লাইফস্টাইল
সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যত ‘ভুল ধারণা’
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার কক্ষপথে চাঁদ এসে পড়লে পৃথিবীর একটা অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে যায় সেই ছায়ায়। আর এ কারণেই অন্ধকারে দিন হয়ে যায় রাতের মতো। মহাজাগতিক এ ঘটনাকে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) এমনই এক বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব।
সোমবারের মহাজাগতিক এই দৃশ্য সরাসরি দেখা যাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের মাঝে নানারকম ‘ভুল ধারণা’ আছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
সূর্যগ্রহণ দেখা বিপজ্জনক
যতক্ষণ আপনি সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করে চলবেন ততক্ষণ সূর্যগ্রহণ দেখা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার সময় আপনার প্রতিরক্ষামূলক চশমা পরা উচিত, অর্থাৎ গ্রহণের শুরু থেকে আংশিক পর্যায় এবং সম্পূর্ণতা পর্যন্ত। এছাড়া অনেকে মাঝে চশমা খুলে পরে আবার পরে। এটি না করে চেষ্টা করুন পুরো সময় চশমা পরিধান করার।
রান্না করা
এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি এক ধরণের বিকিরণ তৈরি করে যা খাবারের ক্ষতি করে। তবে এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।
গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া
গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণ এড়ানো উচিত, কেননা এটি তার অনাগত সন্তানের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। অনেকেই মনে করেন, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই ‘কুসংস্কার’ আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। তবে নাসা বলছে, এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ভ্রমণ না করা
সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক- এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
সূর্যগ্রহণের সময় গাছ রোপণে ফুল প্রাণবন্ত হয়
কিছু ইউরোপীয় জাতির মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা আছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় লাগানো ফুল অন্য সময়ে লাগানো ফুলের চেয়ে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ফুটে। সূর্যগ্রহণের সময় উদ্ভিদ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, গাছপালা সূর্যগ্রহণের প্রতি অনেকটা সাড়া দেয়। মূলত গাছ দিনে কম পানি গ্রহণ করতে পারে এবং সালোকসংশ্লেষণ যা মূলত সূর্যালোকের উপর নির্ভর করে তা হ্রাস পেতে পারে।
গ্রহণের পর গোসল করা
সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এটির কোনো ভিত্তি নেই।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত
অনেকে বিশ্বাস করেন, সূর্যগ্রহণের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে। আসল বিষয়টি হল- এটি বিদ্যুৎ সরবরাহকে প্রভাবিত করবে না। এমনকি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে মিনিটের ব্যবধান বিদ্যুত গ্রিডের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৬ করণীয়
বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে শুধু ঘাড় নয়, পিঠ ও কোমরেও ব্যথা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক জায়গায় বসে থাকলে ঘাড়ের পেশিগুলো স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তাই ঘাড়ের পেশিগুলো সচল রাখতে কাজ করতে করতেই ঘাড় কাত করে রাখুন। এতে ঘাড়ের ব্যথা অনেকটাই আপনার থেকে দূরে থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাড় ব্যথার সমস্যায় যেন পড়তে না হয় সে কারণে কিছু বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন। যেমন, যাই করেন না কেন একভাবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় থাকবেন না। টেবিলের ওপর ঝুঁকে কাজ করার অভ্যাসে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তাই এ অভ্যাস থাকলে এখনই তা এড়িয়ে চলুন। ঘাড় ব্যথা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শক্ত বিছানায় ঘুমাতে চেষ্টা করুন।
ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৬ করণীয়
১. ঘাড় ব্যথা শুরু হলেই প্রথমে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে পড়ুন।
২. গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে সেই ভেজা হালকা গরম তোয়ালে ঘাড় ব্যথার স্থানে সেঁক দিন।
৩. সরিষা তেলে রসুন ও কালোজিরা দিয়ে চুলায় গরম করে নিন। কুসুম গরম থাকতেই সে তেল দিয়ে ঘাড় ও পিঠ ব্যথা স্থানে মালিশ করুন।
৪. এরপর পেশীগুলোতে রক্ত চলাচলের জন্য ১ মিনিটের মতো হালকা ব্যায়াম করুন।
৫. সোজা হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এতে করে ঘাড় ব্যথা দ্রুত কমতে শুরু করবে।
