ধর্ম ও জীবন
জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ তিন আমল
রসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: হাদিস ১০৮৪) সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের আমল অনেক বেশি ও গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনের বিশেষ মর্যাদার কথা জানা যায় কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যায়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের আমল অনেক বেশি ও গুরুত্ত্বপূর্ণ। এ দিনের বিশেষ মর্যাদার কথা জানা যায় কুরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যায়।
সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনের আমল অনেক বেশি ও গুরুত্ত্বপূর্ণ। এ দিনের বিশেষ মর্যাদার কথা জানা যায় কুরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যায়।মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
জুমার দিন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব
হযরত সালমান ফারসি থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তাআলা তাঁর দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন। (সহিহ বুখারি ৮৮৩)
জুমার দিন গোসল করা ও আগে আগে মসজিদে যাওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। আউস বিন আউস সাকাফি রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তাঁর জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে। (আবু দাউদ ৩৪৫)
জুমার দিন সবার আগে মসজিদে যাওয়া
শুক্রবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে আগে মসজিদে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো। (সুরা জুমা ০৯)
হাদিসে রসুল সা. আরও বলেছেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন। ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তি যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন, তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি ৯২৯)
সুরা কাহফ তেলাওয়াত ও দরুদ পড়া
মর্যাদপূর্ণ এই দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে সুরা কাহফ তিলওয়াত করা। আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইল ৯৫২)
রসুল সা. বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম আ.-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ ১০৪৭)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
মসজিদুল হারাম ও নববীতে নতুন চার ইমাম
সৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারামে নতুন দুই ইমামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন ইমাম নিয়োগ পেয়েছেন মসজিদে নববীতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) তাদের হারামাইন শরিফাইনে স্থায়ী ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, মসজিদুল হারামে নিয়োগ পাওয়া দুই ইমাম হলেন শায়খ বদর আল তুর্কি ও শায়খ ওয়ালিদ আশ শামসান। অন্যদিকে মসজিদে নববীতে নিয়োগ পেয়েছেন শায়খ আবদুল্লাহ আল কুরাফি ও শায়খ মুহাম্মদ বারহাজি।
একটি রাজকীয় আদেশের মাধ্যমে নিয়োগগুলো দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মসজিদে হারাম ও নববীকে একত্রে হারামাইন শরিফাইন বলা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ১৫ অক্টোবর
দেশের আকাশে রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং শনিবার (৫ অক্টোবর) থেকে শুরু হবে পবিত্র রবিউস সানি। এ হিসেবে আগামী ১৫ অক্টোবর পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার।
সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. সাইফুল ইসলাম, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসনের সহকারী প্রশাসক মো. মেহেদি হাসান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহূল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয় কমিটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। এ সময় কমিটিতে ধর্মবিদ্বেষীরা রয়েছে দাবি করে কড়া বার্তাও দেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি এই বার্তা দেন।
যেখানে শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কী পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্মবিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বেইমানি।
একই সঙ্গে সেই পোস্টের কমেন্টে গিয়ে একাধিক স্ক্রিনশটও দেন ইসলামী এই আলোচক। এক কমেন্টে তিনি বলেন, অবাক করা ব্যাপার হলো, এসব ধর্মবিদ্বেষীরা কেউ কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক বিশেষজ্ঞও না। তবুও এদেরকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের ওপর।
এ সময় শায়খ আহমাদুল্লাহ কামরুল ইসলাম মামুন ও সামিনা লুতফার নাম লিখে তাদের অনতিবিলম্বে অপসারণ করারও দাবি তুলেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
সরকারি টাকায় হজ বন্ধ চেয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
সরকারি টাকায় হজ করাকে বিলাসিতা বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানে শায়খ আহমাদুল্লাহ। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। পোস্ট করার ৪০ মিনিটেই তাতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ২০ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী।
পোস্টে জনপ্রিয় এ আলেম লিখেছেন, ‘সরকারি টাকায় হজ করা এক ধরনের বিলাসিতা। প্রতিবছর অনেক ক্ষমতাসীন রাজনীতিক ও সরকারের পছন্দের মানুষ রাষ্ট্রের টাকায় হজে যান। এটা শরয়ী এবং নৈতিক কোনো দিক থেকেই সিদ্ধ নয়। এতে একদিকে যেমন দেশের টাকার অসদ্ব্যবহার হয়, পাশাপাশি এসব লোকের পেছনে হজ অফিসকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হয় এবং ব্যস্ত থাকতে হয়। এর ফলে সাধারণ হাজিরা তাদের যথাযথ সেবা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি টাকা মানে জনগণের টাকা। জনগণ তো কাউকে হজের জন্য টাকা দেয় না। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জনগণের টাকায় হজ করছেন, এর মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আছে প্রচ্ছন্ন লাঞ্ছনা। ‘অতএব এই প্রথা চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, সরকারের তরফ থেকে নিয়োজিত ডাক্তার, হজ গাইড ও অন্য হজসংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কথা ভিন্ন।’
ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি আরো লিখেছেন, ‘সরকারি হাজিদের সেবায় যারা সৌদি যান, তাদের বেশির ভাগই নিজের হজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেকে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান। সরকারি হাজিদের অবস্থা থাকে অনেকটা মা-বাপ ছাড়া সন্তানের মতো।
তাদের দেখার যেন কেউ থাকে না। সরকারি হাজিদের অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা দেখে প্রতিবছরই কষ্ট হয়।’
“এ অবস্থারও অবসান হওয়া দরকার। হাজিদের সার্ভিস দেওয়ার নাম করে সেখানে হজ করতে যাওয়াও অনুচিত, যদি সেই হজ পালনের ফলে হাজিদের সেবাদানে ত্রুটি হয়। সুতরাং ‘পরিচিত’ কোটায় সেবার জন্য হজে যাওয়াও বন্ধ হওয়া উচিত।”
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির দায়িত্বে সাইফুল ইসলাম
অতিরিক্ত হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব পালন করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, নিয়মিত মহাপরিচালক যোগদান না করা পর্যন্ত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংস্থা ও আইন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলামকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত করা হয়েছে।
এমআই