অর্থনীতি
দেশে ক্রেডিট কার্ডে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন বিদেশিদের
গত প্রায় এক বছরের মধ্যে বিদেশিরা বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন গত ফেব্রুয়ারিতে। বাংলাদেশে ঘুরতে আসা বা কর্মসূত্রে বসবাসকারী বিদেশিরা ফেব্রুয়ারি মাসে ক্রেডিট কার্ডে ২৪০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এর আগে এ দেশে বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছিলেন গত বছরের মার্চে। ওই মাসে বিদেশিরা বাংলাদেশে প্রায় ২৩৭ কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন ক্রেডিট কার্ডে।
ক্রেডিট কার্ডে দেশে-বিদেশে লেনদেনসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক গত ফেব্রুয়ারি মাসভিত্তিক ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৩টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিক এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে বিদেশিদের লেনদেন এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩২ শতাংশ বা ৫৮ কোটি টাকা বেড়েছে। জানুয়ারিতে বিদেশিরা এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে ১৮২ কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৯ কোটি টাকা নগদে উত্তোলন করেছেন তাঁরা। বাকি টাকা বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪০ কোটি টাকার লেনদেনের মধ্যে ৬৪ কোটি টাকা বা প্রায় ২৭ শতাংশই খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। খরচের দিক থেকে এর পরের অবস্থানে আছেন যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান ও কানাডার নাগরিকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশিরা এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কেনাকাটায়। ফেব্রুয়ারিতে বিদেশিরা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কেনাকাটায় খরচ করেছেন প্রায় ৯১ কোটি টাকা। এরপর ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়েছে নগদ অর্থ উত্তোলনে।
এদিকে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশে বিদেশিদের লেনদেন বাড়লেও বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে জানুয়ারির তুলনায় কম খরচ করেছেন ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৪৯৯ কোটি টাকা, যা আগের মাসের তুলনায় ৩৩ কোটি টাকা বা প্রায় সোয়া ৬ শতাংশ কম। ক্রেডিট কার্ডে দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের লেনদেনের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বরাবরই ভারত। ফেব্রুয়ারিতে ভারতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ১০৮ কোটি টাকার বেশি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন থাইল্যান্ডে, ৬১ কোটি টাকা। আর যুক্তরাষ্ট্রে খরচ করেছেন ৬০ কোটি টাকার বেশি।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতে সব সময়ই বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়। কারণ, এ দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতি মাসে দেশটিতে চিকিৎসার জন্য যান। পাশাপাশি বেড়ানোর জন্যও অনেকে দেশটিতে ভ্রমণ করেন নিয়মিতভাবে। এ কারণে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এ দেশের নাগরিকেরা ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। যার বড় অংশই খরচ করা হয়েছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে এ দেশের নাগরিকেরা জানুয়ারির তুলনায় ১২০ কোটি টাকা কম খরচ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের একাধিক শাখায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীসহ ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ অন্যান্য তথ্যাদি জমা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে দুদক।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২২ এর ডিসেম্বরে নিয়ম না মেনে ইসলামী ব্যাংকের চাকতাই শাখার গ্রাহক মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাডেট সুপার ট্রেডার্স ও খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসকে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাবনা, সুপারিশ, অনুমোদন, বিতরণ, পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক।
এই ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আলী, ওমর ফারুক খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহের আহমেদ চৌধুরী, এ এ এম হাবিবুর রহমান, হাসনে আলম, আব্দুল জাব্বার, সিদ্দিকুর রহমান, কাজী মো. রেজাউল করীম, মিফতাহ উদ্দিন, এএফএম কামালুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেকিউএম হাবিবুল্লাহ।
আরও আছেন মনিটরিং বিভাগের প্রধান এসভিপি খালেকুজ্জামান, একই বিভাগের এসএভিপি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম, বিনিয়োগ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাব্বির, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ উদ্দিন, সাইদ উল্লাহ, আবু সৈয়দ মোহম্মদ ইদ্রিস, আলতাফ হোসাইন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের।
চিঠিতে উল্লিখিত ব্যক্তিদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে বিতরণকৃত ঋণের তথ্যসহ ব্যক্তিগত তথ্য এবং লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদের সুশাসনের ঘাটতি কাটাতে কাজ করছি: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নগদে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, যা দরকার ছিল। প্রতিষ্ঠানটিতে সুশাসনের যে ঘাটতি ছিল, সেটি কাটাতে আমরা কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটির কাজের স্বচ্ছতা ও মালিকানা নিয়ে যেন প্রশ্ন না থাকে এবং মানুষ যেন ভবিষ্যতে সেখানে স্বচ্ছন্দে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সেরা প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য সময়ের সরকার বদলের মতো বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্বে আসেনি। যেসব চ্যালেঞ্জ আমরা এখন মোকাবিলা করছি, সেগুলোর সমাধান করা যাবে না এমন নয়। আমরা মানুষের ভালোর জন্য একটা পদচিহ্ন রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে পরবর্তী সরকার এ সংস্কার কাজকে আরও এগিয়ে নিতে পারে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের সরকারের ভুল-ত্রুটি ইতিবাচকভাবে ধরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আপনারা ভুল-ত্রুটি ধরবেন; তবে সেই সঙ্গে ভুল সংশোধনের দিকনির্দেশনা ও ইতিবাচক জিনিসগুলো যেন থাকে।
