ব্যাংক
একীভূত হচ্ছে না কোন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক

দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার তালিকা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই তালিকায় কোনো ইসলামি ব্যাংকের নাম নেই। অর্থাৎ শরিয়াহভিত্তিক কোন ব্যাংক আপাতত একীভূত হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইসলামি ধারার যেসব দুর্বল ব্যাংক রয়েছে এসব ব্যাংক মালিকরা নিজেদের উদ্যোগেই ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থান ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানায় থাকা পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা বৈঠক করেন। বৈঠকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক। এর মধ্যে শুধু পদ্মা ব্যাংকের একীভূতকরণ আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে।
তবে আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের শেয়ার ওরিয়ন গ্রুপ কিনে নেয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এর আগে আইসিবি ইসলামি ব্যাংকটির নাম ছিল দ্য ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। সে সময় ব্যাংকটি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানায় ছিল। তবে দেউলিয়াপ্রায় অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে তা মালয়েশিয়াভিত্তিক আইসিবি ইসলামি গ্রুপ ব্যাংকটির অধিকাংশ শেয়ার কিনে নেয়। তবে নাম, মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনলেও আইসিবি ইসলামি ব্যাংক আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
এদিকে ইসলামি ধারার কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসব ব্যাংক নিয়ে নিউজও হয়। তবে এসব ব্যাংক এখনই একীভূত হচ্ছে না বলেই জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করেছে পদ্মা ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংক একীভূত করার ধারা শুরু হয়। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সরকারি মালিকানাধীন সমস্যাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংক।
এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সূত্র জানায়, সম্প্রতি আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারকদের এক বৈঠকে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত করা যায়, তা নিয়ে সেখানে অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তার একটি খবরের পর আলোচনা ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে একীভূত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কেউ একীভূত না হলে আগামী বছর মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংককে মিলিয়ে দেয়া হবে।
গত ৪ এপ্রিল স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার একটি নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ‘একীভূতকরণের পর যে ব্যাংক বিলীন হয়ে যাবে, সেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন বছরের আগে ছাঁটাই করা যাবে না। তবে ওই ব্যাংকের বড় কর্মকর্তারা (এমডি, ডিএমডি) থাকতে পারবেন না।’
এমআই

ব্যাংক
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস) বা মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৩টায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় গভর্নর বর্তমান মুদ্রানীতির আওতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে বর্তমান এমপিএসের ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদসহ ব্যাংকের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে মাত্র ছয় দশমিক চার শতাংশ, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় দশমিক আট শতাংশ। এমন বাস্তবতায় ঋণপ্রবাহের বর্তমান ধারা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক
পদত্যাগ করলেন মেঘনা ব্যাংকের এমডি

মেঘনা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও) কাজী আহসান খলিল পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে কাজী আহসান খলিল পদত্যাগপত্র জমা দেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি আর মেঘনা ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী নন। সে কারণে কর্মচুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তিনি ২৭ অক্টোবর ২০২৫ কার্যদিবস শেষে ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অনুরোধ করেছেন, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী তার পদত্যাগ গ্রহণ করে তাকে ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল আলম এবং ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক বরাবরও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক
পোশাক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার

