জাতীয়
প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ, চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাতের জন্য প্রায় প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূর্বের ঘটনার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মুসল্লিদের সঙ্গে মোবাইল না আনার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে তাছাড়া ছাতা নেওয়ার ওপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ১০টায় শুরু হবে জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
এদিকে সোমবার (৭ এপ্রিল) শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ প্রমুখ।
ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারও ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবারের ঈদের জামাতে মাস্ক, টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না মুসল্লিরা। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল ফোন না আনার জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে বৃষ্টির দিন থাকলে আগের দিন জানিয়ে দেওয়া হবে, মাঠে ছাতা নিয়ে প্রবেশ করা যাবে কি না। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমরা সব সময় বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এবারও পূর্বের সকল বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ইদগাহ ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসবেন পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে আসতে হবে। সেটি চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পেরিয়ে ময়দানে আসতে হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে ছয়টি। তার মধ্যে র্যাব ব্যবহার করবে দুটি আর চারটি ব্যবহার করবে পুলিশ। মাঠে চারটি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। এ ছাড়া থাকবে ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা।
তিনি আরও বলেন, পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে, যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। মাঠে প্রবেশ ও বাহির পথ নামাজের আগের দিন জানিয়ে দেওয়া হবে। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন তাই আমাদের এই আয়োজন। এখানে ফায়ার সার্ভিস কাজ করবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম থাকবে। পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। সুইপিং করা হবে। বোম ডিসপোজাল টিম ঢাকা থেকে আসবে। এ ছাড়া মাঠের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে, র্যাব থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। আমরা কোনো হুমকি মনে করছি না।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, স্নাইপার, ড্রোন ক্যামেরা ও দুটি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতে শতাধিক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। দুই থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবেন তারা। জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই বলেও জানান তিনি।
শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, মাঠের রং করা থেকে শুরু করে মুসল্লিদের অজু ও গোসলের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। তবু এ ঈদগাহ ময়দানের ধারাবাহিক জামাত আয়োজনে ছন্দপতন ঘটেনি। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে দুই বছর এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
এই ঈদগাহের যাত্রা শুরু ১৭৫০ সালে। তবে ১৮২৮ সালে প্রথম আনুমানিক সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সেই থেকেই এই ঈদগাহসহ পুরো এলাকার নামকরণ হয় ‘শোলাকিয়া’। ১৮২৮ সাল থেকে জামাত গণনায় এবার ১৯৭তম জামাত হবে।
দীর্ঘ দিন আগে এ মাঠে অনুষ্ঠিত এক ঈদুল ফিতরের জামাতে কাতার গণনা করে ১ লাখ ২৫ হাজার মুসল্লির উপস্থিতি মিলে। তখন থেকেই এ ঈদগাহ ময়দানটিকে সোয়া লাখিয়া ঈদগাহ ময়দান হিসেবেও লোকজন ডাকতে শুরু করেন। পরবর্তীতে উচ্চারণ বিবর্তনে এ ঈদগাহ ময়দানের নাম শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান হিসেবেই সমধিক পরিচিত হয়ে ওঠে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ৭ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দুই বছর আগে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এবার ঝুঁকিতে থাকা সাতটি দেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮।
সংবাদমাধ্যমটির শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এরকম সাতটি দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে- পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা, জাম্বিয়া ও ঘানা।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৮ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। যেখানে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের মতো বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশকে ‘জাঙ্ক’ বা জঞ্জালের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি যে রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়েছে তার আগে থেকেই বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ এবং তা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল নিম্নমুখী।
এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত কয়েক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি। খাদ্যমূল্য বাড়ার কারণে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
প্রতিবেদন বলছে, অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আরো তীব্র হতে পারে। যদিও এখনই কোনো ঋণ সংকট নেই, তবে অর্থনীতির ক্রমাবনতি ঘটছে। এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙ্গা করেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে এই ঋণের অর্থ ছাড় করছে তারা।
২০২২ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকির মুখোমুখি। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনডিপি প্রধানের সেই সতর্কবার্তা এখনো প্রাসঙ্গিক। কারণ, এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে আহতদের চাকরি দেবে বাক্কো
তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমৃদ্ধশালী ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে চায় দেশের বিপিও ও কল সেন্টার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এবং বাক্কোর মধ্যে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নবগঠিত বাক্কোর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বাক্কো। গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা যেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সেজন্য আমরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চাই।
বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই আত্মত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেবো না। বাক্কো পরিবার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
সভায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বলেন, আমি পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো পরিচালক আব্দুল কাদের, জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, সায়মা শওকত, নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব) মো. মাহতাবুল হক এবং দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো দেবে। সেগুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফার সংলাপ শেষে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোড ম্যাপের ব্যাপারে যে আলাপটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ছয়টা কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বাকিটা দু’একদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ছয়টি কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলবে, তাদের তিন মাসের টাইমলাইনের মধ্যে। এরপর তিন মাসের মধ্যে একটা রিপোর্ট দেবেন। প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আবার উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনী কাজগুলো এগিয়ে যাবে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। কারণ ঐকমত্যটা রিফর্মের ব্যাপারে রিচ হলে যাতে খুব দ্রুত নির্বাচনটা দিয়ে দেওয়া যায়।
শফিকুল আলম বলেন, এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না। প্রসিডিওরটা কীভাবে হবে তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুর্গাপূজার ছুটিতে ঢাকা-কক্সবাজার চলবে ৭ বিশেষ ট্রেন
দুর্গাপূজার ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সাতটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। নিয়মিত দুই জোড়া ট্রেনের পাশাপাশি ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনগুলো চলাচল করবে।
এরই মধ্যে শিডিউল প্রকাশ করেছে রেলওয়ে। শনিবার (৫ অক্টোবর) কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রেলওয়ের তথ্যমতে, সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি এবার দুর্গাপূজার ছুটির কারণে টানা তিনদিনের সরকারি ছুটি পাচ্ছেন কর্মজীবীরা। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে শীতের আগমনী সময়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের উপস্থিতি বাড়ে। দুর্গাপূজার ছুটিসহ টানা তিনদিনের ছুটির কারণে ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে কক্সবাজারে রাতের ট্রেনটিতে টিকিটের জন্য রেল ভবনসহ রেলের প্রধান কার্যালয়গুলোতে চাহিদাপত্র ও আবেদন জমা দিচ্ছেন যাত্রীরা। চাহিদা বিবেচনা করে রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসটি চালানোর পদক্ষেপ নেয়।
রেলওয়ে আরও জানায়, ঢাকা থেকে রাতে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনটিতে আসন থাকবে ৫১৮টি। তবে দিনের বেলা কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে আসন সংখ্যা থাকছে ৬৩৪টি। ট্রেনটি ১০ অক্টোবর রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। ১৩ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনটি কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহন করবে।
এরপর ১১ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে ট্রেন।
বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তিনদিনের টানা ছুটির কারণে যাত্রী চাহিদার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চারদিনে মোট সাতটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরত্ব বেশি হওয়ায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে যাত্রীরা ট্রেনের নিরাপদ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।