সারাদেশ
শরীয়তপুরে ত্রিশ গ্রামে ২০ হাজার মুসল্লির ঈদ উদযাপন
![শরীয়তপুরে ত্রিশ গ্রামে ২০ হাজার মুসল্লির ঈদ উদযাপন বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/eid-1-2.jpg)
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবার শরীফে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে রোজা কবুলের ফরিয়াদ ও বিশ্ব উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করেছেন দরবার শরীফের ভক্ত-অনুরাগী মুসল্লিরা।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় দরবার শরীফের ঈদগাহ মাঠে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত জামাত দুইটিতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভক্ত ও সুরেশ্বর দরবার শরীফের আশেপাশের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে প্রায় ১০০ বছরের ঐতিহ্য হিসেবে পালিত পবিত্র ঈদুল ফিতরের পৃথক জামাত দু’টিতে ইমামতি করেছেন শাহ সুফি সৈয়দ বেলাল নূরী আল সুরেশ্বরী ও মাওলানা মো. জুলহাস উদ্দিন।
জানা যায়, জান শরীফ শাহ সুরেশ্বরী নামে এক সুফি সাধক কর্তৃক শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত সুরেশ্বর পাক দরবার শরীফের কয়েক লাখ ভক্ত ও অনুরাগী রয়েছেন সারাদেশে। পিরোজপুর, ভোলা, মাদারীপুর, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ভক্ত ও অনুরাগীরা ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন। এর মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ্, চন্ডিপুর ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দারাগড়সহ ৩০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও সুরেশ্বর দরবার শরীফে একই সময়ে পৃথক মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাত দুইটিতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভক্ত-অনুরাগী ও স্থানীয় ৩০ গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারী-পুরুষ ঈদের নামাজে অংশ নিয়ে রোজা কবুলের ফরিয়াদ ও বিশ্ব উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করেন।
গাজীপুর থেকে সুরেশ্বর দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছেন সৈয়দ মাইনুল হক। তিনি বলেন, বাবা সুরেশ্বরীর দরবারের মাটিতে পা রাখলে আমার অন্তর শীতল হয়ে যায়। রমজানের রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলাম। এখন সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীন পীর শাহ মুজাদ্দেদী সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহিন নূরী বলেন, রমজান আত্মসংযমের মাস। এই মাসে পবিত্র রোজা পালন শেষে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন ভক্ত ও অনুসারী মুসল্লিরা। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজ শেষে রোজা কবুলের ফরিয়াদ ও বিশ্ব উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করছেন তারা। সবাইকে সুরেশ্বর পাক দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি
![বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/nodi.jpg)
পূর্ণিমা ও উজানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ও ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও ১২২ বন্দীর আত্মসমর্পণ
![নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও ১২২ বন্দীর আত্মসমর্পণ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/h.jpg)
নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আরও ১২২ বন্দী আত্মসমর্পণ করেছেন। এ নিয়ে গত ৪ দিনে ৮২৬ বন্দীর মধ্যে ৪৬৮ জন বন্দী আইনের আওতায় এসেছেন। তাদের মধ্যে ৪৩৯ জন জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে ও বাকিরা বিভিন্ন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন বা থানা-পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে ১২২ বন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, কারাগার থেকে সব বন্দী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরই অনেকে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ, অনেক বন্দীই তখন পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এসব বন্দীর স্বজনেরা। তাঁদের আইনজীবী সমিতিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ৫ জন, মঙ্গলবার ১৩৮ জন, বুধবার ১৫৫ জন ও আজ ১২২ জন বন্দী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি; পরবর্তী নির্দেশ পেলে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষের দুটি মামলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় করা ১০ মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসব মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১২৯। তাদের আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে দিলে নয় ‘জঙ্গি’সহ মোট ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। এর আগে অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়। প্রাথমিকভাবে কারা কর্তৃপক্ষ ও রক্ষীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও অবস্থা বেগতিক দেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে তারা জীবন বাঁচাতে কয়েদিদের সঙ্গে মিশে যান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
চলে গেলেন ছারছীনার পীর সাহেব শাহ মোহেবুল্লাহ
![চলে গেলেন ছারছীনার পীর সাহেব শাহ মোহেবুল্লাহ বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sarsina-darbar-sharif-pir1.jpg)
ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেবুল্লাহ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নেছারাবাদ উপজেলার ছারছীনা কামিল আলিয়া ও কওমিয়া মাদ্রাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
পরিবার সূত্র জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। প্রথমে তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে এবং সব শেষে ঢাকার গ্রিন রোডস্থ সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীর সাহেব কেবলার বড় ছেলে আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছরুদ্দীন আহমদ হোসাইন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় হুজুরের জানাজা ছারছীনা মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অরাজনৈতিক সংগঠন জমইয়াতে হিযবুল্লার আমির ছিলেন পীর সাহেব। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার দ্বিনিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদার্রেসিনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মসজিদে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ সাহেব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা
![কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bonna.jpg)
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।
অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি নিরূপণ কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এ ছাড়া কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে তাই পরামর্শ দিচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে, অবিবাহিত সিলেটে
![বিবাহিত বেশি রাজশাহীতে, অবিবাহিত সিলেটে বিয়ে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2018/07/বিয়ে.jpg)
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ মানুষ বিবাহিত। এর মধ্যে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ রাজশাহী বিভাগে। অন্যদিকে এ জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ সিলেট বিভাগে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক জরিপ-২০২৩’র বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দেশের ১২ হাজারেরও বেশি এলাকার প্রায় দুই লাখ ৯৯ হাজার পরিবারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটের মানুষ বিদেশে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেশি। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে গড়তে সময় পার হয়ে যায়। কারণ সবাই চান প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে। তাই অবিবাহিতের সংখ্যা সিলেটে বেশি।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবিবাহিত পুরুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে, প্রায় ৪৫ শতাংশ। অপরদিকে রাজশাহী বিভাগে অবিবাহিত পুরুষ সবচেয়ে কম, ৩১ শতাংশ। পাশাপাশি সিলেট বিভাগে অবিবাহিত নারী সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে, রাজশাহীতে এ হার সবচেয়ে কম ১৮ শতাংশ।
প্রতিবেদন বলছে, নারীর চেয়ে পুরুষের একাধিক বিয়ের হারও বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ পুরুষ একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। বিপরীতে এক শতাংশের বেশি নারী একবারের বেশি বিয়ে করেছেন। পাশাপাশি বিপত্নীক হিসেবে এক শতাংশের কিছু বেশি পুরুষ একা জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে, প্রায় ৯ শতাংশ নারী বিধবা হিসেবে জীবনযাপন করছেন।
বৈবাহিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে বিবাহিতের হার সর্বোচ্চ ৬৯ শতাংশ। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে বিবাহিত জনগোষ্ঠীর হার সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ।
এমআই