পুঁজিবাজার
সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যানের আর্থিক অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত
![সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যানের আর্থিক অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/Sonali-Life-Insurance.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের সদস্য অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো। এ অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ (আইডিআরএ) নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘হুদাভাসি চৌধুরী এন্ড কোং’ কে নিয়োগ দিয়েছিলো। অবশেষে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি আইডিআরএ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণে আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। অথবা মৌখিকভাবে শুনানি করতে চাইলে আগামী ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় আইডিআরএ হাজির হয়ে মৌখিকভাবে শুনানি করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৫ লাখ শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২৮ সালের ১৪ জুন নগদ অর্থের বিনিময়ে উক্ত শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন প্রদান করে। কিন্তু পরিচালক নূর এ হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ না করেই তাদের নামে প্রতিটি ১০ টাকা করে মোট ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। অন্যদিকে মায়া রাণী রায়, আহমেদ রাজীব সামদানী ও হোদা আলী সেলিমের কাছ থেকে শেয়ার প্রতি ২০ টাকা মূল্য গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এফডিআরের বিপরীতে সাউথ বাংলা ব্যাংকে বিনা প্রয়োজনে এসওডি হিসাব খুলে ঋণের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে। পাশাপাশি একই ব্যাংকে কোম্পানির সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকাসহ মোট ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সাউথ বাংলা ব্যাংকেই কোম্পানির আরেকটি হিসাবে জমা করা হয়। এই টাকা উল্লেখিত পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়ের মূল্য হিসেবে দেখানো হয়।
অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে চিঠিতে আরও বলা হয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তার ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান ও মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার কাছে থেকে ২৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, মোস্তফা কামরুস সোবহানের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩ লাখ শেয়ার, তাসনিয়া কামরুন অনিকার স্বামী শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে ১২ লাখ এবং ফজিলাতুননেসা রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার লাভ করে পরিচালক হন।
পরবর্তীতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দস ১৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার তার মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়াকে ও ২ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার স্ত্রী ফজিলাতুননেসাকে হস্তান্তর করে। একইসঙ্গে শাফিয়া সোবহান চৌধুরী তার স্বামী মোস্তফা কামরুস সোবহানকে ৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করে কোম্পানির আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের ৯০(জে) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শেয়ার বজায় রাখেন। এর মাধ্যমে পরিবারের ৭ জন সদস্য কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক রেখে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছেন বলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকা হিসেবে মোট ১৮ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই টাকা তিনি নিয়েছেন তার নিজের প্রতিষ্ঠান ড্রাগন সোয়েটারের নামে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে এসব টাকা নিয়েছেন। এছাড়া মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন কম্যুনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড, ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি, ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড ও ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডকে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আইডিআরএ’র অনুমোদনের আগে এ ধরনের টাকা পরিশোধ অবৈধ। প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি জমি বা ভবন ক্রয়ের অগ্রিম হিসেবে বৈধতা দেয়ার অপপ্রয়াস নেয়া হয়েছে।
এদিকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে ২০২১-২৩ মেয়াদে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন ইম্পেরিয়াল স্যুটস এন্ড কনভোকেশন সেন্টারকে আপ্যায়ন বাবদ ১ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৫৯২ টাকা, ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি ও কম্যুনিকেশন লিমিটেডকে ইআরপি মেইনটেনেন্স ও সোয়েটার ক্রয় বাবদ ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২২৫ টাকা এবং ড্রাগন সোয়টার লিমিটেডকে সোয়েটার ক্রয় বাবদ ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। অর্থাৎ এই তিন বছরের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠঅনে অবৈধভাবে মোট ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা দেওয়া হয়েছে।
আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস নিজে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা অবৈধভাবে বেতন নিয়েছেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের ৬ সদস্য যথা- ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা, ছেলের বউ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা, স্ত্রী ফজলুতুননেসা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা, মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা, মেয়ে তাসনিয়া কামরুন অনিকা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা ও মেয়ের জামাই শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা এবং আরেকজন সাবেক চেয়ারম্যান নুর এ হাফজা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে ৮ পরিচালক অবৈধভাবে বেতন হিসাবে এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। যা নগদ উত্তোলন করে তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া হয়েছে।
নিজ পরিবারের সদস্য পরিচালকদের মাসিক বেতন বাবদ নেয়া হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অবৈধভাবে বিলাসবহুল অডি কার ক্রয়ে খরচ করা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমোদন নেই। এছাড়া গাড়ির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কোম্পানির অর্ধবার্ষিক সভায় আলোচনা ও এজিএমে পেশ করার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি বলেও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
অপরদিকে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৭৫০ টাকা। বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ব্যয় ১ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮শ’ টাকা। গ্রুপ বীমা পলিসি থেকে ড্যানিয়েলকে অবৈধ কমিশন দেয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা।
আইপিও খরচ, ঋণ সমন্বয়, অনুদান, এসি ক্রয়, কোরবানির গরু ক্রয়, বিদেশ ভ্রমণ, পলিসি নবায়ন উপহারের নামে নেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৯ টাকা। অফিস ভাড়ার নামে ড্রাগন আইটিকে প্রদান করা হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ১৭ টাকা। সম্পূর্ণ ইম্পেরিয়েল ভবনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ১ কোটি ৭২ লাখ ৪২ হাজার ২২৩ টাকা। ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডের ট্যাক্স পরিশোধ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম কার্যপরিধির মধ্যে সীমিত রেখে নমুনা ভিত্তিক যাচাইয়ের ফলে সকল অনিয়মের তথ্য এ প্রতিবেদনে আসেনি। পূর্ণাঙ্গ চিত্রের জন্য কোম্পানিটির বিস্তারিত নিরীক্ষা প্রয়োজন। কোম্পানির অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন, অস্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল সিস্টেমের অনুপস্থিতি কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের সহায়ক অবস্থা তৈরী করেছে।
বছরে গড়ে ২২ কোটি বা মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা পেটি ক্যাশ হিসেবে ব্যয় হয়েছে এবং অনেক এককালীন বড় অংকের লেনদেন ক্যাশ চেকে হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অর্থ তছরুপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ব্যাংক সিগনেটরিরা প্রায় সকলেই একই পরিবারের সদস্য যার ফলে তাদের স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে বেশিরভাগ অবৈধ লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া আরও বলা হয়, অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে বের করে নেয়া অর্থের পরিমাণ মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের নামে শেয়ার ক্রয় করতে তহবিল থেকে নেয়া হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জমি বা ভবন ক্রয়ের অগ্রিম দেখিয়ে অবৈধভাবে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আপ্যায়ন, ইআরপি মেইনটেনেন্স এবং সোয়েটার ক্রয় বাবদ সাবেক এ চেয়ারমানের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে
![পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে paper processing](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/11/paper-processing-packaging-limited.jpg)
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৬ জুলাই হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোম্পানির ৭ম বিশেষ সাধারণ সভা।
উক্ত সভায় পেপার প্রসেসিং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার পাশাপাশি পেপার প্রসেসিং অবকাঠামো উন্নয়ন, রিয়েল এস্টেট, টেন্ডার ও সরবরাহ ব্যবসা, আমদানী-রপ্তানী এবং প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। উপস্থিত শেয়ার হোল্ডারদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে উপস্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেপার প্রসেসিংয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, পরিচালকেরা, কোম্পানি সেক্রেটারি এবং কোম্পানির সিএফওসহ অন্যান্যরা।
৭ম সাধারণ সভায় অসংখ্য শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত হয়ে কোম্পানির ব্যবসা বিস্তৃত করতে গৃহীত সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বার্জার পেইন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা
![বার্জার পেইন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/berger.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানির বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচারলনা পরিষদের বৈঠকে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ৬৯ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৬৪ টাকা ৯১ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
আগামী ২ অক্টোবর কোম্পানিটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইকে ৩৯৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ বিএসইসির
![ডিএসইকে ৩৯৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ বিএসইসির বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/05/bsec-dse.jpg)
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব প্রতিষ্ঠান আমানত, জমি কেনা, একই গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ, পরিচালকদের গাড়ি কেনার জন্য ঋণসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী অক্টোবরের মধ্যে এ অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ফিরিয়ে আনতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএসইসির এই আদেশে বলা হয়েছে, ডিএসইর কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন এবং স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী থেকে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধিত মূল ব্যবসার বাইরে অন্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় করছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে এ বিষয়ে ডিএসইকে দুটি নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরিয়ে এনে মূল ব্যবসায় ব্যবহার করতে হবে। অর্থ ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি নজরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিএসইকে। এ বিষয়ে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ ফেরত আসার সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে ডিএসইকে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির তথ্যানুযায়ী, ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে ৩৯৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকা বিনিয়োগ করেছে।
মূল্য ব্যবসার বাইরে অন্য খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এবি ইস্পাহানি সিকিউরিটিজ, এসিই ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, দৌলতুন্নেসা ইকুইটিজ, রপিড সিকিউরিটিজ, এম-সিকিউরিটিজ, এরিজ সিকিউরিটিজ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস, রয়েল গ্রিন সিকিউরিটিজ, লতিফ সিকিউরিটিজ, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, দায়তুন হোল্ডিংস, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইতিহাদ সিকিউরিটিজ, সুরমা সিকিউরিটিজ হোল্ডিং কো., নভেলি সিকিউরিটিজ, সিএমএসএল সিকিউরিটিজ, নবিউল করিম সিকিউরিটিজ, এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ড্রাগন সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, রোজ সিকিউরিটিজ, আরএনআই সিকিউরিটিজ, মশিহুর সিকিউরিটিজ, কাজী ইকুইটিজ, আলহাজ জাহানারা সিকিউরিটিজ, মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কসমোপলিটন ইকুইটিজ, ফরচুন সিকিউরিটিজ (প্রাইভেট) , শাকিল রিজভী স্টক, ইএমইএস সিকিউরিটিজ, পিস সিকিউরিটিজ, ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, সাবভ্যালি সিকিউরিটিজ, ডরিন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএমএফ সিকিউরিটিজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ, স্টক অ্যান্ড বন্ড, টোটাল কমিউনিকেশন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, অশাধী সিকিউরিটিজ, এডি হোল্ডিংস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, বে রিচ, রহমান ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট, বিনিময় সিকিউরিটিজ, ইনোভা সিকিউরিটিজ ও গিবসন সিকিউরিটিজ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
![ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/11/IBBL-islami-bank.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ জুলাই আড়াইটায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো রূপালী ব্যাংক
![পর্ষদ সভার তারিখ জানালো রূপালী ব্যাংক বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/rupali-bank-plc.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩১ জুলাই দুপুর ২টা ৪৫মিনিটে কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম