টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিরল সূর্যগ্রহণ আজ
আজ ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণ। এটি হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন অনেকে। মূলত মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডায় দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ। ইতোমধ্যে বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের কোটি মানুষ। তবে আশঙ্কা রয়েছে- বিরল এই সূর্যগ্রহণটি মেঘ ও বজ্রঝড়ে ঢাকা পড়তে পারে। উত্তর আমেরিকার স্থানীয় সময় আজ দুপুর বেলাতেই আকাশে নজর টানবে দুই গ্রহ, শুক্র ও বৃহস্পতি। সব মিলিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে সূর্যগ্রহণের এই সময় বাংলাদেশে রাত হওয়ায় বাংলাদেশ বা এশিয়ার অন্য জায়গা থেকে এটি দেখা যাবে না।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সোমবারের গ্রহণের বিশেষত্ব হলো এর স্থায়িত্ব। এ ধরনের গ্রহণ সচরাচর দেখা যায় না। অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে এই গ্রহণ স্থায়ী হবে। টানা চার মিনিট চাঁদের ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢেকে থাকবে সূর্য, যা গত ৫০ বছরে কখনো কোনো গ্রহণেই হয়নি। গ্রহণের সময়ে ওই চার মিনিট ধরে সূর্যের বাহ্যিক স্তর করোনার আভা স্পষ্ট দেখা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে মেক্সিকো, আমেরিকার কয়েকটি রাজ্য ও কানাডার নির্দিষ্ট কিছু স্থান থেকে। এ ছাড়া স্পেন, যুক্তরাজ্য, পর্তুগালসহ কয়েকটি দেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্যমতে, মেক্সিকো, আমেরিকার ১৫টি রাজ্য ও কানাডার নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এর মধ্যে টেক্সাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখা যাবে এটি।
সোমবার সকালে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। এর পর মেক্সিকো ও আমেরিকার পর বিকালে কানাডা ও উত্তর আটলান্টিক অতিক্রম করবে। এদিন ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, স্পেন, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও আইসল্যান্ডের নির্দিষ্ট স্থান থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এ সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।
রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেক ফস্টার বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো অনেক বিপজ্জনক। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণে চোখের কোমল টিস্যু নষ্ট হয়ে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এটি দেখতে হলে বিশেষ সানগ্লাস পরা উচিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফেসবুক-গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন: নিরাপত্তা নাকি বিপদ?
ফেসবুক বা গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে সরাসরি লগইন করা যায়। ফলে সেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশের জন্য আলাদা করে অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড লিখতে হয় না। আলাদা করে ই-মেইল বা পাসওয়ার্ড লেখার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই নিজেদের ফেসবুক ও গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে অন্য সাইটে লগইন করে থাকেন। সিঙ্গেল সাইন ইন বা এসএসও নামের এ পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পেলেও তা নিরাপদ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে।
যেভাবে কাজ করে এসএসও পদ্ধতি
সাধারণত এসএসও পদ্ধতিতে গুগল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য বেশি ব্যবহৃত হয়। এ পদ্ধতিতে অনলাইন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার পর সেটি ফেসবুক বা গুগলের মতো প্রাথমিক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যবহারকারীর নাম, ই–মেইল ঠিকানা, ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। তবে কখনো কখনো ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর, জন্মদিন, বয়স, আগ্রহের বিষয়সহ অবস্থানের তথ্যও সংগ্রহ করে। ফলে এসএসও পদ্ধতিতে লগইন করলে অন্য সাইটগুলো কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করছে, তা ব্যবহারকারী জানতে পারেন না। শুধু তা–ই নয়, ফেসবুক ও গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে সংগ্রহ করা তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনও দেখিয়ে থাকে ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলো।
ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি ও সাইবার হামলার আশঙ্কা
এসএসও পদ্ধতি ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীদের ফেসবুক ও গুগল অ্যাকাউন্টের ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে সংগ্রহ করে বিক্রি করে দিতে পারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে সাইবার হামলাও চালানো যায়। ফলে নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি হয়। শুধু তা–ই নয়, এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা যদি কোনো একটি ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্টের দখল নিতে পারে তবে খুব সহজেই ব্যবহারকারীদের অন্য অ্যাকাউন্টগুলোও হ্যাক করা যায়। ফলে এসএসও পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনো অনলাইন সেবার অ্যাকাউন্ট চালু করা সহজ হলেও এতে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তাঝুঁকি রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মনিটাইজেশন আরও সহজ করছে ফেসবুক
মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে ফেসবুক। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।
এ ছাড়া ফেসবুকে পেজ খুলে অনেকেই ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। আবার অনেকেই ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।
সম্প্রতি দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে, তিন পদ্ধতিতে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। সেগুলো হচ্ছে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস। তবে এসব ব্যবস্থার পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে এ পরিবর্তন।
জানা গেছে, নতুন ব্যবস্থায় ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।
২০২৫ সালে সবার জন্য নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সামিট সিন্ডিকেটের কবজায় দেশের ইন্টারনেট খাত!
বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ার কারণে ইন্টারনেট সেবার একক কর্তৃত্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। একসময় একক নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বর্তমানে দেশের চাহিদার অর্ধেকেরও কম ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। বাকি অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করে বেসরকারি ৭টি কোম্পানি। যদিও দেশের চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির।
জানা গেছে, দেশে বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬ হাজার জিবিপিস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। আর বিএসসিপিএলসি দুটি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করছে। অথচ কোম্পানিটির সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস। অন্যদিকে, আইটিসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করছে ৩ হাজার ৩০০ জিবিপিএস। যার শুধু সামিটই সরবরাহ করে ৮০ শতাংশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে বিএসসিপিএলসির অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।
সক্ষমতা থাকার পরও কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ বিক্রি কমে যাচ্ছে—এর কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং ‘কাছের লোকদের’ মালিকানাধীন কোম্পানিকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। ফলে সরকারি কোম্পানিটির সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে সামিট। আমদানি থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট সরবরাহের সব ধরনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আলোচিত এই কোম্পানিকে। সরকারি কর্মকর্তারাই এই সুযোগ করে দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছিল বিএসসিপিএলসি। অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল টেরিসট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) লাইসেন্স নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলে শুধু এর বিকল্প হিসেবে সামিটসহ ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আইটিসি লাইসেন্স দেওয়া হলেও বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানিগুলোই নিয়ন্ত্রণ করছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসা।
এমনকি লভ্যাংশ প্রদানেও বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসির রেভিনিউ শেয়ারিং নীতিমালায় সাবমেরিন কেবল লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে লভ্যাংশের ৩ শতাংশ রাজস্ব দেওয়ার বিধান থাকলেও বেসরকারি আইটিসিদের জন্য সেটা মাত্র এক শতাংশ। দেশের বেশিরভাগ ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী সামিটকে বিশেষ সুবিধা দিতেই এটা করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসা মূলত সামিটের নেতৃত্বাধীন বেসরকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দখলে চলে যায়। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসসিপিএলসিকেও সামিটের ওপর নির্ভরশীল করা হয়েছে। এই নির্ভরশীলতা কমাতে গত বছর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের অনুপাত ৭০:৩০ নির্ধারণের অনুরোধ জানায় বিএসপিএলসি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে এখানো কোনো অগ্রগতি হয়নি।
প্রয়োজন না থাকলেও বেসরকারি খাতে সাবমেরিনের লাইসেন্স: বিএসসিপিএলসির সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে তৃতীয় সাবমেরিন কেবল সিমিউই-৬ প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা ২০২৫ সালে শেষ হবে। এর মধ্য দিয়ে বিএসসিপিএলসি প্রায় ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা অর্জন করবে। মোট ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা দাঁড়াবে ২০ হাজার ৪২০ জিবিপিএসর বেশি, যা বর্তমান চাহিদার তিন গুণেরও বেশি।
এদিকে, সাবমেরিন কেবল পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে বছরে ৫০-৬০ কোটি টাকা খরচ হয়। তৃতীয়টি চালু হলে খরচ হবে প্রায় শতকোটি টাকা। ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে এই ব্যয় মেটানো হয়। ব্যান্ডউইথ বিক্রি না হলে পরিচালন ব্যয় উঠে আসাই চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
এর পরও সামিটসহ তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যন্ডউইথ আমদানির জন্য সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স পাওয়া তিনটি কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, সিডিনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ও মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। তৃতীয় সাবমেরিন কেবল চালু হলে যেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদার প্রায় তিন গুণ সক্ষমতা বাড়বে, সেখানে বেসরকারি খাতে সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানির মধ্যে সামিট কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খানের ছোট ভাই। মেটাকোর সাবকম কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং সিডিনেটের পরিচালক হিসেবে আছেন চৌধুরী নাফিজ সারাফাত। বর্তমানে এই তিনটি কোম্পানির অনুকূলে বিএসসিপিএলসির কেপিআইভুক্ত নিজস্ব জমি এবং সাবমেরিন কেবলের পিভিসি ডাক্ট লিজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিএসসিপিএলসির সাবেক এবং বর্তমান কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই বিএসসিপিএলসির কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের জমি এবং সাবমেরিন কেবলের পিভিসি ডাক্ট লিজ নিতে আবদার করে চিঠি পাঠায় প্রাইভেট তিন সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। কিন্তু কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনুমোদন করতে তড়িঘড়ি করে ৭ দিনের মধ্যে বিএসসিপিএলসির ২২৮তম পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যদিও সরকার পতনের পর সেটা আর সম্ভব হয়নি।
