জাতীয়
ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া যাবে যেসব দেশে

ভিসা ছাড়াও যে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে যাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেই আপনি কোনো ধরনের ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ২০টি চমৎকার দেশে আর এটি অবশ্যই যেকোনো ট্রাভেলারের জন্য দারুণ সুখবর।
তবে ভিসা ছাড়াই তালিকায় থাকা ৪২টি দেশের যেকোনো একটিতে যেতে হলে আপনাকে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তা হলো- আপনার পাসপোর্টটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে। সাধারণত, বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী পাসপোর্টটি ডেস্টিনেশন থেকে এক্সিটের তারিখ , অর্থাৎ দেশটি ছেড়ে আসার তারিখের পর থেকে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হয় এবং ট্রাভেল করার আগে যে দেশে যাচ্ছেন সেটির জন্য সঠিক স্বাস্থ্য বীমা (হেলথ ইন্স্যুরেন্স) কিনে রাখা জরুরি। আপনি কোথায় যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে বীমার ধরন এবং মূল্য ভিন্ন হতে পারে। ভিসা গাইড ডট ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সব রিকোয়ারমেন্ট জেনে নেওয়ার পর বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া যে ৪২টি দেশে খুব সহজেই যেতে পারেন:
এশিয়া – ৬টি দেশ – ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ আমেরিকা – ১টি দেশ – বলিভিয়া। উত্তর আমেরিকা (ক্যারাবিয়ান অঞ্চল) – ১১ টি দেশ – বাহামাস, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপসমূহ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, ট্রিনিডাড ও টোব্যাগো। ওশিয়ানিয়া – ৮টি দেশ – কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, কিরিবাস বা কিরিবাটি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউয়ে, সামোয়া, ভানুয়াটু, টুভালু। আফ্রিকা – ১৬টি দেশ – লেসোথো, গাম্বিয়া, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, টোগো।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (অন-অ্যারাইভাল বা ভিওএ) নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন যেসব দেশে:
আগে থেকে কোনও প্রকার ভিসা আবেদন ছাড়াই বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে উপভোগ করতে পারবেন অসাধারণ কিছু স্পট- এটা হয়তো অনেক ভ্রমণপ্রেমীরই শুধু কল্পনায় ছিল। ব্যাপারটা এখন পুরোপুরি সত্যি আর তা হয়তো অনেকে জেনেও থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের জন্য অন এরাইভাল ভিসা ঠিক কোন কোন দেশে আছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। আজকে একনজরেই দেখে নিতে পারবেন সেই দেশগুলোর তালিকা আর চট করে প্ল্যান করে ফেলতে পারবেন আপনার পরবর্তি ট্রিপ।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (ভিওএ) পাবেন যেসব দেশে:
এশিয়া – মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, টিমর-লেস্টে, শ্রীলঙ্কা। আফ্রিকা – কাবো ভার্দে, মৌরিতানিয়া, বুরুন্ডি, কমোরোস, গিনি-বিসাউ, মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, সিশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া। দক্ষিণ আমেরিকা – বলিভিয়া। ওশিয়ানিয়া – টুভালু।
ভিসা অন-অ্যারাইভাল এমন এক ধরনের ভিসা যেটির মাধ্যমে ডেস্টিনেশনে পৌঁছানোর আগে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না । অর্থাৎ, আপনাকে আগে থেকে কোনো ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার দরকার নেই। আপনি যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানে পৌঁছে একটি অনুমোদিত পয়েন্টে প্রয়োজনীয় ফি দিয়েই আপনি আপনার ভিসাটি কালেক্ট করে নিতে পারবেন। এই সম্পূর্ণ প্রসেসটি দেশভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি আপনার আবেদন জমা দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। ভিসা অন-অ্যারাইভাল সাধারণত ট্যুরিস্টরাই ব্যবহার করে থাকেন এবং এর মেয়াদ থাকে ১৪ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। তবে ভিসা অন-অ্যারাইভালের যেকোনো শর্ত উক্ত দেশগুলোর সিধান্ত অনুযায়ী চেঞ্জ হতে পারে।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা অন-অ্যারাইভালের জন্য আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
একটি বৈধ পাসপোর্ট:
রিসেন্ট ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরানো নয়)। ছবির সাইজ নির্ভর করবে যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ভিসা আবেদনপত্র (ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম)। প্রয়োজনীয় ফি দিতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড কিংবা ক্যাশ। ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি। ভ্রমণসূচী (ট্রাভেল ইতিনেরারি)ইত্যাদি।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ই-ভিসায় ঘুরে আসতে পারবেন যে দেশগুলো থেকে:
বর্তমান সময়ে প্রায় সব ট্রাভেলারদের মধ্যেই ই-ভিসা বেশ পরিচিত। ই-ভিসা মূলত সাধারণ ভিসার একটি ইলেক্ট্রনিক ভার্সন । এটি একটি নিয়মিত ভিসার মতোই কাজ করে তবে নিয়মিত ভিসার তুলনায় কিছু এটির সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বেশি, কেননা ই-ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে এম্বাসির লম্বা লাইনে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যেই দেশে যেতে চান, সেখানের এম্বাসির পোর্টালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করলেই আপনার কাজ শেষ। অর্থাৎ, আপনাকে আর এম্বাসিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না বা ডকুমেন্টের কোনো হার্ড কপিও জমা দিতে হবে না। তাই বুঝতেই পারছেন, ই-ভিসা প্রক্রিয়াটি কতটা ঝামেলামুক্ত, সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী!
বাংলাদেশী পাসপোর্টে ই-ভিসা অনুমোদনকারী দেশের তালিকা:
এশিয়া- বাহরাইন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, কাতার, তাজিকিস্তান, ভিয়েতনাম। ইউরোপ- আলবেনিয়া। আফ্রিকা- বেনিন, বটসোয়ানা, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, কঙ্গো জাতীয় প্রজাতন্ত্র, আইভরি কোস্ট (কোট ডিভোয়ার), জিবুটি, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইথিওপিয়া, গাবন, গিনি, কেনিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, দক্ষিণ সুদান, টোগো, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে। উত্তর আমেরিকা (ক্যারাইবিয়ান অঞ্চল)- অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা। দক্ষিণ আমেরিকা- সুরিনাম।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেও যেসব দেশ ভ্রমণ করতে আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে:
