লাইফস্টাইল
সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যত ‘ভুল ধারণা’
![সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যত ‘ভুল ধারণা’ ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/sun-2.jpg)
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার কক্ষপথে চাঁদ এসে পড়লে পৃথিবীর একটা অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে যায় সেই ছায়ায়। আর এ কারণেই অন্ধকারে দিন হয়ে যায় রাতের মতো। মহাজাগতিক এ ঘটনাকে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) এমনই এক বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব।
সোমবারের মহাজাগতিক এই দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের মাঝে নানারকম ‘ভুল ধারণা’ আছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
সূর্যগ্রহণ দেখা বিপজ্জনক
যতক্ষণ আপনি সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করে চলবেন ততক্ষণ সূর্যগ্রহণ দেখা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার সময় আপনার প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরা উচিত, অর্থাৎ গ্রহণের শুরু থেকে আংশিক পর্যায় এবং সম্পূর্ণতা পর্যন্ত। এছাড়া অনেকে মাঝে চশমা খুলে পরে আবার পরে। এটি না করে চেষ্টা করুন পুরো সময় চশমা পরিধান করার।
রান্না করা
এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি এক ধরণের বিকিরণ তৈরি করে যা খাবারের ক্ষতি করে। তবে এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।
গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া
গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ এড়ানো উচিত, কেননা এটি তার অনাগত সন্তানের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। অনেকেই মনে করেন, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই ‘কুসংস্কার’ আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। তবে নাসা বলছে, এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ভ্রমণ না করা
সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক- এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
সূর্যগ্রহণের সময় গাছ রোপণে ফুল প্রাণবন্ত হয়
কিছু ইউরোপীয় জাতির মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় লাগানো ফুল অন্য সময়ে লাগানো ফুলের চেয়ে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ফুটে। সূর্যগ্রহণের সময় উদ্ভিদ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, গাছপালা সূর্যগ্রহণের প্রতি অনেকটা সাড়া দেয়। মূলত গাছ দিনে কম পানি গ্রহণ করতে পারে এবং সালোকসংশ্লেষণ যা মূলত সূর্যালোকের উপর নির্ভর করে তা হ্রাস পেতে পারে।
গ্রহণের পর গোসল করা
সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এটির কোনো ভিত্তি নেই।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত
অনেকে বিশ্বাস করেন, সূর্যগ্রহণের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে। আসল বিষয়টি হল- এটি বিদ্যুৎ সরবরাহকে প্রভাবিত করবে না। এমনকি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে মিনিটের ব্যবধান বিদ্যুত গ্রিডের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
লাইফস্টাইল
হাত-পায়ের তালু ঘামলে যা করবেন
![হাত-পায়ের তালু ঘামলে যা করবেন ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/hand.jpg)
ঘাম হওয়া মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি কোনো অসুখ নয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ বলা হয়।
শরীরের পাশাপাশি দেহের নির্দিষ্ট জায়গাতেও এরকম হতে পারে। যেমন- হাত ও পায়ের তালু। এতে করে প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজ যেমন লেখালেখি, মোবাইল-কম্পিউটার চালানোতে অসুবিধা হয়। কেডস, বুট বা স্নিকার্স পরলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটি শীতকালে বেশি দেখা যায়। তবে গরমেও হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের কিছু ঘরোয়া উপায় আছে:
পানি
পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে। ফলে ঘাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হাত ও পায়ের তালুর ঘাম রোধে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত বিরতিতে হাত ও পা ধোয়ার চেষ্টা করুন।
গোলাপজল
ঘাম প্রতিরোধে গোলাপজল অত্যন্ত কার্যকর। এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে কেনা কিংবা ঘরে বানানো উভয় গোলাপজলই ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন অন্তত তিনবার তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে গোলাপজল ম্যাসাজ করতে পারেন।
ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখা
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা ট্যানিন প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিজান্ট’য়ের প্রভাব রাখে যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
বেকিং সোডা
হাত ও পায়ের তালুর অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধে অন্যতম ঘরোয়া উপায় হলো বেকিং সোডা। প্রথমে এক বোল কুসুম গরম পানি নিন। এতে দুই থেকে তিন চামচ বেকিং সোডা মেশান। সোডা মিশ্রিত পানিতে অন্তত ৩০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। পরে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এতে ঘামের সমস্যায় উপকার পাওয়া যাবে।
লেবুর রস
অ্যাস্ট্রিজান্ট উপাদান সমৃদ্ধ যা অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সহায়তা করে। তাজা লেবুর রস হাতের তালুতে ঘষে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
কর্পূর
সামান্য গরম পানিতে কর্পূর গুলে হাত ও পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। কর্পূর শীতলকারক উপাদান যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কর্পূরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল আসে। ক্রমাগত হাত ও পা ঘামা খুবই বিরক্তিকর বিষয়। তবে সঠিকভাবে খেয়াল রাখলে আর সতর্ক হলে এর প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করবেন যেভাবে
![ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করবেন যেভাবে ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/acne.jpg)
ব্রণের সমস্যা গুরুতর না হলেও ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এটি কেবল চেহারা সৌন্দর্যই নষ্ট করে ক্ষান্ত হয় না, সেইসঙ্গে ত্বকে জ্বালা, চুলকানির মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তবে ব্রণ হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এক্ষেত্রে অনেকগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থাকবে না। ব্রণ হলে তাই প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকারের চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও বজায় রাখতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ নিরাময় করে। খাঁটি অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের স্থানে করুন এবং এটি ধুয়ে ফেলার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল তেল তার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে এবং প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে। নারিকেল বা জোজোবা তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ভালো ফলাফলের জন্য এটি প্রতিদিন দুইবার ব্যবহার করুন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এক ভাগ আপেল সাইডার ভিনেগার দুই ভাগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি তুলোর বল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ধুয়ে ফেলার আগে এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করুন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি
ব্রণ প্রতিরোধের জন্য ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন গোসল করুন, বিশেষ করে ঘামের পরে, ত্বক পরিষ্কারে ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে সাবান এড়িয়ে চলুন যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে ফেলতে পারে এবং আরও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
এক্সফোলিয়েশন
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে যা ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে। সপ্তাহে একবার বা দুইবার ত্বকে এক্সফোলিয়েট করুন। সেজন্য একটি মৃদু এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বা লুফা ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট না করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন, কারণ এটি আরও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসবে না
![যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসবে না ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/onion.jpg)
আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়ই। ঝাঁঝালো স্বাদের এই ভেষজ না থাকলে অনেক খাবারই পানসে লাগে। তবে একটা মুশকিল, পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখে পানি আসার সমস্যা হয় অনেকেরই। অনেক সময় বেশি পেঁয়াজও কাটার প্রয়োজন হয়। তখন পড়তে হয় অসুবিধায়। কারণ চোখের পানির কারণে পেঁয়াজ কাটাই সম্ভব হয় না বলতে গেলে। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এমন অবস্থারও রয়েছে সমাধান।
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে পানি আসে কেন?
পেঁয়াজে থাকে সালফেনিক অ্যাসিড। যখন আমরা পেঁয়াজ কাটি তখন সেই অ্যাসিড অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে তৈরি হয় সালফার গ্যাস। তখন এই গ্যাস চোখে গেলেই চোখ জ্বলতে থাকে এবং পানি পড়া শুরু হয়। তবে রান্নার সময় আর এই এনজাইম কাজ করে না। যে কারণে কাটার সময় সমস্যা হলেও রান্নার সময় সমস্যা হয় না। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজ কাটার সময় কী করলে চোখে পানি আসবে না-
চুইংগাম চিবানো
অবাক হলেন নিশ্চয়ই? ভাবছেন, পেঁয়াজ কাটার সঙ্গে চুইংগাম চিবানোর সম্পর্ক কোথায়? একটা সম্পর্ক তো রয়েছেই। আপনি যদি পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকেন তাহলে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা হবে না। কারণ আপনার মুখে যদি চুইংগাম থাকে তাহলে পেঁয়াজের ঝাঁঝ আর চোখ পর্যন্ত যাবে না। ফলে চোখে পানি আসার সমস্যাও বন্ধ হবে।
ফ্রিজে রাখুন
পেঁয়াজ কাটার কিছুক্ষণ অর্থাৎ অন্তত ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বের করে কেটে নিন। তাহলে আর চোখে পানি আসবে না। কারণ পেঁয়াজ ঠান্ডা হয়ে গেলে এনজাইম ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। এর ফলে আর চোখ জ্বলবে না এবং চোখ থেকে পানিও পড়বে না।
ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার
আপনি যখন ভোঁতা ছরি বা বটি ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখ থেকে পানি পড়বেই। এর বদলে ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার করলে আর সমস্যা হবে না। তাই এক্ষেত্রে সব সময় ধারালো বটি বা ছুরি বেছে নিন। এতে সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিসের ‘যম’ দারুহরিদ্রার যত গুণ