জানা যায়, এ বছর মোট ১৭টি ক্যাটাগরি বা শ্রেণিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার ১৫ জন এবং টেলিভিশনের ৪ জন প্রতিবেদক পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন- প্রথম আলোর সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম; জাহাঙ্গীর শাহ; রাজীব আহমেদ এবং আরিফুর রহমান; দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি; দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আহসান হাবীব; ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা; দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি জেবুন নেসা ও নিজস্ব প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ; ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি সদরুল হাসান; শেয়ারবিজের নির্বাহী সম্পাদক ইসমাইল আলী; ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. শফিকুল ইসলাম; আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াদুল ইসলাম ও দৈনিক কালবেলার বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ।
টেলিভিশন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছেন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি বাবু কামরুজ্জামান, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইকবাল আহসান ও যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তৌহিদ হোসেন পাপন।
ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নগদের চেয়ারম্যান খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ ও প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে সরকার
বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর বকেয়া পরিশোধে নতুন করে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়তে যাচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বন্ড ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অর্থ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়ার পরিমাণ বর্তমানে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এ বকেয়া মাসে মাসে বাড়ছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। বিদ্যমান বরাদ্দ দিয়ে বকেয়া পরিশোধ করা কঠিন হতে পারে।
বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধের জটিলতা বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই শুরু হয়। চলতি পঞ্জিকা বছরের শুরু থেকে ৫ আগস্ট বিদায় নেওয়ার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছেড়েছে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নতুন করে বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ বিষয়ে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া জমে গেছে। এ জন্য বিশেষ বন্ড আগেও ছাড়া হয়েছে। তুলনামূলক ভালো বিকল্প হিসেবে নতুন করে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। অর্থ বিভাগ এ প্রক্রিয়া শিগগির বাস্তবায়ন করবে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বন্ড ছাড়ার ইতিবাচক দিক হচ্ছে- এর ফলে ব্যাংকের কাছে কোম্পানিগুলোর দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা করতে তাদের আর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে, তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে, অন্য ব্যাংকের কাছে এগুলো বিক্রিও করতে পারবে।
এ বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারবে। সরকারের জন্য সুবিধা হলো, নগদ টাকা আপাতত পরিশোধ করতে হবে না। অর্থাৎ দায় পরিশোধে সরকারও একটু সময় পেল।
জানা গেছে, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা বিক্রি করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে। এ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। এলসি খোলা ও ঋণের কারণে তারা ব্যাংকের কাছে দেনাদার থাকে। এদিকে বিপিডিবি যে দামে কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনে, তার চেয়ে অনেক কম দামে বেচে বাজারে। তবে কেনা দাম ও বাজার দামের পার্থক্য ভর্তুকি আকারে দেয় অর্থ বিভাগ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২০ মিলিয়ন ডলারে পিওর ইট বিক্রি করে দিল ইউনিলিভার
খাবার পানি শোধনকারী (ফিল্টার) পিওর ইট ১২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছে ইউনিলিভার। গ্লোবাল ওয়াটার টেকনোলজি কোম্পানি এও স্মিথ কর্পোরেশন নিজেদের ওয়েবসাইটে পিওর ইট কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি করেছিলো গ্লোবাল ওয়াটার।
জানা যায়, ২০০৪ সালে ভারতের চেন্নাইতে পিওর ইট প্রথম চালু করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছিল ইউনিলিভার। ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০১০ সালে পিওর ইট চালু করে।
পিওর ইট কিনে নেওয়া এও স্মিথ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেভিন জে হুইলার বলেন, পিওর ইট বাজারে আমাদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলোর পরিপূরক। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও পিওর ইট বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকোয় বিক্রি হচ্ছে। পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি এই বছরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিলিভার পিওর ইট বিক্রি থেকে বছরে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে লাগবে না হার্ডকপি
অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার পর ভ্যাট অফিসে কোনো ধরনের হার্ডকপি দাখিল করতে হবে না জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এনবিআর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে এনবিআর জানায়, অনলাইনে দাখিলপত্র, সহগ ঘোষণা ইত্যাদি দাখিল করার পর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভ্যাট অফিসার কর্তৃক হার্ডকপি চাওয়া হয় যা আইনসঙ্গত নয়। তাই অনলাইনে ভ্যাটের দাখিলপত্র, সহগ ঘোষণা ইত্যাদি দাখিল করার পর হার্ডকপি ভ্যাট অফিসে দাখিল করতে হবে না।
সংস্থাটি আরও জানায়, দাখিলপত্রসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (সহগ) ঘোষণা, ট্রেজারি চালান ইত্যাদি ভ্যাট অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত করে সংরক্ষণ করার বিধান নেই। তবে স্থানীয় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অফিস কার্যালয়ে কাগুজে দাখিলপত্র দাখিল করতে চাইলে সার্কেল অফিসের গ্রহণ-প্রেরণ শাখা থেকে গ্রহণ করে নিতে হবে। পাশাপাশি ডাকযোগেও দাখিলপত্র প্রেরণ করা যায় বলে জানায় সংস্থাটি।
যদিও এনবিআর কাগুজে দাখিলপত্র দাখিল করার পরিবর্তে সবাইকে অনলাইনে দাখিলপত্র দাখিল করার জন্য অনুরোধ করেছে।
এমআই