জাতীয়
নববর্ষ উদযাপনে হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র্যাব

বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সবাই যেন উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পারেন সে জন্য র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বদা সজাগ রয়েছে।
র্যাব বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র্যাব সারাদেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বর্ষবরণ উৎসব ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: র্যাব ডিজি

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি আমরা। নববর্ষ উৎসবটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে নববর্ষ উৎসবে র্যাবের নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শহিদুর রহমান বলেন, নববর্ষের উৎসবকে কেন্দ্র করে ইভটিজিং যাতে না হয়, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য সতর্ক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, চারুকলায় ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করা হবে। কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, বৈশাখী উৎসবকে ঘিরে অপপ্রচার রোধ করতে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
‘মার্চ ফর গাজা’ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত

ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ ওয়াই রামাদান। তিনি বলেন, এই সমাবেশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রতিধ্বনিত হবে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা তার অতুলনীয় আন্তরিকতা দিয়ে বিশ্বকে অবাক করে চলেছে। ১২ এপ্রিল বিশ্ব যা প্রত্যক্ষ করেছে তা ইতিহাসের পাতায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন ও সংহতির অন্যতম সেরা ঘোষণা হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে, যা সীমান্ত এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রতিধ্বনিত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রাণশক্তি একটি অকাট্য সত্যকে নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ, তার পুরুষ ও নারী, তরুণ ও বৃদ্ধ উভয়ের মাধ্যমে, ফিলিস্তিনি জনগণকে স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তি, উৎসাহ এবং নৈতিক প্রতিরোধ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বাংলাদেশিদের মতো মহান জাতি খুঁজে পাওয়া বিরল।
তিনি আরও বলেন, এই মহৎ জাতি একটি অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটি ঘোষণা, যা কেবল কথায় নয় বরং নীতিগতভাবে খোদাই করা হয়েছে- বাংলাদেশ ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকা ছাড়া আর কিছুই মেনে নেবে না। ফিলিস্তিন এবং এর জনগণের ন্যায্য সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করবে না। এই পৃথিবীর প্রতিটি সম্মানিত আত্মার গভীরে বসবাসকারী এই নীতির সঙ্গে তারা কখনও আপস করবে না।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সমগ্র ফিলিস্তিন থেকে সমগ্র বাংলাদেশের কাছে, আমরা এমন এক জনগোষ্ঠীকে আমাদের শুভেচ্ছা জানাই যাদের মাহাত্ম্য এবং সাহসী অবস্থানকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ফিলিস্তিন তার বাংলাদেশের ভাইবোনদের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করে, আমাদের জনগণ তাদের পূর্ণ অধিকার, তাদের স্বাধীনতা এবং তাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত তাদের সমর্থনে অনুগত এবং অটল থাকবে।
তিনি বলেন, এই মহান জনগণের প্রতি, আমরা আমাদের স্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। ফিলিস্তিন এবং এর জনগণ আপনাদের প্রতি অনুগত থাকবে, যতক্ষণ না এটি তাদের পূর্ণ অধিকার, তাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। আমরা আপনাদের সম্মানজনক অবস্থান কখনও ভুলব না। আমরা বাংলাদেশের জন্য আপনাদের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত অগ্রগতির জন্য ক্রমাগত প্রার্থনা করি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে, আমরা লাল এবং সবুজ রঙের সমুদ্রের উত্থান প্রত্যক্ষ করেছি। ফিলিস্তিনের পতাকার পাশে বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যটি এই অসাধারণ দৃশ্যের পটভূমি হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জাতীয় রং ফিলিস্তিনের সঙ্গে মিশে আছে, সাহসের দুটি পতাকা পাশাপাশি উড়ছে। হাজার হাজার কণ্ঠস্বর, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, মা, ইমাম, শিল্পী এবং আরও অনেকে স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য একযোগে ধ্বনি তুলেছেন। ঢাকার কণ্ঠস্বর চিৎকার করে উঠবে এবং কখনও নীরব থাকবে না, যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি ভাই-বোনেরা দখলদারিত্ব এবং অবিচারের শিকার হচ্ছে।
ইউসুফ ওয়াই রামাদান বলেন, বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি গত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের অবিচল সংহতির জন্য কৃতজ্ঞতায় ভরা হৃদয় নিয়ে লিখছি। মিছিল করা প্রতিটি ছাত্র, চিত্রশিল্পী, প্রার্থনাকারী, ইমাম এবং কণ্ঠস্বর তুলে ধরা প্রতিটি বাংলাদেশিকে ধন্যবাদ। গাজার শরণার্থী শিবির থেকে পশ্চিম তীরের জলপাই গাছ পর্যন্ত আপনার সংহতি অনুভূত হয়। ন্যায়বিচারের জয় হবে এই বিশ্বাসকে আপনারা বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করেছেন।
তিনি বলেন, আমার হৃদয় থেকে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ। আপনারা কেবল সমর্থক নন। আশা, মর্যাদা এবং সংগ্রামে আমাদের ভাই ও বোন। ফিলিস্তিন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক। ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের যৌথ সংগ্রাম দীর্ঘজীবী হোক।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’। এই কর্মসূচিতে দল-মত নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শিল্পে গ্যাসের নতুন দরের ঘোষণা আজ

শিল্পক্ষেত্রে গ্যাসের নতুন দরের ঘোষণা দেওয়া হবে আজ। রোববার (১৩ এপ্রিল) নতুন শিল্প গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের বাড়তি দর চেয়ে পেট্রোবাংলার করা আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা হবে।
বিইআরসির তথ্যমতে, শিল্প গ্রাহকরা বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বিল দিচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এখন যে সব শিল্প চালু রয়েছে, তারা এই দরেই গ্যাস পাবে। আর নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে বিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হতে পারে।
বিদ্যমান গ্রাহকদের দর (শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা) অপরিবর্তিত রেখে নতুন ও প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল পেট্রোবাংলা। প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে, অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। অন্যদিকে নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ দশমিক ৭২ টাকা করা।
পেট্রোবাংলার দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে। পেট্রোবাংলার সেই প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শুনানিতেও ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা তীব্র আপত্তি তোলেন। বিশেষ করে শিল্পে দুই ধরনের দর করার বিরোধিতা করেন সবাই।
শুনানিতে অনেকেই শিল্পে দুই ধরনের দরের বিষয়ে আপত্তি করেন। তারা বলেছেন, বিদ্যমান শিল্পের জন্য গ্যাসের দর অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিল্পের জন্য বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। তারা জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা চলমান রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে।
তাঁরা আরো জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় কমিশনের সভাপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান, ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এবং ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় দুদেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, রাশিয়ায় দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং যৌথ প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে।
পরদিন, ৮ এপ্রিল, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিউকভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকের আদান-প্রদান, এবং যৌথ সামরিক মহড়া সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন দুজন।
এছাড়া, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা ‘রোসাটম’-এর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নির্ধারিত সময়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযুক্তি বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে।
‘রোস্টেক’ ও ‘রোজোবোরন এক্সপোর্ট’-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন সেনাপ্রধান। এতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও গতিশীল করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
১০ এপ্রিল, ক্রোয়েশিয়া সফরের সময় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিহোমির কুন্দিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন, যৌথ সামরিক মহড়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল সেনাপ্রধান রাশিয়া সফরে রওনা হন এবং পরে ১০ এপ্রিল সেখান থেকে তিনি ক্রোয়েশিয়ায় যান।