ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেবে এপেক্স

এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডে ‘ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর/ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড
পদের নাম: ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর/ম্যানেজার
পদসংখ্যা: ০১ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমএসসি/বিএসসি (সিএসই)
অভিজ্ঞতা: ০৮-১৫ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ৩১-৪০ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা (গুলশান-১)
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা Apex Footwear Limited এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই’ স্লোগানে উত্তাল ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যাকান্ডে খুনীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টায় আল কুরআন বিভাগের আয়োজনে ইবি’র বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রশাসন ভবনে সমবেত হয়।
জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ সাজিদ শ্বাসরোধে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রশাসনের লোকজন যদি ক্যাম্পাসে অবস্থান করতেন তাহলে হয়তো সাজিদ আব্দুল্লাহ আজ আমাদের মাঝে থাকতেন। সাজিদ হত্যার বিচারের আন্দোলনের একমাত্র প্লাটফর্ম আল-কুরআন বিভাগের নেতৃত্বে আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন। অন্য কোনো প্লাটফর্মের সাথে আন্দোলনে গিয়ে লাশের রাজনীতিতে জড়াবেন না।
এসময় ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জানান, আজকের এই উপস্থিতি প্রমাণ করে বিচার না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এ প্রশাসনকে আমাদের রক্তের বিনিময়ে দায়িত্বে বসিয়েছি। সাজিদ একজন জুলাই যোদ্ধা ছিল। প্রতিটি জুলাই যোদ্ধার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চতর তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনে পিবিআইয়ের মাধ্যমে সাজিদের খুনীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কতদিনের মধ্যে হত্যাকারীদের ধরা হবে তা জানাতে হবে। পিবিআইকে যথাযথ সময়ে আমাদেরকে তদন্তের আপডেট দিতে হবে। যেভাবেই হোক ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের মাধ্যমে সাজিদ হত্যার বিচার করেই ছাড়বো আমরা।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,”গতদিন বলেছিলাম ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একশনে যাবে। সাজিদের হত্যাকাণ্ডে খুনিদের অবশ্যই বিচার হবে। যেহেতু সাজিদ হত্যা হয়েছে সেহেতু এটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সকল সহযোগিতা করবে। ভিক্টিমের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে আজকের মধ্যে মামলা করা হবে। যেহেতু আগেই জিডি এন্ট্রি করা হয়েছিল সেহেতু মামলা ফরমাল ওয়েতে হবে। আজকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সিন্ডিকেট মিটিং ডেকেছি। দোষীদের বিচার নিশ্চিত হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তোমরা ক্লাস পরীক্ষা সহ একাডেমিক সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই আমাদের অস্তিত্ব, আদর্শ ও প্রেরণা: ইবি উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আমাদের অস্তিত্ব, আদর্শ ও প্রেরণা। জুলাই আগস্টের বিপ্লব’ই হলো আগামী দিনের পথ নির্দেশিকা। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ব, ফ্যাসিস্টকে আর ফিরতে দেব না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে ও সুশিক্ষিত সমাজ গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোলডারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের নিচে জুলাই-আগস্ট ১ম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি আয়োজিত ডিজিটাল প্লাটফর্ম ডকুমেন্টেশন প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। জানা গেছে, এটি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে জুলাই বিপ্লব এই ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন আমাদের হৃদয়ে সংগ্রহশালার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় আজীবন থাকবে যা বিশ্ববিদ্যালয় সকল শিক্ষার্থী এবং নতুন যারা আসবে সবাই জুলাই বিপ্লবকে উপলব্ধি ও ধারণ করবে। ফ্যাসিস্ট রিজ্যম নির্মুল করার জন্য ছাত্রজনতা যে অবদান রেখেছিল সে সম্পর্কে জানবে।
উল্লেখ্য, এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও জুলাই প্রথম বার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.মো. শাহিনুজ্জামান ও কমিটির উপদেষ্টা সদস্য অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) ‘জাস্টিস ফর শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ’ ব্যানারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল রের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হন তারা।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় আগামীকাল (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টায় প্রশাসন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এসময় আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক বলেন, ‘পুকুরে সাজিদের লাশ পাওয়ায় পর থেকে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে।তারা বলেছিল ২৪ ঘণ্টার ভিতরে রিপোর্ট দিবে কিন্তু সেই রিপোর্ট দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার পরে। এই তালবাহানা আর মেনে নেওয়া হবে না। ফরেনসিক রিপোর্ট মতে, সাজিদ আব্দুল্লাহকে রাত তিনটার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলতে চাই- আপনারা হত্যাকারীকে দ্রুত চিহ্নত করে বিচার নিশ্চিত করুন। তা না করতে পারলে ছাত্রজনতা তাদের পথ বেছে নেবে।’
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থকণ্ঠে বলতে চাই, সাজিদ আমার-আপনার সবার ভাই, সে তার বুকে আল-কুরআনকে ধারণ করেছিল। আমি বলতে চাই, যে বা যারা সাজিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের অতিদ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী পুষ্প বলেন, ‘আমার বন্ধুর মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই প্রশাসন যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে না পারে, তারা নিজেদেরকে একটি পঙ্গু প্রশাসন হিসেবে প্রমাণ করবে। এ ক্যাম্পাসে আর কোনো সাজিদ যেন প্রাণ না হারায় সে ব্যাপার নিশ্চিত করুক প্রশাসন। আমরা চাই পিবিআইকে যেন এই তদন্তের ভার হস্তান্তর করা হয়। আমরা চাই প্রশাসনের উদ্যোগে একটি মামলা দায়ের করুক। আমরা আর কোনো তাল-বাহানা চাই না।’
