শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতেও সচল থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমস

আগামী সপ্তাহে লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। শবে কদর, ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সেটি হবে আটদিনের। তবে এ ছুটিতেও দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। সরকার রমজান মাস ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল ধরে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করেছে। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি। এছাড়া ঈদের আগে ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। তার আগের দুদিন ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের ছুটিকালীন চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকবে। শুধু ঈদের দিন সকালের শিফটে আট ঘণ্টা কনটেইনার হ্যান্ডলিং ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই এসময় কাজের কোনো চাপ থাকে না। তাই আশা করছি ওইটুকু সময়ে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আমাদের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। যে কেউ চাইলে ঈদের দিন বিকেলেও পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন। এছাড়া ঈদের দিন সকালেও জেটিতে জাহাজীকরণ কার্যক্রম চালু থাকবে। ঈদের ছুটিতে যাতে কনটেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য।’
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘সব মিলিয়ে ছুটিটা এক সপ্তাহের বেশি হওয়ায় ঈদে একটা বড় চাপের আশঙ্কা করছি। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে আমদানি পণ্যের ডেলিভারি বেশি হওয়ায় ডিপোগুলোতে স্থান সংকট তৈরি হয়। আবার শ্রমিকদের একটা বড় অংশ বাড়ি চলে যায়। তাই ঈদে আমাদের স্বস্তির জায়গাটা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকলেও কাস্টমসের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে আমদানির ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তাদের পাওয়া গেলেও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা পোহাতে হয়।’
তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে তারা বিশেষ ব্যবস্থায় কার্যক্রম চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ছয়জন ডেপুটি কমিশনার এবং একজন সহকারী কমিশনারের তত্ত্বাবধানে কাস্টমস হাউজের কার্যক্রম চালু থাকবে। এক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তা রয়েছেন, আমরা তাদের সহায়তা নিচ্ছি। দেশের স্বার্থে তারা ছুটির সময়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানীয়, আমরা তাদের সহায়তাও নিচ্ছি। আমদানি ও রপ্তানিকারকরা নিশ্চিন্তে এসময়ে সেবা পাবেন আশা করি।’
তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামের বেসরকারি আইসিডিগুলোর অপারেশনাল কার্যক্রম ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। ১১ এপ্রিল ঈদ হলে আগের দিন ১০ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ১২ এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিডি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা)।
বিকডার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, শিপিং লাইন, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ আইসিডির সব স্টেকহোল্ডারকে অবহিত করছি।’
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া পণ্য এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসা পণ্যের শুল্কায়ন করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।

শিল্প-বাণিজ্য
বাজেটকে ইতিবাচক জানিয়ে যা বললো বিজিএমইএ

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এ বাজেটকে লক্ষ্যবিলাসী ধারণা থেকে সরে এসে সামগ্রিক উন্নয়নের বাজেট বলে মন্তব্য করেছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সোমবার (২ জুন) বাজেটোত্তর এক বিবৃতিতে বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের অনন্য দিক।
বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পোশাককর্মীসহ দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন। সামাজিক নিরাপত্তাখাতের আওতায় কিছু কর্মসূচিতে ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে; এটি ইতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করে বিজিএমইএ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ- এর প্রশাসক বলেন, এটি শিল্পের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ।
মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এলএনজি-এর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রেট্রোলিয়াম ও ডিজেলের আমদানি শুল্কও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। আমরা মনে করি, ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছাবে এবং প্রত্যক্ষভাবে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় কমবে। সর্বোপরি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
শিল্প-বাণিজ্য
বিসিআইয়ের আয়োজনে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ফ্রেমওয়ার্ক অব বাংলাদেশ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আয়োজনে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ফ্রেমওয়ার্ক অব বাংলাদেশ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বিসিআইয়ের বোর্ডরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআইর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। আলোচক ও ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (পেটেন্ট) মির্জা গোলাম সারোয়ার, উপ-পরিচালক (ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডিজাইন) সাইদুজ্জামান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মিস তাসলিমা জাহান।
কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেক্টরের ২১ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কর্মশালায় বিসিআই পবিচালক মো. শহীদুল ইসলাম নিরু, নাজমুল আনোয়ার ও যেয়াদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন, এনডিসির পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি দেশের শিল্প খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি মেধাভিত্তিক ও উদ্ভাবননির্ভর হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এখনই ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস-এর ওপর গুরুত্বারোপ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরী।
কর্মশালার দ্বিতীয় ভাগে “ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ফ্রেমওয়ার্ক অব বাংলাদেশ” এর উপর আলোচক মিস তাসলিমা জাহান আইপিআর নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি এলডিসি থেকে উত্তরন হলে আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পেটেন্ট ও আইপিআর নিয়ে কি ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে তা তুলে ধরে বলেন এলডিসি থেকে উত্তরনের পূর্বেই বাংলাদেশকে পেটেন্ট ও আইপিআর নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। জনাব সাইদুজ্জামান বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন প্রোটেকশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম নিয়ে এবং জনাব মির্জা গোলাম সারোয়ার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে পেটেন্টদের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
কর্মশালার শেষ অংশে অংশগ্রহণকারীদের মতামত/ফিডব্যাক নেয়া হয় এবং সকলের নিকট সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়। বিসিআইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল আলোচকবৃন্দ ও সকল অংশগ্রহণকারীকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানান এবং সকলকে বিসিআই এর বিভিন্ন কর্মসূচীর সাথে যুক্ত থাকার অনুরোধ জানান।
কাফি
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশের কাছে শুল্ক ছাড়ের লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ছাড়ের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর- দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টটেটিভ (ইউএসটিআর)।
গত ৭ মে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে লেখা চিঠিতে ইউএসটিআরের প্রতিনিধি জেমিসন গ্রেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনা শুরুর পদক্ষেপে সাড়া দেওয়ায় প্রশংসা করেন।
গ্রেয়ার লিখেছেন, আমার টিম বাংলাদেশের কৃষি ও শিল্প শুল্ক এবং শুল্কজনিত বাধা কমানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে, স্থায়ী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও লেখেন, মার্কিন স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগের ক্ষেত্রে আপনার চিঠিতে উল্লেখিত ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোকে আমি স্বাগত জানাই এবং আমি বাংলাদেশ সরকারকে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন ও ডিজিটাল বাণিজ্যকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এমন ব্যবস্থার মতো অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার ক্ষেত্রগুলো মোকাবিলায় উৎসাহিত করছি।
ইউএসটিআরের চিঠিতে বলা হয়, আমরা আপনার সরকারের কাছ থেকে একটি লিখিত প্রস্তাব পাওয়ার অপেক্ষায় আছি, যেন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করতে পারি।
কাফি
শিল্প-বাণিজ্য
ভিয়েতনাম থেকে এলো আরও ২০ হাজার টন চাল

ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি থাই বিন ০৯ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে স্বাক্ষরিত জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) চুক্তির আওতায় মোট ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এরইমধ্যে সম্পূর্ণ চাল দেশে এসে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর জাহাজে সংরক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
শিল্প-বাণিজ্য
কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা

বাংলাদেশ ও ভুটানের ব্যবসায়ীরা ফল, সবজি, মসলাসহ কৃষিপণ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে এটাকে কাজে লাগাতে চান দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হয়। এ সময়, দুই দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত অজ্ঞাত কিছু বাণিজ্য খাত নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচার মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিস-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর মি. দাওয়া ডাকপা। এফবিসিসিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি এবং ঢাকায় ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মি. দাওয়া শেরিংও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উভয় পক্ষ আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহ্বান জানান এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, পাশাপাশি বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধি করাও বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
এছাড়া, এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।