জাতীয়
বাস ভাড়া তিন পয়সা কমিয়ে যাত্রীর কতটা লাভ হলো?

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কমার পর বাস ও মিনিবাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে তিন পয়সা করে কমানোর সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বেশ আলোচনা। পরিবহন মালিকরা বলছেন, দূরত্ব অনুযায়ী যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবে। ভাড়া কিছুটা হলেও কমবে বলে দাবি করছেন তারা।
তবে, এই ভাড়া কমানোতে যাত্রীদের উপর তেমন কোনো প্রভাবই পড়বে না বলে মনে করছেন যাত্রী অধিকার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে যে হারে ভাড়া বাড়ানো হয়, কিন্তু কমলে সেভাবে ভাড়া কমানো হয় না।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিমাসে সমন্বয়ের অংশ হিসাবে গত ৩১শে মার্চ ডিজেল ও কেরোসিনে ২ টাকা ২৫ পয়সা কমানো হয়েছে। এর ফলে এই দুই জ্বালানির দাম হয়েছে ১০৬ টাকা। দাম কমানোর পর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সোমবার বাস, মিনিবাসের ভাড়া তিন পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যা মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
তেলের দাম বাড়ানো হলে গণপরিবহনের ভাড়া যে হারে বাড়ে, দাম কমানো হলে সেই হারে কমে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
নতুন ভাড়া নির্ধারণ
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিমাসে সমন্বয়ের অংশ হিসাবে ৩১শে মার্চ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটি বৈঠক করে ভাড়া কমানোর সুপারিশ করে। ওই বৈঠক প্রতি কিলোমিটারে তিন পয়সা করে ভাড়া কমানোর সুপারিশ করে যা মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে বাস ও মিনিবাসে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া হবে দুই টাকা ১২ পয়সা। যা আগে ছিল দুই টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ তিন পয়সা কমানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে দুই টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসাথে বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা এবং মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ টাকা বহাল রাখা হয়েছে।
যে ভাড়া কমানো হয়েছে তাতে ঢাকা মহানগরীর যাত্রীদের উপর তেমন একটা প্রভাব পড়বে না বলে জানান যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, ঢাকার যেসব রুট রয়েছে বেশিরভাগ রুটের গন্তব্যের শুরু ও শেষ ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে। যাত্রীরা ও যাতায়াত করেন অল্প দূরত্বে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতি কিলোমিটারে তিন পয়সা কমানো হলে ৩৩ কিলোমিটার যাতায়াতের পর ৯৯ পয়সা বা এক টাকা ভাড়া কমবে। রাজধানীর মিরপুর থেকে সদরঘাট পর্যন্ত দূরত্ব ১৮ দশমিক ২ কিলোমিটার। এ দূরত্বে যাতায়াত করলে একজন যাত্রীর ৫৪ দশমিক ৬ পয়সা ভাড়া কমবে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “ভাড়া কমানোতে যাত্রীর উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। কোনো বাস কাউন্টারেই এ ধরনের ভাঙতি পয়সার প্রচলন নেই”।
তিনি বলেন, “অতীতে যখন বিভিন্ন সময় ভাড়া কমানো হয়েছিল, তখন কোনো যাত্রাপথে ছয় টাকা, পাঁচ টাকা বা তিন টাকার খুচরা ভাড়া থাকলে সেটাকে তারা একটা রাউন্ড ফিগারে আদায় করে নেয়। তারা খুচরা এ টাকা কোনো হিসাবের মধ্যে নিয়ে আসেন না। যাত্রীরা এই টাকা কম দেয়ার সুযোগ পায় না ”।
ফলে অতীতে বিভিন্ন সময় ভাড়া কমালেও বাসে ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে কার্যকর করা যায়নি বলে জানান মি. চৌধুরী। এবারও এই ভাড়া কার্যকর করা যাবে এমনটি মনে হয় না, বলেন তিনি।
সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে এমনভাবে তেলের দাম কমিয়ে গণ-পরিবহনের ভাড়া কমাতে সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান।
যাত্রীরা যা বলছেন
ঢাকার মিরপুর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত বাসে যাতায়াত করেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকুরিজীবী নাজিয়া শারমিন। তিনি বলেন, “মিরপুর ১২ থেকে তিব্বত পর্যন্ত ভাড়া প্রথমে ২০ টাকা ছিল। যখন তেলের দাম বাড়ায় তখন ভাড়া একবারে ২৫ টাকা করে ফেলে বাস মালিকরা। পরে তেলের দাম কমলে ও কিন্তু ওই ভাড়া কমানো হয়নি। আবার যেসব রুট অনুযায়ী ২৩ টাকা ভাড়া হয় সেখানে তারা কখনোই ভাঙতি টাকা দেয় না। দূরপাল্লার রুটে ভাড়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়।
