জাতীয়
জাতীয় ঈদগাহের জামায়াতে অংশ নিতে পারবেন ৮৫ হাজারের বেশি মুসল্লি
আর কয়েকদিন পরেই মুসলিম জাহানের অন্যতম উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। উৎসব আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ঈদগাহে রাখা হচ্ছে তিন স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বলয়। প্রতিবারের মতো জাতীয় ঈদগাহ জামায়াতের আয়োজন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
ঈদ জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের জন্য ওজু, খাবার পানি ও মোবাইল টয়লেট এবং প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত আয়োজনে পুরো ঈদগাহে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। ঈদগাহে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নামাজ আদায়েরও ব্যবস্থা থাকছে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা ৩০মিনিটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়ার প্রতিকূল থাকলে বা অন্য কোনও কারণে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এছাড়াও মূল প্যান্ডেলের বাইরেও অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ঈদ জাতামে শরিক হতে পারবেন।
এদিকে ঈদগাহে প্রবেশের জন্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং নারীদের কথা মাথায় রেখে করা হচ্ছে আলাদা আলাদা প্রবেশ পথ। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট থাকছে একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি এবং নারীদের প্রবেশের জন্য পৃথক একটি গেট রাখা হয়েছে। ঈদ জামাতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ভিআইপি পুরুষ কাতার থাকবে ৫টি এবং নারী কাতার থাকবে একটি। আর জনসাধারণের জন্য পুরুষ কাতার থাকবে ৬৫টি (বড় আকারের), আর নারীদের কাতার ৫০টি (ছোট আকারের)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) আলাদা করা হচ্ছে ভোটার এলাকা ও বর্তমান ঠিকানা। নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার এক জায়গায় রাখতে এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণ কোনো কারণে একজন নাগরিক ভোটার এনআইডিতে ঠিকানা পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার এলাকাও পরিবর্তন হয়ে যায়। এ জন্যই ভোটার এলাকা আলাদা করার উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এনআইডির বর্তমান ঠিকানাই ভোটার এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে কোনো কারণে বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন হলে ভোটার এলাকাও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আর ভোটার এলাকা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সম্প্রতি ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তর এবং এনআইডি সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে ইসি। সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা পর্যালোচনা করে ওই কমিটি একটি সুপারিশ করেছে। কমিটি প্রধান ও ইসির উপসচিব এম মাজহারুল ইসলামের সই করা সুপারিশ অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদন পেলেই তা বাস্তবায়ন করা হবে এ সিদ্ধান্ত।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ওই সময়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিত স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় না।
এছাড়া বর্তমানে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন করা হচ্ছে। তাদের বর্তমান ঠিকানা বসবাসরত দেশে হলেও কার্ডের পেছনে বাংলাদেশে যে এলাকার ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত আছেন, সে এলাকার ঠিকানা উল্লেখ থাকে। অথচ তাদের নিবন্ধন ফরম পূরণের সময় প্রবাসের ঠিকানার তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, নাগরিকদের বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজন ও বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে তা সম্ভব হয় না। কারণ ভোটার স্থানান্তরের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এক্ষেত্রে কেস টু কেস নথিতে উপস্থাপন করে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে স্থানান্তর কার্যক্রমে অনেক সময় প্রয়োজন হয় এবং নাগরিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সেবা সহজীকরণ কমিটি ওই সুপারিশ করেছে। কমিটির সুপারিশে এনআইডি নেওয়ার সময় বা নতুন ভোটার হওয়ার সময় নির্ধারিত ফরমে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার পাশাপাশি ভোটার এলাকা লিপিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটারের তথ্য সংগ্রহের সময় ভোটারের তিনটি ঠিকানা থাকবে, যথা বর্তমান বা যোগাযোগ, স্থায়ী ও ভোটার ঠিকানা। একজন নাগরিকের তিনটি ঠিকানা একই হতে পারে অথবা একাধিক স্থান হতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্রের পেছনে বর্তমান বা যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। এটা দেশে বা প্রবাসের ঠিকানা হতে পারে। ভোটার ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা ডাটাবেজে থাকবে। তবে ভোটার ঠিকানা মুদ্রিত ভোটার তালিকায় উল্লেখ থাকবে। এতে করে তিন ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে।
প্রথমত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ভোটার মাইগ্রেশন প্রয়োজন হবে না। বর্তমান বা যোগাযোগের ঠিকানা সংশোধন করলেই হবে। তাতে ভোটার তালিকায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
দ্বিতীয়ত, বর্তমানে একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোটার স্থানান্তর করে থাকে। ডাটাবেজে বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার ঠিকানা ফিল্ড একটাই হওয়ার কারণে কোনো ব্যক্তির দাপ্তরিক প্রয়োজনে ঠিকানা পরিবর্তন করতে হলে বাধ্য হয়ে তাকে ভোটার স্থানান্তরও করতে হয়। আবার নির্বাচনের আগে আগে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় স্থানান্তরে চাপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে স্থানান্তর করছেন, নাকি দাপ্তরিক প্রয়োজনে স্থানান্তর করছেন, তা বোঝার উপায় থাকে না। ডাটাবেজে তিনটি ঠিকানা থাকার ফলে আবেদনের উদ্দেশ্য বোঝা যাবে এবং বিভিন্ন নির্বাচনের আগে বারবার স্থানান্তর রোধ করা সম্ভব হবে। এমনকি ভোটার স্থানান্তর কতবার করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে।
