শিল্প-বাণিজ্য
ঈদের ছুটিতেও সচল থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমস

আগামী সপ্তাহে লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। শবে কদর, ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সেটি হবে আটদিনের। তবে এ ছুটিতেও দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। সরকার রমজান মাস ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল ধরে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করেছে। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি। এছাড়া ঈদের আগে ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। তার আগের দুদিন ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের ছুটিকালীন চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকবে। শুধু ঈদের দিন সকালের শিফটে আট ঘণ্টা কনটেইনার হ্যান্ডলিং ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই এসময় কাজের কোনো চাপ থাকে না। তাই আশা করছি ওইটুকু সময়ে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আমাদের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। যে কেউ চাইলে ঈদের দিন বিকেলেও পণ্য ডেলিভারি নিতে পারবেন। এছাড়া ঈদের দিন সকালেও জেটিতে জাহাজীকরণ কার্যক্রম চালু থাকবে। ঈদের ছুটিতে যাতে কনটেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য।’
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘সব মিলিয়ে ছুটিটা এক সপ্তাহের বেশি হওয়ায় ঈদে একটা বড় চাপের আশঙ্কা করছি। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে আমদানি পণ্যের ডেলিভারি বেশি হওয়ায় ডিপোগুলোতে স্থান সংকট তৈরি হয়। আবার শ্রমিকদের একটা বড় অংশ বাড়ি চলে যায়। তাই ঈদে আমাদের স্বস্তির জায়গাটা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকলেও কাস্টমসের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে আমদানির ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তাদের পাওয়া গেলেও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা পোহাতে হয়।’
তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে তারা বিশেষ ব্যবস্থায় কার্যক্রম চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ছয়জন ডেপুটি কমিশনার এবং একজন সহকারী কমিশনারের তত্ত্বাবধানে কাস্টমস হাউজের কার্যক্রম চালু থাকবে। এক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তা রয়েছেন, আমরা তাদের সহায়তা নিচ্ছি। দেশের স্বার্থে তারা ছুটির সময়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানীয়, আমরা তাদের সহায়তাও নিচ্ছি। আমদানি ও রপ্তানিকারকরা নিশ্চিন্তে এসময়ে সেবা পাবেন আশা করি।’
তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামের বেসরকারি আইসিডিগুলোর অপারেশনাল কার্যক্রম ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। ১১ এপ্রিল ঈদ হলে আগের দিন ১০ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ১২ এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিডি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা)।
বিকডার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি রপ্তানিকারক, আমদানিকারক, শিপিং লাইন, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ আইসিডির সব স্টেকহোল্ডারকে অবহিত করছি।’
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া পণ্য এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসা পণ্যের শুল্কায়ন করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
কৃষিপণ্যে বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা

বাংলাদেশ ও ভুটানের ব্যবসায়ীরা ফল, সবজি, মসলাসহ কৃষিপণ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে এটাকে কাজে লাগাতে চান দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হয়। এ সময়, দুই দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত অজ্ঞাত কিছু বাণিজ্য খাত নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচার মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিস-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর মি. দাওয়া ডাকপা। এফবিসিসিআইয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি এবং ঢাকায় ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মি. দাওয়া শেরিংও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উভয় পক্ষ আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহ্বান জানান এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, পাশাপাশি বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধি করাও বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
এছাড়া, এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নেপালে আরো ২৭৩ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে রপ্তানি হয়েছে আরও ২৭৩ টন আলু।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বন্দরটি দিয়ে আলু রপ্তানির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।
তিনি বলেন, ২৭৩ টন আলু নেপালে গেছে। এ নিয়ে ৪ হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হলো। এর মধ্যে গত সপ্তাহে (১০ এপ্রিল) বন্দরটি দিয়ে ১৪৭ টন আলু রপ্তানি হয়েছে নেপালে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আলুগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টার প্রাইজ, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ ও ক্রসেস অ্যাগ্রোসহ বেশ কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আলুগুলো সংগ্রহ করে নিয়মিত নেপালে রপ্তানি হচ্ছে। এভাবে আলু নিয়মিত রপ্তানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে আর আমাদের দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত আলুর দাম পাবেন।
বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
গত ৮ এপ্রিল ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুবিধা বাতিল করে দেশটি। এতে বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্রুত ও স্বল্প খরচে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ হয়ে গেলেও এ স্থলবন্দরটি দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দ্রুত কমার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার কাজ করছে। দুই দেশের মধ্যে যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তা দ্রুত কমার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চড়া শুল্ক আরোপের চ্যালেঞ্জ ও সরকারের করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটি অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে। তবে তিন মাসের জন্য এই শুল্ক আরোপ স্থগিত রেখেছে। এই তিন মাসে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিশাল বাণিজ্যিক ঘাটতি দ্রুত কমার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সরকার কাজ করছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্যারিফ এবং নন-ট্যারিফ যে কাঠামো রয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে বুঝিয়ে বলার পাশাপাশি শুল্ক আরোপ নিয়ে দেশটির প্রকৃত মনোভাব জানার চেষ্টা করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
শিল্প উন্নয়নে ন্যায্য জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের আহ্বান ইউরোচ্যাম বাংলাদেশের

