মত দ্বিমত
নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় প্রশাসনের সাথে জনসচেতনতা জরুরী
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে ঘরমুখো মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে নগর ছাড়ছে। নিরাপদে বাড়ি ফেরার প্রত্যাশা সবার।
এদিকে ঈদযাত্রায় একই সময়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পরিবহনগুলোর। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হয়। তবে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় যাত্রীদের সচেতনতার অভাবে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে সামান্য ভুলের কারণে দুর্ঘটনাবশত সঙ্গে থাকা মূল্যবান মালামাল হারানোসহ হতাহতের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই কেবল সরকারের তৎপরতাই যথেষ্ট নয়, যাত্রাকালে সাধারণ মানুষ যথাযথ নিয়ম মেনে চললে, তা তাদের নিজের ও অপরের জন্য স্বস্তি এনে দিতে পারে।
আবার ঈদের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে কিছু অসাধু চক্র মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে থাকে। তাদের দ্বারা চাঁদাবাজি, চুরি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে যাত্রীরা বাড়তি বিড়ম্বনায় পড়েন। এছাড়া বাস, ট্রেন বা অন্যান্য ছোট যানবাহনে অনেক সময় যাত্রীরা অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ভিড়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটতে দেখা যায়। তাই যাত্রা নিরাপদ করতে এ বিষয়ে মাইকিংসহ পোস্টার বা লিফলেটের মাধ্যমে যাত্রীদের সর্তক করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অন্যান্যবারের মতো এবারও সাধারণ মানুষের ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত ও স্বস্তিদায়ক করতে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ। সড়কে যানজট নিরসন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানামুখী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঈদের আগে ও পরে ৩ দিন করে মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা; যানজটের স্পটগুলো আগে থেকে চিহ্নিত করে সেসব স্থান নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় রাখা এবং সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ইদের ৭ দিন আগে শেষ করা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে ইদযাত্রায় সড়কে কোনো আনফিট বা লক্কর-ঝক্কর গাড়ি সড়কে না চালাতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ঈদ উদযাপনের জন্য কর্মজীবী মানুষের বাড়ি ফেরাকে ঘিরে অতিরিক্ত যাত্রী সামাল দিতে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায় বহুগুণে। সেক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেমন- যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানো, আগাম টিকিট বিক্রি ইত্যাদি। তবে অনেক সময় দেখা যায়, অসাধু ব্যক্তিদের অতিরিক্ত উপার্জনের মানসিকতা, অনুমোদনহীন ও আনফিট গাড়ি সামান্য জোড়াতালি দিয়ে দ্রুত মেরামত করে চলাচল শুরু করা এবং অনভিজ্ঞ চালক নিযুক্ত করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এবার ঈদে সড়কপথে ঢাকা ছাড়ছে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ। ঈদের আনন্দ শুরুই হয় যেন ভোগান্তি দিয়ে। ঈদের আগে তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা সড়কে আটকে থাকা যেন চিরায়ত ঘটনা। এ সময় ঘরমুখী মানুষ বহন করা গাড়ি যেন সড়কে স্থবির হয়ে পড়ে।
যানজটসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ভোগ নিয়ে এক ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ অবস্থা। ঈদযাত্রা যেন কে কার আগে যেতে পারবে, সেই প্রতিযোগিতা।এসব দুর্ভোগের মধ্যে যে যেভাবে পারছে, বাড়তি মূল্য হাঁকিয়ে বসছে; বাস, সিএনজি থেকে শুরু করে রিক্সা, অটোর মতো ছোট ছোট যানবাহনগুলোও। এমন পরিস্থিতি যাত্রীদের জন্য বেশ বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। তবে সম্প্রতি সড়কপথে সরকারের নানা ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে যানজট পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। এর মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে চার লেনের সড়ক ব্যবহার, পদ্মাসেতু তৈরি, রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়েগুলো যানজট কমাতে ভূমিকা রাখছে।
ঈদযাত্রায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে সরকার রেলখাতেও নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে ৮টি বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষও আগাম টিকিট বিক্রিসহ স্টেশনে নানা ধরনের সেবা বাড়িয়েছে। তবে এতো কিছুর পরেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ঈদে ঘুরমুখো মানুষের দুর্ভোগ যেন অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। কখনো কখনো টিকিট কালোবাজারির মতো ঘটনায় যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। তখন বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে তাদের টিকিট কিনতে হচ্ছে। আবার যাত্রীদের বিভিন্ন অসচেতনা ও বেপরোয়া আচরণের ফলে রেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঈদের সময়ে ভিড়ের কারণে প্রায়শই স্টেশনে ট্রেন প্রবেশ করা মাত্রই বহু মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েন। অনেকে আবার ট্রেনের ইঞ্জিন বা দুই বগির সংযোগস্থলে অবস্থান নেন। দুর্ঘটনা এড়াতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল থেকে যাত্রীদের বিরত রাখতে কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি দ্রুত ও নিরাপদ ভ্রমণে মানুষ আকাশপথেও ভিড় জমাচ্ছে। তাই যাত্রীদের সেবা দিতে ফ্লাইট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। আকাশপথে দুর্ঘটনা তুলনামূলক কম হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এ পথে যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিমান কর্তৃপক্ষকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের করে যাত্রা করতে হবে।