নো-ভিসা, ই-ভিসা এবং ভিসা অন-অ্যারাইভাল নিয়ে সব প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পর এবার পালা ভিসাসহ ট্রাভেল নিয়ে জানার। আপনার যদি একটি বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা থাকে, তাহলে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন পৃথিবীর অনন্য ১৬১টি দেশ! প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ, চোখ ধাঁধানো আর্কিটেকচারসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় স্পটের ছবিগুলো মডার্ন ডিভাইসটিতে ক্যাপচার করতে বেশ ভালোই লাগবে! চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই নিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য যেসব বেসিক ডকুমেন্ট লাগবে:
ভিসা আবেদনপত্র (ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম)। একটি বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত ছয় মাসের বৈধতা) যেখানে পরিদর্শনকারী দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফাঁকা পৃষ্ঠা রয়েছে। পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)। রিসেন্ট ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরানো নয়)। ছবির সাইজ নির্ভর করবে যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী। ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি। ভ্রমণসূচী (ট্রাভেল ইতিনেরারি) ইত্যাদি। আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ (সাধারণত লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট)। ম্যারেজ সার্টিফিকেট।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে জাপান যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে তিনি জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
জাপানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন,আজ রাত ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর।
প্রেস সচিব জানান, সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সে দেশের ব্যবসায়ী ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কৃষি, অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রেস সচিব আরও জানান, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সাতটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া শহরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তার সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় ৩ ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, আজ ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নব্বইয়ের দশকে ঢাকার অপরাধজগতের আলোচিত নাম ছিল সুব্রত বাইন। আধিপত্য বিস্তার করে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিতে তার নাম আসা ছিল তখনকার নিয়মিত ঘটনা। এসব কাজ করতে গিয়ে অসংখ্য খুন-জখমের ঘটনাও ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, মূলত নব্বইয়ের দশকে মগবাজারের বিশাল সেন্টার ঘিরেই উত্থান হয় সুব্রত বাইনের। তিনি এই বিপণিবিতানের কাছে চাংপাই নামে একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িয়ে যান। পরে বিশাল সেন্টারই হয়ে ওঠে তার কর্মকাণ্ড পরিচালনার কেন্দ্র। এ জন্য অনেকে তাকে ‘বিশালের সুব্রত’ নামেও চেনেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্তে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমাদের সীমান্তে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। জনগণ সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। সীমান্ত সম্পন্ন নিরাপদ। আমার বাহিনী সবসময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে। কোনো রকমের অশান্তি বর্ডারে হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটা জানিয়েছেন তিনি। কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, ভাষণ, নবীন ডেপুটি জেলারদের র্যাংক ব্যাচ প্রদান এবং জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে পুশ ইনের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য আমরা প্রতিবাদও করেছি। তারা বাংলাদেশি, তারা আমাদের ভাই। তাদের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বলছি- তোমরা প্রপার চ্যানেলে পাঠাও। আমাদের দেশে যারা অবৈধভাবে থাকে, তাদের কিন্তু আমার প্রপার চ্যানেলে পাঠাই। কিন্তু উনারা (ভারত) এটা করছে না। আমরা তাদের বলছি, তোমরা প্রপারভাবে পাঠাও। যদি আমার দেশের নাগরিক হয় তাহলে অবশ্যই তাকে আমরা এক্সেপ্ট করব।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গত ঈদ কিন্তু মাশাল্লাহ অনেক ভালোভাবে হয়েছে। আপনারা কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এবারের ঈদ যেন সুন্দর হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। এবার ঈদের সময় অন্যান্য সময়ের থেকে পরিবেশ ভালো থাকবে। আমরা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসছি। এবার ধানের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। প্রায় ১৫ লাখ টন ধানের উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর আমাদের আমদানি করতে হয়েছিল, এবার আমদানির প্রয়োজন নাও হতে পারে।
এর আগে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অভিবাদন গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। ১৮ জন নবীন ডেপুটি জেলার তিন মাস ও ৫০৮ জন কারারক্ষী ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ডেপুটি জেলার ও নবীন কারারক্ষীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ও কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট কামাল হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবালয়ে চতুর্থ দিনের মতো কর্মচারীদের বিক্ষোভ

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালে আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভে অংশ না নেওয়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অনেকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। অবৈধ কালো আইন মানা হবে না বলে স্লোগান দিচ্ছেন কর্মচারীরা।
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সচিবালয়ের গেটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সচিবালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর রবি (২৫ মে) ও সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জামায়াত নেতা এটিএম আজহার খালাস, যা বললেন আসিফ নজরুল

নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২৭ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার (এটিএম আজহারুল ইসলাম) করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আজকের (মঙ্গলবার) রায়ে।
পোস্টের শেষে আইন উপদেষ্টা লেখেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।
কাফি