জাতীয়
ব্রিকসের সদস্য হতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে ব্রাজিল

ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ব্রাজিল। ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা বলেছেন, ব্রাজিলের পক্ষ থেকে ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ পেতে দৃঢ় সমর্থন দেওয়া হবে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ব্রিকসে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন আশ্বাস দেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মাউরো ভিয়েরা বলেন, ব্রিকসে নতুন করে সদস্য পদ বাড়ানোর পর এ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক হবে। নীতিগত এবং অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ। আমরা বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়টি বিবেচনা করব। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে দৃঢ় ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখা হবে।
গত বছরের (২০২৩) আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বিকাশমান পাঁচ অর্থনীতির দেশের জোট ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। নতুন করে পাঁচটি দেশ এ জোটের সদস্যপদ পেয়েছে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়া। সব মিলিয়ে ব্রিকস এখন ১০ সদস্যের একটি জোট।
জোহানেসবার্গের সেই ব্রিকস সম্মেলনের আগে ‘বাংলাদেশ ব্রিকসে যুক্ত হচ্ছে’- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের নাম ঘোষিত হয়নি। বন্ধুরাষ্ট্র ভারত, চীন ও রাশিয়া থাকার পরও কেন বাংলাদেশ জোটটির সদস্য পদ পেল না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল সাউথের একটি বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্রিকসে অবদান রাখতে সক্ষম। এছাড়া তিন দেশীয় ইন্ডিয়া, ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকা (ইবসা ফোরাম) ফোরামে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্রাজিল এটাকে স্বাগত জানায় এবং আমরা এ বিষয়ে অন্য দুই সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করব।
ভিয়েরা বলেন, ব্রাজিলের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে আসা আমার জন্য সম্মানের। গত এক দশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। অনেক ইস্যু আছে যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। বিশেষ করে, শিক্ষা, কৃষি, বাণিজ্য। আমরা আজকে কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছি, যে ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ব্রাজিলে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়ার অফার করেছি।
যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন বলে মন্তব্য করেন ভিয়েরা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ৫২ বছরের মধ্যে এটি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। তৈরি পোশাকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে তাকে বলেছি। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্রাজিলের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, আইটি সেক্টরে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি। ব্রাজিলে ওষুধ ও সিরামিকস পণ্য রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করেছি। ব্রিকসে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া নিয়ে আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্রাজিলে বৃত্তির অফার করায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুজন ব্রাজিলিয়ান ট্রেইনি ডিপ্লোমেটকে ট্রেনিং করার অফার করেছি। আমরা অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে বিশেষ করে, গাজা নিয়ে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাদের সমর্থন চেয়েছি। আমরা আশা করছি, বিশ্ব সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে এবং মিয়ানমার তাদের লোকদের ফিরিয়ে নেবে।
এদিকে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবহন খাতে বায়ো-ফুয়েলসহ অন্যান্য কম দূষণীয় জ্বালানির ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য বাংলাদেশ ও ব্রাজিল পরস্পর সহযোগিতা, গবেষণা ও বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকায় ব্রাজিলের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ইথানল সংলাপ করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রাজিল।
জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্বকে বিবেচনায় নিয়ে উভয় দেশ জ্বালানি খাতে দূষণ কমানো এবং জ্বালানি রূপান্তরের বিষয়কে দুই দেশ স্বীকার করে নেয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য সংগঠন মারকোসর এবং বাংলাদেশের মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য আলোচনা শুরু করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে উভয়পক্ষ।
দুই দিনের সফরে রোববার সকালে ঢাকায় আসেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের পর এই প্রথম কোনো ব্রাজিলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এলেন। বিমানবন্দরে ভিয়েরাসহ তার সঙ্গে থাকা বড় একটি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এরপর ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন ভিয়েরা। পরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এদিন তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশগামীদের ৮০ শতাংশ সমস্যা ঢাকা থেকে সৃষ্টি আর ২০ শতাংশ গন্তব্য দেশে গিয়ে। দূতাবাসে লোকবল কম থাকলেও প্রবাসীদের ১০০ শতাংশ সমস্যা সমাধান করতে হয়।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।