টেলিকম ও ইন্টারনেট খাতে সামিটের আধিপত্য
২০০৯ সালে আত্মপ্রকাশের পরে টেলিকম ও ইন্টারনেট অবকাঠামো খাতে দেশে সবচেয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে সামিট কমিউনিকেশন। কোম্পানিটির হাতে রয়েছে টাওয়ারের ব্যবসা, আইআইজি, আইটিসি, এনটিটিএন আর সবশেষে সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স। সব ধরনের লাইসেন্স থাকায় সামিট গ্রাহককে আইটিসি থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে বাধ্য করছে। সামিট ব্যান্ডউইথ এবং অপটিক্যাল ফাইবারের মিশ্রণে প্যাকেজ সেবার সুযোগ নিচ্ছে। এনটিটিএন লাইসেন্স থাকায় আইটিসি থেকে আগত ব্যান্ডউইথ আইআইজি পর্যন্ত সামিট নিজেই নিয়ে যেতে পারে। বিএসসিপিএলসির এনটিটিএন লাইসেন্স না থাকার সুবিধা গ্রহণ করছে সামিট। এসবের মধ্য দিয়ে ইন্টারনেট সিস্টেমের প্রতিটি খাতের লাইসেন্স সামিটকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দিয়ে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, গত নভেম্বরে বিএসসিপিএলসি পাওনা বকেয়া থাকার কারণে ১৯টি আইআইজি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ সীমিত করে। এ কারণে দেশের ব্যান্ডউইথের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রভাবিত হয় এবং গ্রাহকদের প্রায় ৪ দিন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আসলে এই পুরো বিষয়টি বিএসসিপিএলসি এবং বিটিআরসির যোগসাজশে ঘটানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইআইজি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ সীমিত করার পেছনে যৌথভাবে কাজ করেছেন আইসিটি সচিব ও সামিট। সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান বিগত সময়ের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আজিজ খান এবং সামিট কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান ফরিদ খানের নির্দেশনা এবং পরামর্শে সামিটের প্রতিযোগী আইআইজিদের একটি তালিকা তৈরি করে সচিব বরাবর পাঠানো হয়। এরপর বিএসসিপিএলসি বোর্ড সভায় নিজ ক্ষমতাবলে সব আইআইজির ব্যান্ডউইথ সীমিত করার আদেশ দেন আইসিটি সচিব। মূলত সামিটের রাজনৈতিক চাপে ব্যান্ডউইথ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসসিপিএলসি। এ ছাড়া সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানের এনটিটিএন লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও কার্যত অকেজো করে রাখা হয়েছে। যাতে এনটিটিএন ব্যবসা সামিট এবং আরেক আইটিসি লাইসেন্সধারী ফাইবার এট হোম নির্দ্বিধায় করতে পারে।
ব্যক্তিস্বার্থে প্রাইভেট কোম্পানিকে বিশেষ সুবিধা: বিএসসিপিএলসির এবং বিটিআরসি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থে বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে স্পর্শকাতর তথ্য পাচার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য পাচারের বিপরীতে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকে। বিএসসিপিএলসির এবং বিটিআরসি তথ্য পাচারের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এবং বর্তমান এমডির বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সামিট সিন্ডিকেটকে সাবমেরিন লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বিটিআরসির কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। লাইসেন্স দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে চলতি বছরের মার্চে বিটিআরসির চার কর্মকর্তা সামিট সিন্ডিকেটের অর্থে সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন।
জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই বিএসসিপিএলসির কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের জমি এবং সাবমেরিন কেবলের পিভিসি ডাক্ট লিজ নিতে আবদার করে চিঠি পাঠায় প্রাইভেট তিন সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। কালবেলার হাতে আসা নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ল্যান্ডিং স্টেশনের ৩০-৩৩ শতাংশ জমি এবং একটি চার ইঞ্চির পিভিসি ডাক্ট লিজ নিতে চায় কোম্পানি তিনটি। এজন্য সুনির্দিষ্ট করে পিভিসি ডাক্টের অব্যবহৃত দুটি ডাক্টের কথা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু মাটির নিচে থাকা এই ডাক্টের কথা বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ ছাড়া কেউ জানার কথা নয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, সাবমেরিনের লাইসেন্স পাওয়া সামিট সিন্ডিকেটের আরেক কোম্পানি সিডিনেট কমিউনিকেশনের সিইও মশিউর রহমান ছিলেন বিএসসিপিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তা ছাড়া প্রাইভেট খাতে সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স দেওয়ার অন্যতম ক্রীড়ানকও ছিলেন তিনি। লিজ চাওয়া চিঠিতেও কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে তার নাম রয়েছে।
