জাতীয়
মুক্তি পাওয়া নাবিকদের পরিবারে আনন্দের বন্যা

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছেন। শনিবার রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা।
এ বিষয়ে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এ খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব।
নাবিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে জানি না। আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দের দিন ছিল বিষাদে ভরা। আজ যেন আমাদের খুশির ঈদ। কেএসআরএম গ্রুপের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছে।
আরেক নাবিক আইয়ুব খানের ভাই আওরঙ্গজেব রাব্বী দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আজ মনে হচ্ছে সত্যিকারের ঈদ এসেছে। আমরা খুবই খুশি।
কেএসআরএস কর্তৃপক্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামে যাদের বাড়ি তারা হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসারখান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়লার হক আইনুল এবং শামসুদ্দিন মোহাম্মদ।
লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বাড়ি ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল। নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির। নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম।
নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন ও নাটোরের অর্ডিনারি সি-ম্যান মোহাম্মদ জয়। সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী।
এমআই

জাতীয়
বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।
চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।
তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশি জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি কেন্দ্রে অংশ নেবেন বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী। সেনানিবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে ওই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য আলাদা গেইট ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং মুসলিম মডার্ন একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সময় নির্দিষ্ট গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের পরীক্ষার্থীরা মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (এমইএস) গেইট অথবা ইসিবি সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে মুসলিম মডার্ন একাডেমির পরীক্ষার্থীরা কচুক্ষেত সংলগ্ন এমইএস কনভেনশন হলের পাশের পকেট গেইট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
একই সঙ্গে পিএসসির পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট প্রবেশপথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরীক্ষার দিন সেনানিবাস এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি না হয়।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো

সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আয়োজন করা কোর্সে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রত্যেকের জন্য চাকরির গ্রেড অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যুগ্ম-সচিব মো. ফেরদৌস আলম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নবম গ্রেড থেকে তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীরা কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৮০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্তকালীন ১ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া দশম গ্রেড থেকে তার নিচের পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৬০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্ত থাকার সময় ৭০০ টাকা ভাতা ধরা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সে সময় প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী উভয়ের ভাতা বাড়ানো হয়। প্রশিক্ষার্থীদের ভাতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ আর প্রশিক্ষকদের ভাতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তর আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য বক্তার সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার সেশনে তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্ম-সচিব ও তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সম্মানী ৩ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপ-সচিব এবং তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের ভাতা নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার টাকা।
অপরদিকে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে গ্রেড-৯ থেকে এর ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীদের প্রতিদিন ভাতা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। গ্রেড-১০ থেকে তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীর জন্য তা হয় ১ হাজার টাকা।
প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
- মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তরগুলোর শুধু নিজ নিজ দপ্তরের কর্মচারীদের বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।
- মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তর আয়োজিত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
- প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তিকাল দিনব্যাপী না হলে দুপুরের খাবার বাবদ কোনো ব্যয় করা যাবে না।
- প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
- গ্রেড বলতে মূল গ্রেড বুঝাবে।
- আদেশ জারির তারিখ থেকে পুনর্নির্ধারিত হার কার্যকর হবে।
জাতীয়
অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ। মেলা চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনির চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব, পরিচালকরা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পবিত্র রমজানের পরিপ্রেক্ষিতে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয়
শুক্রবার ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

জরুরি মেরামত কাজের জন্য শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় টানা ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভালভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি, ১২ ইঞ্চি ও ১৪ ইঞ্চি প্রধান বিতরণ পাইপলাইনের কিছু অংশে জরুরি মেরামতের কাজ করা হবে।
এ অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মুক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সব ধরনের গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া এসব এলাকার আশপাশে গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।
সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।