৬. কম্পিউটারের সামনে অনেক সময় বসে থাকলে ঘাড় ব্যথা বাড়ে। দীর্ঘ সময় সামনের দিকে না তাকিয়ে কাজের ফাঁকে মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখতে পারেন। কমপক্ষে পাঁচ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে থাকুন। তাহলে ঘাড়ের ব্যথাকে জয় করতে পারবেন অনেকটাই।
দীর্ঘসময় টানা কাজ করার অভ্যাসে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। কখনও কখনও এই ঘাড় ব্যথাই মারাত্মক রোগের সংকেত দেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
খালি পেটে খেজুর খাবেন যে ১০ কারণে
খেজুর এমন একটি খাবার, শরীরের যত্ন নিতে যার উপর সারা বছর ভরসা রাখা যায়। প্রতিদিন খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিস্ময়কর এই ফলটিতে রয়েছে অনেক গুণ। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফল খেতে হয়। শরীরের ভালো কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ফলের মধ্যে। তেমনই একটি বিস্ময়কর ফল হলো খেজুর। খেজুরের পুষ্টিগুণ নারী-পুরুষ উভইয়ের জন্যই উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। তাই খেজুর সবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে খেজুর খেলে মিলবে বেশি উপকার। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
মস্তিষ্ক সতেজ থাকে
মস্তিষ্ক ভালো রেখে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন খেজুর খেতে হবে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি খেলে অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে
খেজুরের মধ্যে পটাসিয়াম থাকে। তাই এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। খেজুর স্ট্রোক, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগ থেকেও রক্ষা করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খান।
হাড় মজবুত হবে
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ থাকে। তাই আপনার হাড় আরও মজবুত করতে চাইলে প্রতিদিন খান খেজুর। খেজুর খেলে আপনার হাড় ভালো থাকবে। এমন কি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
হাঁটুর ব্যথা দূর হবে
অনেক সময় হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যায়। প্রতিদিন খেজুর খেলে এর উপকার পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান খেজুরে পাওয়া যায়, যা হাড়কে মজবুত রাখে।
চোখের সমস্যা দূর করে
ভিটামিন ‘এ’ চোখের কর্নিয়াকে সতেজ করে। আর খেজুর ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে চোখের সমস্যা অনেক উপকার পাওয়া যায়। খেজুরে লুটেনিন ও জেক্সানথিনও রয়েছে, যেগুলো চোখকে সুরক্ষিত রাখে।
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর ভিটামিন থাকে। এটি শরীরে ভিটামিন এবং খনিজগুলোর ঘাটতি দূর করে। তাই যাদের দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে, তারা খেজুর খান।
গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারী
খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য বেশ উপকারী। খেজুরে উপস্থিত আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া এটি শিশুর জন্মগত রোগও নিরাময় করে।
ব্রণ থেকে মুক্তি মেলে
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি৫, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা ব্রণের সমস্যা দূর করে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
ত্বক টান টান হয়
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকের শিথিলতা দূর হয়। ত্বক ভেতর থেকে সতেজ এবং সজীব হয়ে ওঠে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
তালের ক্ষীর বানানোর সবচেয়ে সহজ উপায়
বাজারে উঠতে শুরু করেছে পাকা তাল। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এই ফল দিয়ে তৈরি করা যায় অনেক রকম মজাদার খাবার। বিশেষ করে তালের বিভিন্ন পিঠা আমরা খেয়ে থাকি। আপনি কি জানেন যে তাল দিয়ে সুস্বাদু ক্ষীরও তৈরি করা যায়? অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় তালের ক্ষীর। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক তালের ক্ষীর তৈরির সহজ রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
তালের ক্বাথ- ২ কাপ
নারিকেল- ১ কাপ
পোলাও চালের গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
চিনি- ২ কাপ
লবণ- এক চিমটি।
