সারাদেশ
ঈদের দিনে বেপরোয়া মোটরসাইকেলে প্রাণ গেলো তিনজনের
নেত্রকোনার কলমাকান্দা সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক মোটরসাইকেলের তিনজন আরোহীই নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকালে উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুরা চেংনী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হৃদয় নিয়া (২২), হালিম হোসেন (১৮) ও নবী হোসেন (৩৫)। তারা সবাই কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খালি সীমান্ত সড়কে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। এসময় চেংনী বাজারের কাছে পৌঁছতেই মোটরসাইকেলের সামনের চাকা পাংচার হয়। এতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন আরোহী নিহত হন।
ওসি আরও জানান, এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কলমাকান্দা থানায় নিয়ে আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএসসির ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুই ট্যাংকারে পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। এ সন্দেহ যাতে দূর হয় বা প্রকৃত ঘটনা বের করে আনার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ৯ থেকে ১০ সদস্যের একটি বড় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার নেপথ্যে সন্দেহজনক কিছু আছে কি না, তাঁরা বের করবেন।
আজ রোববার দুপুরে বিএসসি কার্যালয়ে নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। এর আগে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
গত সোমবার বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার জ্যোতিতে’ বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছিলেন। গত শুক্রবার মধ্যরাতে সংস্থাটির আরেকটি ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার সৌরভে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেকজন নাবিক নিহত হন।
এ নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এমটি বাংলার সৌরভের দুর্ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে সন্দেহ করে আসছিলেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভয় ছিল, যদি তেলে বিস্ফোরণ হতো, তাহলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটত। তবে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বন্দরসহ সবাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
শেরপুরে ভয়াবহ বন্যা, ৭ জনের মৃত্যু
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানিতে শেরপুরের পাঁচ উপজেলার দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন নদীর পানি। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যায় এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিজিবি। এছাড়া শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়েছেন।
এদিকে শনিবার রাত থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৭টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, সবশেষ শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বন্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার কর্মকারের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২ হাজার ৫৭টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক হিসাবে ১১ কোটি টাকার বেশি।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলার অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
শনিবার সকাল থেকেই নালিতাবাড়ী উপজেলায় উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ৬টি স্পিড বোটের মাধ্যমে ৬০ জন সেনাসদস্য উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রানা বলেন, নালিতাবাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি। এর মধ্যে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
১৫ বছরে বন্ধ হওয়া কারখানা দ্রুত চালুর দাবি
বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচার সরকারের অপশাসনে ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্ধ হওয়া শিল্পকারখানা দ্রুত চালু করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ব্যবসায়ী ও সাধারণ শ্রমিক জনতা। বন্ধ কারখানা চালু, স্বৈরাচার সিন্ডিকেট ভাঙন, বৈষম্যের শিকার ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন আর্থিক নীতিমালা গঠন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ সময় সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহমান এবং ব্যাংকখেকো এস আলম সিন্ডিকেটের ইশারা ছাড়া কেউ কোনো ধরনের ঋণ সুবিধা পায়নি।
তাদের অত্যাচারে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের হাজারও শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে এস আলম গ্রুপ ও তাদের দোসরদের কারণে চট্টগ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক শিল্প কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এসব শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা এখন পরিবার নিয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন। সরকারের কাছে বন্ধ কারখানা দ্রুত চালুর দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ব্যবসায়ী ও সাধারণ শ্রমিক জনতা সংগঠনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি শারুদ নিজাম, শ্রমিক প্রতিনিধি মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কের ময়মনসিংহ লিংক রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নান্নু খান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি বাস রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ময়মনসিংহ লিংক রোডে পৌঁছায়। এ সময় কালিহাতী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এদিকে এ ঘটনায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সল্লা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ছয় মাসে কুরআনের হাফেজ ১০ বছরের এমদাদ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে ১০ বছরের মো. এমদাদুল ইসলাম। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ করায় আনন্দিত এমদাদের পরিবার ও শিক্ষকরা। মো. এমদাদুল ইসলাম সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. এরশাদুল উদ্দিনের ছেলে। সে উপজেলার তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, ব্যবসায়ী এরশাদুল উদ্দিনের দুই ছেলে এক মেয়ে। সাড়ে ৫ বছর বয়সে স্থানীয় মাদরাসায় নুরানি শাখায় মো. এমদাদুল ইসলামকে ভর্তি করান তিনি। তার দাদির স্বপ্ন ছিল এমদাদকে হাফেজ বানাবেন। এরপর তিন বছর নুরানি পড়ে এমদাদ। ২০২৪ সালে সে তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসায় ভর্তি হয়। তারপর ৩ মাস নাজরানা বিভাগে পড়ার পর কোরআন সবক নেয় এমদাদুল ইসলাম। এরপর মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ (মুখস্থ) করে সে।
এমদাদুল বলে, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন দ্বিনের দায়ী হতে পারি।
এমদাদের সহপাঠী মো. তাসকিন বলে, আমার বন্ধু এমদাদ মাত্র ছয় মাসে হিফজ শেষ করেছে জন্য আমরা খুব আনন্দিত। তার মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।
এমদাদুল ইসলামের বাবা এরশাদুল বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে এমদাদ আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার দাদির ইচ্ছা ছিল তাকে হাফেজ বানানো। সে তার দাদির স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কবুল করে।
হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. আবু ইউসুফ বলেন, এমদাদুল এক প্রতিভাবান ছাত্র। ২০২৪ সালের শুরুতে সে আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়। তারপর তিন মাস নাজেরা পড়ে। এরপর ছয় মাসেই সে পুরো ৩০ পারা কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছে। আলহামদুলিল্লাহ। কখনো ৫ পৃষ্ঠা, কখনো ৮ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা সবক সে দিয়েছে। আমরা আশা করছি এ প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সে একদিন বড় আলেম হবে।
তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. নাছরুল্লাহ বলেন, মাত্র ৬ মাসে আল্লাহর কালাম মুখস্থ করা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ এমদাদুলকে সেই মেধা দিয়েছেন। সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এটি আমাদের জন্য গর্বের। তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এবং এমদাদুলের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি। সে যেন আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে সেই দোয়া করি।