অর্থনীতি
আদার দাম কেজিতে বাড়লো ১০০ টাকা
সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদকে ঘিরে মসলাজাত পণ্যটির বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতে দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে।
গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশী আদার সরবরাহ নেই। প্রতিটি দোকানে সাজানো রয়েছে আমদানীকৃত বার্মা ও ভারতীয় আদা। তবে সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম ঊর্ধ্বমুখী।
বিক্রেতারা জানান, ভারতীয় আদা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬০-২৮০ টাকায়। বার্মা জাতের আদা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২২০-২৪০ টাকা।
হিলি বাজারের আদা বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, বাজারে দেশী আদার সরবরাহ তেমন একটা নেই। তাছাড়া ঈদকে ঘিরে টানা ছয়দিন হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে। এ সময় বন্দর দিয়ে আদা আমদানিও বন্ধ থাকবে। ফলে বাজারে পণ্যটির সররবাহ কমবে। এর প্রভাব পড়েছে দামে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে বন্দর থেকে প্রতি বস্তা আদা কিনেছি ১২৫ টাকা কেজি দরে। এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। এছাড়া এক বস্তা আদা খুললে পাঁচ কেজির মতো ঘাটতি হয়। এজন্য সবকিছু মিলিয়ে খুচরা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এছাড়া ভারতীয় আদা অনেকেই বীজ হিসেবে ব্যবহার করছে, এ কারণেও চাহিদা বাড়ায় দামের ওপর প্রভাব পড়ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ট্রেজারি বিল ও বন্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফি নির্ধারণ
ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মতো সরকারি সিকিউরিটিজ কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে ফি ও চার্জ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সেবা দেওয়ার বিনিময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ফি বা চার্জ নিতে পারবে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে গতকাল সোমবার পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশে ব্যাংক বলেছে, গ্রাহক সেবা প্রদানকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিভিন্ন সেবার দেওয়ার ক্ষেত্রে ফি বা চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের জন্য খোলা বিপিআইডি ছাড়া অন্য বিপিআইডি খোলার বিনিময়ে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নেওয়া যাবে।
প্রাইমারি অকশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিটি সফল বিডের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নেওয়া যাবে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ কর্তৃক অমনিবাস বিপিআইডির মাধ্যমে বিড দাখিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ফি বা চার্জ নেওয়া যাবে।
ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সেকেন্ডারি ট্রেডিংয়ের জন্য প্রতি লেনদেন সর্বোচ্চ ফি নেওয়া যাবে ১০০ টাকা। এই সেবার জন্য অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নেওয়া যাবে।
একটি পঞ্জিকাবর্ষে বিপিআইডি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।
এ ছাড়া আয়কর সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদেরকে বছরে একটি সনদ বিনা মূল্যে দিতে হবে। তবে পরবর্তী অতিরিক্ত প্রতিটি সনদের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ টাকা চার্জ করা যাবে। অন্যদিকে অব্যক্তিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরকে ব্যাংক বছরে একটি সনদ বিনা মূল্যে দেবে। পরবর্তী অতিরিক্ত প্রতিটি সনদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা চার্জ করা যাবে।
এই ফি ও চার্জের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই পাঁচ রকমের সেবা ছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজ–সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, যেমন মুনাফা/কুপন/আসল পরিশোধ, অ্যালটমেন্ট/হোল্ডিং রিপোর্ট, বিপিআইডি বন্ধ করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ই-কমার্সে পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে রপ্তানিতে ইএক্সপি (এক্সপোর্ট পারমিশন) ফরম পূরণ করতে হবে না— যা এতদিন বাধ্যতামূলক ছিল।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা-টু-ভোক্তাভিত্তিক রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত, বাংলাদেশ থেকে যেকোনো পণ্য বেসরকারিভাবে বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। গ্রাহকের পক্ষ হয়ে সংশ্লিষ্ট অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংক ওই ফরমের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন পদ্ধতিতে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোনীত এক্সপ্রেস বা কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ এবং বিল অব এক্সপোর্ট ইস্যুসহ শুল্কায়ন সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিকতা পরিপালনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সব খরচ রপ্তানি আয় দিয়ে নিষ্পত্তি করার শর্ত প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া, পণ্য জাহাজীকরণের পরেই বিল অব এক্সপোর্ট ও কুরিয়ার রশিদসহ রপ্তানির দলিলাদি ব্যাংকে দাখিলের পর প্রাপ্যতা অনুযায়ী রপ্তানি আয় ব্যাংক রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করা যাবে।
২০১৮ সালে পণ্য বিদেশে প্রেরণের মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তে ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় বিজনেস-টু-কনজুমার ভিত্তিক রপ্তানি পদ্ধতি প্রবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১৯ সালে বিজনেস-টু-কনজুমার রপ্তানির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক উপায়ে ইএক্সপি ফরম দাখিলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চলতি মাসেই মুনাফা জমা হবে সর্বজনীন পেনশনের হিসাবে
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চলে এসেছে তিন লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ প্রায় ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ট্রেজারি বন্ডে। বিনিয়োগ থেকে যে মুনাফা হয়েছে, তা চলতি মাসেই পেনশন স্কিমের আওতায় আসাদের হিসাবে বণ্টন করা হবে। সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, পেনশন স্কিমে জমা পড়া টাকার সিংহভাগ সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিনিয়োগ থেকে আসা মুনাফা হিসাব করা হবে। এই মুনাফা চলতি মাসেই আনুপাতিক হারে স্কিম গ্রহণকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। স্কিম গ্রহণকারীরা তাদের হিসাবে গিয়ে জমা করা টাকা এবং মুনাফা দেখতে পারবেন। তবে এই হিসাব থেকে কেউ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।