শাখা ছাত্রদলের সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই ঘরে থাকার সময় নাই। আমরা চাই পিবিআই সহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করুন। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজিদ হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন করে দেয়া হবে।’
ইবি শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলি (ছাত্রশিবির নেতা) বলেন, ‘যেই হত্যাকারী হোক না কেন ১৭৫ একরে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে যে আন্দোলনের ডাক দিবেন কোনো দল মত না ভেবে আন্দোলনে থাকবো। আমরা দেখতে চাই কতবড় কালিজাধারী ব্যক্তি ১৭৫ সাজিদকে হত্যা করেছে।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ হত্যার প্রতিবেদন জমা, উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। এবং উচ্চতর তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফাইন্ডিং কমিটি।
রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলা অনুষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ভিসেরা রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে তদন্ত রিপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে।
ফ্যাক্টস উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, পুকুরে পানিতে পড়ার মৃত্যু আমরা পাইনি। অনুমিত করে বলা যায় পৌনে পাচঁটার আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ে সাজিদকে পাওয়া যায়নি।
ফোনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাজিদের ফোন নাম্বার দুইটা। ১৫ তারিখ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে সাজিদ আব্দুল্লাহ শেষ কল করে যার স্থায়িত্ব ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড। এরপর আর কোন আউট গোইনং কল পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখে ৮ টা ৩০ মিনিটে সাজিদে ফোন কল দেখতে পাই যেটার স্থায়িত্ব ৯ সেকেন্ড এবং অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি (সাজিদের বন্ধু ও রিপন আলী নামক ব্যক্তির কল ছিল)। এরপরে আবার সাজিদের বন্ধু রাত ৮ টা ৪৯ মিনিটে কল দেয় এবং কলের স্থায়িত্ব ছিল ২০ সেকেন্ড তবে অপর প্রান্ত থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি। এবং কলগুলো কোন টাওয়ারে ম্যাচ করেছে সে সকল তথ্যসমূহ দিয়েছি। মেসেঞ্জার ও ওয়াটসআপ আমাদের হস্তগত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচ্চতর তদন্ত সংস্থার দ্বারা এটা ঘটনার তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছি। আমাদেরকে যে ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে সেই ১০ দিনের মধ্যে শেষ করেছি। এ কাজের সাথে ডাক্তার, পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাজিদের সাথে সংযুক্ত ব্যক্তি, সংগঠন, জেলা কল্যাণ সকলের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে ক্রস ম্যাচিং এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় অতিবাহিত হয়েছে। আমার টিম দিনরাত পরিশ্রম করে এ কাজটা সম্পন্ন করেছে। আমাদের কাজ ছিল ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং করা সেই কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
এর আগে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য মতে, সাজিদের শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। রিপোর্টে শ্বাসরোধের (asphyxia) ফলে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পোস্টমর্টেমের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ছয়টায় শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাজিদ আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: ছাত্রশিবির সভাপতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন,বিপ্লব পরবর্তীতে উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার চোখে পড়ে নাই। আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস হবে নিরাপদ, ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীবান্ধব, ভেবেছিলাম নিখোঁজ ওয়ালীউল্লাহ, মুকাদ্দাসের খোঁজ পাবো। কিন্তু সেটাও পাইনি বরং প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।
শনিবার (২ আগষ্ট) বিকাল ৩ টায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত এবং জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ক্যাম্পাস সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, ছাত্র সংগঠনের কাজ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা, প্রশাসনকে সাহায্য করা। কিন্তু এভাবে দায়সারাভাবে কাজ করলে কোনো সাহায্য পাবেন না। শাবিপ্রবি, যবিপ্রবি, হাবিপ্রবি ছাত্র সংসদ গঠন করেছে। তারা জুলাই বিপ্লবের সম্মান রেখেছে। আপনারা কেন ইকসু গঠন করতে পারলেন না?
মাহমুদুল বলেন, শেখ হাসিনাও ভেবেছিলো জনগনের ইচ্ছা উপেক্ষা করে ক্ষমতার চেয়ার রক্ষা করতে পারবে কিন্তু পারে নাই আপনারাও পারবেন না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের পরপরই শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গেছে অথচ আপনারা কি কারণে নিয়োগ দিচ্ছেন না? শুধু সার্কুলার পর্যন্ত শেষ কেন? নাকি যখন টাকা খাওয়া হয়ে যাবে তখন নিয়োগ দিবেন?
তিনি আরও বলেন, সাজিদ হত্যার বিচার করুন। যদি শিক্ষার্থীদের জন্য ভালোবাসা প্রমাণ দিতে চান তাহলে সাজিদ হত্যার বিচার নিশ্চিত করুন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১১০ টা দাবি দিয়েছি কিন্তু তারা ছয় নয় করেছে। পাশ করার মতো দাবিও রাখেন নাই। শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার জন্য,আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার জন্য প্রশাসনের সাথে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব তৈরি করুন। ইকসু গঠন করুন তাহলেই ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমাদের যা করার সবই করবো।
উল্লেখ্য, এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন শিবিরের প্রায় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘ইবিতে ছাত্র সংসদ পালন করো করতে হবে’, ‘ইকসু নিয়ে টালবাহানা আর না আর না’, ‘হাবিপ্রবি যবিপ্রবি সবই পারে ইবি প্রশাসন কি করে’, ‘আদর্শের সংগ্রাম শিবিরের আরেক নাম’, ‘অফিসে গিয়ে পায় না সাড়া শিক্ষার্থীরা দিশেহারা’, ‘লান্স করতেই দিন পার কর্মকর্তারা জমিদার’, ‘সনদ করতে উত্তোলন শিক্ষার্থীদের যায় জীবন’, ‘নাপাকেন্দ্রের ডাক্তার পরিবর্তন করো করতে হবে’, ‘ইসলামী ছাত্র শিবির জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।