কর্মীদের পোশাক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগীয় সভায় সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে শালীন পোশাক পরিধানের বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ দেওয়া হলেও তা ছিল শুধু প্রস্তাবনা পর্যায়ে। বিষয়টি কোনোভাবেই বাধ্যতামূলক নির্দেশনা কিংবা নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল না।
‘তবে, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এবং তা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নজরে এলে তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার নির্দেশে এই অভ্যন্তরীণ আলোচনা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পুরো বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ বলেন আরিফ হোসেন খান।
ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা থাকলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কুলার আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে একটি পত্রিকার অনলাইনে ‘নারী কর্মীদের ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা বাদ দিতে বলল বাংলাদেশ ব্যাংক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে ২১ জুলাই জারি করা সার্কুলারে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার ও শালীন পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা এবং সাদামাটা হিজাব বা হেডস্কার্ফ পরার কথাও উল্লেখ করা হয়।
তবে এদিন রাতেই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মস্থলে তাদের কর্মীদের পোশাক নিয়ে জারি করা সাম্প্রতিক সার্কুলারকে ‘পরামর্শমূলক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে।
কেন্দ্রেীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই নির্দেশনার মাধ্যমে অতি জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক নিরুৎসাহিত করা হলেও এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর পোশাকের স্বাধীনতা খর্ব হবে না।
ব্যাংক
পোশাক নিয়ে নির্দেশনা পরামর্শমূলক, স্বাধীনতা খর্ব হবে না: বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মস্থলে তাদের কর্মীদের পোশাক নিয়ে জারি করা সাম্প্রতিক সার্কুলারকে ‘পরামর্শমূলক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে।
কেন্দ্রেীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই নির্দেশনার মাধ্যমে অতি জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক নিরুৎসাহিত করা হলেও এতে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর পোশাকের স্বাধীনতা খর্ব হবে না।
বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিটে এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানায়।
এর আগে এদিন রাতেই একটি পত্রিকার অনলাইনে ‘নারী কর্মীদের ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা বাদ দিতে বলল বাংলাদেশ ব্যাংক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে ২১ জুলাই জারি করা সার্কুলারে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য নির্ধারিত পোশাক পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার ও শালীন পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা এবং সাদামাটা হিজাব বা হেডস্কার্ফ পরার কথাও উল্লেখ করা হয়।
পুরুষ কর্মীদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তারা লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল শার্ট ও প্যান্ট পরিধান করবেন। জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনার কথাও সার্কুলারে উল্লেখ ছিল।
তবে বুধবার রাতের বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বয়স ও ব্যাকগ্রাউন্ডের পার্থক্যের কারণে পোশাকেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। এই বৈচিত্র্যের কারণে সহকর্মীদের মাঝে মানসিক দূরত্ব তৈরি হতে পারে, যা কমিয়ে বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করতেই এ সার্কুলার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি কোনো বাধ্যতামূলক নির্দেশনা নয়। নারী সহকর্মীদের বোরকা বা হিজাব পরার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
ঋণ পুনর্গঠনের বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংক

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ নীতি-সহায়তার সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এখন নিজ নিজ বিবেচনায় ৫০ কোটি টাকার নিচের ঋণ পুনঃতপশিল বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ডাউনপেমেন্ট, মেয়াদসহ বিভিন্ন শর্তশিথিল করতে পারবে। শিগগির এ বিষয়ে একটি সমন্বিত সার্কুলার জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তবে সে সময় কোনো নির্দিষ্ট নীতিগত কাঠামো নির্ধারণ করা হয়নি। পরবর্তীতে কমিটি পুনর্গঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা পড়েছে ১,২০০-রও বেশি আবেদন। কোনো কোনো কেসে ২৮টি পর্যন্ত ব্যাংক জড়িত রয়েছে। এত সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি সময়সাপেক্ষ হওয়ায়, নতুন কমিটি ব্যাংকগুলোকেই পুনর্গঠন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কেবল জটিল কেসগুলোই বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে খেলাপি ঋণ মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে ব্যাংকগুলো নানা পদ্ধতিতে খেলাপি ঋণ আড়াল করলেও এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়—মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ হঠাৎ ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির পাশাপাশি লভ্যাংশ দিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন থেকে কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ যদি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, সে ব্যাংক মুনাফা করলেও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত কঠোর হলেও, ব্যবসা খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য নির্ধারিত নীতিমালার আওতায় ঋণ পুনর্গঠনের ছাড় দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঋণ কমাতে আরও সক্রিয় হচ্ছে।
বিগত সরকার আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ দিয়েছিল। কখনও মাত্র দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ১২ বছরের জন্য পুনঃতফসিল সুবিধা, আবার কখনও করোনাকে অজুহাত দেখিয়ে ঋণ খেলাপির তালিকায় না দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এতে একটি গোষ্ঠী নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করেও পুনঃতফসিল সুবিধা নিয়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২০২৪ সালেই হয়েছে ৫৬ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালে রেকর্ড ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়।
এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইছে, একটি সুস্পষ্ট কাঠামোর অধীনে নীতি-সহায়তা কার্যকর করতে। এর অংশ হিসেবেই আসছে সার্বিক নির্দেশনা সংবলিত সার্কুলার।