এবারও যত ক্ষুদ্র অংকের ভাড়াই কমানো হোক না কেন তাতে যাত্রীদের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে ২০১০ সালে বাস ভাড়া পাঁচ পয়সা এবং ২০১৬ সালে তিন পয়সা করে কমানো হয়েছিলো। কিন্তু পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ওই সময় ভাড়া কমায়নি। এরপর ২০২২ সালেও পাঁচ পয়সা ভাড়া কমানো হয়েছিলো। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে পরিবহন মালিক – শ্রমিকরা এসব বিবেচনা করে না।
এরই মধ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের যাত্রায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঢাকার গাবতলী থেকে ঝিনাইদহের বাসের টিকেট কাটতে বাধ্য হন বেসরকারি চাকরিজীবী আজমল হোসেন। তিনি জানান, “ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ আগে ভাড়া ছিল বারশ টাকা। কিন্তু এখন ঈদের সময় ভাড়া বাড়িয়ে আঠারশ টাকা করা হয়েছে। যদি তিন পয়সাও কমায় সেটার তো কোনো লক্ষণই নাই। উল্টো বাড়তি দিতে হয় আমাদের” ।
পরিবহন মালিকরা যা বলছেন
বাংলাদেশে ২০২১ সালে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। পরের বছর আবারো ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৩৪ টাকা বৃদ্ধি করে সরকার। ফলে ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১১৪ টাকা। একবারে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ানোকে সে সময় বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সরকার। ফলে জ্বালানি তেলের এমন নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির কারণে বাস ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়।
এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর সরকার এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়।
আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে ৩১শে মার্চ জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের বর্তমান দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই টাকা ২৫ পয়সা কমানো হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাস, মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে তিন পয়সা ভাড়া কমিয়েছে বিআরটিএ।
পরিবহন মালিকরা বলছেন, সরকার যখন এক লাফে ডিজেলের দাম বাড়ায় তখন পরিবহন শিল্পে ধস নামে। সে সময় বাস ভাড়া বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ মজুমদার বলেন, “সরকার একরকম মস্করার মতো করে এবার প্রথম দফায় ৭৫ পয়সা, পরে দুই টাকা ২৫ পয়সা দাম কমায়। ৩৪ টাকা বৃদ্ধির পরে তিন টাকা কমানোটা বৈষম্যের মতো”।
তবুও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর সমন্বয় করে ডিজেলের দাম কমানোতে একে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা। একইসাথে যে ভাড়া কমানো হচ্ছে তাতে দূরপাল্লার যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবেন বলে মনে করছেন পরিবহন মালিকরা।
মি. মজুমদার বলেন, “ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার হলে সাড়ে সাত টাকা থেকে আট টাকা ভাড়া কমতে পারে”।
আর চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে গেলে দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার হবে কিন্তু ভাড়া ১০ টাকার কমবে না বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ মজুমদার বলেন, “সরকার একরকম মস্করার মতো করে এবার প্রথম দফায় ৭৫ পয়সা, পরে দুই টাকা ২৫ পয়সা দাম কমায়। ৩৪ টাকা বৃদ্ধির পরে তিন টাকা কমানোটা বৈষম্যের মতো”।
তবুও আন্তর্জাতিক বাজারের উপর সমন্বয় করে ডিজেলের দাম কমানোতে একে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা। একইসাথে যে ভাড়া কমানো হচ্ছে তাতে দূরপাল্লার যাত্রীরা এর সুফল ভোগ করবেন বলে মনে করছেন পরিবহন মালিকরা।
মি. মজুমদার বলেন, “ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটার হলে সাড়ে সাত টাকা থেকে আট টাকা ভাড়া কমতে পারে”।
আর চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে গেলে দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার হবে কিন্তু ভাড়া ১০ টাকার বেশি বাড়বে না বলেও তিনি জানান।
তবে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাবের উপদেষ্টা এবং জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম মনে করেন, গণপরিবহনের জন্য যে তিন পয়সা ভাড়া কমানো হয়েছে তাতে জনগণ কোনো সুবিধা পাবে না, বরং পরিবহন মালিকরাই সুবিধা পাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সারাদেশে সেনা অভিযানে সাতদিনে গ্রেপ্তার ৬০৮

