জাতীয়
পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড

ঈদ আসলেই পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়ে। এতে টোলও আদায় হয় বেশ। তবে, এবারের ঈদ যাত্রার একদিনে টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা, যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা।
এ ছাড়া জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পার হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৪টি গাড়ি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা।
এর আগে, গত বছরের ২৭ জুন পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।
এমআই

জাতীয়
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অধ্যাদেশসহ ৪ অধ্যাদেশ অনুমোদন

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ সহ উপদেষ্টা পরিষদে চার অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে অর্থ সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। সারসংক্ষেপের সঙ্গে উপস্থাপিত অর্থ সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সারসংক্ষেপের সাথে উপস্থাপিত নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সারসংক্ষেপের সাথে উপস্থাপিত নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়।
জাতীয়
উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার

এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে এবং পূর্বের ন্যায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।
সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. শহীদুল্লাহ দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিএমপির নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও থাকবে। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার পূজামণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও তা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পূজামণ্ডপগুলো যেন কোনোভাবেই অরক্ষিত না থাকে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এছাড়া পূজা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো প্রকার ভুল তথ্য বা অপতথ্য ছড়ানো সম্পর্কে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
নিরাপত্তা প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠ-এর উপাধ্যক্ষসহ হিন্দু ধর্মের সংশ্লিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জাতীয়
নয় দিনের সফরে পাকিস্তান গেলেন স্বরাষ্ট্রসচিব

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি পাকিস্তান সফরে গেছেন। গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি ইসলামাবাদের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তিনি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করবেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশান-২ এর বাসভবন থেকে সড়কপথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান নাসিমুল গনি। সেখান থেকে দুপুর দেড়টায় বিমানে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেন।
সূত্র আরও জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
এই সফরে সচিবের সঙ্গে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. রেজাউল করিম এবং ডিআইজি মো. জান্নাতুল হাসান।
সফরটি মূলত দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকে ঘিরে। তবে এর পাশাপাশি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আলোচনায় কূটনৈতিক ও আনুষ্ঠানিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা সহজীকরণ, সরকারি সফর সহজতর করা, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত বিনিময় বাড়ানোর মতো বিষয়ও অ্যাজেন্ডায় থাকতে পারে।
জাতীয়
জাতীয় ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা শেষ: ইসি সচিব

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেশিয়ান বড় ব্যাগ, হেশিয়ান ছোট ব্যাগ, গানি ব্যাগ কেনা হয়েছে। জাতীয় ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়ে গেছে।’
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানান ইসি সচিব।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন সামগ্রী সংগ্রহের ব্যাপারে কাজ চলমান। মোটামুটিভাবে ১০টা আইটেমসহ কিছু লোকাল পারচেস বাকি ছিল, সেগুলো চলমান। অলমোস্ট ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি কেনাকাটা হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে সংকটে পড়বো কি না বা সাপ্লাই লাইনটা ঠিকমতো আছে কি না এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। বরং আমরা বলতে পারি, সেপ্টেম্বরেই আমরা যাবতীয় সামগ্রী পাচ্ছি। কাজেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সামগ্রীর যে সম্পর্ক সেটা স্টাবলিশড।’
জাতীয়
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ ইইউ প্রতিনিধি দলের

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য তাদের।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার উপকমিটির চেয়ারম্যান মুনির সাতুরি নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে মানবাধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শক্তিশালীকরণ ও ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ইইউর কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। জবাবে ইইউ প্রতিনিধি দল সরকারের সংস্কার পদক্ষেপ, উন্মুক্ততা ও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান।
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা। আজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে তারা ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।