তৃতীয়ত, তিনটি ঠিকানা থাকার ফলে প্রবাসী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের পেছনে বর্তমান বা যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে প্রবাসের ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। এতে করে প্রবাসীদের সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তারা সরকার ঘোষিত বিভিন্ন সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাপ্ত হবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি
চাচা-চাচিকে পিতা-মাতা সাজিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণের অভিযোগে কামাল হোসেন নামে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কামাল হোসেন বর্তমানে নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেম ও গর্ভধারিণী মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, মো. কামাল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সিরাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি এবং ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নকালীন বাবার নাম হিসেবে তার প্রকৃত জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেমের নাম ব্যবহার করলেও পরবর্তীতে একই স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে তিনি তার আপন চাচা মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব এবং চাচী মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে বাবা-মা সাজিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি পরীক্ষায় চাচা-চাচির নামই বাবা-মার নাম হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া প্রতারণার মাধ্যমে মো. কামাল হোসেন তার জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রকৃত বাবা-মায়ের পরিবর্তে চাচা-চাচির নামই ব্যবহার করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, মো. কামাল হোসেনের জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে বাবা-মায়ের নামের স্থলে চাচা-চাচির নামই উল্লেখ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে তিনি আপন চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি গ্রহণ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলো সরকার
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশি নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যথায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বৈধতা অর্জনের এ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনেক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন/কর্মরত রয়েছেন। এমতাবস্থায় অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত/কর্মরত ভিনদেশি নাগরিকদের আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানের বা কর্মরত থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বৈধতা অর্জনের অনুরোধ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর/প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর অবৈধভাবে অবস্থানকারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন আজহারী, অংশ নেবেন মাহফিলে
দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন তিনি। এবার শীত মৌসুমে দেশের প্রত্যেক বিভাগে মাহফিলে অংশ গ্রহণ করবেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপদে দেশে এসে পৌঁছালাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর, বাধাহীনভাবে আবারো প্রিয় মাতৃভূমিতে তাফসিরুল কোরআনের মহতী আয়োজনে অংশগ্রহণ করছি। উদ্বোধনী প্রোগ্রাম হিসেবে আগামীকাল কক্সবাজারে পেকুয়ার বৃহত্তর সাবেক গুলদি তাফসির ময়দানে আলোচনা পেশ করবো। এটি একটি ওয়ার্ম-আপ প্রোগ্রাম। মূলত নতুন বছর ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে বিভাগীয় সফর শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রতিটি বিভাগেই একটি করে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে আছে। রাব্বে কারিম নব উদ্যমে এই দাওয়াতি অভিযাত্রায় যুক্ত রাখুন। আমাদের প্রচেষ্টায় ভরপুর বারাকাহ দিন। প্রজন্ম-ক্ষুধা নিবারণে বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে ইসলামের শাশ্বত বাণী উপস্থাপনের তাওফিক দিন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশ ছাড়ার পর প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ২ অক্টোবর দেশে ফিরেছিলেন তিনি। তবে মাত্র ৯ দিন দেশে অবস্থানের পর ১১ অক্টোবর আবারো মালয়েশিয়া চলে যান তিনি। অক্টোবরের পর ডিসেম্বরে আবারো দেশে ফিরলেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ-ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের পিন চাচ্ছে প্রতারকরা
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর জানতে চাচ্ছে প্রতারকরা। এমনটি জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ৯৯৯ নম্বর থেকে কখনোই বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদির পিন নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর জানতে চাওয়ার সুযোগ নেই। প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯৯৯ নম্বর থেকে কখনোই কোনো ব্যক্তির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পিন নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নম্বর জানতে চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
৯৯৯ নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স সেবা প্রদান করে থাকে।
এআইজি ইনামুল হক সাগর আরও বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরণের প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নাম্বারে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
কাফি