এদিকে সোমবার (১৪ অক্টোবার) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিভিন্ন বিষয় উপস্থান করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু থাকবে।
সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে গত বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে সরকার। প্রাথমিকভাবে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা— এই চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করা হয়।
পরে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কর্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে প্রত্যায় স্কিম বাতিল করা হয়। সে হিসাবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন। আর তাদের জমা চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৯ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন দরিদ্র মানুষ, যাদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এই আয়ের মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ টাকা স্কিম গ্রহণকারী দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকার থেকে দেওয়া হবে। এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দুই লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৪ জন। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ ৪১ কোটি ৭০ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
অন্যদিকে পেনশন স্কিম গ্রহণ করে চাঁদাবাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ জমা দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। তাদের জন্য চালু করা প্রগতি স্কিমে ইতোমধ্যে চাঁদা জমা পড়েছে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ ৫০০ টাক। এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪১০ জন।
চাঁদা দেওয়া এবং নিবন্ধন করা দুদিক থেকেই সবার নিচে প্রবাসীরা। বিদেশে অবস্থান করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু করা হয়ছে প্রবাস স্কিম। এই স্কিম গ্রহণ করে ইতোমধ্যে চাঁদা দিয়েছেন ৯১০ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ চার কোটি ৮৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
এছাড়া অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য চালু করা হয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিম গ্রহণ করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৬৩ হাজার ১৭৪ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
বোর্ড সভার আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আজ সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা কী করছি তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। মেজর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উপদেষ্টা স্যার এটাকে (সর্বজনীন পেনশন স্কিম) জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন।
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পেনশন স্কিম উদ্বোধনের পর আজ প্রথম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এ যাবত ধারাবাহিকভাবে যে কার্যক্রমগুলো নিয়েছি, যে বিধিমালাগুলো প্রণয়ন করেছি এবং অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য যে কার্যক্রমগুলো নিয়েছিলাম সবকিছু বোর্ডকে অবহিত করেছি।
তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে একটা ড্রাইভ দিয়েছিলাম, সে সময় অংশগ্রহণ ব্যাপক হারে বেড়েছিল। শুরু হয়েছিল কেবল, তারপর হঠাৎ করে আমরাও প্রচারে যেতে পারিনি। আর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সবকিছু গিয়ার আপ (চাঙ্গা করা) করতে একটু সময় লাগে। এ বিষয়টি আমরা অর্থ উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে উপস্থান করেছি।
পেনশন স্কিমের অর্থ বিনিয়োগ করে যে মুনাফা হয়েছে তা বণ্টনের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত যে মুনাফা হয়েছে, আমরা সেটি হিসাব করে বণ্টন করবো। চলতি মাসেই স্কিম গ্রহণকারীদের হিসাবে মুনাফার অর্থ বণ্টন করে দেওয়া হবে। স্কিম গ্রহণকারীরা তাদের হিসাবে ঢুকে জমা করা অর্থের পরিমাণ এবং মুনাফার পরিমাণ দেখতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় বাংলাদেশ ব্যাংকের
ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে সর্বোচ্চ ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যম্যে রপ্তানিতে ইএক্সপি ফরম পূরণ করতে হবে না। ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে এ ছাড় দেওয়া হয়, এতদিনে যা বাধ্যতামূলক ছিল।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ ই-কমার্সের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা টু ভোক্তার ভিত্তিক রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০১৮ সালে পণ্য বিদেশে প্রেরণের মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তে ই-কমার্স পদ্ধতির আওতায় বিজনেস টু কনজুমার ভিত্তিক রপ্তানি পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৯ সালে বিজনেস টু কনজুমার রপ্তানির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক উপায়ে ইএক্সপি ফরম দাখিল করার ব্যবস্থা চালু হয়।
দেশ থেকে যেকোনো পণ্য বেসরকারিভাবে বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। সংশ্লিষ্ট অথোরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংক গ্রাহকের পক্ষে ফরমের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ ছিল ‘রপ্তানি প্রক্রিয়ায় ১৪ ধরনের নথি দিতে হয়।’
নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোনীত এক্সপ্রেস (কুরিয়ার) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহের এবং বিল অব এক্সপোর্ট ইস্যুসহ শুল্কায়ন সম্পর্কিত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল খরচ রপ্তানি আয় দিয়ে নিষ্পত্তি করার শর্ত প্রযোজ্য হবে। জাহাজিকরণের পরেই বিল অব এক্সপোর্ট ও কুরিয়ার রিসিপ্টসহ রপ্তানি দলিলাদি ব্যাংকের নিকট দাখিলের পর রপ্তানি আয় রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করতে পারবে ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ৯৮ কোটি ডলার
সেপ্টেম্বরের মতো চলতি অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি মাস অক্টোবরের প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ২২ লাখ ডলার বা ৯৮৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসছে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে প্রবাসী আয়।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
তবে এ সময়ের মধ্যে ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসের পুরো সময়ে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার বেশি। চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠান প্রবাসীরা।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২০২১ অর্থবছর। ওই অর্থবছর মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।