জাতীয়
জলবায়ু নিয়ে দেশের সফলতা তুলে ধরতেই হচ্ছে ন্যাপ এক্সপো

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করার বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ বাংলাদেশ। আগামী ২২-২৫ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ এপ্রিল এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এক্সপোতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় থেকে সবাই পারস্পরিকভাবে উপকৃত হতে পারব।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) আগামী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, পাহাড়ি অঞ্চলে সোলার এনার্জির মাধ্যমে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা, জলবায়ু সহিষ্ণু বীজ ও অন্যান্য কৃষি কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়, অভিযোজন কর্মকাণ্ডের সমর্থনে ডেল্টা প্ল্যানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সাইক্লোন শেল্টার, রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণ ইত্যাদি জলবায়ু অভিযোজনের বিষয়গুলো প্রদর্শন করা হবে।
তিনি জানান, এছাড়াও বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। বিদেশি স্টলে প্রদর্শিত অভিযোজন কর্মকাণ্ড থেকেও আমরা অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারব।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ এক্সপোতে দেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রদর্শনের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্টল থাকবে। এছাড়াও, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীরা ও ১১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড আবদুল হামিদ-সহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
দেশের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই: সিইসি

ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নয়, বরং দেশের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) যশোর কালেক্টরেট মসজিদে জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হারানো আস্থা ফিরিয়ে দিতে চাই। তবে এটি আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়- এজন্য আমি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি।
নাসির উদ্দীন বলেন, দেশ ও জাতির জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হলে গণতান্ত্রিক চর্চাকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এজন্য অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।
খুলনায় যাওয়ার পথে যশোরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি। জুমার নামাজ ও দোয়ায় যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজাহারুল ইসলাম অংশ নেন।
এসময় ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
জাতীয়
দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জুলাই আহতকে ওমরাহ করাবে সরকার

গণঅভ্যুত্থানে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জুলাইযোদ্ধাকে বেসরকারি সহযোগিতায় ওমরাহ করাবে সরকার। সঙ্গে থাকবে তাদের আরও ১১ সহযোগী। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এটি সমন্বয় করছে। অর্থায়ন করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও সিলেটের এক রাজনীতিবিদ।
জানা গেছে, বেসরকারি উদ্যোগে ৫/৭ জন জুলাই আহতকে ওমরাহ করানোর প্রস্তাব আসে। বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে কাদের নেওয়া হবে তা নিয়ে বাছাই জটিলতায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে জানানো এ সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে ১১ জন একেবারেই দেখতে পান না। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না। তাদের মনোনীত করা সহজ, তবে সেক্ষেত্রে তাদের সহযোগীসহ ২২ জন হবে।
সে থেকে ২২ জনকে ওমরাহ করানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের ব্যয় বহন করবে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ৪ জনের ব্যয় বহন করবেন সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, এ বিষয়ে শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সভায় ঘোষণা দেওয়া হবে। সেখানে আসলে সব জানা যাবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে দুই চোখ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় ১১ জনের। তারা অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। এর বাইরে আরও ২৮ জনের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, তারা এক হাজার ৭৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। সরকারি হিসাব বলছে, প্রায় ১৪ হাজার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জাতীয়
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: মাকিন নামের আরও শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিনের (১৪) মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এফএইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান (১০) মারা গেছে।
আয়মানের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার বেদরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানটির ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবার সকাল ১০টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছে ৩২ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫১ জন।
জাতীয়
বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ নয়

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবরণ ও বিদায় জানাতে আগত ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়ার্ডন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম জানান, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও এরাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, সম্মানিত যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে আসা ব্যক্তিদের সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আদেশক্রমে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বছরে এক কোটি ২৫ লাখ যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিদিন ১৪০-১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
জাতীয়
সিঙ্গাপুরের আরেকটি চিকিৎসক দল ঢাকায়

বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে আরও একটি মেডিকেল টিম। পাঁচ সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছায়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় এই মেডিকেল টিমের সদস্যসংখ্যা ৫। তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান।
সিঙ্গাপুর থেকে আসা এই দ্বিতীয় মেডিকেল টিমের সদস্যরা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে যৌথভাবে চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুরের এই মেডিকেল টিমের সদস্যরা কারিগরির পাশাপাশি পেশাগত সহায়তাও দেবেন।
গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছেন ৩১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫১ জন।