নতুন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নেতৃত্বে আসরের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। প্রথম ৩ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছিল আসরের সফলতম দলটি। তবে চতুর্থ ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়াল হার্দিকের দল। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৯ রানে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় তুলে নিল মুম্বাই।
রবিবার (৭ এপ্রিল) ওয়াংখেড়েতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান করে মুম্বাই। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বেশি করতে পারেনি দিল্লি।
২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট হারায় দিল্লি। ১০ রানের মাথায় তাকে আউট করেন রোমারিও শেফার্ড। দ্বিতীয় উইকেটে পৃথ্বী শ ও অভিষেক পোরেল দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২৩৫ রান তাড়া করতে হলে যতটা বিধ্বংসী ব্যাট করতে হতো সেটা করতে পারেননি তারা। ৬৬ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে আউট হন তিনি। অভিষেককেও আউট করেন বুমরা। ৪১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
শেষ পাঁচ ওভারে জিততে দিল্লির দরকার ছিল ৯০ রান। এক দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। কিন্তু অন্য প্রান্তে কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি। ফিনিশারের অভাবে আরও এক বার ভুগতে হল দিল্লিকে। স্টাবস ২৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থেকেছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিশান। এই দুজনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতে ৭৫ রান করে দিল্লি। ২৭ বলে ৪৯ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হয়েছেন রোহিত। তাতে ভাঙে ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
চোট কাটিয়ে আসরে প্রথমবার খেলতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু প্রত্যাবর্তনে রান পেলেন না তিনি। ২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। এরপর ঈশানও ফিরেছেন। ২৩ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক ভর্মা ধীর গতির ব্যাটিং করলে একসময় মনে হচ্ছিলো দুইশ রান ছোয়ার লক্ষ্যে খেলছে তারা।তবে টিম ডেভিড ও শেফার্ড উইকেটে এসে গিয়ার পরিবর্তন করেন। শেষ চার ওভারে ৮৪ রান তোলে মুম্বাই। ডেভিড ২১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শেষ ওভার পুরোটাই খেলেন শেফার্ড। আনরিখ নরকিয়েকে চারটি ছক্কা ও দু’টি চারে শেষ ওভারে ৩২ রান নেন শেফার্ড। সবমিলিয়ে ১০ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।