প্রথমে তাল থেকে ভালোভাবে ক্বাথ বের করে নিন। যেন তাতে তালের আঁশ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ আঁশ থেকে গেলে খাওয়ার সময় তা মুখে আটকে যেতে পারে। তাই ভালোভাবে চেলে নিতে হবে। এরপর তার সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে একটি পরিষ্কার হাঁড়িতে করে চুলায় জ্বাল দিন। দ্রুত হাতে নাড়তে হবে নয়তো তালের ক্ষীর রান্নার পাত্রের সঙ্গে লেগে যেতে পারে। ক্ষীর পর্যাপ্ত ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে। এই ক্ষীর ঠান্ডা করে খেলে বেশি সুস্বাদু লাগে। রুটি কিংবা ভাতের সঙ্গেও বেশ মজাদার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেকেই সকালে ওঠার পর পেট ফাঁপা অনুভব করেন। এতে পুরো দিনটাই নষ্ট হতে পারে। এই সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসের কারণে বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি এই সমস্যা দূর করার জন্য মুঠো মুঠো গ্যাসের ওষুধ খান তাহলে তখন হয়তো কিছুটা আরাম পাবেন তবে এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বাসা বাঁধতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই উত্তম। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেটের গ্যাস দূর করার ঘরোয়া উপায়-
লেবু দিয়ে গরম পানি
এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে আপনার দিনটি শুরু করতে পারেন। একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী প্রতিকার। লেবুর রয়েছে হজমের রসকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা, যা গ্যাস এবং পেট ফাঁপা উপশম করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ছেঁকে নিন। ভালো করে নেড়ে নিয়ে সকালে খালি পেটে প্রথমে পান করুন। লেবু হজমের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং একটি হালকা মূত্রবর্ধক প্রভাব রয়েছে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্যাস এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। পানির উষ্ণতা পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
জিরা চা
জিরা আমাদের রান্নাঘরের একটি প্রধান উপকরণ। এর পাচক উপকারিতা সুপরিচিত। জিরা চা কার্যকরভাবে পেট ফাঁপা এবং গ্যাস কমাতে পারে। এক চা চামচ জিরা নিয়ে শুকনো প্যানে হালকাভাবে ভাজুন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে ভাজা জিরা দিন। এটি ৫-৭ মিনিটের জন্য সেদ্ধ হতে দিন। এবার ছেঁকে নিয়ে পান করুন। জিরার বীজে এমন যৌগ রয়েছে যা হজমের এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং গ্যাস কমায়। চায়ের উষ্ণতাও পেটকে প্রশান্তি দেয়।
আদা ও তুলসিপাতা
আদা এবং তুলসিপাতা হজমের সুবিধার জন্য পরিচিত। এগুলো গ্যাস এবং পেট ফাঁপার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার। এক টুকরো আদা পাতলা করে কেটে নিন। এক কাপ পানি ফুটিয়ে আদার টুকরো ও ৫-৬টি তুলসি পাতা দিন। দশ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং হজমকে উদ্দীপিত করে, অন্যদিকে তুলসি পাচনতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে। এই সমন্বয় গ্যাস কমাতে এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
লটকন খাওয়ার ৮ উপকারিতা
বাজারে লটকন পাওয়া যাচ্ছে। কাঁঠালের চেয়েও দ্বিগুণ ক্যালরি আছে লটকনে। আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-২। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম আছে। এই ফলে আছে প্রচুর ভিটামিন-সি। বর্ষাকালে লটকন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে মরণঘাতী ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে এ ফল।
লটকন খাওয়ার ৮ উপকারিতা
১. লটকনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম আছে। গবেষকরা বলছেন, লটকনে থাকা বিভিন্ন উপাদান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২.যাদের ওজন বেশি, যাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ রয়েছে, তারা লটকন খেতে পারেন। কেননা, এ ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩.ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এ ফল উপকারী। ডায়াবেটিসের কারণে যারা বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন না, তারা লটকন খেতে পারবেন। কেননা, এ ফলে ক্যালরি ও ফ্যাট কম পরিমাণে থাকে।
৪. প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে লটকন খেলে ভিটামিন-সি’র ঘাটতি পূরণ হয়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. লটকনে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। আয়রনের অভাবে মূলত অ্যানিমিয়া হয়। লটকনে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া তথা রক্তস্বল্পতা দূর করে।
৬. বিভিন্ন কারণে যাদের চোখ লাল হয়ে যায়, তারা লটকন খেলে উপকার পাবেন। লটকনে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান চোখ লাল হওয়া থেকে শুরু করে চুলকানি সারাতেও সহায়তা করে।
৭. বেরিবেরি রোগ, শারীরিক দুর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট ও পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো ছোট-বড় সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে লটকন।
৮. খাবারের অরুচি দূর করে রুচি বাড়াতেও লটকনের ভূমিকা রয়েছে। জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও সক্ষম এ ফল।
এমআই