![ডায়াবেটিসের 'যম' দারুহরিদ্রার যত গুণ ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/daruhoriddra.jpg)
শুধু দামি ওষুধ ও পণ্য কিনেই যে আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, এমনটি কিন্তু নয়। কিছু কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের মতো। দারুহরিদ্রা এমনই একটি চমৎকার আয়ুর্বেদিক ওষুধ।
এটি ব্যবহারে শরীরে আশ্চর্যজনক উপকারিতা দেখা যায়। এটি পেট সংক্রান্ত যে কোনও রোগ নিরাময় করতে খুবই উপকারী। এই ফলটি চোখের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এই ওষুধটি চর্মরোগ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো।
দারুহরিদ্রা প্রসঙ্গে তথ্য দিতে গিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, আয়ুর্বেদে শত শত বছর ধরে দারুহরিদ্রা ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ব্যবহার শরীরে আশ্চর্যজনক উপকার এনে দেয়। এই ফলটি আমাদের পেটের রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়।
এটি পেটের সমস্ত রোগ নিরাময় করে এবং শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। দারুহরিদ্রা চোখ ও কানের রোগও নিরাময় করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে ঘটতে থাকা প্রদাহকে দ্রুত নিরাময় করে।
এ ছাড়া, এই ফলটি ক্ষত নিরাময়ের পাশাপাশি ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাকেও দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এই ওষুধে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। এটি সহজেই যে কোনও জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। এই ফলটি জলে সেদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া, এর পাউডারও তৈরি করা যায়। দারুহরিদ্রা পাউডার দুধ এবং জলে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, কম খরচে চিকিৎসার জন্য দারুহরিদ্রা একটি ভালো বিকল্প। এটি পিসিওডি রোগে নারীদের প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসা করতে ব্যবহার করা হয়। এই ফলটিতে প্রোটিন, আয়রন এবং জিংক ও ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। তাই এটি সবার জন্যই উপকারী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে তুলসি পাতা
![বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে তুলসি পাতা ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Tulsi.jpg)
বর্ষাকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় সংক্রমণের ঝুঁকিও। এসময় হঠাৎ পরিবর্তন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে, যার ফলে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি। বছরের এই সময়ে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরের মতো রোগ দেখা দিতে পারি। এই কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আমাদের খাবারের তালিকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার এবং পানীয় যোগ করার পরামর্শ দেন। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে তুলসি পাতা।
বর্ষায় তুলসি পাতা কেন খাবেন?
এই ভেষজটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা দিতে পারে। বর্ষাকালে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখন তাকে শক্তিশালী করে আমাদের ফিট ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। তুলসী পাতায় নির্দিষ্ট তেল রয়েছে যা ক্ষতিকারক সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই কারণেই বর্ষাকালের খাবারের তালিকায় তুলসি পাতা যোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১. তুলসী এবং হলুদ
হলুদ আমাদের রান্নাঘরের একটি প্রধান উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পরিচিত। এই বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে দ্রুত এবং সহজে তুলসি এবং হলুদের পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন। এই দুই উপাদানেরই প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
২. তুলসি এবং আদা চাটনি
আপনি কি জানেন তুলসি চাটনি তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়? আপনার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি সুস্থও রাখবে। চাটনিতে আদা এবং তেঁতুলও থাকে, যা এর পুষ্টিগুণকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আপনি যদি এই চাটনিটি দীর্ঘ সময় ভালো রাখতে চান তবে এটি একটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করতে ভুলবেন না।
৩. তুলসি পনির স্যান্ডউইচ
তুলসি এবং পনির দিয়ে তৈরি এই স্যান্ডউইচ সকালে খেলে তা আপনার দিনটিকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুরু করার অভিজ্ঞতা দেবে। এটি বেশ স্বাস্থ্যকর এবং মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। এটি ছোট-বড় সবার জন্যই আকর্ষণীয় খাবার। এর সঙ্গে স্যান্ডউইচে আপনার পছন্দের অন্য সবজি যোগ করুন।
আপনি যদি চা প্রেমী হন তবে সাধারণ চায়ের বদলে এ ধরনের হার্বাল চা বেছে নিতে পারেন। তুলসি, আদা এবং অন্যান্য বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি এই চা বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একটি চমৎকার পানীয় হিসেবে কাজ করে। তুলসি এবং আদার এই চায়ে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে চাইলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে চিনি মেশাবেন না।