জাতীয়
রাঙামাটির ব্যাংকগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা

বান্দরবানের কেএনএফের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রাঙামাটির ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার ১০ উপজেলার সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বান্দরবানের সঙ্গে লাগোয়া উপজেলাগুলোতে বিশেষ করে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। রাঙামাটির জুরাছড়ি, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি উপজেলাগুলোর ব্যাংকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানা কর্মকর্তারা। এ সকল উপজেলাগুলোতে প্রধানত সোনালী, কৃষি ও পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলার ব্যাংকগুলোতেও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, বান্দরবানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে রাঙামাটির ব্যাংকসহ যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোতে আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। যেসব জায়গায় পুলিশ নিয়োজিত আছে সেগুলোতে সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি প্যাট্রোলিং, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য যেসব সংস্থা এখানে নিরাপত্তায় কাজ করছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও ব্যাংকগুলোতে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। রাঙামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।
এমআই

জাতীয়
দুই সপ্তাহের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রকাশ: সিইসি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সব প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
তিনি বলেন, এবার ভোট কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জেতার সুযোগ নাই। দখলের চেষ্টা করলেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
সংখানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন বিষয়ক বিতর্ক নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।
জাতীয়
জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি-এনসিপিসহ ২৩ দল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে প্রণীত জুলাই সনদের খসড়া পর্যালোচনা করে মতামত জমা দিয়েছে ২৩টি রাজনৈতিক দল।মতামত দেয়নি সাতটি দল।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
মতামত দেওয়া দলগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, আমজনতার দল, গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তারা ২০ আগস্টের মধ্যে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে রাজনৈতিক দলের অনুরোধে সময় বাড়িয়ে ২২ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়।
খসড়ায় বলা হয়েছে, জুলাই সনদের বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
এছাড়া যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত, সেগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে খসড়ার যেসব বিষয়ে কিছু দল এখনো একমত হয়নি, সেগুলো নোট অব ডিসেন্ট আকারে সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৩টি দল তাদের মতামত কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। মতামত জমা না দেওয়া দলগুলো হলো নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং ইসলামী ঐক্যজোট।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার ওপর মতামত প্রদানের সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।
জাতীয়
আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সরকারি সফরে শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে আগামীকাল সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন ইসহাক দার। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। বৈঠকগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর এবং বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ঢাকায় সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক ও সরকারি পাসপোর্টে বিনা ভিসায় যাতায়াতের বিষয়ে চুক্তি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিষয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা, ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও কৌশলগত বিষয়ে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এ ছাড়া সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে আগে সই হওয়া একটি চুক্তি নবায়ন করা হবে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, স্বাধীনতা–পূর্ব অভিন্ন সম্পদে বাংলাদেশের অংশ হস্তান্তর ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় আসবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা

পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল কেবল মানুষের চলাচলকেই নয়, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিও সহজ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। এ বিষয়ে দুদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা জানান।
জাম কামাল খান বলেন, আমরা দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী যার মধ্য দিয়ে দুদেশের মানুষের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানি, এবার আমাদের সামনে এগোতে হবে। দুদেশের মানুষ একে অপরকে জানে, একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত। আমরা যদি একটি সঠিক ব্যবসায়িক রোডম্যাপ তৈরি করতে পারি তাহলে অবশ্যই ব্যবসায় বাণিজ্য অগ্রগতি হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করতে অত্যন্ত আগ্রহী। পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট সুযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। ২৪ আগস্ট দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে, যার লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।
বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশ যতটা সম্ভব অন্য দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আশা করি উদ্যোক্তারা তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দুদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও পাকিস্তান থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার। তবে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার পাশাপাশি উভয় দেশের মধ্যে ননট্যারিফ বাধা হ্রাস করা, বিটুবি সংযোগ উৎসাহিত করার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পাকিস্তান হাইকমিশনের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাচে জাইন আজিজ, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ সালাম, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদ উল্লাহ ও পান রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. একরামুল করিম চৌধুরী।
জাতীয়
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য কোনো মাধ্যম প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদ এবং অনলাইন আউটলেটগুলিতে ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। তাছাড়া, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি যে কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে যেখানে তিনি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি এবং দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের জাতির ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি তৈরির ঝুঁকি নিতে পারি না। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছে। তদুপরি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা, এমন একটি সময়ে, সংবাদ মাধ্যমগুলিকে শেখ হাসিনার অডিও এবং তার বক্তৃতাগুলি, যা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার উদ্দেশে তৈরি, প্রচার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাই। তার মন্তব্য, বক্তৃতা এবং তার যে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার, পুনঃপ্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে। এ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অমান্যকারী যে কোনো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহিতার আওতায় পড়বে।