জাতীয়
টিসিবির জন্য ৩৪৭ কোটি টাকায় ডাল-তেল কিনছে সরকার

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৪৭ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল রয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১৫২.৯৮ টাকা। যা আগে ছিল ১৫৫.৯৭ টাকা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিটি এডিবল ওয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে এ তেল কেনা হবে।
অন্য এক প্রস্তাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০২.৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ১০৪.৭০ টাকা। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন ও নাবিল নাবা ফুড লিমিটেড থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে।
এ ছাড়া, একই পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি টাকা। প্রতি কেজি রাইস ব্রাণ তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা। যা আগে ছিল ১৫৪.৯৭ টাকা। মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড এবং মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে এ তেল কেনা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়বে: প্রেস সচিব

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি বাড়বে, কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্যানিক হওয়ার কিছু নেই। আমরা বারবার বলছি যে আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নেবো যাতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে, কমবে না।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে প্রেস ব্রিফিংকালে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ৬ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভালো সভা হয়। সেখানে বিজিএমই’র সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অন্যদের মধ্যে তপন চৌধুরী, নাসিম মঞ্জুর, লুবানা হক উপস্থিত ছিলেন। তাদের আশ্বস্ত করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাতে রপ্তানি বরং বাড়বে, কমবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেওয়া চিঠি একটি বড় মেসেজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। তবে পোস্টার ব্যবহার করা না গেলেও লিফলেট ব্যবহার করা যাবে। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতসহ প্রচারণায় পোস্টার না রাখার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
পোস্টার কি রাখতে চাচ্ছেন না? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এ রকমই। সে প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়টিও আছে। গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলোও ভাবছি। আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে সেগুলোকে শক্তিশালী করবো।
২০০/৫০০ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানো চিন্তা-ভাবনা চলছে। আচরণ বিধির বাইরেও প্যানাল কোড আছে। আচরণবিধি মালায় খসড়া প্রস্তাবে দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণাপত্র বা লিফলেট পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিকের ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।
কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, ট্রেন বা অন্য কোনো যানবাহন সহকারে জনসভা কিংবা মশাল নিয়ে জনসভা করা যাবে না। কোনো ধরনের শো ডাউন করা যাবে না। প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন করতে পারবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদযাত্রার ১১ দিনে সড়কে গেলো ২৪৯ প্রাণ

এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ২২ জন করে নিহত হয়েছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রকাশিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪৯ জন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ সময় আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। কিন্তু বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারে বেশি।
শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫৭১ জন ভর্তি হয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, আহতদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় সারাদেশে আহতের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি হবে। ৫৯ শিশু ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১ জন নারী নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, যা মোট নিহতের ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন। এটি মোট নিহতের ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আরও জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন (৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৪ জন (৫ দশমিক ৬২ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন (৩ দশমিক ৬১ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন (৭ দশমিক ২২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৪৯ জন (১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন (৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন (১ দশমিক ৬০ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি (৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি (৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৩টি (১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (১১ দশমিক ২৮ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৬৮টি (২৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১১৩টি (৪৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৪১টি (১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ২৪টি (৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১টি (৪ দশমিক ২৮ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায়।
বিবৃতিত বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এর ফলে গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্পষ্টত ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি বরং ক্রমবর্ধমান তীব্র হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচার বিমান বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বাধিক সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করতে দাবি করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করছে যে তারা নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালন করুক।
ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানা অনুসারে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনার প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি এবং সংলাপের পথে নিজেদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (০৭ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন জাহেদা পারভীন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসহ তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আশিক চৌধুরীকে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় ঢাকায় ৪ দিনের বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ছয় শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।