বাংলাদেশ এনার্জি️ রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নতুন ঘোষিত গ্যাসের দাম বৈষম্যমূলক, অন্যায় এবং বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ব্যবসায়ী সংগঠন ইউরোচ্যাম বাংলাদেশ। সেই সাথে দেশের শিল্প উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ সুরক্ষায় ন্যায্য জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইউরোচ্যাম বাংলাদেশের চেয়ারপারসন নুরিয়া লোপেজের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউরোচ্যাম বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যতের জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে মনে করে যে এই বৈষম্যমূলক মূল্য নির্ধারণ মডেলটি বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে এবং নতুন এবং সম্প্রসারণশীল শিল্পগুলোর ওপর উচ্চ মূল্য আরোপের মাধ্যমে বিনিয়োগের পথে বাঁধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ যখন বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে এমন সময়ে এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি একই খাতের মধ্যেই জ্বালানি ব্যয়ের ভিন্নতা সৃষ্টি করে এবং একইসঙ্গে দেশি-বিদেশি উভয় ধরনের নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করে।
ইউরোচ্যাম বাংলাদেশের চেয়ারপারসন নুরিয়া লোপেজ বলেন, “বিনিয়োগকারীদের আস্থা নিশ্চিত এবং শিল্প সম্প্রসারণে সহায়তা করার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ️ জ্বালানি শুল্ক কাঠামো বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। প্রস্তাবিত এই কাঠামো ব্যবসার ধারাবাহিকতাকে বিঘ্নিত করার হুমকি তৈরি করছে এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বর্তা পাঠাচ্ছে।”
বাংলাদেশে অনেকে প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ️দিন ধরে গ্যাস ব্যবহার করে আসছে। এধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নতুন গ্যাস বিক্রয় চুক্তির অধীনে পুনঃশ্রেণীবিভাগ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বিইআরসি। এ ধরনের সুযোগ বিদ্যমান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হুমকী। এর ফলে ভবিষ্যতে সরকার চাইলে যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘নতুন গ্রাহক’ শ্রেনীতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে অতিরিক্ত দাম আদায় করতে পারবে। বিইআরসিকে এ বিষয়টি পুনঃবিবেচনার দাবী জানিয়েছে ইউরোচ্যাম।
সাম্প্রতিক গণশুনানিতে শিল্প নেতারাও উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি সংস্কার কৌশলের আহ্বান জানিয়েছিল। ইউরোচ্যামও সরকার এবং বিইআরসিকে তাৎপর্য️পূর্ণ️ভাবে অংশীজনদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এবং এমন একটি ট্যারিফ কাঠামো প্রণয়নের আহ্বান জানায় যা শিল্পের স্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং টেকসই অর্থ️নৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করবে।
অন্তর্ভুক্তিমূল প্রবৃদ্ধি এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার নীতিমালা প্রণয়নে একসাথে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ইউরোচ্যাম।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ হচ্ছে বুধবার

পহেলা বৈশাখের দিনেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে। এদিন ২০১টি ট্রাকে ৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। তবে দেশের হাওর অঞ্চলে নতুন ধান উঠতে শুরু করায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) থেকে এই চাল আমদানির দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভারতীয় ১৪৭ ট্রাকে ১৬১ মেট্রিক টন, রোববার ১৪৪ ট্রাকে ১৬০ মেট্রিক টন ও সোমবার ২০১টি ট্রাকে ১৮৪ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ৮৪ ট্রাকে ৩৬১৭ মেট্রিক টন চাল আমদানির কথা রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ালেও আগামীকাল শেষ হচ্ছে চাল আমদানির দ্বিতীয় মেয়াদ। এ কারণেই শেষদিকে আমদানি বেড়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে এখনও চালবোঝাই শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়।
হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী কুলো প্রধান জানান, দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। এতে করে চলতি এক সপ্তাহের মধ্যে দাম বাড়েনি।
তিনি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ভারত থেকে চাল আমদানির দ্বিতীয় মেয়াদের সময় শেষ হওয়ায় আমদানি বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় নতুন ধান উঠতে শুরু করবে, ফলে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী জানান, ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেইসঙ্গে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় চালের আমদানি শুল্ক। এরপর গত ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে চাল আমদানি। ১৬ এপ্রিল চাল আমদানি বন্ধ হবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমসের তথ্যমতে, গেলো বছরের ১১ নভেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চালের আমদানি শুরু হয়। সোমবার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ভারতীয় ৬ হাজার ৪০০ ট্রাকে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৭ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। হিলি দিয়ে ভারত থেকে বাসমতী ও নন বাসমতী দুই ধরনের চাল আমদানি হয়।