ধর্ম ও জীবন
ইতেকাফের সময় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
ইসলামে ফজিলতপূর্ণ একটি আমল হলো ইতেকাফ। আল্লাহ তা’আলা কোরআনে বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফকারী, ইতেকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাকারা: ১২৫) আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন ইতেকাফ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিনটি পরিখা সৃষ্টি করে দেবেন, যার একটির দূরত্ব আসমান জমিনের দূরত্বের চেয়ে বেশি। (তাবরানি ফিল আওসাত)
রমজানের শেষ দশদিন ইতেকাফ করা সুন্নতে মুআক্কাদা কেফায়া। কোনো মহল্লা বা এলাকা থেকে একজন ইতেকাফ করলে পুরো মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে এটি আদায় হয়ে যাবে। কেউ ইতেকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে।
এ ছাড়া সারা বছরই নফল ইতিকাফ করা যায়। ইতিকাফের মানত করলে তা পূরণ করা ওয়াজিব। ওয়াজিব ইতিকাফে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক।
কোনো মসজিদে এক বা একাধিক দিন দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে সওয়াবের নিয়তে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতেকাফ করার সময় কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। কিছু কাজ আছে যেগুলো ইতেকাফ অবস্থায় নিষিদ্ধ এবং ইতেকাফকারী ওই কাজগুলো করতে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
১. ইতেকাফ অবস্থায় স্ত্রী-সহবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। রমজানে দিনের বেলা রোজা অবস্থায় স্ত্রী-সহবাস নিষিদ্ধ হলেও রাতে সহবাসের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু ইতেকাফ অবস্থায় রাতেও সহবাসের নিষিদ্ধ। ইতেকাফরত ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। (সুরা বাকারা: ১৮৭)
২. একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। ইতেকাফরত অবস্থায় অজু, ফরজ-গোসল ও প্রাকৃতিক প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে। কিন্তু জানাজার নামাজের মতো ফজিলতপূর্ণ কাজের জন্য বা অপ্রয়োজনীয় গোসল, বেচাকেনা, মোবাইলে কথা বলা ইত্যাদি কাজের জন্যও মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না।
৩. ইতেকাফরত অবস্থায় রোজা রাখা জরুরি। কেউ যদি কোনো প্রয়োজনে রোজা ভেঙে ফেলে বা কোনোভাবে রোজা ভেঙে যায়, তাহলে তার ইতেকাফও ভেঙে যাবে। যেমন কেউ যদি অসুস্থতার কারণে রোজা ভেঙে ফেলে, তাহলে তার ইতেকাফও ভেঙে যাবে। একইভাবে ইচ্ছাকৃত পানাহার, সহবাস বা জাগ্রত অবস্থায় ইচ্ছাকৃত বীর্যস্খলন ঘটানোর কারণে কারো রোজা ভেঙে গেলে তার ইতেকাফও ভেঙে যাবে।
৪. ইতেকাফরত অবস্থায় নারীদের মাসিক শুরু হলে তাদের ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না: ধর্ম উপদেষ্টা
জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী ফাউন্ডেশন পরিদর্শন ও সুধী সমাবেশ যোগদান শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন কিছু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে না। বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। এই মুহূর্তে আমরা এমন কোনো কাজ করতে চাই না যেটি নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা গর্হিত কাজ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু, অপরাধী। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। এছাড়াও দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্রদের পূজার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে। যেন কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদ্রাসার ছাত্ররা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিল না। এটা আগের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপর হিন্দু মহাসভার হামলার আশঙ্কার খবরে ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। আমাদের ক্রিকেট দলের উপর ভারতে হামলার (আশঙ্কার) খবর শুনছি। যেহেতু বিসিবি আছে, তারা এবিষয়ে করণীয় ঠিক করবে। পট পরিবর্তনের পর কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়িতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। এ সরকার সবার সরকার, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৬ আমল
মুসলিমদের কাছে জুমার দিন পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)
জুমার দিনে বিশেষ ৬ আমল
জুমার নামাজ
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে; যদি সেই ব্যক্তি সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম হাদিস ২৩৩)
হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল; তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন। (বোখারি, হাদিস ৮৮৩)
জুমার দিন গোসল করা
জুমার দিন গোসল করার অনেক ফজিলত রয়েছে। গোসল করে সবার আগে মসজিদে যাওয়া সওয়াবের। হজরত আউস বিন আউস সাকাফি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করল, দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তার জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে। (আবু দাউদ, হাদিস ৩৪৫)
মসজিদে সবার আগে যাওয়া
