অর্থনীতি
সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ
মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে সাত ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অগ্রিম কর দিতে হবে না। গত ৮ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) করনীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অগ্রিম কর সুবিধার তালিকায় আছে- সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ); সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের দপ্তরসমূহ; বাংলাদেশের কোনো বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার এবং ইহার সংযুক্ত দপ্তর বা দপ্তরসমূহ; সরকারের এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।
করনীতি বিভাগ থেকে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৫৩(৫) অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারা মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে না। আর ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সনদের প্রয়োজন হবে না।
সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে গাড়ির অগ্রিম কর বৃদ্ধি করা হয়। ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়। বাংলাদেশে যত ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার হয়, এর প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম।
১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম— এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। এ ছাড়া ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ টাকা এবং ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে। এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন ৫ লাখ করদাতা
২০২৪-২০২৫ করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আর অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের উদ্দেশ্যে ১২ লাখ ৫০ হাজার করদাতা রেজিস্ট্রেশন নিবন্ধন নিয়েছেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, গত অর্থবছরের এই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৭১টি। সেখানে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২৯ শতাংশ। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ১২ লাখ ৫০ হাজার অতিক্রম করেছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী সব করদাতাকে সেজন্য এনবিআর ধন্যবাদ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে সব তফশিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধি, আয়কর আইনজীবী এবং প্রশিক্ষণপ্রার্থী করদাতাসহ প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে রিটার্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করতে পারছে। একই সঙ্গে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
এনবিআর জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেমকে অধিকতর করদাতাবান্ধব করণের জন্য ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির আপডেট করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণ সহজে এবং দ্রুত তাঁদের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে দাখিল করতে পারছেন। এ সিস্টেম হতে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারছেন এবং দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্টের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া পূর্ববর্তী বছরের দাখিলকৃত ই-রিটার্ন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
এদিকে আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ মেলার পরিবেশে করদাতাদের সব ধরনের সেবা দিতে ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কর তথ্যসেবা মাস। নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৮৬৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিডার ওএসএসে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত সেবা
বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও উন্নত ও সহজ সেবা দিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সিলেট সিটি কর্পোরেশন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
এর ফলে বিডা ওএসএস নতুন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের আরও ৭টি সেবা যুক্ত হবে। যা অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের সেবার গতি, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিডা কার্যালয়ে পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডা ও বেজার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “বিনিয়োগকারীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বিডা ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সহজতর করা। বর্তমানে আমরা ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিডার ২৩ টিসহ মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠানে ১৩৩টি সেবা করে আসছি। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১,৭০,০০০ সেবা দিয়েছি। তবে, এর মধ্যে মাত্র ৫,০০০ অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যাশিত নয়। আমরা বিনিয়োগকারীদের বিডা ওএসএস আরও উৎসাহিত করব। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করবে না, বরং অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রাপ্তির কার্যক্রম আরও সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করতে সহায়তা করবে।’’
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৫টি আইপিএ, প্রত্যকের আবার নিজস্ব ওএসএস রয়েছে, এ সমস্যা দূর করার জন্য আমরা একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি পয়েন্ট তৈরির পরিকল্পনা করছি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা একটি আইডি ব্যবহার করে সব আইপিএ থেকে সব ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিডার সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, আজ চারটি সংস্থার সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ওএসএস প্ল্যাটফর্মে ৭টি নতুন সেবা যুক্ত হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ওএসএস সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে সেবা প্রদান প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বিনিয়োগকারীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিডার পরিচালক আব্দুর রহিম। বিডার মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ওএসএস এর হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর ও বক্তব্য রাখেন-নূর উদ্দীন মো. সাদেক হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাউথইস্ট ব্যাংক। মঞ্জুরুল হক, কোম্পানি সচিব, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন। রেজাই রাফি সরকার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন।জয়শ্রী রানী রায়, রংপুর সিটি কর্পোরেশন। বিডার পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিডার নির্বাহী সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম (সাউথইস্ট ব্যাংক এর সাথে) ও বিডার মহাপরিচালক জনাব জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় (রংপুর সিটি কর্পোরেশন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন)।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবু মুহাম্মদ নুরুল হায়াত টুটুল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশকে ২৪.৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান
বাংলাদেশকে ২৪ দশমিক ৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। প্রতি ডলার সমানে ১১৯ টাকা ৫০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
জাপান সরকারের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের প্রথম ব্যাচের আওতাধীন ‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রজেক্ট ও চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ-জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই করেন। জাপান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি চুক্তিতে সই করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভাকক্ষে ঋণ চুক্তি সই হয়।
‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা)। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য জাপান সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে দিয়ে আসছে। প্রকল্পের ঋণের সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শকের জন্য ০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর। এর মধ্যে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড। প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ২৩ দশমিক ৭ কোটি ডলার দেবে চীন।
চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৫ হতে নভেম্বর ২০৩২ পর্যন্ত। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো চট্টগ্রাম শহরে উপযুক্ত পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পয়োনিস্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পাম্পিং স্টেশন এবং পাইপলাইন ইত্যাদির মতো পয়োনিস্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং জলজ পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখা। প্রকল্পটির জন্য জাইকা বিভিন্ন পর্যায়ে ঋণ দিয়েছে। প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের জন্য জাইকা ১৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে।
এ ঋণের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সুদের হার শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধ কাল ৩০ বছর (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)। দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা দিচ্ছে করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্যখাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো এক হাজার ৮৯০ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
এর আগে গত ২০, ২২ ও ২৪ নভেম্বর তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ২০ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের একভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ২ হাজার ৯৪০ টাকা। এরপর ২২ নভেম্বর বাড়ানো হয় ১ হাজার ৯৯৪ টাকা। আর ২৪ নভেম্বর বাড়ানো হয় ২ হাজার ৮২৩ টাকা। ফলে তিন দফায় প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ে ৬ হাজার ৭৫৭ টাকা।
টানা তিন দফা দাম বাড়ানোর পর এখন কিছুটা কমানো হলো। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের একভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির একভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭০৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইনে রিটার্ন জমা পাঁচ লাখ ছাড়ালো
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমটি করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সিস্টেমটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) এনবিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে নিজের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে দাখিল করতে পারছেন। সিস্টেমটি ব্যবহার করে গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে। আর অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অতিক্রম করেছে ১২ লাখ ৫০ হাজার।
যে সকল করদাতা ইতোমধ্যে সফলভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছে এনবিআর। এছাড়া অন্যান্য ব্যক্তি করদাতাদের যথাসময়ে পোর্টাল ব্যবহার করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিনীত অনুরোধ করেছে সংগঠনটি।
এনবিআর আরও জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করে দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন। একইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। এই বিষয়ে কল সেন্টার ও ইমেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সকল তফশিলি ব্যাংক, সকল মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধি, আয়কর আইনজীবী এবং প্রশিক্ষণপ্রার্থী করদাতাসহ প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে এনবিআর।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২১ সালে ই-সিস্টেম চালু করার পর ২০২১-২০২২ কর বছরে ৬১ হাজার ৪৯১ জন, ২০২২-২০২৩ কর বছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ জন ও ২০২৩-২০২৪ কর বছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন।
এসএম