অর্থনীতি
এডিবির কাছে আরও বাজেট সহায়তা চায় বাংলাদেশ

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে আরও বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সহায়তা চাওয়া হয়।
এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবির কাছে আরও বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এডিবির সঙ্গে সম্পর্ক ডেভেলপ করছে ৫০ বছর ধরে। এটা আরও ভালো হবে, আরও শক্তিশালী হবে। তার জন্যই আমরা সন্তুষ্ট। বাজেট সাপোর্টও দেবে। ওরা আসছেই তো এ জন্য।
তিনি বলেন, আমরা এডিবির বার্ষিক সম্মেলনে যাচ্ছি। সেখানে আরও আলোচনা হবে। কিন্তু সো ফার আমরা খুবই হ্যাপি। যেভাবে উন্নত হচ্ছে এবং আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং, তারা আমাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছে। আমরা খুবই সন্তুষ্ট।
আমাদের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এডিবি প্রতিনিধিদলের কোনো অবজারভেশন আছে কি, এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, না কোনো অবজারভেশন নেই। ওরা খুব খুশি।
এ সময় অর্থসচিব বলেন, এডিবি আমাদের ৫০ বছরের বন্ধু। আমরা এডিবির কাছ থেকে ফান্ড পেয়ে আসছি, ভবিষ্যতে যেন আরও পাই, সে জন্য স্যার (অর্থমন্ত্রী) রিকুয়েস্ট করেছেন। বিশেষ করে বাজেট সাপোর্ট আমাদের নতুন উইন্ডো, বাজেট সাপোর্টে এডিবি আমাদের অনেক হেল্প করেছে।
তিনি বলেন, করোনার সময় আমাদের বাজেট সাপোর্টে দেওয়ায় আমরা অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারছি। এই বাজেট সাপোর্ট যাতে আরও বাড়ে, সে জন্য স্যার রিকোয়েস্ট করেছেন।
বাজেটে আরও সহযোগিতা চাওয়ার প্রেক্ষিতে এডিবির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে জানতে চাইলে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, আলোচনা করছি আমরা।
চলতি বছরের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় চার হাজার কোটি টাকার বেশি) বাজেট সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। গত বছরের ১১ ডিসেম্বরে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকেও ৯ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার ১৭৬ কোটি ডলার, ২০২২১-২২ অর্থবছরে ২৫৯ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০৯ কোটি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নেয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫ কোটি ডলার।
কাফি

অর্থনীতি
দিল্লিতে ৫০০ কেজি চিনিগুড়া চাল উপহার পাঠালো ঢাকা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৫০০ কেজি সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দিল্লির হাইকমিশন থেকে এই চালগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার স্থলবন্দর দিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে করে চালগুলো আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।
এর আগে সকালে চিনিগুড়া চাল ভর্তি পিকআপ ভ্যানটি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসে। পরে বন্দর থেকে চালের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী রাজীব ভুঁইয়া জানান, চালগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপহার হিসেবে দেওয়া হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সব প্রক্রিয়া মেনে উপহারের চালগুলো দ্রুত ছাড়করণ করা হয়েছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবারও ভরতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর বিভিন্ন পণ্য উপহার হিসেবে বিনিময় হয়ে থাকে
কাফি
অর্থনীতি
সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা।
এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। অবশ্য তার আগে ১৭, ১০, ৯, ৮, ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট দাম বাড়ানো হয়। এতে ১৭ সেপ্টেম্বর ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা। এতদিন এটিই দেশের বাজারে সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল।
মঙ্গলবার থেকে নতুন রেকর্ড দামে বিক্রি হবে সোনা। এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের এক ভরির দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৮০৫ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৯ টাকা। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ২ হাজার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
২১ দিনে রেমিট্যান্স এলো দুই বিলিয়ন ডলার

সেপ্টেম্বর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে ২০৩ কোটি ১০ লাখ বা ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৩ কোটি ডলার।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ২১ দিন পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯৩ কোটি ডলার। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৭৭ কোটি ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি ২০ দশমিক ১ শতাংশ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর গেল আগস্টে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতি
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়ছে, আপত্তি ব্যবসায়ীদের

প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম এক টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক হয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সয়াবিন ও পাম ওয়েলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। তবে এত মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আপত্তি তুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি লিটার তেলের দাম ১ টাকা করে বাড়াতে বলেছেন ব্যবসায়ীদের।
তবে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন কিছু জানায়নি। ওই বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। সিদ্ধান্তহীনভাবে ভোজ্যতেলের ওই বৈঠক শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।
এখন বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত দাম ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৪ ও পাম তেলের দাম ১৫০ টাকা।
সভা সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা অনেক বেশি বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে এক টাকা বাড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এই ধরনের পর্যালোচনাগুলো করে থাকে। পর্যালোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
ওই সভায় সিটি, মেঘনা, টিকে গ্রুপসহ বাংলাদেশ এডিবল অয়েল এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন কোম্পানির প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১৮-২০ শতাংশের মতো তেলের দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে পাম ওয়েলেরও। যে কারণে এই দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাত্র এক টাকা দাম বাড়াতে বলছে। যদিও ট্যারিফ কমিশনের পর্যবেক্ষণে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম সাড়ে চার টাকা ও পাম তেলের দাম সাত টাকার বাড়ছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটা মানছি না।’
এর আগে গত ১২ আগস্টের প্রথম ভাগে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়। এরও আগে গত ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম ও ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ উৎসে কর বসিয়েছে। যা ভোজ্যতেলের দামে প্রভাব ফেলছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
অর্থনীতি
২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকা

চলতি মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ২০ দিনে ১৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার ২১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ২০ দিনে ১৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ২০ দিন) একই সময়ের চেয়ে ২৮ কোটি ৯০ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ২০ দিন পর্যন্ত ৬৮০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৫৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ১০৫ কোটি ১০ ডলার বেশি এসেছে। যা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর সদ্য বিদায়ী আগস্টের পুরো সময়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স এসেছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ: জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।