শুক্রবারে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে আগে প্রবেশ করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে প্রথমে মসজিদে গেল সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে এরপর মসজিদে গেল, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল। আর যে এরপর ঢুকল, সে যেন ছাগল কোরবানি করল…। (বোখারি, হাদিস ৮৪১) জুমার দিন দোয়া কবুল হয় জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন মানুষ আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আছরের পর অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ ১০৪৮)
হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এই মুহূর্তটি তোমরা আছরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ ১০৪৮)
সুরা কাহাফের ফজিলত
জুমার অন্যতম আমল সুরা কাহাফ পাঠ করা। হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে তা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার জন্য আলোকিত হয়ে থাকবে। আর যে ব্যক্তি এই সুরার শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যে ব্যক্তি অজুর পর এই দোয়া পড়বে তার নাম একটি চিঠিতে লেখা হবে। অতঃপর তাতে সিল দেওয়া হবে, যা কিয়ামত পর্যন্ত আর ভাঙা হবে না। (তারগিব ১৪৭৩, আল মুসতাদরাক ২/৩৯৯)
দরুদ শরিফের ফজিলত
জুমার দিন রাসুল (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা অনেক সাওয়াব। হজরত আউস বিন আবি আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং এই দিনে সবাইকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি পরিমাণ দরুদ পড়। কারণ জুমার দিনে তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ ১০৪৭)
জুমার দিনের আমল
হাদিসগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, জুমার দিনের কিছু কাজে সাওয়াব মিলে। যেমন, নখ কাটা, গায়ের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা, উত্তমরূপে গোসল করা, উত্তম পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহের জন্য কাফ্ফারা হবে (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ-পুনর্বাসনের হিসাব দিলেন আহমাদুল্লাহ
বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপের খরচের হিসাব প্রকাশ করেছেন সামাজিক সাহায্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।
এতে তিনি লেখেন, ‘বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে খাদ্যসহ নানাবিধ ত্রাণসামগ্রী ক্রয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে; বিতরণও হয়েছে অর্ধেকের বেশি। এসবের বিস্তারিত হিসাব এখানে দেয়া হলো।
তবে প্রদেত্ত হিসাবে পুনর্বাসনের হিসাব অন্তর্ভুক্ত নেই বলে জানান তিনি। আহমাদুল্লাহ বলেন, শেষ হওয়ার পর পুনর্বাসনের হিসাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার থেকে শুরু হবে পুনর্বাসনের যাচাই-বাছাই পর্ব। এ কার্যক্রম চলবে কয়েক মাস ধরে। পুনর্বাসনের প্রতিটি ধাপ শেষে এর বিস্তারিত হিসাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। আর বছর শেষে অডিট তো থাকছেই।
আনন্দের বিষয় হলো, ‘আমাদের ত্রাণ কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা খরচ এক শতাংশেরও কম। সেবামূলক কাজের ইতিহাসে যা আমাদের জানামতে এক বিরল ঘটনা।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর
দেশের আকাশে আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এজন্য বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। তাই আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) সোমবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে। এজন্য বৃহস্পতিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত হবে।
আরবি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’র শাব্দিক অর্থ- মহানবীর (স.) জন্মদিনের আনন্দোৎসব। মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হয়রত মুহম্মদ (স.) এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। কারণ এ দিনেই রাসুলে করীম (স.) ইন্তেকালও করেন। সেই হিসেবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আউয়াল। বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিন সাধারণ ছুটি।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। আরবের মরুপ্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন তিনি। তার আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালই মহানবী (স.) মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) হিসেবে সারা বিশ্বের মুসলমানরা পালন করে থাকেন।
ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিনে মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
ঈদে মিলাদুন্নবী কবে, জানা যাবে আজ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) কবে জানা যাবে আজ। হিজরি ১৪৪৬ সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিচে দেওয়া টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে টেলিফোন নম্বর: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করতে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এমআই