রাজধানী
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িতে আগুন লাগার কারণ জানালো পুলিশ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার গাড়িতে আগুন লাগার কারণ জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল ঈদের দিন বিকালে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে এ ঘটনা ঘটে। গাড়িটির মালিক আল আজমি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার।
ফায়ার সার্ভিস বলেছে, গতকাল বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে এক্সপ্রেসওয়ের ওপর একটি গাড়িতে তারা আগুন লাগার খবর পায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভালেও গাড়িটি পুড়ে গেছে।
কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, গাড়িটি হাইব্রিড (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের সমন্বয়ে চালিত গাড়ি)।
পুলিশের বাড্ডা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার রাজন কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গতকাল বিকেলে আবু শাহরিয়ার তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৭-২৭২১) ঘুরতে বের হন। তাঁরা রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শাহরিয়ারের ভাই। একপর্যায়ে গাড়িটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আগুন ধরে যায়। আগুন গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ার আগে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে যান।
এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ভাটারা থানার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (অপারেশনস) মনির হোসেন বলেন, আগুনে গাড়িটি পুড়ে গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শাহবাগে সড়কে নেমে আসলেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে তারা সড়কে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ সাংবাদিকদের বলেন, অভ্যুত্থানে আহত কিছু ব্যক্তি শাহবাগে অবস্থান নেন। তারা আধাঘণ্টা সড়কে ছিলেন।
জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান চলাকালে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। এদের কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে।
কেউ হারিয়েছে চোখ। বিভিন্ন জখম ও আঘাত নিয়ে তাদের অনেকে বিএসএমএমইউসহ ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না দাবি করে নানা সময় রাস্তায় নেমেছেন আহতরা। এমনকি অনেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করেছেন, তারা অশোভন আচরণেরও শিকার হচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত মাস ২০২৪ এর ডিসেম্বর
গত বছরের ডিসেম্বরে রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ৯ বছরে ডিসেম্বরে এতটা ভয়াবহ দূষণ দেখা যায়নি। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর শহরটির বায়ু পরিস্থিতি ছিল বেশি দুর্যোগপূর্ণ, বিগত ৯ বছরে যেমনটা আর দেখা যায়নি। সবশেষ ৯টি ডিসেম্বর মাসের মোট ১৭ দিন দুর্যোগপূর্ণ ছিল ঢাকার বায়ু, যার মধ্যে ১১ দিন ছিল শুধুমাত্র গত ডিসেম্বর মাসেই।
২০১৬ সাল থেকে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করে আসছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। সম্প্রতি তারা একটি গবেষণায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের দূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে, যেখানে বায়ু মান ছিল অতীতের চেয়ে মারাত্মক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা, কলকারখানার ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা, রাস্তার ধুলাবালি, নির্মাণকাজ এবং যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানোর কারণে দূষণের মাত্রা অব্যাহতভাবে বেড়েছে।
ক্যাপসের তথ্য মতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই মান ছিল ১৯৫, অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১টায় ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৮৮০, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ু দূষণে নগরবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর পড়েছে ভয়াবহ প্রভাব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালে রোগী আসার সংখ্যা গত মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দূষণের কারণে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্বাভাবিক সময়ে দেখা যায় না।
পরিবেশ অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবতা ভিন্ন। এ ব্যাপারে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, দূষণের মূল উৎস যেমন ইটভাটা, কলকারখানার ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং অব্যাহত নির্মাণকাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কার্যকর তৎপরতার অভাব রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, নভেম্বর মাসে পুলিশ বাহিনীর কম উপস্থিতির কারণে ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান তেমন ছিল না। ঢাকার রাস্তার পাশের বর্জ্য পোড়ানোও একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট
প্রতিদিনই মানুষের কিছু না কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন হয়। এছাড়া মানুষ ঘুরতেও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে থাকেন। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা কিংবা ঘুরতে গিয়ে যদি দেখেন ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হয় সময়ও। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা এলাকার দোকানপাট, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার ক-অপরারেটিভ মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
আজ ১ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের এই দিনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গঠিত এ সংগঠন দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনে পরিণত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদল বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিনটির সূচনা করা হয়। দুপুর ১২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটরিয়ামের সামনে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ২টায় আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক হিসেবে দলীয় কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেবেন।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বলেন, “গণমানুষের মুক্তি এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে ছাত্রদল কাজ করছে। বিগত আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার আমাদের।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনাই আমাদের লক্ষ্য। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে নিয়মিত ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে।”
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
মুহুর্মুহু আতশবাজি-পটকায় নতুন বছর উদযাপন
এবারও পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিকট শব্দে পটকা-আতশবাজি ফোটানোর আওয়াজ আর ফানুস উড়িয়ে উদযাপিত হচ্ছে নতুন বছর ২০২৫। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায় রাজধানীবাসী।
আতশবাজির ঝলকে রঙিন হয়ে ওঠে ঢাকার আকাশ। এর সঙ্গে রয়েছে পটকার শব্দ, তবে এবার সংখ্যায় ফানুস কম। অথচ নিষেধাজ্ঞা ছিল এসব আয়োজনে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বরাবরের মতো এবারও খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে উদযাপনে ছিল সবকিছুই।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে (সময় অনুযায়ী ১ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে) রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও পটকা ফাটানোর বিকট আওয়াজ পাওয়া যায়।
যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়।
ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের আয়োজন করার সুযোগ ছিল না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আতশবাজি আর পটকায় ভরপুর ঢাকার আকাশ। রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ প্রায় সব এলাকায় অনেক ভবনের ছাদেই রয়েছে আতশবাজি আর ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। অনেকে আবার ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছেন।
কাফি