নৌপথে এক আতংকের নাম বাল্কহেড। প্রায়শই দেখা যায়, বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌযান ডুবে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও নির্দেশনা অমান্য করে অনেক সময় লুকিয়ে লুকিয়েই এগুলোও চলাচল অব্যাহত রাখা হয়। তাই ঈদযাত্রায় নদীপথে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে টহল বাড়ানোসহ দুর্ঘটনা রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হওয়ার কারণে প্রতিবছরই লঞ্চ ডুবে বিপুল পরিমাণ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে মানুষ অনেক সময় অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়েই যাত্রা করেন। এতে নানা দুর্ঘটনার সম্মুখীনও হন। তাই ঈদযাত্রায় ভিড়ের কথা চিন্তা করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপারের চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। যাতে এই যাত্রাই শেষ বাড়ি ফেরা না হয়।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেকোনো নিয়ম বহির্ভূত ঘটনা রোধের পাশাপাশি সারাদেশের নৌযোগাযোগ খাতে সার্বিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেয়াসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, সবই করতে হবে। চলতি মাসে ঈদের এ সময়ে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঝড়-বৃষ্টি ঈদযাত্রায় ভোগান্তি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া দু্র্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটার মাত্রা বাড়ে। ঝড়-বৃষ্টি নৌপথে যাত্রার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে। আবার ঝড়ের কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় যাত্রার সময়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও আবহাওয়ার কারণে যাত্রায় বিলম্ব হতে পারে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কর্তৃপক্ষকে যাত্রী পরিবহন করতে হবে এবং যাত্রীদের বিষয়টি আগে থেকেই অবগত করতে হবে। অপরদিকে বিরূপ আবহাওয়ায় নৌপথে সতর্কতা হিসেবে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট এবং বয় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের যথাযথ তদারকি থাকলে নৌপথে যাত্রা নিরাপদ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
গতবছর ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১৫ দিনে দেশে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৫৬৫ জন আহত হন। সেবার ঈদুল ফিতর উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ২১.৬ জন নিহত হন। আর সারাবছরই সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ঈদের সময়ও তার ব্যতিক্রম নয়। মোটরসাইকেলে যাত্রা যথেষ্ট অনিরাপদ হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। এমনকি নানা শাস্তির আওয়তাও আনা হয় তাদের। তবুও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমছে না। তাই নিজের নিরাপত্তার জন্যই এ বাহনটির চালককে আরও সতর্ক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের ট্রাফিক নির্দেশনা যথাযথভাবে মানতে হবে।
ঈদযাত্রায় অনেক সময় দেখা গেছে, যাত্রীদের প্ররোচনায় গাড়ি দ্রুত চালাতে উদ্বুদ্ধ হন চালকরা। দূরের পথে বাসে যাত্রার ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রায়শই চোখে পড়ে। এমন পরিস্থিতি একসঙ্গে অনেক মানুষ জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে। তাই কেবল প্রশাসন একাই নয়, যাত্রীদের অসচেতনতাও দুর্ঘটনা সৃষ্টিতে বহুলাংশে দায়ী।
মূলত স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার লক্ষ্যে এ সময় সবাই স্বস্তি ও আনন্দের সাথে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চান। ঈদের সাথে সবারই তীব্র আবেগ জাড়িয়ে থাকে। সবাই চান নিরাপদে বাড়ি ফিরে আপনজনদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটাতে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ যাত্রা আরও নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত করা সম্ভব হবে।
লেখক: নুসরাত জাহান ঐশী, গণমাধ্যমকর্মী
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
জাতীয় দলে আর খেলবেন না তামিম
আগামী মাসের ১৯ তারিখ পাকিস্তানের মাটিতে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এই টুর্নামেন্টের আগে আবারও আলোচনায় এসেছে তামিম ইকবালের দলে ফেরার ইস্যু। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও জানিয়েছেন তামিম যেহেতু অবসর নেননি নির্বাচকরা যদি তামিমকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে নিতে পারে।
তবে এর মাঝেই জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম। পাকিস্তানি কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদি অবসর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তামিম বলেন, ‘জাতীয় দলে আর খেলছি না।’
বিপিএলে এবার চিটাগং কিংসের মেন্টর হিসেবে এসেছেন আফ্রিদি। তামিম খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। একই হোটেলে থাকার সুবাদে নিয়মিত হচ্ছে আড্ডা। আফ্রিদি তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তেমন এক আড্ডা ও খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) প্রকাশিত ভিডিওতে ফরচুন বরিশালের আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবির সঙ্গে নৈশভোজ করতে দেখা যায় আফ্রিদিকে। এ সময় পাশে বসে ছিলেন তামিম এবং শাহিন আফ্রিদিও। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তামিম, আফ্রিদি ও নবিরা।
তারই মাঝে আফ্রিদি তামিমের কাছে জানতে চান, তামিম, তুমি কি পুরোপুরি অবসর নিয়ে ফেললে? (আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার) শেষ? জবাবে বলেন,‘ জাতীয় দল থেকে…জাতীয় দলে আর খেলছি না।’ সুতরাং জাতীয় দলে না ফিরলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও খেলা হচ্ছে না তামিমের।
পরে একপর্যায়ে তামিমও আফ্রিদিকে জিজ্ঞেস করেন—তার রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না! জবাবে পাক কিংবদন্তি মজা ও খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আরে তোমাদের অবস্থা তো দেখতেছি, আমি (রাজনীতিতে) আসতেছি না।’ তখন সবাই সমস্বরে হেসে ওঠেন।
২০২৩ সালে আফগানিস্তান সিরিজ চলাকালীন আচমকা সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন তামিম। তখন তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। এই সময় তুমুল আলোড়ন তৈরি করে এই ঘটনা। পরদিন ঢাকায় তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি, বেরিয়ে এসে জানান সিদ্ধান্ত বদলের কথা।
এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুই ম্যাচ খেলেন তিনি। তবে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার দূরত্বের খবর ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিয়ে নেয়। তামিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে যায় বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে-কোথায়
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের সূচি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল আগেই। একই গ্রুপে থাকায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের দুটি ম্যাচ কবে, জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার পুরো সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি।
১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে ওয়ানডে ফরম্যাটের এবারের আসরের। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পরের দিনই, ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ২৪ মার্চ রাওয়ালপিন্ডিতে, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ২৭ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
আট দলের এই টুর্নামেন্টে হবে মোট ১৫ ম্যাচ, পাকিস্তান ও দুবাইয়ের ভেন্যুতে হবে খেলা। পাকিস্তান রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও করাচিতে হবে গ্রুপের তিনটি করে ম্যাচ। লাহোরে হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।
ভারত উঠলে ৯ মার্চ ফাইনাল হবে দুবাইয়ে। ভারত না থাকলে সেটি হবে পাকিস্তানের লাহোরে। দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি
১৯ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড, করাচি, পাকিস্তান
২০ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ-ভারত, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত
২১ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা, করাচি, পাকিস্তান
২২ ফেব্রুয়ারি: অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড, লাহোর, পাকিস্তান
২৩ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তান-ভারত, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত
২৪ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান
২৫ ফেব্রুয়ারি: অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা, রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান
২৬ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তান-ইংল্যান্ড, লাহোর, পাকিস্তান
২৭ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ-পাকিস্তান, রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান
২৮ ফেব্রুয়ারি: আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া, লাহোর, পাকিস্তান
১ মার্চ: দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড, করাচি, পাকিস্তান
২ মার্চ: নিউজিল্যান্ড-ভারত, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত
৪ মার্চ: প্রথম সেমিফাইনাল, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত
৫ মার্চ: দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, লাহোর, পাকিস্তান
ফাইনাল
৯ মার্চ: লাহোর, পাকিস্তান (ভারত উঠলে ফাইনাল দুবাইয়ে)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সপরিবারে ভারত ছাড়ছেন কোহলি
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। দেশের জার্সিতে একের পর এক কীর্তি গড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে ভারত ছেড়ে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি— এমন দাবি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর।
কোহলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তার ছেলেবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা জানিয়েছেন, ভারত ছেড়ে লন্ডনে সংসার পাতবেন কোহলি। স্ত্রী আনুশকা শর্মা, কন্যা ভামিকা ও পুত্র অকায়কে নিয়ে সেখানেই থাকবেন তিনি।
রাজকুমার বলেন, ক্রিকেট ছাড়া বাকি সময়টা কোহলি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসে। অবসরের পরে বাকি জীবনটা ও লন্ডনে কাটাতে চায়।
হঠাৎ করে কেন লন্ডনে যেতে চান কোহলি এমন প্রশ্ন করা হয় এই কোচকে। জবাব তিনি জানিয়েছেন, সেখানে অনেক স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারেন তিনি। সেই কারণেই এই ভাবনা।
তিনি বলেন, ওখানকার পরিবেশ ওদের ভালো লাগে। ভারতে থাকলে যেভাবে সারাক্ষণ ওদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয় সেটা লন্ডনে দরকার পড়ে না। ওখানে অনেক স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারে ওরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য শেষ ম্যাচ ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানরা সেটা রক্ষা করতে পারল না। শেষ ম্যাচে ৮০ রানের ব্যবধানে উইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।