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৬০৮ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানের পাশাপাশি ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে টহল, সচেতনতামূলক মাইকিং, কালোবাজারি রোধ ও টিকিটের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ৬০৮ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারদের কাছ ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২৯৫টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, জালনোট, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, ঈদ উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে গণপরিবহনের টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে টহল, সচেতনতামূলক মাইকিং, কালোবাজারি রোধ ও টিকিটের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
মহাসড়কে বিকল্প রুট, পার্কিং ব্যবস্থা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং রোড ব্লক প্রতিরোধে দিনরাত কাজ করেছে সেনা টহল দল, যা ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে করেছে সহজ ও নিরাপদ।
আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে সম্পৃক্তদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী।
এছাড়াও, নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালাসহ অবৈধ পার্কিং এবং রাস্তা ও ফুটপাত বেদখলকারীদের অপসারণ করা হয়।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব মহা অষ্টমী, পূণ্যস্নান ও বাসন্তী পূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১২ এপ্রিলের সমাবেশ নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারির ফেসবুক পোস্ট

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েত কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানান তারা।
ফেসবুক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ হতে যাচ্ছে, যেখানে সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল-মতের মানুষের সম্মিলিত স্রোত আগামী ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায় মিলিত হবে ইনশাআল্লাহ। যেখানে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলিগ জামাত, আহলে হাদিস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যেমন : বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শায়খ মিজানুর রহমান আজহারি, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, আরজে কিবরিয়া, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ বিভিন্ন সেক্টরের সেলিব্রেটিরা।’
সবাইকে এই সমাবেশে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, ‘মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। তারাও জানুক পবিত্র ভূমির মানুষের মর্মন্তুদ দুঃখগাথা। পাশাপাশি বিপুল জমায়েতের সুযোগে কোনো অসাধু চক্র যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।
মিজানুর রহমান আজহারির পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি গণজমায়েত হতে যাচ্ছে, যেখানে সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দলমতের মানুষের সম্মিলিত স্রোত আগামী ১২ এপ্রিল রোজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায় মিলিত হবে ইনশাআল্লাহ।
যেখানে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলীগ জামাত, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
যেমন: বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শায়খ আহমাদুল্লাহ, মামুনুল হক, সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আরজে কিবরিয়া, কবি মুহিব খান, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ বিভিন্ন সেক্টরের সেলিব্রেটিগণ।
মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। তারাও জানুক পবিত্র ভূমির মানুষের মর্মন্তুদ দুঃখগাথা। পাশাপাশি বিপুল জমায়েতের সুযোগে কোনো অসাধু চক্র যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।
এর আগে ৭ এপ্রিল ভিডিও বার্তায় আজহারি বলেছেন, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠিত শতাব্দীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়েতে গিয়ে এই মার্চটি শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমি নিজে সশরীরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকব। আপনারাও দলে দলে যোগদান করুন।
তিনি আরও বলেন, মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, গাজাবাসীদের পক্ষে দল-মত-জাতি-পেশা নির্বিশেষে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘নো ওয়ার্ক-নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পদোন্নতিতে সংস্কৃতি সচিব হলেন মফিদুর রহমান

পদোন্নতি পেয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিদুর রহমান।
মফিদুর রহমানকে পদোন্নতির পর এ পদায়ন করে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন থেকে সংস্কৃতি সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব মহিদুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শুক্রবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন সিইসি

স্ত্রী ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নয়দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলমের সই করা সরকারি আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে জানানো হয়, ১১ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, তার স্ত্রী ও কন্যার চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। ৯ দিনের এ সফর শেষে আগামী ১৯ এপ্রিল দেশে ফিরবেন তিনি।
আদেশে আরও জানানো হয়, এ ভ্রমণের সব খরচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই বহন করবেন। সিইসির সঙ্গে থাকবেন তার স্ত্রী শাহীন ফেরদৌসী, মেয়ে তাসনিমা নাসির উদ্দিন এবং তার নাতি-নাতনি জুহাইনা রিজওয়ান ও আরশান রিজওয়ান। ভ্রমণকালীন সময়ে তার অনুপস্থিতি বাংলাদেশের বাইরে গৃহীত ছুটি হিসাবে বিবেচিত হবে বলে জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগরত ময়নুল ইসলামকে পিআরএল ও এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিত করে ১০ এপ্রিল থেকে দুই বছরের চুক্তিতে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ময়নুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।