সূচকে দেশের শীর্ষ অবস্থানের পাশাপাশি শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবিরাম সহযোগীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি। পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক বিকাশ ও নারীর ক্ষমতায়নে এ প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে ব্যাংকের ৫১৭টি অপারেটিং ইউনিটের অধীনে দেশের ৬৪ জেলার ৩৪ হাজারের বেশি গ্রামে ১৮ লাখ সদস্যের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। ব্যাংক ২০১২ সাল থেকে সহায়ক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যখাত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে ২৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যার সরাসরি সুবিধাভোগী ১ কোটি ৯ লক্ষ মানুষ। এ সময়ে শুধু শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৯১ কোটি টাকা যার সুবিধাভোগী ৪ লাখ ৮০ হাজার জন। প্রকল্পের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গ্র্যাজুয়েশন ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাসামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়া এ কর্মসূচির আওতায় শিশুদের জন্য সারা দেশে ৬৮০টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তব পরিচালনা করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পছন্দের অ্যাকাউন্টে ভাতা গ্রহণ করছেন গর্ভবতী মায়েরা

অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন যত্ন এবং নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকারের মাতৃত্বকালীন ভাতা জিটুপি (গভার্নমেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে পৌঁছে যাচ্ছে উপকারভোগীদের পছন্দের এমএফএস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে। ৩৬ মাসব্যাপী এই ভাতা কর্মসূচির আওতায় থাকা ১৬ লাখ উপকারভোগীর সকলেই তাদের পছন্দের মাধ্যমে ভাতা গ্রহণ করছেন। ঘরে বসেই সহজে, দ্রুত ও নিরাপদে সরকারি ভাতা গ্রহণ এবং তা ব্যবহারের সুযোগ থাকায় বেশিরভাগ মায়েরাই আস্থা রাখছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের উপর।
গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নির্দেশকের উন্নয়ন, বয়সের তুলনায় কম উচ্চতার বা খর্বাকায় শিশু এবং কম ওজনের শিশু জন্ম সংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের ভাতা প্রদান করে আসছে। এক্ষেত্রে, মায়েদের পছন্দের উপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে যেন তারা নিজেদের পছন্দের অ্যাকাউন্টে ভাতা গ্রহণ করার মাধ্যমে সময় বাঁচাতে পারেন এবং নিজের ও নবজাতকের যত্নে মনোনিবেশ করতে পারেন।
ঘরে বসেই নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ভাতার অর্থ গ্রহণ করছেন অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের একটি বড় অংশ। তারা, খুব সহজে এবং নিরাপদে সেই অর্থ নিকটবর্তী এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করার পাশাপাশি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল লেনদেনও করতে পারছেন। পুষ্টিকর খাবার কেনা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, নবজাতকের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভাতার এই অর্থ গর্ভকাল ও এর পরবর্তী সময়ে ঝুঁকি ও অভিঘাত কমিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
উল্লেখ্য, নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে অসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের সহায়তা প্রদানের জন্য অসচ্ছল মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা কর্মসূচি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিদ্যমান কর্মসূচিসমূহের মধ্যে অন্যতম। এখন অসচ্ছল গর্ভবতী মা প্রথম ও দ্বিতীয় (সর্বোচ্চ দুজন) সন্তানের জন্য মাতৃত্বকালীন মাসিক ভাতা পান। প্রতি মাসে ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য পুষ্টি, শিশুর মনোসামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বিষয়েও নিয়মিত উঠান বৈঠকও আয়োজন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিজনেস রিভিউ মিটিং

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের ‘বিজনেস রিভিউ মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।
ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট মনিটরিং এন্ড রিকোভারি ডিভিশনের প্রধান মিজানুর রহমান, জেনারেল সার্ভিসেস ডিভিশনের প্রধান মো. আবদুস সালাম, পাবলিক এ্যাফেয়ার্স এন্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান নাজিম আনওয়ার, কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান শামছুল করিম মজুমদার ও মার্কেটিং এন্ড বিজনেস ডেভোলপমেন্ট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. খায়রুল হাসান সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।
কুমিল্লা অঞ্চলের ২১টি শাখার ম্যানেজার ও অপারেশন ম্যানেজার, ১৯ টি উপ-শাখার ইনচার্জ, জেনারেল ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ ইনচার্জসহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এতে অংশগ্রহণ করে।