অর্থনীতি
দেশে ক্রেডিট কার্ডে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন বিদেশিদের
গত প্রায় এক বছরের মধ্যে বিদেশিরা বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন গত ফেব্রুয়ারিতে। বাংলাদেশে ঘুরতে আসা বা কর্মসূত্রে বসবাসকারী বিদেশিরা ফেব্রুয়ারি মাসে ক্রেডিট কার্ডে ২৪০ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এর আগে এ দেশে বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছিলেন গত বছরের মার্চে। ওই মাসে বিদেশিরা বাংলাদেশে প্রায় ২৩৭ কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন ক্রেডিট কার্ডে।
ক্রেডিট কার্ডে দেশে-বিদেশে লেনদেনসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক গত ফেব্রুয়ারি মাসভিত্তিক ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৩টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিক এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে বিদেশিদের লেনদেন এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩২ শতাংশ বা ৫৮ কোটি টাকা বেড়েছে। জানুয়ারিতে বিদেশিরা এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে ১৮২ কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৯ কোটি টাকা নগদে উত্তোলন করেছেন তাঁরা। বাকি টাকা বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪০ কোটি টাকার লেনদেনের মধ্যে ৬৪ কোটি টাকা বা প্রায় ২৭ শতাংশই খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা। খরচের দিক থেকে এর পরের অবস্থানে আছেন যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান ও কানাডার নাগরিকেরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিদেশিরা এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কেনাকাটায়। ফেব্রুয়ারিতে বিদেশিরা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কেনাকাটায় খরচ করেছেন প্রায় ৯১ কোটি টাকা। এরপর ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়েছে নগদ অর্থ উত্তোলনে।
এদিকে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশে বিদেশিদের লেনদেন বাড়লেও বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে জানুয়ারির তুলনায় কম খরচ করেছেন ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৪৯৯ কোটি টাকা, যা আগের মাসের তুলনায় ৩৩ কোটি টাকা বা প্রায় সোয়া ৬ শতাংশ কম। ক্রেডিট কার্ডে দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের লেনদেনের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বরাবরই ভারত। ফেব্রুয়ারিতে ভারতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ১০৮ কোটি টাকার বেশি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন থাইল্যান্ডে, ৬১ কোটি টাকা। আর যুক্তরাষ্ট্রে খরচ করেছেন ৬০ কোটি টাকার বেশি।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতে সব সময়ই বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়। কারণ, এ দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতি মাসে দেশটিতে চিকিৎসার জন্য যান। পাশাপাশি বেড়ানোর জন্যও অনেকে দেশটিতে ভ্রমণ করেন নিয়মিতভাবে। এ কারণে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এ দেশের নাগরিকেরা ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। যার বড় অংশই খরচ করা হয়েছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে দেশের অভ্যন্তরে এ দেশের নাগরিকেরা জানুয়ারির তুলনায় ১২০ কোটি টাকা কম খরচ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইলেকট্রিক-হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল
হাইব্রিড ও সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির ঋণপত্রে (এলসি) নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড ব্যতীত অন্যান্য গাড়ি আমদানিতে নগদ মার্জিন অর্ধেক করা হয়েছে।
বৃহম্পতিবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার জন্য মোটরকার আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা রয়েছে। তবে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহারকে নীতিগতভাবে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে।
ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশে এ ধরনের পরিবহন মাধ্যম কার্বণ নিঃসরণ হ্রাস ও বায়ুর গুণমান সূচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকারের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।
তবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকার ব্যতীত অন্যান্য মোটরকারের (সেডানকার, এসইউভি, এমপিভি ইত্যাদি) আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। এ নির্দেশনা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোনালী ব্যাংকে বেক্সিমকোর ঋণের বড় অংশই খেলাপি
বিভিন্ন অনিয়েম জন্য সমালোচিত দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণের বড় অংশই এখন খেলাপি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী মো. শওকত আলী খান।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান এমডি।
এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, হলমার্ক গ্রুপ ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পত্তি মর্টগেজ দিয়েছিল তার অতিরিক্ত আরও ১৬৭ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুধু হলমার্ক নয় টিএম ব্রাদার্সসহ যাদের কাছে ব্যাংকের বড় বড় পাওনা রয়েছে তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালে বিপুল মুনাফা করেছে দেশের বৃহত্তম তফসিলি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পিএলসি। ২০২৩ সালের চেয়ে ২০২৪ সালে পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। রেকর্ড মুনাফার পাশাপাশি ২০২৪ সালে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৪ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা বেশি।