২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে তাদের মাঠে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের পর চতুর্থ দল হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ রান করেন জাকের আলি। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় বলেই ব্রান্ডন কিংকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। সিরিজের সবগুলো ম্যাচেই তাসকিনের শিকার হয়েছেন কিং।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ০.৫ ওভারে খেলার পরই হানা দেয় বৃষ্টি। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট বিশেক পরই আবার খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নতুন বলে আরো একবার দুর্দান্ত শুরু করেন শেখ মেহেদি। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেটের দেখা পান। এই ডানহাতি অফ স্পিনারকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন জাস্টিন গ্রিভস। তাতে ৭ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
এরপর নিকোলাস পুরাণ ও জনসন চার্লস জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে ফেরেন পুরাণ। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোকা বানিয়েছেন মেহেদি। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে নিচু হয়ে ভেতরে ঢোকা বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন পুরাণ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১৫ রান।
পাঁচে নেমে ডাক খেয়েছেন রোস্টন চেইস। চার বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই হাসান মাহমুদের বলে মেহেদির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রাখা চার্লস ফিরেছেন রান আউটের শিকার হয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ২৩ রান। তাতে দলীয় ফিফটির আগেই ৫ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। লোয়ার মিডল অর্ডারে রভম্যান পাওয়েল-গুড়াকেশ মোতিরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। খানিকটা ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল রোমারিও শেফার্ড। তবে তার ২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস কেবলই জয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।
বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার রিশাদ হোসেন। তাছাড়া তাসকিন ও মেহেদি দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
এর আগে লিটনের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। অফফর্মে থাকা লিটনকেও আজ বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। দারুণ কিছু শটও খেলেছেন। তবে ১৪ রানের বেশি করতে পারলেন না। অধিনায়ক ফেরায় ভাঙে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।
লিটন ফেরার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই ওপেনার আলজারি জোসেফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন জাস্টিন গ্রেভসের হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। যেখানে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ইমন। ইমনের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫৪ রান তোলে।
তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ তামিম। এক ছক্কায় ৯ বলে ৯ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যকফুটে গেলে আরো একবার দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শুরুতে দুজনে কিছুটা রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলেছেন। আর রানের গতি বাড়াতে গিয়েই ফিরেছেন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ বলে ২৯ রান।
এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া হয় শামিম হোসেনকে। কিন্তু গত দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাট করলেও আজ তার ভাগ্য সহায় হয়নি। ২ রান করে জাকেরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন। একই পথে হেটেছেন শেখ মেহেদিও।
দুই ব্যাটারের রান আউটের সঙ্গেই ছিল জাকেরের নাম। তাই বাড়তি দায়িত্ব ছিল তার ওপর। সেটা ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। শুরুতে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও ফিনিশিংটা করেছেন দুর্দান্ত। এক প্রান্তে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়ে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৪১ বলে করেছেন অপরাজিত ৭২ রান।
জাকেরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তানজিম সাকিব। এক চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস সাকিব
প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার ক্রিকেটে খেলছেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সময়ের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এই অলরাউন্ডার। এই লম্বা ক্যারিয়ারে জাতীয় দল ছাড়াও খেলেছেন বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। তবে এর আগে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠেনি। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল কাউন্টি ক্রিকেট কতৃপক্ষ।
চলতি মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব। বিশেষজ্ঞদের সামনে সেই পরীক্ষায় মোট চার ওভার বল করতে হয় সাকিবকে। ২৪ ডেলিভারি বিশ্লেষণ করে মেলেনি কোনো ত্রুটি। তাই সাকিবের ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কাউন্টি কতৃপক্ষ।
গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে যান সাকিব। প্রায় ১৩ বছর পর এই টুর্নামেন্টে খেলেন তিনি। সারের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এই ম্যাচেই তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
কাউন্টি ক্রিকেটে সেই ম্যাচে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়াররা। এরপর লিগ ক্তৃপক্ষ জানায়, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উৎড়াতে হবে সাকিবকে। যে কারণে এ মাসের শুরুতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন সাকিব।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৭১২ উইকেট শিকার করেছেন।