রেমিট্যান্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এ ছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শফিকুল আলম।
প্রায় নয় মাস দায়িত্ব পালনের পর নিজের ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে আজ তিনি তুলে ধরেছেন তার অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।
শফিকুল আলমের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, একজন মুখপাত্র হিসেবে তার প্রকাশভঙ্গি প্রশংসনীয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

ভারতে ওয়াকফ বিল পাস ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
এসময় বক্তারা বলেন, গুজরাটের কসাই মোদী একের পর এক মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। তারা মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দিছে। তাদের জন্মস্থান থেকে উচ্ছেদ করছে। সর্বশেষ ওয়াকফ বিল পাস করে ভারতে মুসলমানদের অধিকার খর্ব করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে সমগ্র ভারতে মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। এক হিন্দুত্ববাদী সরকার আমাদের ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে। এর পরিণতি ভারতকে ভোগ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন,গাজাকে আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত আমাদের বিজয় গাজাতেই হবে। ইসরায়েল তাদের পাপের ফল ভোগ করবে। আমরা আরব বিশ্বকে বলবো, আপনারা মাঠে নামুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইহুদিদের মোকাবিলা করুন। বিশ্ব মুসলমান একত্র হলে ইহুদিসহ মুসলমানদের শত্রুরা নিশ্চয় পরাজিত হবে।
এসময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিগত ৬ সপ্তাহ ফিলিস্তিনে কোনো সহায়তাও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোঁড়া। পৃথিবীতে সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসরায়েলকে থামাতে হবে। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের কোনো দোকানে ইসরায়েলের পণ্য চলতে পারে না।
তিনি বলেন, মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়াই ভাততের এজেন্ডা। তাই বিতর্কিত ওয়াকফ বিল ভারতে আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা হয়তো দেখে যেতে পারবো না তবে ভারত একসময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা দূতাবাসকে সামলাতে হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েই কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। একইসঙ্গে মিশনগুলোর ওপর চাপ কমবে।
রেমিটেন্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিটেন্স পাঠান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভবত এখন সময় এসেছে।
আজ, ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন কথা বলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমরা এমন একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম, বাংলাদেশ কি এখন পাকিস্তানপন্থি পররাষ্ট্রনীতির দিকে ঝুঁকছে? প্রশ্নটি মোটেই আমাদের বিস্মিত করেনি। সব সময় কিছু মানুষ থাকবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে বিশ্বাস করতে চায় না।
তিনি বলেন, আমাদের জবাব ছিল স্পষ্ট। অতীতে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর ও প্রো-বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বেসামরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেই মনে করেন যে, ক্ষমাপ্রার্থনা একটি সদিচ্ছা ও সৌজন্যের প্রতিফলন হতো। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সামরিক আমলাতন্ত্র বরাবরই এ ধারণার বিপক্ষে থেকেছে, ফলে আজও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া হয়নি।
ডেপুটি সেক্রেটারি আরও লেখেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। যেটি পূর্ববর্তী সরকারগুলো এড়িয়ে চলেছিল এবং আলোচনার পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। একটি হিসাবে, ১৯৭৪ সালের হিসাবে বাংলাদেশের দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল অন্তত ৪.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই হিসাব তৈরি হয়েছিল অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি এবং বৈদেশিক সম্পদের ধারণার ভিত্তিতে।
এছাড়া ১৯৭০ সালের নভেম্বরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বিদেশি দেশ/সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত দাবি রয়েছে বাংলাদেশের। এই অর্থ যুদ্ধের সময় ঢাকা থেকে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের লাহোর শাখায় স্থানান্তর করা হয়।
‘আটকে পড়া পাকিস্তানিদের’ প্রত্যাবাসনও দুই দেশের সম্পর্কের অন্যতম একটি অন্তরায়। অতীতে পাকিস্তান প্রায় ১,২৫,০০০ নাগরিককে ফেরত নিয়েছে, কিন্তু এখনো প্রায় ৩,২৫,০০০ মানুষ বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে বসবাস করছেন।
এ বিষয়গুলোই মূলত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্ভবত এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার। একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।