তিনি জানান, বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এ বছর নেট ইন্টারেস্ট ইনকামের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকায়, যা গত বছরের চেয়ে ৯৪৯ কোটি টাকা বেশি।
ব্যাংকের জন্য এ বছরের স্লোগান ‘২০২৫ সাল হবে সোনালী ব্যাংকের সমৃদ্ধির পথে চলার বছর’ উল্লেখ করে তিনি জানান, কর্মীরাই ব্যাংকের প্রাণ। তাদের মোটিভেট করতে আমরা উল্লেখযোগ্য কর্মীদের প্রমোশন দিয়েছি। তারা ভালো থাকলে ব্যাংক আরও ভালো করবে। প্রমোশনপ্রাপ্তদের অনেকেই ৭/৮ বছর পর প্রমোশন পেয়েছেন। তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। ব্যাংকের স্বার্থেই আমরা তাদের প্রমোশন দিয়েছি।
খেলাপি ঋণ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এমডি অ্যান্ড সিইও শওকত আলী খান বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করছি। উৎপাদনশীল খাতে ঋণ দিতে আমরা সিএমএসএমই ঋণে জোর দিয়েছি। ২০২৪ সালে রেকর্ড মুনাফার কারণে প্রভিশন ঘাটতি কমে আসবে বলে তিনি জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ, প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজাররা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৫৮২ কোটি টাকায় এক লাখ টন সার কিনবে সরকার
দেশে কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতার, সৌদি আরব ও মরক্কো থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪০ হাজার টন ডিএপি, ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৮২ কোটি ২৪ লাখ ১২ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর সঙ্গে চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন টিএসপির মূল্য ধরা হয়েছে ৪৪০ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি টন ডিএপির মূল্য ধরা হয়েছে ৬১৭ ডলার। এই সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বৈঠকে সার কেনার আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
কাতার এনার্জী মার্কেটিং এর সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৪ দশমিক ৬৭ ডলার হিসেবে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ১০০ ডলার। বাংলাদেশে মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২৭ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার টাকা।
এদিকে বৈঠকে ‘ই-জিপি সিস্টেমের উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক সেবা ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া বাংলাদেশ এবং জিএসএস ইনফোটেক লিমিটেডের নিয়োগ এক বছরের বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই এক বছরের সেবা নিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দিতে হবে ৪২ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৮ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জানুয়ারিতেও অপরিবর্তিত এলপি গ্যাসের দাম
ডিসেম্বরের মতো নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেও ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দাম অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যা বলবৎ থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত।
বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, জানুয়ারি মাসে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডার বিক্রি হবে এক হাজার ৪৫৫ টাকায়।
তবে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দাম কমিয়েছে বিইআরসি। জানুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম ৩ পয়সা কমিয়ে প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৬২৫ মার্কিন ডলার ও ৬১৫ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬১৮.৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় জানুয়ারি মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ৪ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। এক দফা ছিল অপরিবর্তিত। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে। তবে দাম অপরিবর্তিত ছিল ডিসেম্বরে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টিসিবির জন্য ২৮৪ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এ তেল ও ডাল কিনতে মোট ব্যয় হবে ২৮৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ তেল ও ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠক এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব দেওয়া হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এ তেলের ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের মূল্য ধরা হয়েছে ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা।
সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে এ সয়াবিন তেল কেনা হবে। ক্রয় সম্পন্ন করার পর টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এ সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে।
জানা যায়, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহের জন্য একটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে।
দরপ্রস্তাবটি আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির (টিইসি) সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে এ সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৪ টাকা ৯৫ পয়সা। শবনাম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে এ ডাল কেনা হবে।
জানা যায়, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তিনটি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শাবনাম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে এ মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি ৫০ কেজির বস্তায় এ ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহ করবে।