আইন-আদালত
মে মাসে ভারতে যাবেন আরও ৫০ বিচারক
ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শ করে আইন মন্ত্রণালয় এ অনুমতি দেয়।
প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।
সম্প্রতি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ’
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করলো জেলা প্রশাসন
রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে আবারও নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক ভ্রমণে বিধি-নিষেধ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ৪ ডিসেম্বর থেকে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাজেকে শীপপাড়া নামক এলাকায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সারা দিন দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘সাজেক ও মাচালংয়ের ৭নং ওয়ার্ডের শীপপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। ওই গোলাগুলির ঘটনার কারণে বিকেলে প্রায় ১০টি পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক ছেড়ে যায়নি। বর্তমানে সাজেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন। এখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
খাগড়াছড়ি জিপগাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফাত জানান, সকালে সাজেক থেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি খাগড়াছড়ি ফিরেছে। দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকেলে কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরেনি এবং পর্যটক নিয়ে কোনো গাড়ি সাজেক যায়নি।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদের বুধবার নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হবে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইপিডিএফ’র মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে দুর্নীতি-লুটপাটের ভয়ংকর চিত্র
ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট অবসান হয় আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন প্রবল প্রতাপশালী শাসক হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেড় দশকেরও বেশি সময় স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লুটপাটের।
শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম এজেন্ডা ছিল তার আমলে সংঘটিত আর্থিক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অনুসন্ধান। এর অংশ হিসেবে গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত হয় একটি অনুসন্ধানী কমিটি।
তিন মাস বিস্তৃত গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধানের পর প্রতিবেদন তৈরি করে ‘অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’ নামে অভিহিত এই অনুসন্ধানী কমিটি। খসড়া হিসেবে উপস্থাপিত ৩৯৯ পৃষ্ঠার এই সুবিশাল প্রতিবেদনের ছত্রে ছত্রে উঠে আসে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত দুর্নীতি, লুটপাট ও জনগণের অর্থ তসরুপের বিস্তৃত চিত্র।
২ ডিসেম্বর এই খসড়া শ্বেতপত্র প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সামনে মুখোমুখি হয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। সেখানে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সাংবাদিকদের জানায়, দেশে গত পনের বছরে ‘চামচা পুঁজিবাদ থেকেই চোরতন্ত্র’ তৈরি হয়েছিল, যাতে রাজনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক আমলা, বিচার বিভাগসহ সবাই অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার হয় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সুবিশাল খসড়া শ্বেতপত্রে দেখানো হয় বিগত সরকারের আমলে ২৮ উপায়ে সংঘটিত দুর্নীতির চিত্র। এছাড়া দেশের প্রধান প্রধান খাতকে দুর্নীতির ভয়াবহতা কোন মাত্রায় গ্রাস করে তার চিত্রও উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনের ভূমিকায় ‘ম্যাগনিচুড অব করাপশন’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়, নিয়মিতভাবে কর ফাঁকি দেয়া, কর মাফের সুযোগের অপব্যবহার এবং জনগণের অর্থের অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ভূলুণ্ঠিত করে দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বছরে গড়ে দেশের বাইরে অবৈধভাবে পাচার হয় ১৬ বিলিয়ন ডলার। যা দেশের মোট বৈদেশিক সাহায্য এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণের দ্বিগুণ। পাশাপাশি এই সময়ে যে কর মাফ করা হয়েছে তা দিয়ে শিক্ষা খাতের বরাদ্দকে দ্বিগুণ করা যেত এবং স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দকে তিনগুণ করা সম্ভব হতো। দুর্নীতির মাধ্যমে কিভাবে দেশের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করা হয়েছে, এই পরিসংখ্যান তার প্রমাণ।
দুর্নীতির কারণে দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলোর ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০ শতাংশ, পাশাপাশি প্রকল্প সম্পন্নের সময় বিলম্বিত হয়েছে ৫ বছর। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে গত ১৫ বছরে বরাদ্দ হওয়া ৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার লোপাট হয়েছে রাজনৈতিক চাঁদাবাজি, ঘুষ এবং বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে। এছাড়া জমি অধিগ্রহণের সময় তহবিল তসরুপ এবং নিজেদের অনুগত ব্যক্তিদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দানের মাধ্যমে সম্পদের অপচয় ঘটিয়ে অবকাঠামোগত ও সামাজিক সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা থেকে দেশকে বঞ্চিত করা হয়।
চাল, ভোজ্যতেল এবং গমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন এবং চাহিদার তথ্যের বিকৃতির কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাতেও।
শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবাস্তব ও রাজনৈতিক প্রভাবিত ক্রয় নীতির মাধ্যমে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়া হয়, যা সাধারণ ভোক্তাদের ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া মজুদের তথ্য নিয়মিতভাবে যাচাই করার ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতি এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে তৈরি হওয়া অরাজক পরিস্থিতি ও লুটপাটের চিত্র উঠে আসে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঋণদানের প্রবণতা ব্যাংকিং খাতের সংকটকে আরও ঘনীভূত করে। ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাত থেকে লোপাট হওয়া অর্থ দিয়ে দেশে ১৪টি মেট্রোরেল কিংবা ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো। অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা খেলাপি ঋণ এবং উচ্চ পর্যায়ের জালিয়াতি আর্থিক ভারসাম্যকে ভূলুণ্ঠিত করে এবং উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগ হ্রাস করে।
বিগত সরকারের আমলে অর্থ পাচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে জনশক্তি রফতানি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে। গত এক দশকে ভিসা ক্রয়ের আড়ালে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশি ১৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হওয়ার তথ্য উঠে আসে শ্বেতপত্রে। যে অর্থ দিয়ে আরও চারটি ‘উত্তরা-মতিঝিল রুট’ এর সমমানের মেট্রোরেল সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব ছিলো। এভাবে সিন্ডিকেটবাজি এবং কর্মী নিয়োগ পদ্ধতির দুর্নীতির মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত প্রবাসী আয় থেকে বঞ্চিত হয় দেশের অর্থনীতি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংঘটিত লুটপাট থেকে বাদ যায়নি সামাজিক নিরাপত্তা খাতও।
শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির শিকার হয়ে বঞ্চিত হন লাখ লাখ মানুষ। প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই দরিদ্র শ্রেণীভুক্ত ছিল না। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির এই অব্যবস্থাপনার ফল ভোগ করতে হয় দেশের দরিদ্র মানুষকে। মাত্র দুই দিন কাজ করতে ব্যর্থ হলেই দারিদ্যসীমার নিচে চলে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল দেশের দুই কোটি মানুষ। এই তথ্যেই উঠে আসে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সামাজিক অসাম্য তৈরির চিত্র।
বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি ও লুটপাটের থাবা থেকে বাদ যায়নি দেশের পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতিও। জলবায়ু অভিযোজন সংক্রান্ত তহবিলে দুর্নীতির মাধ্যমে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে জানানো হয় শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
খালেদা জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন তিনি।
তাদের মধ্যকার বৈঠকে নানা ইস্যু আলোচিত হতে পারে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। বৈঠক শেষে বিএনপির প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন বলেও জানা গেছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এম জেড জাহিদ হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আব্দুল সাত্তার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শ্রমের ডিজি ও এফডিসির এমডিকে ওএসডি
শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. তরিকুল আলম এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (এফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি দিলীপ কুমার বণিককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরেক প্রজ্ঞাপনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপি) নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
সচিব পদে পদোন্নতির পর তাকে এই নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে গত ২২ সেপ্টেম্বর ওএসডি করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাইকমিশনে হামলা ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের ফল: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সহকারী হাইকমিশনে হামলা ভারতীয় মিডিয়ার মিস ইনফরমেশনের ক্যাম্পেইনের ফল। ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা অপতথ্য ছড়াচ্ছে, ফলে ভারতের একটা অংশ ভায়োলেন্স ছড়াচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক চাই। তবে এই সুসম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আমরা কূটনৈতিক প্রসেসে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটার একটা ডিউ ডিপ্লোম্যাটিক প্রসেস (যথাযথ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া) আছে, আমরা সবগুলো প্রসেস ফলো করছি। আমরা আমাদের কনসার্নগুলো জানিয়েছি, সে অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
তিনি বলেন, আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা ভারতীয় মিডিয়ার মিস ইনফরমেশনের ক্যাম্পেইনের ফল। ভারতীয় মিডিয়া মিথ্যা অপতথ্য ছড়াচ্ছে, ফলে ভারতের একটা অংশ ভায়োলেন্স ছড়াচ্ছে।
ভারতের মিডিয়ার অপতথ্যের বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য মিডিয়াকে অবগত করা হবে কি না- এ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, আমরা বিবিসি, সিএনএনের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতীয় মিডিয়া আগে ডিটারমাইন করেছে কী ঘটেছে (সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে তারা কী দেখাবে)। সব মিডিয়াকে বলবো আপনারা আসেন, দেখে যান কী ঘটছে। ভারতীয় মিডিয়া আমাদের পুরো জাতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।
ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ভারতের সঙ্গে (আমরা) সুসম্পর্ক চাই। তবে এই সুসম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।