কোম্পানি সূত্র জানায়, প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিতে মশিউর রহমান তার মেয়াদকালে সিমিউই-৪ প্রকল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি অনুমোদন করতে চাননি। শুধু তাই নয়, চার বছরেরও অধিক সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে থাকায় বিএসসিপিএলসির সব তথ্যই তিনি জানেন। যার পুরস্কার হিসেবে অবসর গ্রহণের পরপরই তাকে সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিডিনেটের সিইও পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক এমডি মশিউর রহমান বলেন, যখন বেসরকারি কোম্পানিকে সাবমেরিনের লাইসেন্স দেওয়া হয় তখন তিনি ছিলেন না, এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি বলেন, অবসর গ্রহণের পর সিডিনেটে তিনি নিয়োগ পান, তবে সেটা কোনো অনৈতিক সুবিধার কারণে নয়। বিএসসিপিএলসির জমি এবং ডাক্ট লিজে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে সাবমেরিন কেবল লাইন স্থাপনের জন্য অনেক টাকা খরচ হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা সামিটের সঙ্গে মিশে বিএসসিপিএলসির জমি এবং ডাক্ট লিজ চেয়েছিলাম। যদিও এই প্রস্তাব ছিল সামিটের। সামিট তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে এটা অনুমোদন করাতে চেয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেও সামিটের একক আধিপত্যের কথা স্বীকার করে সিডিনেটের এই সিইও বলেন, সামিট একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের ইন্টারনেটের সব ধরনের লাইসেন্স রয়েছে। যে কারণে এ খাতে এখন আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সাবমেরিনেরও লাইসেন্স পাওয়ায় এখন তাদের আধিপত্য আরও বেড়ে গেছে। সব ধরনের লাইসেন্স থাকায় তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কেউ পারবে না। এটার দায় বিটিআরসিসিও এড়াতে পারে না।
ক্ষতির মুখে সরকারি প্রতিষ্ঠান
জানা গেছে, সিমিইউ-৪ এবং সিমিইউ-৫ এই দুই কেবলের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকা। আর সিমিইউ-৬ চালু হলে এই ব্যয় বেড়ে হবে ৯০-১০০ কোটি টাকা, যা বিএসসিপিএলসি ব্যান্ডউইথ বিক্রির আয় থেকে পরিশোধ করে। ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত রয়ে গেলে পরিচালন ব্যয় উঠে আসাই চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানটিতে শেয়ারের প্রায় ২৭ শতাংশের মালিকানায় রয়েছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। ব্যবসা ক্রমাগত হারাতে থাকলে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা কমবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বিটিভিতে সরকারের সমালোচনা করা যাবে: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনাকারীদের জন্যও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) দরজা খোলা থাকবে এবং বিটিভিতে সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা করা যাবে। বিটিভি জনগণের মিডিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ টেলিভিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিটিভির উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারকে সন্তুষ্ট করা বিটিভির কাজ হতে পারে না।
জনগণকে সন্তুষ্ট করাই বিটিভির প্রধান কাজ। ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তারা বাদে সবাই বিটিভিতে আসতে পারবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিটিভিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের চেয়ে উন্নত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে বিভিটির ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিটিভি ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রচারে ব্যস্ত ছিল। বিটিভিকে এই নীতি থেকে বের হতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে বিটিভিতে অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে।
জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও নতুন কুঁড়ির মতো সাড়াজাগানো সৃজনশীল অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে হবে।’
তিনি বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলাকুশলীদের পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বিটিভির ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ও স্টুডিও দ্রুত সংস্কার করার আশ্বাস দেন এবং বিটিভির সার্বিক উন্নয়নে সংস্কার প্রস্তাব প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
মতবিনিময়সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বিটিভির সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার, শিল্পী সম্মানী বৃদ্ধি, পুড়ে যাওয়া অবকাঠামো সংস্কারসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার বিষয় উপস্থাপন করেন।
সভায় বিটিভির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম, উপমহাপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সাঈদ-উর-রহমান, উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. মাসুদ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়সভার পূর্বে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন ও বিভিন্ন স্টুডিও পরিদর্শন করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মধ্যরাত থেকে ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকতে পারে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৫-এর রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এ কারণে আজ মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চার ঘণ্টা সারাদেশে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। কোথাও ধীরগতি, কোথাও সাময়িক সময়ের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধও থাকতে পারে।
সাবমেরিন ক্যাবলগুলোর তদারককারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টারনেট গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সিমিউই-৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক আজ শনিবার দিনগত রাত ২টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার সময় সিমিউই সাবমেরিন ক্যাবলসের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সিমিউই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।